সরকার
সরকার গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
সরকার গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকার তথ্য ভবনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গুজব ও অপপ্রচারের ব্যাপকতা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সত্য প্রচারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে গুজব ও অপপ্রচার মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
গণমাধ্যমের সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
মাহফুজ আলম বলেন, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি গণমাধ্যমে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলোও প্রচার হওয়া উচিত।
গত ১৬ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
এ সময় তিনি গণমাধ্যম সংস্কারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের মালিক, সম্পাদক ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৫ দিন আগে
যেকেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই যেকেউ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘নিজেদের কার্যক্রম নিয়ে সরকারকে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, এটিই বর্তমান প্রশাসনের সফলতা। কেউ বর্তমান সরকারের সমালোচনা করতে ভয় পান না।’
বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ইফতার ও নৈশভোজে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সবার প্রতি প্রশ্ন রেখে উপদেষ্টা বলেন, ‘বছরখানেক কিংবা আট মাস আগে ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা কী আপনি করতে পারতেন, যেটা আপনি বর্তমানে করতে পারছেন? যদি আর কিছু না হয়, তবুও সরকারের অন্তত একটি সফলতা হচ্ছে, যে কেউ ইচ্ছা করলেই নির্ভয়ে সরকারের সমালোচনা করতে পারেন। এটাই গণতন্ত্রের মূলকথা।’
এ সময়ে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন, বিম্সটেক সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্রা মনি পান্ডে, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং-সিক, জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা সিনিচি, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক ও ডিক্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুই মাসের মধ্যে তুলাকে কৃষি পণ্য ঘোষণা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় জীবনের এক কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। তবে অন্তর্বর্তী সরকার সব আকাঙ্ক্ষাই যে পূরণ করতে পারছে, তা বলছি না। তবে এমন একটি পথ তৈরি করতে হবে, যা সত্যিকার অর্থে বৈষম্যমুক্ত এবং গণতান্ত্রিক সমাজের চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাবে দেশকে।’
‘কিছু কিছু সংস্কার নির্বাচনের আগেই করতে হবে। যেটা সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে চেষ্টা করছে, যাতে নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়। আর কিছু সংস্কার পরবর্তী সময়ে অব্যাহত থাকবে,’ বলেন তিনি।
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘গেল ২৭ বছর ধরে বিভিন্ন জটিল ইস্যুতে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া—দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক—এগিয়ে নিতে সামনের সারিতে ছিল ডিক্যাব।’
‘সামনের দিনগুলোতে, বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি জনগণ ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন ডিক্যাব সদস্যরা,’ বলেন তিনি।
এ কে এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও শক্তিশালী গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে, তখন পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে ডিক্যাব।’
‘আসুন আমরা বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বপ্ন দেখি, যা আমাদের জাতির দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং সাফল্যের জন্য অপরিহার্য,’ তিনি বলেন।
৬ দিন আগে
সোনাদিয়াকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করবে সরকার
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) বরাদ্দ দেওয়া জমি বন বিভাগে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে অঞ্চলটিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করবে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতির চিকিৎসা চলছে
সোমবার (১৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়েরর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছেন বেজার পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন ও মনিটরিং-১) শাহীন আক্তার সুমী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইকো পার্ক স্থাপনে বরাদ্দ দেওয়া জমিতে অবৈধভাবে গাছ কাটা, চিংড়ি চাষের ঘের নির্মাণসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নানা কার্যক্রম চলেছে। এতে দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
এ কারণে ওই জমি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের আওতায় ৯ হাজার ৪৬৭ একর বনভূমির পরিবেশ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ রোপণ বন্ধ করবে বন বিভাগ
৮ দিন আগে
আইন সংশোধনসহ শিশু ধর্ষণের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে সরকার
