দিনাজপুর
দিনাজপুরে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার সময় আটক দুই
অবৈধভাবে দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত পার হওয়ার সময় ২ জনকে আটক করেছে বিজিবির সদস্যরা।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভোরে দিনাজপুরের বিরলের ৬ নম্বর ভান্ডারা ইউনিয়নের নোনাগ্রাম এলাকায় দুই বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ডের ৪২ ব্যাটালিয়নের কিশোরীগঞ্জ বিওপির টহল দলের সদস্যরা।
আটক দুজনের মধ্যে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের মুশিদহাটের (মিলরোড) রামা রায়ের ছেলে ম্যাগনেট রায় (২৫) ও নীলফামারী সদরের পলাশবাড়ীর প্রফুল্ল রায়ের ছেলে লিখন রায় (১৯)।
বর্ডার গার্ডের ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসান উল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মেইন সীমান্ত পিলার ৩৩১/ সাব পিলার ৪-এস এর ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কিছু বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করছিল। এসময় ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিরল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের রানীগঞ্জ বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় কাভার্ডভ্যানের চালককে আটক করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জের কুমারপুর চত্বরা গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল গোফফার (৬৮) এবং দিনাজপুরের বিরামপুরের কোচগ্রামের ওমর আলীর ছেলে ভ্যানচালক আনোয়ার হোসেন (৫০)।
আটক কাভার্ডভ্যান চালক সিদ্দিক শহরের রামনগর মহল্লার শেখ ওসমান আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে রাস্তা পারাপারের সময় বাসচাপায় শিশু নিহত
ঘোড়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জ বাজারের মাছ হাটিতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ভ্যানকে ধাক্কা দেয় ঢাকা থেকে দিনাজপুরমুখী একটি কাভার্ডভ্যান। মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল গোফফার দুর্ঘটনাস্থলেই নিহত হন। রিকশাভ্যান চালক আনোয়ার হোসেন আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রে পাঠানোর পর তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আহত অপর দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। চালক সিদ্দিককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রাকচাপায় নারী পুলিশ সদস্য নিহত
১ সপ্তাহ আগে
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তজীর মন্দির ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাংলাদেশের স্থাপত্য নিদর্শন ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের এক বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে দেশের ঐতিহাসিক মন্দিরগুলো। অনন্য নকশা, কিংবদন্তি শাসক ও সম্প্রদায় এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী আধ্যাত্মিকতার সন্নিবেশে মহাকালের বিবর্তনের সাক্ষী হয়ে আছে এই স্থাপনাগুলো। যুগ যুগ ধরে শত পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে যাওয়া তেমনি এক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির। কেবল বাংলাদেশেই নয়; গোটা ভারতীয় উপমহাদেশের মন্দিরের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করছে তিনশত বছরেরও বেশি সময়ের পুরাতন এই নান্দনিক তীর্থস্থানটি। চলুন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ নিয়ে যাবতীয় তথ্যাবলি জেনে নেওয়া যাক।
কান্তজীর মন্দিরের ভৌগলিক অবস্থান
উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম জেলা দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার অন্তর্গত সুন্দরপুর ইউনিয়নের কান্তনগর গ্রামে এই মন্দিরের অবস্থান। জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে দিনাজপুর-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের পশ্চিমের নদীটির নাম ঢেঁপা। এই নদীর তীরবর্তী শ্যামগড় এলাকার কান্তনগর গ্রামটি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে প্রাচীন কান্তজীউ মন্দিরের জন্য।
