সরকার
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করছে সরকার: আইন উপদেষ্টা
আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এবং গত জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিতে আইনের খসড়া করছে সরকার।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সুপারিশের আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এর সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এই আইন সংশোধনী অধ্যাদেশ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, অধ্যাদেশটি পাস হলে সে অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন সহায়তা করেছে আইন মন্ত্রণালয়। চিফ প্রসিকিউটরসহ ১১ জন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে ২৩৯ জন আইন কর্মকর্তা তথা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, নতুন আইনের মাধ্যমেই পরবর্তী বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারক, রেজিষ্ট্রেশন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং আইন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব সংগ্রহ করা হয়েছে। এই হিসাব বিবরণী এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন অধ্যাদেশ হচ্ছে, সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের বিচারের ধারা যুক্ত হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘একটা-দুটো দিন অপেক্ষা করেন। আর সংশোধনীটা তো উপদেষ্টা পরিষদকে গ্রহণ করতে হবে। আমাদের প্রস্তাবনায় যেটা আছে সেখানে আদালতকে সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে আদালত যদি মনে করেন, তাহলে তারা এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কনসার্ন অথরিটির কাছে সুপারিশ করতে পারেন।’
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মাধ্যমে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪ সহ মোট ১০টি অধ্যাদেশ প্রণয়ণে ভেটিং সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৯৫টি প্রজ্ঞাপন, ৩৩টি বৈদেশিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক ভেটিং করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই-তিন দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
১ দিন আগে
দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ও আস্থা গড়ে তুলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলের একটি ইউনিটের কাউন্সিলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতা পেলে জনগণ তা বরদাশত করবে না।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। জনগণ নির্ভয়ে,স্বাধীনভাবে ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে এবং তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, সরকার ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে যদি জনগণ সরকারের প্রতি তাদের আস্থা বজায় রাখতে পারে। ‘জনগণ যখন দেখবে সরকার সত্যিকার অর্থেই তাদের ভোটাধিকার ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে কাজ করছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সরকারের প্রতি তাদের আস্থা আরও গভীর হবে।’
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিলের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জনগণের ন্যূনতম দাবিও পূরণ করতে পারে তবে ষড়যন্ত্রকারীদের সমস্ত অপচেষ্টা বৃথা যাবে।
তারেক রহমান বলেন, 'জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে আমরা যাকেই গণতন্ত্র, উন্নয়ন বা সংস্কার বলি না কেন, এর কোনোটিই টেকসই হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ভোটের অধিকার। জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ না দিলে রাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে না।’
তারেক বলেন, দেশ-বিদেশের ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী ও তাদের সহযোগীদের পাশাপাশি প্রশাসনের ভেতরেও থাকা প্রেতাত্মারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিএনপি নেতা বলেন, 'তারা যদি এই সরকারকে দুর্বল করতে সফল হয়, তাহলে তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে লালন করা কোটি কোটি বাংলাদেশিকেও ব্যর্থ করবে।’
আরও পড়ুন: জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নিন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
তিনি বলেন, এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমন কিছু সিদ্ধান্ত জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে জনগণের ওপর সেটাই চাপিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘অনেক ধরনের অসন্তোষ ও ঘাটতি সত্ত্বেও জনগণ সরকারের প্রতি আস্থা ধরে রাখতে চায়। কিন্তু সরকার কি তা চায়? সরকার ও জনগণের মধ্যে আস্থা দৃঢ় ও ঘনিষ্ঠ হলে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের চক্রান্ত ছড়িয়ে দিতে সফল হবে না।’
তারেক বলেন, প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে আহত এবং প্রায় দুই হাজার ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যার পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তখন বিধ্বস্ত প্রশাসন ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করে। মাত্র তিন মাসে ১৫ বছর ধরে মাফিয়া সরকারের সৃষ্ট জঞ্জাল দূর করা অসম্ভব হলেও এই সময়ের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সফলতা বা ব্যর্থতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক বা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তিনি বলেন, সরকারকে মনে রাখতে হবে, জনগণের সব দাবি পূরণ করা সম্ভব নাও হতে পারে। ‘তবে সরকারের মধ্যে যদি যোগ্যতার ঘাটতি থাকে বা জনগণ যদি তা উপলব্ধি করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তারা তা মেনে নেবে না।’
তারেক আরও বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় যদি ভুলভাবে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়, তাহলে তা সরকারের অদক্ষতার লক্ষণ হিসেবে দেখবে জনগণ।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতরা সম্প্রতি সুচিকিৎসার দাবিতে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্য, বিশেষ করে সাধারণ নাগরিক ও বিবেকবানদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক দৃশ্য। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার নয়? অথবা তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় এটি কোথায় দাঁড়িয়ে আছে?'
