কয়েকটি কারখানা ছাড়া আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বেশিভাগ প্রতিষ্ঠানেই উৎপাদন চলছে। সকাল থেকে স্ব স্ব কারখানায় যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ডিইপিজেডসহ অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানায় দলবেঁধে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। তবে ২ থেকে ৩টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এখনও কারখানায় অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।
এদিকে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে পোশাক শিল্পকে অস্থিতিশীল করতে সন্দেহভাজন আরও চারজনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেতন সমস্যা সমাধান চেষ্টার মধ্যেই শনিবার আশুলিয়ায় ৪৫টি কারখানা বন্ধ
আটক ব্যক্তিরা হলেন- পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার মোতালেব হোসেন (২৫), জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার সেলিম রেজা (২১), ভোলার চরফ্যাশন থানার মো. রাসেল (২৩) এবং নওগাঁর আত্রাই থানার লিটন কুমার দাস (২৩)। তারা সবাই আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
তবে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। যদিও কারখানায় হামলা, ভাঙচুর কিংবা সড়ক অবরোধের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
শিল্প পুলিশ জানায়, কয়েকটি কারখানা ছাড়া অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন চলছে। গত কয়েকদিন ধরে নাসা গ্রুপে অসন্তোষ সৃষ্টি হলেও আজ উৎপাদন চলছে। তবে নিউ এইজ ও আল মুসলিম গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানায় এসে কাজ যোগ না দেওয়ায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ডিইপিজেডসহ অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘বাইরের কারখানাগুলোতে কোথাও তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাবি-দাওয়া নিয়ে ম্যানেজমেন্ট সমাধান করতে পারেনি, সেখানে ঝামেলা হচ্ছে। তবে আজ শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক আছে। গার্মেন্টস খাতকে অস্থিতিশীল করতে জড়িত সন্দেহে গতকাল চারজনকে আটক করা হয়েছে।’
এছাড়া শিল্পাঞ্চলের যেসব জায়গায় গণ্ডগোল হওয়ার আশঙ্কা আছে সেসব জায়গায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও আমাদের শিল্প পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণ, অগ্নিদগ্ধ ১২ শ্রমিক