শিশু ধর্ষণের মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আইন প্রণয়নসহ বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আগামী বৃহস্পতিবার সংশোধিত আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, প্রস্তাবিত পরিবর্তনের সঙ্গে মাগুরার মেয়েটির মামলার কোনো সম্পর্ক নেই, তার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
৮ দিন আগে
সাশ্রয়ী দামে ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার: বন উপদেষ্টা
সরকার সাশ্রয়ী দামে টেকসই ও আধুনিক ডিজাইনের ফার্নিচার সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এজন্য বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফআইডিসি)-কে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) সচিবালয়ে বিএফআইডিসির কর্মকর্তাদের সাথে এক সভায় এসব তথ্য জানান তিনি।
বন উপদেষ্টা বলেন, কর্পোরেশনের সব ফার্নিচারের ডিজাইন ও পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ফলে এখন থেকে ক্রেতাদের পছন্দ মতো যেকোনো ডিজাইনের আসবাবপত্র তৈরি করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্প পরিদর্শনে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
‘বিএফআইডিসিকে আধুনিক করতে প্রথমে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করতে হবে। রাবার গাছের উৎপাদন বাড়াতে উন্নতমানের ক্লোন আনতে হবে। এছাড়া সুপারি পাতা, বাঁশ ও বেত দিয়ে পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি করে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প আনতে হবে,’ যোগ করেন উপদেষ্টা।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. জহিরুল ইসলাম, পরিচালক (উৎপাদন ও বাণিজ্য) সাইফুল ইসলাম, পরিচালক (অর্থ) ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া, এনডিসি ও বিএফআইডিসির সচিব জাহান আরা উপস্থিত ছিলেন।
৯ দিন আগে
আপাতত কর্মসূচি নেই, সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ
আপাতত আর নতুন করে কোনো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবে না ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ। তারা বগুড়ার শিশু ধর্ষণ মামলা অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং ধর্ষণের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে।
বুধবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের একজন নেত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তবে তিনি নাম প্রকাশ করেননি।
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আইন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ২৮ জন নেতা বুধবার বিকেলে দিকে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেন আসিফ নজরুল।
বৈঠক শেষে মঞ্চের ওই নেত্রী বলেন, ‘গত ৯ মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি নারী হল থেকে শিক্ষার্থীরা নেমে এসেছিলেন সারাদেশে চলমান নারীর প্রতি ধর্ষণ ও সহিংসতার প্রতিবাদ জানাতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমরা একটি মশাল মিছিল করি এবং রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দাঁড়িয়ে ৫টি দাবি উত্থাপন করি। সেই পাঁচটি দাবি আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারকলিপি আকারে আইন উপদেষ্টার কাছে আমরা দিতে এসেছি।’
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা বগুড়ার শিশু ধর্ষণ মামলার বিচারের কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আশা করছি, এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হবে। যাতে এটা সারা বাংলাদেশের সামনের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।’
‘ধর্ষণের মামলা বিচারের জন্য আমরা একটা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য বলেছি। বিগত সময়ে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের দিয়ে যে ধর্ষণগুলো সংঘটিত হয়েছে, তারা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে গিয়েছে, সরকার তাদের বিচারের আওতায় আনেনি। আমরা চাই, এই বিশেষ আদালত একই সঙ্গে পুরনো মামলাগুলোর তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করবে এবং বিচার করবে। আমরা বিশেষ করে সোহাগী জাহান তনু, মুনিয়ার মামলার কথা বলেছি। একই সঙ্গে র্যাব হেফাজতে রোজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণ করার যে ঘটনা ঘটেছে, এই ঘটনাটির কথাও আমরা উল্লেখ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র, আইন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টাকে চলমান ধর্ষণের জন্য দায় স্বীকার করতে হবে। সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ জনেরও কম: আসিফ নজরুল
ধর্ষণ সংশ্লিষ্ট আইনগুলোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা রয়েছে জানিয়ে এই নেত্রী বলেন, ‘এগুলোকে ব্যবহার করে ধর্ষকরা ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে যায়। এই আইনগুলো সংস্কারের জন্য বলেছি আমরা। এক্ষেত্রে ধারা-উপধারাগুলোর অস্পষ্টতা দূর করার জন্য বলেছি।’
তিনজন উপদেষ্টার দায় স্বীকারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি দুজন উপদেষ্টা দায় স্বীকার করেছেন। বলেছেন, তারা নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, এজন্য তার আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