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকার বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হওয়ায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
‘সুতরাং আরেকটি প্রশ্ন উঠছে, দ্রব্যমূল্য কমানো সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন অগ্রাধিকার তালিকায় কোথায়? প্রশ্ন তোলেন তারেক।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব পদক্ষেপকে সবাই সাফল্য হিসেবে দেখতে পারে না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। এটা অবশ্যই আমাদের স্বীকার করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী সরকারগুলো দেশকে আমদানি ও বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে। এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
তাদের দল ইতোমধ্যে রাষ্ট্রের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ এখন এক সংকটময় সময় পার করছে।‘আমাদের অবশ্যই এই সময়টি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে।’
জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্বাচনি সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়ে দলের ভাবমূর্তি সংরক্ষণের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তারেক।
জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
তারেকের জন্মদিন পালনের কর্মসূচি নেই বিএনপির
৪ দিন আগে
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই। এই স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।
তথ্যের অবাধ প্রবাহের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপতথ্যের দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। তাই গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানান তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। সেই সময় কেটে গেছে। উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম, দুর্নীতিসহ সকল অপকর্মের তথ্য প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যম সংস্কারে ইতোমধ্যে কমিশন গঠন করেছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।
উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের অংশীদারিত্ব প্রকল্প থেকে ৩০ লাখ নগরবাসী বিশুদ্ধ পানি পাবে: রাষ্ট্রদূত
১ সপ্তাহ আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার
২০২৩ সালে প্রণীত দমন-পীড়নমূলক আইন বাতিলের লক্ষ্যে সাইবার নিরাপত্তা (বাতিল) অধ্যাদেশ ২০২৪-এর খসড়ায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তবে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক যাচাই-বাছাই শেষে আইসিটি বিভাগ খসড়া অধ্যাদেশটি পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপস্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলা থেকেই অব্যাহতি পেলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা
এছাড়া আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগের সাচিবিক ও কারিগরি সহায়তায় সাইবার স্পেসে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উপদেষ্টা পরিষদে একটি স্বতন্ত্র আইনি কাঠামো উপস্থাপন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পিনাকীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
১ সপ্তাহ আগে
ছলচাতুরী বাদ দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: সরকারকে বিএনপি
কোনো ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় না নিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, যারা সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানকে 'দ্বিতীয় স্বাধীনতা' হিসেবে আখ্যায়িত করেন তারা প্রকৃতপক্ষে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার বিরোধী।
তিনি বলেন, ‘কোনো প্রকার কুটকৌশল বা ছলচাতুরী ছাড়াই কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা জাতিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন। জাতি নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়। আপনি যদি জাতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে রাখেন তবে তাদের অলস বসে থাকা এবং আপনার প্রহসন দেখার কোনো কারণ নেই।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৫ জন খালাস
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের পরিস্থিতি বর্তমানে অস্পষ্ট এবং আগামী দিনগুলোতে এটি আরও জটিল হতে পারে। ‘এই প্রতিকূল সময়ে আমরা বিশ্বাস করতে চাই, বর্তমান সরকার জাতিকে আশার আলো দেখাবে। কিন্তু আমি তাদের অনুরোধ করব, এমন কিছু করবেন না, যাতে জাতি আপনাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে।’
তিনি বলেন, আমাদের দল যখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, তখন সরকারের ভেতরেই কেউ একজন বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গেছে। ‘এর জবাবে আমরা যদি বলি আপনি নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন না, কারণ আপনি ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া।’
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র ও মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করছে। তিনি বলেন, ‘যারা বলছেন আমরা ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া, তারা ভুল করছেন। বাস্তবে আমরা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করছি।
মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সাবুর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ও প্রজন্ম একাডেমি।
সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সরকারের উপদেষ্টাদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘এসব সংস্কার বাস্তবায়নে কত সময় লাগবে সে বিষয়ে আপনারা পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না। বাস্তবে আমরা সংস্কারের কোনো লক্ষণ দেখছি না। নির্বাচন নিয়েও আপনারা স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকারের ভেতরের লোকজনও সংবিধান সংশোধন ও সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের আপনি কে? সংসদ ছাড়া কি সংবিধান পরিবর্তন হবে? আপনাদের মনে রাখতে হবে, সংবিধান কোনো রুক্ষ খসড়া নয় যে আপনি নিজের ইচ্ছামতো পরিবর্তন করতে পারেন ‘
মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনের মতামত নেওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ না দিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা কিছু ব্যক্তি এখন দেশে ফিরে উচ্চস্বরে কথা বলছেন। ‘তারা সংবিধান পরিবর্তনের কথাও বলছেন।’
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট না করায় দেশে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ শান্তি চায়, ত্রাণ চায়। যথেষ্ট হয়েছে- আমাদের শান্তি দিন, আমাদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিন। আপনারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এসেছেন, কিন্তু এখন কোনো সুস্পষ্ট রূপরেখা ছাড়াই সংস্কারের কথা বলছেন। আপনারা কী করতে চান তা জনগণকে স্পষ্টভাবে বলুন। জাতিকে অন্ধকারে রেখে আমরা আপনাদের যা খুশি তাই করতে দেব না।’
অহেতুক বিলম্ব না করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ নিতে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলেও আব্বাস আশা প্রকাশ করেন। আব্বাস বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে একটি অনির্বাচিত সরকারকে মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কেন দেশে ফিরতে পারছেন না তা বোধগম্য নয়। ‘আমরা বুঝতে পারছি না, কেন তার মামলা বা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। অধ্যাদেশের মাধ্যমে এসব মামলা প্রত্যাহার করা যায়, কিন্তু আপনারা এটা করছেন না।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা করছে সরকার: মির্জা আব্বাস
২ সপ্তাহ আগে
দারিদ্র্যকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনায় কাজ করছে সরকার: ফারুক ই আজম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত মানবসৃষ্ট দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট দুর্যোগের চেয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তা হলো আমাদের দারিদ্র্যতা। বাংলাদেশের প্রায় ৭৫টি উপজেলার শতকরা ৫০ থেকে ৮০ ভাগ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। দারিদ্র্যজনিত অপুষ্টি একটি দুর্বল জাতি সৃষ্টি করবে যার পরিমাণ হবে ভয়াবহ। তাই আমি দারিদ্র্যকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশনের মাল্টিপারপাস হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন ফারুক ই আজম।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরঞ্জাম সহায়তা
উপদেষ্টা মনে করেন, জীবন রক্ষার জন্য শক্তিশালী প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা, উন্নত বিল্ডিং কোড এবং আরও ভালো নগর পরিকল্পনা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মানুষ সচেতন হলেই ঝুঁকি হ্রাস পাবে। সবাইকে সচেতন করার কাজটি অত্যন্ত কঠিন। এই সচেতনতা আমাদের প্রত্যেকের ঘর থেকেই আরম্ভ করতে হবে এবং অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। এছাড়া সরকারের ওপর নির্ভর না করে সর্বতোভাবে ভলান্টিয়ার সৃষ্টি করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী অন্য দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আদলে কার্যকর মডেল সৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সবাইকে প্রস্তুত রাখা একটি সময়ের দাবি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সব সংস্থার সক্ষমতা বাড়াতে নিজস্ব উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য যথেষ্ট গবেষণার প্রয়োজন। আমি আশা করি তরুণ প্রজন্ম এসব ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।
কর্মশালায় আরও ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান, যুগ্ম সচিব মো. আহমেদুল হক। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ৭০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলের মানুষের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন
২ সপ্তাহ আগে
পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল সরকার
খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার ও সাধারণ মানুষের কাছে চাল সহজলভ্য করতে চালের আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণ শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী সীমার মধ্যে মূল্য রাখা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বন্যা: চালের আমদানি শুল্ক মওকুফের সুপারিশ
