সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবৈধ প্রোপাগান্ডা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর অনলাইন জুয়ার অ্যাপস শতভাগ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে স্থাপিত সাইবার থ্রেড ডিটেনশন অ্যান্ড রেসপন্স সেন্টার পরিদর্শনকালে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে টেলিযোগাযোগ অধিদপপ্তরের সম্মেলনকক্ষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় স্বল্প সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে ভালো ফল পাওয়া যায় সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ই কায়নাত, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সাহাব উদ্দিনসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৬ প্রকল্পে চীনের কাছে এক বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ: পলক
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরকে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য একটি উপযোগী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সাল নতুন বছরে আমাদের সামনে নতুন রূপকল্প দিয়েছেন সরকার প্রধান, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিকরূপ, দক্ষ মানবসম্পদ, ক্যাশলেস এবং পেপারলেস সমাজ ও সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য আগামী ৫ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অনুপ্রেরণা ও পরামর্শে ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন। পরিকল্পনা ঘোষণার পর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথনকশা এবং মেধাবী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরের যাত্রায় সফল বাস্তবায়নের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল। একইভাবে আগামী ১৭ বছরে কীভাবে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করব আগামী ৫ বছরেই আমাদের তার ভিত্তি তৈরি করতে হবে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট এই চার স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকা কী হবে, প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্পের সঙ্গে কতটা সম্পৃক্ত তা বিবেচনা করে আমাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
দৈনিক, মাসিক ও বাৎসরিক কী কী কাজ টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা করবেন এবং তার আউটপুট কী হবে তার একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং বিগত বছরগুলোতে অর্জন কী ছিল এসব তথ্যের সমন্বয়ে একটা তুলনামূলক চিত্র সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনও জরুরি। পাশাপাশি এই পরিবর্তনে আমরা কি শুধু খাপ খাইয়ে নেব না নেতৃত্ব দেব, সেটা আমাদের নির্ধারণ করতে হবে। আমরা যদি খাপ খাইয়ে নিতে চাই, তাহলে আমাদের কর্মপরিকল্পনা হবে একরকম আর যদি আমরা নেতৃত্ব দিতে চাই তাহলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে অতিরিক্ত পরিশ্রম করে উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরি করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী টেলিযোগাযোগ বিভাগকে কীভাবে একটা স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে এবং ২০২৬ সালে বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে তখন সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকা কী হবে তার একটা পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দেশের ৫০০ পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট করা হবে: পলক