কান্তজিউ মন্দির বা কান্তজীর মন্দিরের নামকরণ
হিন্দু পুরাণ মতে এই অঞ্চলে শ্রীকৃষ্ণের যুদ্ধ-বিগ্রহ অধিষ্ঠান হয়েছিল। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান দেবতা শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নামের একটি হচ্ছে শ্রীকান্ত বা রুক্সিনীকান্ত। শ্রীকৃষ্ণের নামের এই কান্ত শব্দটি দিয়েই দিনাজপুরের তৎকালীন জমিদার প্রাণনাথ মন্দিরটির নাম রাখেন কান্তজীউ মন্দির। জীউ বা জী শব্দটি ব্যবহৃত হয় সম্মানার্থে। মন্দিরের গোড়াপত্তনের আগে স্থানীয় গ্রামটির নাম ছিলে শ্যামনগর। মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রামের নাম বদলে রাখা হয় কান্তনগর।
মন্দিরটিতে ছিলো ৯টি রত্ন বা চূড়া, যার কারণে একে নবরত্ন মন্দির নামেও অভিহিত করা হতো।
আরো পড়ুন: সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
কান্তজীর মন্দিরের ইতিহাস
শ্রীকৃষ্ণের যুদ্ধ-বিগ্রহ অধিষ্ঠানকে চির স্মরণীয় করে রাখতে জমিদার প্রাণনাথ রায় ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে এই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করেন। পোড়ামাটির অলঙ্করণ সমৃদ্ধ এ মন্দিরটি উৎসর্গ করা হয় শ্রীকৃষ্ণ ও তার স্ত্রী রুক্মিণীর প্রতি।
মন্দিরের কাজ অসমাপ্ত রেখেই মারা যান প্রাণনাথ। পরে তার পালক পুত্র রামনাথ রায় ১৭৫২ সালে সফলভাবে মন্দির নির্মাণের বাকি কাজ সম্পন্ন করেন। সব মিলিয়ে পুরো নির্মাণ কাজে সময় লেগেছিলো প্রায় ৪৮ বছর।
১৮৯৭ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মন্দিরটির ৯ চূড়ার সবগুলোই ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে রাজা গিরিজনাথ মন্দিরের সংস্কার করলেও নবরত্নের চূড়াগুলো আর পুনঃনির্মাণ করা হয়নি। ১৯৬০ সালে তৎকালীন সরকার কান্তনগর মন্দিরকে সংরক্ষিত প্রাচীন কীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে মন্দিরটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
ঢাকা থেকে দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন, এবং বিমান তিনভাবে যাওয়া যায় দিনাজপুর। ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর, আসাদগেট, কলেজগেট, শ্যামলী, টেকনিক্যাল মোড়, এবং উত্তরা থেকে পাওয়া যাবে দিনাজপুরের বাস। প্রায় সারাদিনই ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পরপর গাড়িগুলো দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যায়। নন-এসি এবং এসি কোচগুলোর ভাড়া পড়তে পারে ৯০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
ট্রেনে যেতে হলে ঢাকার কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে দিনাজপুরের ট্রেন। অধিকাংশ ট্রেনগুলো সন্ধ্যা ৭টা ৪০ এবং সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে। শ্রেনীভেদে এই ট্রেনগুলোর টিকেট মূল্য নিতে পারে ৫৭৫ থেকে ১ হাজার ৯৭৮ টাকা পর্যন্ত।
আকাশপথে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে সরাসরি সৈয়দপুরের বিমান রয়েছে। আভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোতে খরচ পড়তে পারে সর্বনিম্ন ৩ হাজার ৭৯৯ থেকে ৫ হাজার ৩২৫ টাকা পর্যন্ত। সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে অথবা পাবলিক বাসে সরাসরি কান্তজীও মন্দির যাওয়া যায়।
বাস ও ট্রেন যাত্রার ক্ষেত্রে দিনাজপুর সদর থেকে সরাসরি মন্দির যাওয়ার অটোরিক্সা বা ইজিবাইক পাওয়া যায়। শহর থেকে অটোরিকশায় মন্দির পর্যন্ত যেতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগে।
কান্তজীর মন্দিরের যে বিষয়গুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের ১০ জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান
কান্তনগর মন্দিরের স্থাপত্য সৌন্দর্য্য
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ২৬৬টি পোড়ামাটির অলঙ্কৃত মন্দিরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর হচ্ছে এই মন্দির। এর পুরো অবয়বে স্পষ্ট ফুটে আছে ইন্দো-পারস্য ভাস্কর শৈলীর নকশা।
মন্দিরের বাইরের দেয়াল জুড়ে রয়েছে পোড়ামাটির উৎকৃষ্ট ফলকচিত্রের অলংকরণ। ফলকগুলোতে লিপিবদ্ধ রয়েছে মহাভারত ও রামায়ণসহ নানা পৌরাণিক কাহিনী। পুরো মন্দিরে টেরাকোটা টালির সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। পাথরের ভিত্তির উপরে দাঁড়ানো মন্দিরের আসল উচ্চতা ৫০ ফুট। মন্দিরের নিচতলায় খিলান সংখ্যা ২১টি এবং দ্বিতীয় তলায় ২৭টি এবং তৃতীয় তলায় ৩টি। নিচের প্রতিটি প্রবেশপথের বহু খাঁজযুক্ত খিলানগুলোর যে কোনওটিতে চোখ রাখলে দেখা যায় ভেতরের দেবমূর্তি। খিলানগুলোকে আলাদা করা অলঙ্করণযুক্ত ইটের স্তম্ভগুলোও বেশ সুন্দর।
মন্দিরের টেরাকোটা ও ইটগুলো স্থানীয় নদী ও পুকুরের এটেঁল মাটি দিয়ে তৈরি। তবে ভিত্তির পাথরগুলো আনা হয়েছে হিমালয়ের তড়াই, আসামের পার্বত্য এলাকা, বিহারের রাজমহল ও বিন্ধ্যাঞ্চল পার্বত্য এলাকা থেকে। টেরাকোটা ও ইটগুলোর প্রত্যেকটি আগুনে পোড়ানো এবং রক্তের মতো লালবর্ণের। এ সমস্ত ইটের কাজ ও টেরাকোটাগুলোর করেছেন স্থানীয় গ্রাম্য মিস্ত্রি ও কারিগররাই।
আরও পড়ুন: শীতকালে বাংলাদেশে ভ্রমণের জনপ্রিয় ১০ স্থান
কান্তনগর মন্দিরে ধর্মীয় উৎসব
মন্দির ভ্রমণে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ হলো রাস মেলা। প্রতি বছর শীতের শুরুতে মন্দির প্রাঙ্গণে এক মাস ধরে উদযাপিত হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসব। রাস মেলা রাজা রামনাথ রায়ের শাসনামল থেকেই পালিত হয়ে আসছে। এ সময় বাংলাদেশসহ গোটা ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক তীর্থ যাত্রী এই মন্দিরে আসেন।
মেলা উপলক্ষে পুরো মাস ধরে বসে নানা ধরণের বিপণী। এগুলোতে বিক্রি করা হয় বিশেষ করে গুড়ের জিলাপী, শাখা-সিদুর, মুনহারী, জুতা, কাপড়, খেলনা এবং ফার্নিচার। এছাড়াও মেলায় আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু থাকে নাগরদোলা, সার্কাস, মোটরসাইকেল খেলা, এবং যাত্রাপালা।
জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথী অথবা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ বা আষাঢ়ের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয় শ্রীকৃষ্ণ স্নান উৎসব। এ সময়টাতে গোটা কান্তনগরে থাকে হাজার হাজার শ্রীকৃষ্ণ ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের আরও একটি প্রথা হচ্ছে ফাল্গুন মাসের দোল পুর্ণিমা। গৌড় পুর্ণিমার এই দিনে একে অপরকে হলি ছিটিয়ে বা লাল রঙে রাঙিয়ে উৎসব পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদী ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
২ সপ্তাহ আগে
দিনাজপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা
৪ আগস্ট দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে আহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা, সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেলার রাজবাটি এলাকার এ.বি.এম সিদ্দিকের ছেলে মো. ফাহিম ফয়সাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফী
মালার অন্য আমিরা হলেন- ইমদাদ সরকার, মোমিনুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ শাহ্ আলম, আনোয়ার হোসেন, নোওশাদ ইকবাল কলিংশ, বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, রমজান, রেজাউল ইসলাম রেজা, মো. জর্জেস সোহেল, মো. রানা, নওসাদ, সাদেকুল, মো. মামুন, মো. জাহিদি পারভেজ অপূর্ব, মো. আলাউদ্দীন, জেমী, মো. তায়েব, দুলাল হোসেন, আবু রায়হান আবু, আবু ইবনে রজ্জব, সুমন, শাজাহান নোবেল, মনিরুজ্জামান জুয়েল, সালেকিন রানা, আব্দুল্লাহ আল আমীন সৌরভ, দিপু, শাওন, সানি, মো. আবু তৈয়ব আলী দুলাল, ওয়ারেসুল হক রঞ্জু, কপিল বসাক, আইনজীবী শাহাজাদা, রহমত আলী, আহমাদ ইবনে সাইদ দিপ্ত, তানভির রেজওয়ান শান্ত, লাইজুর, রাফু, জিল্লুর, মো. আব্দুল লতিফ, মো. সুজন, মো. নুর নবিন, মো. হাসনাত আজিম লিয়ন, আতিয়ার রহমান, সৈকত পাল, মো. ফিরোজ, মো. রতন, মো. ফয়সাল হাবিব সুমন, মো. মোসাদ্দেক হোসেন রানা, মোবারক হোসেন, মশিউর রহমান, মো. হারুন উর রশিদ রায়হান, মো. সারোয়ার জাহান রাজ্য, সোহরাব, আক্তারুজ্জামান, মোস্তফা কামাল, সত্যঘোষ এবং মো. সালাউদ্দিন হক।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন বলেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দিনাজপুর মুন্সিপাড়ায় জেনারেল হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন এই মামলার বাদী ফাহিম ফয়সাল। তাকে হত্যার চেষ্টার জন্য শেখ হাসিনাকে ১ নম্বর ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নিক্সন চৌধুরী, ভাঙ্গা থানার ওসিসহ ৯৮ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা
সিলেটে চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
৩ সপ্তাহ আগে
উৎপাদনে ফিরেছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সরবরাহ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে
দিনাজপুর, ১৩ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- তিনদিন পুরোপুরি বন্ধ থাকার পর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরেছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ওভারহোলিং শেষে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় সচল করা হয়েছে। রাত ৮টার পর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। উৎপাদিত ৬০ থেকে ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনালের কাছে যন্ত্রাংশ সরবরাহ পাওয়া গেলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সোমবার বন্ধ হয়ে পড়া তৃতীয় ইউনিটটিকে কয়েকদিনের মধ্যে সচল করা সম্ভব হবে আশা করছেন প্রধান প্রকৌশলী।
অন্যদিকে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি বছরের শুরু থেকে পুরো অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।
সর্বশেষ গেল সোমবার তৃতীয় ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে পড়ায় সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে লোডশেডিং কমেছে দিনাজপুরসহ উত্তরের জেলাগুলোতে। কৃষিক্ষেত্রে চাষাবাদে বিদ্যুৎ নির্ভর সেচযন্ত্রের পাশাপাশি ভোগান্তি কমেছে অন্যান্য সেক্টরে। উৎপাদনে প্রাণচাঞ্চল্য বেড়েছে চালকলসহ শিল্প কারখানায়।
দেশের প্রথম কয়লাভিত্তিক এই কেন্দ্রটি পাশ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উত্তোলিত কয়লা পুড়িয়ে বাষ্প চালিত ইঞ্জিনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে।
৪ সপ্তাহ আগে
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ, দিনাজপুরে তীব্র লোডশেডিং
দিনাজপুরের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বড় পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট অচল হয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার কবে উৎপাদন ও সরবরাহ সম্ভব হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ৬ মিনিট থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি অচল হয়ে পড়ে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী (তত্ত্বাবধায়ক) আবু বকর সিদ্দিক জানান, কেন্দ্রের ৩টি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি চলতি বছরের শুরু থেকেই নষ্ট। ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি ওভার হোলিংয়ের কারণে বন্ধ রয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গতকাল ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে গেছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর ইউনিটটি চালু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার ১২
