দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অগ্নিবিধ্বস্ত বিমানটি থেকে এ পর্যন্ত মাত্র দুজনকে উদ্ধার করতে পেরেছে উদ্ধারকর্মীরা; বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়।
রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মুয়ান শহরের বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহী নিয়ে অবতরণ করছিল জেজু এয়ারের ওই ফ্লাইটটি। এ সময় রানওয়ে থেকে পিছলে ছিটকে গিয়ে কংক্রিটের দেওয়ালে ধাক্কা মারলে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
দেশটির জাতীয় অগ্নিনির্বাপন সংস্থা জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩২টি ফায়ার ট্রাক ও বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৫৬০ জন দমকলকর্মী, পুলিশ ও সেনাসদস্য উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
নিহতদের মধ্যে ৮৩ জন নারী, ৮০ জন পুরুষ এবং বাকি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এমনকি, এখন পর্যন্ত বিমানটির আরোহীদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারেনি বলে জানিয়েছে অগ্নিনির্বাপন সংস্থা।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় ১৮১ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৮৫
মুয়ান অগ্নিনির্বাপন সংস্থা প্রধান লি জিয়ং-হিয়ন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। অগ্নিকাণ্ডে বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কেবল বিমানের লেজের অংশটি শনাক্তযোগ্য ছিল।
লি বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি, বিমানটি পাখির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে কিনা- দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকারি তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান চলাচলের ইতিহাসে এটি অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে গুয়ামে কোরিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২২৮ আরোহী নিহত হওয়ার পর ২০২৪ সালের শেষ মুহূর্তে এমন বিমান দুর্ঘটনা দেখল দেশটি।