তবে ব্যাতিক্রম চিত্র চোখে পড়বে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার সিধুচি এলাকায়। এ গ্রামের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে রাস্তার দুই পাশে দাড়িয়ে থাকা হাজার হাজার তাল গাছ। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন দুলা মিয়া চেয়ারম্যান এলাকাবাসীকে নিয়ে পুরো গ্রামের রাস্তার পাশে কয়েক হাজার তাল গাছ রোপন করেছিলেন।
গ্রামীণ সড়কের দুইপাশে সারি সারি এসব তাল গাছ এখন উঁকি মারছে আকাশে। গাছগুলো থাকায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি গেল বিশ বছরে ওই এলাকায় বজ্রপাতে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তার গাছ লাগানো দেখে পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের রাস্তায়ও লোকজন তাল গাছ লাগিয়েছিলেন। এতে ওই এলাকায় প্রাকৃতি দুর্যোগ রক্ষার পাশাপাশি ফল, জ্বালানির চাহিদা মিটছে।
তাল গাছ রোপনকারী প্রবীন কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, এসব তাল গাছের কারণে মানুষ ফল ও জ্বালানির চাহিদা মেটাতে পারছে। এছাড়া কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে নতুন প্রজন্মও তাল গাছ লাগানোর বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, উচ্চতা এবং পাতার গঠনের কারণে তাল গাছ বজ্রপাতের বৈদ্যুতিক শক্তি ধরে ফেলতে পারে। তাই বজ্রপাত রোধ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কৃষকদের তাল গাছ লাগাতে উৎসাহিত করছে কৃষি বিভাগ।
প্রকৃতির রাডার ক্ষ্যাত তালগাছ নির্বিচারে উজাড় করার ফলে বর্তমান সময়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন বেশি বেশি তাল গাছ রোপণ করলে রক্ষা পাবে পরিবেশের ভারসাম্য।