কুমিল্লা
কুমিল্লার চান্দিনায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ২৫
ঈদের দ্বিতীয় দিন কুমিল্লার চান্দিনায় তিশা ট্রান্সপোর্টের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা গাছে ধাক্কা লেগে তিনজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পালকি সিনেমা হল সংলগ্ন ইন্দ্রারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা গাছে ধাক্কা দিলে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে তিনজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত সকলেই পুরুষ।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২৫ জন। আহতদের চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার বাহারুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন মারা যায়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যবসায়ী নিহত
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুবল দেবনাথ বলেন, ‘আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে ক্রসিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে— বাসটি ব্রেক ফেল করার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। অতিরিক্ত গতি থাকার ফলে এতসংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছে।’
১৫ দিন আগে
এক ভাই নদী পার হলেও অপর ভাই ফিরলেন লাশ হয়ে
গোমতী নদীর কুমিল্লার বুড়িচং অংশে নদী পারাপারের সময় এক ভাই জীবিত ফিরলেও অপর ভাই ফিরলেন লাশ হয়ে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের এতবারপুর এলাকার গোমতী নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু ইউসুফ ও তার ভাই হুমায়ূন কবির এতবারপুর দক্ষিণপাড়া লাকি বাড়ি গ্রামের মৃত ছোরত আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ইউসুফ ও তার ভাই হুমায়ূন মঙ্গলবার ভোরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গোমতী নদীর অপর প্রান্তে শ্রীপুরের চরে যান। ঘাস কাটা শেষে বস্তায় ভরে নদী পার হওয়ার জন্য পানিতে নামেন তারা।
এ সময় হুমায়ূন নদীর কিনারে এসে আরেক ভাইকে না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে স্থানীয় লোকজনকে একত্রিত করে নদীতে জাল ফেলে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে বুড়িচং থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ও স্থানীয়রা চেষ্টা চালিয়ে নিখোঁজের চার ঘণ্টা পর ইউসুফের লাশ ও তার সঙ্গে থাকা তার ঘাসের বস্তাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
১৫ দিন আগে
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
হত্যা মামলায় কুমিল্লায় মোহাম্মদ কাইয়ুম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ ফরিদা ইয়াসমিনের আদালত এই রায় দিয়েছেন।
এছাড়াও কাইয়ুমকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি দেবিদ্বার থানার কালু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
রায়ে বলা হয়েছে, আসামি এই দন্ডাদেশের আগে যে সময়টা হাজতবাস করেছে, তা এই কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে।
মামলার এজাহার ও আসামির জবানবন্দি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি রাত ১২টায় ঘরের গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে মুর্শিদা বেগম (৭৫) নামের এক বৃদ্ধাকে হাত-পা বেঁধে মুখে সাদা স্কচটেপ লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে এই ঘটনায় কাইয়ুমকে আসামি করে মামলা করা হয়।
২৩ দিন আগে
কুমিল্লা আদালতে সাবেক বার সেক্রেটারির ওপর হামলা
কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহাবুবুর রহমানের আদালতে হাজিরা দিতে আসলে সাবেক বার সেক্রেটারি মো. আবু তাহেরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় তিনি হাজিরা দিতে আসলে সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
মো. আবু তাহের কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আদালত সূত্র থেকে জানা যায়, প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের ও হিসাব রক্ষক কাজী সুমনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া।
অভিযুক্ত মো. আবু তাহের ২০২২-২০২৩ ও ২০২৩-২০২৪ কার্যকালে উভয়ে মিলে ৪ কোটি ২৪ লাখ ৭২০ টাকা আত্মসাত করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। আবু তাহের হাইকোর্ট থেকে অর্থ আত্মসাতের এই মামলার আগাম জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষকের বিচারের দাবিতে আদালত চত্বর ঘেরাও ছাত্র-জনতার
আজ দুপুরে সরাসরি তিনি এজলাসে যাচ্ছিলেন। মাক্স পরে এজলাসে যাওয়ার পথে আইনজীবীরা তাকে দেখে ধাওয়া দেয়।
এ সময় তিনি দৌড়ে এজলাসে ঢুকতে যাওয়ার আগেই আইনজীবীরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে তিনি এজলাসে ঢুকে পড়েন। এ সময় আইনজীবীরা তাকে হামলার চেষ্টা করলেও বিচারক চলে আসেন।
পরে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠান।
বেলা ৩টার কিছু সময় আগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা মধ্য দিয়ে তাকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তার মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পড়ানো হয়।
৩০ দিন আগে
কুমিল্লায় সেতুর নিচে খালে পড়ে ছিল হাত-পা বাঁধা নারীর লাশ
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুরে সেতুর নিচের খাল থেকে অজ্ঞাত এক নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লাশটির হাত-পা ও চোখ-মুখ রশিতে বাঁধা ছিল। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ভুট্টাখেত থেকে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার
দেবিদ্বার থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘ইউসুফপুর খালে হাত-পা বাঁধা এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।’
তিনি বলেন, ‘লাশটির নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’
৪১ দিন আগে
কুমিল্লা আদালতে বাদীর ওপর বিবাদীপক্ষের হামলা, আটক ২
কুমিল্লায় আদালতে মামলার বাদীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিবাদীপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সুমন মিয়া হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্দি এলাকার বাসিন্দা। আর আটকরা হলেন— একই এলাকার মতিন মিয়া (৪৮) ও সাদ্দাম হোসেনকে (২৯)।