মিটিংয়ের পর আপনারা সন্তুষ্ট কিনা- এ বিষয়ে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেত্রী বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে পাঁচটি সুস্পষ্ট দাবি উত্থাপন করেছি। পাঁচটা দাবি যদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়, বাংলাদেশের ধর্ষণের হার অনেক বেশি কমিয়ে আনা যাবে। যেভাবে স্যার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তাতে আমরা আপাতত আশ্বস্ত হয়েছি।
আপনাদের এরপরের আন্দোলন কর্মসূচি কি হবে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপাতত আমাদের আর কোন কর্মসূচি নেই। আমরা পর্যবেক্ষণ করবো আছিয়ার মামলার অগ্রগতি কিভাবে হচ্ছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন নিয়ে তারা কিভাবে কাজ করছে।'
১৩ দিন আগে
মাস শেষ হওয়ার আগেই মার্চের বেতন পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের চলতি মাসের বেতন আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রবিবার (৯ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, সামরিক বাহিনীর কমিশন্ড, নন-কমিশন্ড অফিসারদের চলতি মাসের বেতন এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনারদের চলতি মাসের অবসর ভাতা ২৩ মার্চ দিয়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ট্রেজারি রুলসে অধীনে প্রণীত সাবসিডিয়ারি রুলস (এস.আর) ১১৩ (২) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংস্কার করে বিশ্বমানের করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
১৭ দিন আগে
চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার, মসুর ডাল আমদানি করবে সরকার
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানি করতে কয়েকটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি।
বুধবার (৫ মার্চ) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এক সভায় এসব প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, স্থানীয় গ্যাসের চাহিদা মেটাতে দুই কার্গো এলএনজি আমদানি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পেট্রোবাংলা।
সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড ৭৫৪ কোটি ৪২ লাখ টাকায় একটি কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে।যার প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১৫ দশমিক ৭৩ ডলার। এছাড়া সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই ৭৪১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আরেকটি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে। যার প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১৫ দশমিক ৪৭ ডলার।
আরও পড়ুন: এলএনজি আমদানি না করে দেশীয় উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ: সিপিডি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রস্তাব অনুযায়ী সংস্থাটি স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে।
শেখ এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা বাল্ক মসুর ডাল ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সরবরাহ করবে। যার প্রতি কেজির দর পড়বে ৯৫ টাকা ৪০ পয়সা।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ১৫৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন ব্যাগযুক্ত গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে। যার প্রতি টনের দাম পড়বে ৪২২ দশমিক ৬২৫ ডলার।
২০ দিন আগে
শিখন শূন্যতা পূরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি সরকার: ওয়েবিনারে বক্তারা
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফেরায় পরিবর্তিত শিক্ষাক্রমে অনেক শিক্ষার্থী নিজেকে এর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ নির্দেশনা না দেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের এক ধরণের ‘লার্নিং লস’ বা শিখন শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এই শিখন শূন্যতা পূরণেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি নতুন বছরের প্রায় দুই মাস চলে গেলেও শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশের হাতে এখনও বই পৌঁছেনি। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষা আদৌ সরকারের অগ্রাধিকারে আছে কিনা?
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিক্ষা অধিকার সংসদ আয়োজিত ‘ফ্রম লার্নিং লস টু লার্নিং অ্যাসেসমেন্ট’ শিরোনামের ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ বলেন, সরকার পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছে বটে, কিন্তু শ্রেণিকক্ষে কী হচ্ছে, তা কি মনিটর করছে? মনে হচ্ছে, কেবল পরীক্ষা নেওয়াই তাদের মূল কাজ। পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কারণে সময়ের অভাবে একদিনেই হয়তো এক অধ্যায় শেষ করতে হচ্ছে। এতে তাদের শিখন ঠিক হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
তিনি বলেন, নতুন করে আবার রমজান ও এসএসসির কারণে বড় ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এতেও শিখনশূন্যতা বাড়বে। ২০২৬ সালের জন্য সরকার নতুন শিক্ষাক্রমের কথা বললেও এখনও সে কাজ শুরু করছে না কেন? সরকার অনেক কমিশন করেছে, কিন্তু শিক্ষা কমিশন করেনি। তার মানে কি সরকার শিক্ষার বিষয়ে সিরিয়াস নয়?
