কুমিল্লা নগরীর সড়ক ও অলি-গলিতে নির্মাণ করা হয়েছে নানা ধরনের তোরণ। অনুমোদনহীন এসব তোরণের কারণে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। রাজনৈতিক, ধর্মীয়, ক্রীড়া চক্র, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায় থেকেও তৈরি হচ্ছে এসব তোরণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হল ফটকের সামনে রয়েছে একটি মাদরাসার মাহফিল ও রাজনৈতিক তোরণ। কান্দিরপাড় জামে মসজিদের সামনে সড়ক দুই ভাগ করে বিশাল তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। টমচমব্রিজ থেকে কান্দিরপাড় সড়কে আছে আরও চারটি তোরণ। ঝাউতলা গ্রামীণফোন গলির সরু সড়কে এক প্রতিষ্ঠানের ভর্তি উৎসবের তোরণ।
ছাতিপট্টি ও চকবাজার সড়কে হঠাৎ করে নির্মাণ করা হয়েছে নানা রং, বেরঙের তোরণ। গাংচর এলাকার উপসড়কে বিয়ে, মাহফিল, ওরস ও পূজার তোরণ থাকে প্রায় পুরো বছর।
সমাজকর্মী আলী আকবর মাছুম বলেন, ‘কুমিল্লা শহরের সড়ক অনেক ছোট। এখানে বড় বাস, ছোট গাড়ি সব চলাচল করে। এসব সড়ক তোরণের জন্য উপযুক্ত না। বাঁশ আর কাপড়ের তৈরি এসব তোরণ পাকা সড়কে খুঁটি গেড়ে বসানো হয় না। যেকোনো সময় বড় বিপদও হতে পারে। সবার উচিত নগর কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা। নগর কর্তৃপক্ষেরও আইনের বাস্তবায়নে কঠোর হওয়া দরকার, এটা আমার মতামত।’
নগরীর তালপুকুর পাড়ের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কুমিল্লায় জ্যামের বহু কারণ। এর অন্যমত কারণ হলো যত্রতত্র সড়কে তোরণ নির্মাণ। সড়ক নির্মাণ হয়েছে পরিবহণ চলাচলের জন্য, তোরণ বানানোর জন্য নয়। শুধু ট্রাফিক চাইলে জ্যাম মুক্ত কুমিল্লা করতে পারবে না। চালক, যাত্রী, নগরবাসী সবাই সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।’
এ নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম বলেন, আইনে স্পষ্ট বলা আছে, তোরণ নির্মাণের জন্য সিটি করপোরেশনের পূর্ব অনুমতি নিতে হবে। যা অনেকে মানছে না। অবৈধ তোরণ, পোস্টার, ফেস্টুন অপসারণের কাজ চলমান। এটি আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ। ধারাবাহিকভাবে সব অবৈধ তোরণ অপসারণ করা হবে।