১৪ দল
আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের বিরুদ্ধে অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ ববি হাজ্জাজের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলের সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
বুধবার (২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কারফিউ জারি করার। এমনকি আন্দোলনকারীদের দেখামাত্র গুলি করার সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে। এই সিদ্ধান্তের পরই গণহত্যা চালানো হয়। এ সিদ্ধান্ত নিয়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, ওয়াকার্স পার্টি, জাসদসহ ১৪ দল মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে।
আরও পড়ুন: নাসা গ্রুপের মালিক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলার পাচারের তদন্ত চলছে
অভিযোগে গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের শরিক সাম্যবাদী দল, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাসদ (ইনু), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মেনন), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাসদ এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ গঠন করে তদন্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানানো হয়েছে।
অভিযোগ দায়ের পর ববি হাজ্জাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করছি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমরা ন্যায়বিচার পাব।’
আন্দোলনে বিগত সরকারের নির্দেশে পরিচালিত হত্যা গণহত্যা ও মারাত্মকভাবে জখমের শিকার ঘটনার বিচারের দাবিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও ভুক্তভোগীদের পক্ষে অভিযোগ আনা হচ্ছে।
প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানিয়েছেন, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রসিকিউশন অফিসে হত্যা ও গণহত্যা এবং গুম-খুনের ৩৫টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর আগে তদন্ত সংস্থায় ১৬টি মোট ৫১টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জন খালাস
সাগর-রুনি হত্যা: মামলা চালাবেন শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবী
২ মাস আগে
বিএনপির ‘সহিংসতার’ বিরুদ্ধে ১৪ দলের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে আগামী বুধবার (২ আগস্ট) থেকে সপ্তাহব্যাপী সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বাসভবনে জোটের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
আমির হোসেন আমু বলেন, আগামী ২ আগস্ট থেকে আমরা (১৪ দল) মাঠে নামবো। সাতদিনের কর্মসূচি আছে। আগামীকাল কর্তৃপক্ষের কাছে দেবো। অনুমোদন সাপেক্ষে সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি বিএনপি সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছে। সাংবিধানিক ধারা ব্যাহত করে অন্যধারা প্রবর্তন করতে চায় তারা। তবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে শর্ত দিক মানবো। কিন্তু সাংবিধানিক ধারা ব্যাহত করে সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইলে সুযোগ দেবো না।
আরও পড়ুন: ১৪ দলের বাম শরিকরা রাষ্ট্রীয় সফরে চীন গেলেন
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘যারা আলোচনায় বিশ্বাসই করে না, সরকার উৎখাতের কথা বলে, তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ? যারা রাজনৈতিক ধারা, সংবিধানের ধারায় বিশ্বাস করে না তাদের সঙ্গে কি কারণে বসব? সাংবিধানিক ধারা মোতাবেক দেশ যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সেইভাবে পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি চলছে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারন সম্পাদক শিরিন আখতার, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার,বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, জাতীয় পার্টি জেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু সহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ১৪ দলের সমাবেশ শনিবার
মঙ্গলবার ঢাকায় শান্তি সমাবেশ করবে ১৪ দল
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
চট্টগ্রামে ১৪ দলের গণসমাবেশে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৩১ মে) বিকালে পৌনে পাঁচটার দিকে নগরীর লালদিঘীর পাড় এলাকার জেলা পরিষদের মার্কেটের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আরশাদুল আলম বাচ্চু ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিনের দু’টি গ্রুপের সঙ্গে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওয়াসিম উদ্দিন মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষই ইট পাটকেল ছোঁড়া শুরু করে।
এ সময় কাউন্সিলর ওয়াসিম মাথায় সামান্য আঘাত পান। পরে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সমাবেশে হঠাৎ দু’টি পক্ষ বিশৃঙ্খলা শুরু করে। সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। তবে এরা বহিরাগত সন্ত্রাসী। সমাবেশ পন্ড করতেই এ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ২
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো নিয়ে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
১ বছর আগে