সুমনের বড় বোন ইয়াসমিন বলেন, ‘গত ১৫ জানুয়ারি জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনায় তাদের প্রতিবেশী মতিন মিয়া ও সাদ্দাম হোসেনের বাবা খালেক মিয়াসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন সুমন। এর জেরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সুমনের বাবা দৌলত মিয়াকে পেটায় আসামিপক্ষ। এই ঘটনায় উভয় পক্ষ আবারও থানায় অভিযোগ দেয়। এসব মামলায় রবিবার আসামিরা আদালতে আইনি পরামর্শ চাইতে গেলে সুমন তাদের সামনে পড়েন। তখন আসামিরা তাকে বেধড়ক পেটান। এ সময় আদালতে উপস্থিত লোকজন সুমনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। মতিন মিয়া ও সাদ্দাম হোসেনকেও আটক করে পুলিশে দেয় জনগণ।’
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার গাজী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সুমনকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
কুমিল্লা কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আদালতে জনগণের হাতে আটক মতিন ও সাদ্দামকে কোতয়ালি থানায় নেওয়া হয়েছে। আহত সুমনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
৫২ দিন আগে
কুমিল্লায় শিশু ও বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও সদর দক্ষিণ উপজেলা থেকে শাহিদা বেগম নামে এক বৃদ্ধা ও রিফাত হোসেন নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধনুসাড়া এলাকায় একটি সেফটি ট্যাংক থেকে শাহিদার (বৃদ্ধা) লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাহিদা ধনুসাড়া গ্রামের মাওলানা আবদুল মমিনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ অপর দুই বন্ধুরও লাশ উদ্ধার
অন্যদিকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের চন্ডিমূড়া থেকে ৯ বছরের শিশু রিফাতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে বরুড়া উপজেলার চন্ডীপুর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন জানান, লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
৭২ দিন আগে
কুমিল্লায় নারীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
কুমিল্লার তিন উপজেলার পৃথক স্থান থেকে নারীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত থেকে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার ষোলনল শাকচর গ্ৰামের আলতাফ হোসেন। তিনি প্রগতি ইন্সুরেন্সের রায়পুর শাখার ইনচার্জ ও হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর স্ত্রী কমলা বেগম এবং অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানায়, কুমিল্লা—নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খালে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার জেলখানা বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লাশটিতে কোনো আঘাতের চিহ্ন বা রক্ত দেখতে পাইনি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ময়নাতনদের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হোটেল ড্রিমল্যান্ড থেকে আলতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের পর আমরা তার পরিবারকে জানিয়েছি। তার পরিবার আসছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাজার থেকে ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা, লাশ মিলল সুরমায়
আমরা এখনও জানিনা তিনি এখানে কীভাবে আসলেন ও কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত জেনে জানাতে পারব।’
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের সড়কের পাশে স্থানীয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয় রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে।
মনোহরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমন হোসেন বলেন, ‘ওই নারী বাড়িতে একাই থাকতেন। আমরা এখনও জানিনা কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
৭৯ দিন আগে
কুমিল্লার নাশকতা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
২০১৫ সালে কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রাম থানায় করা নাশকতার মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আফরোজা জেসমিন তাকে অব্যাহতি দিলেও বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্য
কুমিল্লার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কায়মুল হক রিংকু জানান, ২০১৫ সালে ২৫ জানুয়ারি হরতাল চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হায়দারপুলে ঢাকা-চটগ্রাম মহাসড়কে একটি কাভার্ডভ্যান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় নাশকতার মামলা করা হয়।
পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। খালেদা জিয়া মামলার ৩২ নম্বর আসামি।
তিনি জানান, এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক কারণে মামলাটি করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, চলছে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
এছাড়া এজাহারে ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও অভিযোগপত্রে ৪২ জনের নাম উঠে আসে। এর মধ্যে ৩৬ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি ৬ জন উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নেওয়ায় তাদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৮৪ দিন আগে
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কবিরুল ইসলাম শিকদারকে থানায় হস্তান্তর করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোগলটুলী এলাকায় কবির শিকদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরের ছাত্রলীগ নেতা মাসুম পাবনা থেকে গ্রেপ্তার
যৌথবাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কবিরের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। সাম্প্রতিক গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, তিনি আওয়ামী লীগ অনুসারীদের পুনরায় সংগঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এছাড়া আসন্ন ১৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ঘোষিত হরতাল সফল করতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছিলেন। এছাড়া কবিরের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) কবিরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’
৯০ দিন আগে