আগে চালের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশের পাশাপাশি রেগুলেটরি ডিউটি ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। নতুন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, এই শুল্কগুলো বাদ দিয়ে কেবল ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রাখা হয়েছে। এই কৌশলগত হ্রাসের ফলে চালের আমদানি মূল্য কেজিপ্রতি প্রায় ৯ টাকা ৬০ পয়সা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এনবিআর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, নীতি পরিবর্তনের ফলে বাজারে চালের প্রাপ্যতা বাড়বে। এতে ভোক্তারা লাভবান হবেন এবং সাধারণ ক্রেতার জন্য দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।
এই কার্যকরী পদক্ষেপটি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানিতে শুল্ক কমল
২ সপ্তাহ আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ১০ বছরের কর ছাড় দিচ্ছে সরকার
দেশের সবুজ জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য কর ছাড় দিচ্ছে সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলো দীর্ঘমেয়াদী করতে এবং উন্নয়নে সহায়তা করতে কোম্পানিগুলোকে ১০ বছরের জন্য কর সুবিধা দেওয়া হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সই করা আয়কর ছাড়ের শর্ত নিয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
আদেশে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা কোম্পানিগুলোকে কর ছাড় দেওয়া হবে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যোগ্য কোম্পানিগুলো উৎপাদন শুরুর পর প্রথম পাঁচ বছর শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা ভোগ করবে। পরবর্তী তিন বছরের জন্য, ছাড়ের হার ৫০ শতাংশ হবে এবং শেষ দুই বছরে এটি ২৫ শতাংশ হবে। ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে এই কর ছাড় কার্যকর হবে।
এই কর ছাড় সুবিধা পেতে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিতে নির্ধারিত বিল্ড ওন অপারেট (বিওও) মডেলের অধীনে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।
বর্তমানে কৃষি যন্ত্রপাতি, স্বয়ংক্রিয় ইট উৎপাদন, অটোমোবাইল, বাইসাইকেল, আসবাবপত্র, চামড়াজাত পণ্য, গৃহস্থালি ইলেকট্রনিক্স যেমন এলইডি টিভি ও রেফ্রিজারেটর, খেলনা, মোবাইল ফোন, ওষুধপত্র, টায়ার, টেক্সটাইল যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন খাতে কর ছাড় সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও আইটি সেক্টর সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, ওয়েবসাইট পরিষেবা, কল সেন্টার অপারেশন এবং বিদেশি মেডিকেল ট্রান্সমিশন পরিষেবার ক্ষেত্রে কর ছাড় উপভোগ করে। বড় আকারের প্রকল্পগুলোতেও শর্তানুযায়ী কর ছাড় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী এক্সিলারেট এনার্জি
৩ সপ্তাহ আগে
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বর্তমান বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরেন ড. সালেহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্যাংকিং, রাজস্ব আয় ও পুঁজিবাজার সংস্কারে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
তিনি বলেন, 'পুঁজিবাজারের বিদ্যমান ও অতীত সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগে নিরাপদ বোধ করেন। টেকসই ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও দীর্ঘমেয়াদি দুই পরিকল্পনাই আমাদের হাতে রয়েছে।’
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে তারল্য সংকট এবং মিউচুয়াল ফান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু নীতিগত উদ্বেগ অর্থ উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছি। আশা করছি মন্ত্রণালয় এসব জরুরি সমস্যা সমাধানে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।’
বাজারকে স্থিতিশীল করা এবং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে এ বৈঠকে ঋণাত্মক ইক্যুইটি, তারল্য সহায়তা, কর সংস্কার, বাইব্যাক নীতি এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো উঠে এসেছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের সমস্যাগুলো মোকাবিলায় পুঁজিবাজারের অনিয়ম তদন্তকারী কমিটিগুলোর সঙ্গেও পরামর্শ করেন অর্থ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সোম-মঙ্গল-বুধবার বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
৩ সপ্তাহ আগে
৮ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিল সরকার
দেশের ৮ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) উপসচিব পদমর্যাদার এসব কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জেলাগুলো হলো- জয়পুরহাট, রাজশাহী, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, শরীয়তপুর ও নাটোর।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ডিসি অফিস সহায়ক পরীক্ষায় প্রক্সি, ২২ জন আটক
এরমধ্যে পরিকল্পনা বিভাগের উপপ্রধান আফরোজা আকতার চৌধুরীকে জয়পুরহাট, চট্টগ্রাম ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আফিয়া আখতারকে রাজশাহীতে ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত উপসচিব মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞাকে রাজবাড়ী, সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অর্থ বিভাগের উপসচিব মো. তৌফিকুর রহমানকে কুষ্টিয়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. রফিকুল ইসলামকে দিনাজপুর, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে শরীয়তপুর এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত উপসচিব আসমা শাহীনকে নাটোরের ডিসি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএফআইডিসির বেদখল ১৫৫ একর জমি উদ্ধার
৩ সপ্তাহ আগে