জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় ও নেতৃত্ব নিয়ে দলের মধ্যে ক্রমাগত অসন্তোষের মুখে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গেল ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর সোমবার (৬ জানুয়ারি) লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
তবে তার দল থেকে নতুন কাউকে স্থলাভিষিক্ত করার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন ৫৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। আগামী নির্বাচনে তার দল বড় ধরনের ধসের মুখে পড়তে পারে বলে জনমত জরিপে উঠে আসলে সরে দাঁড়াতে আইনপ্রণেতারা তাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত সংসদ মুলতবি থাকবে। এর অর্থ হচ্ছে, মে মাসের আগেই দেশটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের সময়ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন ট্রুডো। কানাডীয় পণ্যের ওপর বড় ধরনের রাজস্ব আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, এতে দেশটির অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ট্রুডো বলেন, আগামী নির্বাচনে এই দেশ সত্যিকারের নেতা নির্বাচন করবে। কিন্তু আমাকে যদি আন্তঃকোন্দল নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনে আমি সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারবো না।
২০১৫ সালের নভেম্বরে ক্ষমতায় আসেন তিনি। এরপর দুবার পুননির্বাচিত হয়ে কানাডার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ট্রুডো। কিন্তু উচ্চমূল্য ও আবাসন ঘাটতির কারণে মানুষের মধ্যে তার নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। ধীরে ধীরে তার জনপ্রিয়তাও কমতে থাকে।
জনমতি জরিপে দেখা গেছে, আগামী নির্বাচনে বিরোধী কনজারভেটিভের কাছে তার দলের বড় পরাজয় ঘটবে। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
ট্রুডো বলেন, চারপাশে বিরোধ দূর করে উত্তাপ কমিয়ে আনার বিষয়টি তিনি ভেবেছেন। সেইসঙ্গে এমন সরকারের কথা তিনি ভাবেন, যেটি জটিল বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দেবে।
তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে উত্তরসূরি হিসেবে কে আসছেন, সেই প্রশ্নও এখন সামনে আসছে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নি ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সাবেক প্রিমিয়ার ক্রিস্টি ক্লার্ক।