তিনি বলেন, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জমি বা সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সব ধরনের প্রভাব-প্রতিপত্তি উপেক্ষা করে এ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা হবে। এ জন্য সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।
বুধবার এনএইচএ সম্মেলন কক্ষে সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাধারণত বিত্ত-বৈভবের মালিক ও প্রভাবশালীরা সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করেন। এ জন্য প্রয়োজনে তারা আদালতের আশ্রয়সহ নানা কৌশল গ্রহণ করেন। এসব অবৈধ দখলদাররা আদালতের আশ্রয় নিলে সরকারের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞ, দক্ষ ও বিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা নেয়া হবে। বিদ্যমান মামলার জন্যও এসব বিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে দ্রুত সেগুলো নিষ্পত্তি করা হবে।
‘কথিত প্রভাবশালীদের অবৈধ তৎপরতা বন্ধ করতে হলে কর্মক্ষেত্রে সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে কাজের গতিশীলতা আরও বাড়াতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
আবাসন সুবিধা সাংবিধানিকভাবে মানুষের মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, এ অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং তার অধীনস্থ সংস্থাগুলোর। তাই মন্ত্রণালয় বা সংস্থাগুলোতে জনবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। এখানে এসে জনগণ যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ভূমি বা ফ্ল্যাটের নামজারিতে যাতে কেউ কষ্ট না পায় বা অহেতুক কালক্ষেপণের শিকার না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার ও এনএইচএ চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আফজাল হোসেন ও এনএইচএ সদস্য ফজলুল কবীরসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।