ওভার হোলিং থাকা ১ নম্বর ইউনিটটি দু-একদিনের মধ্যে চালু হতে পারে বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী।
এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ জাতীয় গ্রিডে কিছু বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তারা।
এদিকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ায় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে দিনাজপুর। বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে দিনাজপুরবাসী। ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন বিদ্যুৎনির্ভর কার্যক্রম। কৃষি ও শিল্প খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নেসকোর রংপুর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক শাহজাহান জানান, সরবরাহ ঘাটতির কারণে লোডশেডিং হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১৬ দিন পর ফের উৎপাদন শুরু রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে
১ মাস আগে
দিনাজপুরের রামসাগর দীঘি ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনগুলোর সঙ্গে মিশে আছে শত বছরের ঐতিহ্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমণ্ডিত এই ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেশ-বিদেশি পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য। একদিকে যেমন ভ্রমণের ক্ষুধা মিটে, অন্যদিকে পুরাতন সভ্যতার অবশিষ্টাংশের সান্নিধ্য দেয় অভূতপূর্ব রোমাঞ্চকর অনুভূতি। এমনি রেশ থেকে অভিজ্ঞতার সঞ্চার করতে পারে দিনাজপুরের রামসাগর ভ্রমণ। বিংশ শতাব্দীর শেষ সময়ে গড়ে তোলা এই দর্শনীয় স্থানটি স্থানীয়সহ দেশজুড়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। চলুন, স্থানটির বিশেষ আকর্ষণ, যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচসহ যাবতীয় ভ্রমণ বৃত্তান্ত জেনে নেওয়া যাক।
রামসাগর দীঘির ভৌগলিক অবস্থান ও বিশেষত্ব
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভাগ রংপুরের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত আউলিয়াপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে রামসাগরের অবস্থান। দিনাজপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে গেলে দেখা মিলবে এই দীঘিটির।
রামসাগর বাংলাদেশের বৃহত্তম মানবসৃষ্ট দীঘি, তটভূমিসহ যার দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১ মিটার, প্রস্থ ৩৬৪ মিটার এবং আয়তন ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯২ বর্গমিটার। দীঘিটি গড়ে প্রায় ১০ মিটার গভীর। এর পাড় ১৩ দশমিক ৫ মিটার উঁচু।
আরো পড়ুন: তাজিংডং ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও খরচ
অনেক আগে দীঘির পশ্চিম পাড়ের মাঝখানে একটি ঘাট ছিল, যেটি বানানো হয়েছিল বিভিন্ন আকৃতির বেলেপাথরের স্ল্যাব দিয়ে। ঘাটটি ছিল ৪৫ দশমিক ৮ মিটার দীর্ঘ ও প্রস্থে ১৮ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্ত। প্রতিটি পাড় ছিল ১০ দশমিক ৭৫ মিটার উঁচু। এই পাড়ের কিছু অবশিষ্টাংশ এখনও দৃশ্যমান রয়েছে।
রামসাগর দীঘির নামকরণের ইতিহাস
পলাশীর যুদ্ধের পূর্বে ১৭৫০ থেকে ১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে খনন করা হয় রামসাগর দীঘি। সে সময়ে দিনাজপুরের এই অঞ্চলটির রাজা ছিলেন রামনাথ আলীবর্দী খান। তার নামানুসারেই দীঘিটি রামসাগর নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। দীঘিটি খননে কাজ করেছিল ১৫ লাখ শ্রমিক এবং খরচ হয়েছিল তৎকালীন সময়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
