দিনাজপুরের গোর এ শহীদ ময়দানে শেষ হয়েছে দেশের বৃহত্তম ঈদের নামাজের প্রস্তুতি। গেল বারের মতো এবারও এক সঙ্গে তিন লক্ষাধিক মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
মুসল্লিদের নিরাপত্তা এবং ওজু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছেন তারা। নিরাপত্তার পাশাপাশি এই ময়দানে নামাজ আদায় করতে আসা নামাজিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য থাকছে বিশেষ দুটি ট্রেন।
শনিবার (১৫ জুন) মাঠের প্রস্তুতি পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
এশিয়াসহ দেশের মধ্যে বৃহত্তম দিনাজপুরের গোর এ শহীদ (বড়মাঠ) ঈদগাহ মাঠের আয়তন প্রায় ২৩ একর।
আরও পড়ুন: শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন: জামাত সকাল ৯টায়
ঈদগাহ মাঠে নামাজির কাতারের জন্য মাঠে লাইন টানা, মাঠের তিন দিকে তোরণ নির্মাণ, নিরাপত্তা তদারকির জন্য একাধিক ওয়াচ টাওয়ার তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নামাজিদের জন্য ওজুর পানির পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ মাঠ সজ্জার কাজ শেষ করেছেন আয়োজকরা।
এছাড়াও পুলিশে কন্ট্রোল রুমের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, গেল ঈদুল ফিতরে এক সঙ্গে ৫ লাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেছিল। এবার পশু কোরবানির কারণে নামাজির সংখ্যা কিছুটা কম হলেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি নামাজে অংশ গ্রহণ করবে।
তিনি জানান, মাঠে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী দুইটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছেন। ট্রেনের মধ্যে একটি পাবর্তীপুর থেকে, অন্যটি পঞ্চগড় থেকে ঠাকুরগাঁও হয়ে দিনাজপুর স্টেশন পর্যন্ত নামাজিদের নিয়ে আসবে এবং পৌঁছে দিতে চলাচল করবে।
মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পুলিশ আনসারের পাশাপাশি র্যাব মোতায়েন এবং গোয়েন্দা নজরদারিসহ তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
সব মিলিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বৃহৎ জামাতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।