এই দীঘির নামকরণ নিয়ে নানা ধরনের লোককথা প্রচলিত রয়েছে। ১৭৫০ সালে এক প্রচণ্ড খরায় রাজ্য জুড়ে ভয়াবহ পানির অভাব দেখা দেয়। এ সময় রাজ্যের রাজা প্রাণনাথ স্বপ্নযোগে পুকুর খননের নির্দেশ পান। পানি সমস্যার এমন সমাধানের উপায় পেয়ে তিনি মাত্র ১৫ দিনে তিনি একটি পুকুর খনন করে ফেলেন। কিন্তু অদ্ভূত বিষয় হচ্ছে খনন করা জায়গা থেকে কোনো পানি উঠছিল না। এতে করে রাজ্যে চরম হতাশা নেমে এলো। কিছু দিন বাদে রাজা আবার স্বপ্নাদেশে নতুন বার্তা পেলেন। আর সেটি ছিল যে, দীঘি পানিতে ভরে যাবে যদি তার একমাত্র ছেলেকে বলি দেওয়া হয়। অতঃপর রাজার নির্দেশে দীঘির মাঝখানে একটি ছোট মন্দির তৈরি করা হয়। তারপর একদিন ভোরবেলা রাজার ছেলে যুবরাজ রামনাথ সাদা পোশাক পরে হাতির পিঠে চড়ে সেই দীঘির উদ্দেশে যাত্রা করেন। দীঘির পাড়ে পৌঁছানোর পর যুবরাজ হাতি থেকে নেমে সিঁড়ি বেয়ে নেমে যান সেই মন্দিরে। আর সঙ্গে সঙ্গে দীঘির নিচ থেকে অঝোর ধারায় পানি বেরুতে থাকে। সবার বিস্ফারিত দৃষ্টির সামনে নিমেষেই যুবরাজ রামনাথসহ কানায় কানায় পানিতে ভরে যায় বিশাল দীঘি। সেই সঙ্গে রচিত হয় রাজপুত্র রামনাথের জীবন্ত জলজ সমাধি।
আরো পড়ুন: খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া বা হাতি মাথা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
আরেকটি লোককথায় শোনা যায় যে, রাজা আসলে স্বপ্নে স্পষ্টভাবে নিজের ছেলেকে বলি দেওয়ার বার্তা পাননি। বার্তাটি ছিল- দিঘিতে পানি পেতে হলে কারও প্রাণ বিসর্জন দিতে হবে। তখন রাম নামের স্থানীয় এক যুবক স্বেচ্ছায় দিঘিতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দেয়। পরবর্তীতে রাজা এই আত্মত্যাগী যুবকের নামে দীঘিটির নাম রাখেন রামসাগর।
১৯৬০ সালে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে আসে রামসাগর দীঘি। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ সালে এই দিঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয় সবুজ ছায়াঘেরা উদ্যান, যা স্থানটিকে আধুনিক পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করে। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল এই রামসাগর উদ্যান জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত হয়।
ঢাকা থেকে দিনাজপুরের রামসাগর যাওয়ার উপায়
রামসাগর ঘুরে দেখার জন্য প্রথমে ঢাকা থেকে দিনাজপুর যেতে হবে। বাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে ঢাকার গাবতলী, টেকনিক্যাল মোড়, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, কলেজগেট ও উত্তরা থেকে সরাসরি দিনাজপুরগামী বাস পাওয়া যায়। আধঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা পর পর দিনাজপুরের উদ্দেশে রওনা হয় গাড়িগুলো। এসি বা নন-এসি কোচভেদে বাস ভাড়া ৯০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: মহেশখালী ভ্রমণ গাইড: বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপে যাওয়ার উপায়, আনুষঙ্গিক খরচ
যারা ট্রেন যাত্রা করতে ইচ্ছুক, তাদের ঢাকার কমলাপুর থেকে সকাল ১০টা ১৫ মিনিট, রাত ৮টা ও সাড়ে ১১টার দিনাজপুরগামী ট্রেনগুলোতে উঠতে হবে। শ্রেণিভেদে ট্রেনগুলোতে টিকেট মূল্য হতে পারে ৫৭৫ থেকে ১ হাজার ৯৭৮ টাকা পর্যন্ত।
আকাশপথে যেতে হলে সৈয়দপুরগামী বিমানে উঠতে হবে। বিমানযোগে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ প্রায় ১ ঘণ্টা। পরিবহন কোম্পানি ও মানভেদে বিমান ভাড়া পড়তে পারে ৩ হাজার ৭৯৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। দিনাজপুরে প্লেন থেকে নেমে গাড়িতে করে দিনাজপুর পর্যন্ত যেতে হবে।
দিনাজপুর সদর থেকে পাওয়া যাবে রামসাগর যাওয়ার অটোরিকশা বা সিএনজি। এই যাত্রায় সময় লাগবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। এছাড়া শহরের কাচারি ঘুন্টি মোড়ে ইজিবাইক পাওয়া যায়, যেগুলো জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়ায় নিয়ে যায় রামসাগর মোড় পর্যন্ত।
আরো পড়ুন: ঈশা খাঁ'র জঙ্গলবাড়ি দুর্গ ভ্রমণ গাইড, আনুষঙ্গিক খরচ
রামসাগর দীঘি ঘুরতে যেয়ে যা যা দেখতে পাবেন
.
রামসাগর দীঘি
পূর্ণিমা রাতে ক্যাম্পিংয়ের জন্য সেরা স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম রামসাগর দীঘি। দীঘির চারপাশে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পর্যন্ত পায়ে চলা পথের দুই পাশে লাগানো হয়েছে মুছকন্দ, দেবদারু ও ঝাউ গাছ। পাড়ের কাছাকাছি অংশে আরও রয়েছে কাঁঠাল, আম, জাম, হরীতকী, সেগুন, আমলকী, জারুল, কাঁঠালিচাঁপা, কাঞ্চন, নাগেশ্বর এবং বটসহ ১৫২ রকমের গাছ।
রামসাগর জাতীয় উদ্যান
দীঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা রামসাগর জাতীয় উদ্যানটিতে রয়েছে ৭টি পিকনিক স্পট। স্পটগুলোতে আছে- ক্যাফেটেরিয়া, বিভিন্ন পশু-পাখির মূর্তি দিয়ে গড়া শিশুপার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানায় দেখা যাবে হরিণ, অজগর সাপ, বানর, মুখপোড়া হনুমান ও ময়ূর।
উদ্যানের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা একটি পাঠাগার, যেটি বানানো হয় ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর। রামসাগরের উত্তর পার্শ্বের প্রাচীন মন্দিরটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর স্বীকৃত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই উঁচু গোলাকার মন্দিরের অভ্যন্তরে রয়েছে তিনটি কক্ষ। পরিচর্যার অভাবে বর্তমানে ভগ্নপ্রায় মন্দিরটি ঢাকা পড়েছে ঘন গাছগাছালিতে। দীঘির পশ্চিম দিকে রয়েছে সুদৃশ্য একটি দ্বিতল ডাকবাংলো।
আরো পড়ুন: বান্দরবানের বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ঝর্ণায় যাবার উপায় ও খরচ
১ মাস আগে
দিনাজপুরে দুই ট্রাকের ধাক্কায় চালকের সহকারী নিহত
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে অপর এক ট্রাকের ধাক্কায় চালকের সহকারী সৌরভ পাহান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে একই ট্রাকের চালক হাফিজুর রহমান।
কানাগাড়ি বাজার এলাকায় শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাটি ঘটে। সৌরভ জয়পুরহাটের পাঁচবিবির সুলতানপুর গ্রামের হরিপদ পাহানের ছেলে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
স্থানীয়রা জানান, দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে গাছের গুঁড়ি বোঝাই অপর এক ট্রাকের ধাক্কায় চালকের সহকারী নিহত হন। আহত হন ট্রাকের চালক। তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আহত চালক হাফিজুর রহমানের অবস্থা গুরুতর। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটি ঘটনার পরেই পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত
গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
১ মাস আগে
ছিনতাইয়ের অভিযোগে গণপিটুনি, দিনাজপুরে ২ যুবক নিহত
ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দিনাজপুর সদরে গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার রামসাগর হাজীর দিঘী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জামালপুর কারাগারে সংঘর্ষে ৬ বন্দি নিহত
খবর পেয়ে রবিবার (১১ আগস্ট) সকালে লাশটি উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
নিহত দুজন হলেন- দিনাজপুর পৌর শহরের ৪ নম্বর উপশহরের বাসিন্দা তারেক (১৭) এবং নিমনগর বালুবাড়ির বাসিন্দা শুভ মেরাজ (২০)।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, শনিবার মধ্যরাতে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে যাওয়ার নাম করে রামসাগর হাজীর দিঘী এলাকায় অটোচালক আব্দুর রহিমকে পিটিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। পরে চালকের চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে এসে তারেক ও শুভ মেরাজকে গণধোলাই দেয়। এতে তারা গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে রাত ৩টায় তাদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: হাতিয়ায় ট্রলারডুবিতে নিহত ৪
রাজনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান নিহত
২ মাস আগে
নিরাপত্তার দাবিতে দিনাজপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ, ৫ দফা দাবি
বাড়ি-ঘর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশসহ মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিক্ষোভকারী-আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫
এসময় দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্লাকার্ড বহন করেন তারা। খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এদিকে পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় সমাবেশে ৫ দফা দাবি পেশ করেছেন।
দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. অবিলম্বে সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন।
২. সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরা্দ্দ।
৩. দ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন।
৪. সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হামলা প্রতিবোধে কঠোর আইন প্রনোয়ণসহ বাস্তবায়ন।
৫. হামলার শিকার ক্ষতিগ্রস্তদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দাবির পক্ষে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) প্রতিটি উপজেলায় ও বুধবার (১৪ আগস্ট) প্রেস ক্লাবের সামনে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ শফি রুবেলসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেদের দেশ না ছাড়তে আহ্বান জানান এবং তাদের জানমাল রক্ষাসহ নিরাপত্তার দাবিতে বক্তব্য দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে
বিক্ষোভের মুখে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্থগিত
২ মাস আগে