শিক্ষা অধিকার সংসদের আহ্বায়ক ও নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির প্রফেসরিয়াল ফেলো অধ্যাপক ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লব শিক্ষাব্যবস্থার জন্য এক সুযোগ তৈরি করেছিল। জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে মৌলিক এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের সূচনা করার অনন্য পরিবেশ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ২০২৪ সালের জুলাই পরবর্তী বিপ্লবের পর শিক্ষা খাতে অস্থিরতায় দেখছি। স্পষ্ট নির্দেশনা ও যোগাযোগ ছাড়াই ২০১২ সালের পাঠ্যক্রমে হঠাৎ ফিরে যাওয়া শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকদের অন্ধকারে ফেলে দিয়েছে। স্কুল বন্ধ, পাঠ্যপুস্তক বিলম্ব, বিষয়বস্তু পরিবর্তন এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার অভাব শিখন সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে হচ্ছে। এ ব্যাপারে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে — শিক্ষায় স্পষ্ট নির্দেশনা এবং দৃঢ় নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শিক্ষার কাজে বাংলাদেশে সফররত ক্যাথোলিক ইউনিভার্সিটি লিউভেনের অধ্যাপক স্যান্ডি টুবেউফ তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। যে কারণে শিখন শূন্যতা তৈরি হয়। শিখন শূন্যতার কারণে এমনকি ঝড়ে পড়ার ঘটনাও ঘটে। শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়। শিক্ষকদের ওপরও চাপ তৈরি হয়।
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ২০২৩ সালে বিগত সরকার যে শিক্ষাক্রম রচনা করেছে, তা আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে অনেক দিক থেকেই যথার্থ হয়নি। যার ফলে চব্বিশের বিপ্লবের পর আমরা ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে গেছি। কিন্তু শিক্ষা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা যথাযথ দিক-নির্দেশনা পাইনি। শিক্ষার্থীরা যারা নতুন শিক্ষাক্রমে ছিলো, পুরনো শিক্ষাক্রমে যাওয়ার কারণে নতুন করে সৃজনশীল লেখাসহ অনেক বিষয়েও তারা হোঁচট খাচ্ছে।
বাংলার ম্যাথের সহপ্রতিষ্ঠাতা আহমেদ শাহরিয়ার বলেন, কোভিডের সময়েও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে শিখনশূন্যতা তৈরি হয়েছিল, তার মূল্যায়ন কিংবা সেই শিখনশূন্যতা পূরণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জুলাই বিপ্লবের কারণে পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন জরুরি ছিল, কিন্তু এরপরও পাঠ্যপুস্তক পেতে যে দেরি হয়েছে, সেটি অগ্রহণযোগ্য।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন, রুটিন প্রকাশ
রাজধানীর মনেস্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপ্না পারভীন বলেন, পুরনো শিক্ষাক্রমে ফিরে গেলেও শিক্ষকরা যেহেতু আগে এই শিক্ষাক্রমে অভ্যস্ত ছিল, সেজন্য সমস্যা হয়নি। শিক্ষা প্রশাসন থেকেও সিলেবাস নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন শিক্ষা অধিকার সংসদের অফিস কোঅর্ডিনেটর মো. মিনহাজুল আরেফিন। শিক্ষা অধিকার সংসদ এর সঙ্গে ওয়েবিনারের সহ-আয়োজক ছিল বাংলার ম্যাথ।
২৮ দিন আগে
তামাক চাষের নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্হানে তামাক চাষের ফলে বহু মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। স্বাস্থ্যে, পরিবেশ এমনকি মানুষের খাদ্যের ক্ষতি হচ্ছে। তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও চাষ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার।’
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামারিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহিষের দইকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিতে কাজ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘কৃষির চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে খামারিদের বিদ্যুৎ বিল বেশি দেওয়া হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এরইমধ্যে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ভর্তুকি প্রদান করলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে কৃষির মতো হ্রাসকৃত মূল্যে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
খামারিরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘খামারিদের কথা বিবেচনা করে ইতোমধ্যে সরকারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হলে খামারিরা কৃষির মতো স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রাণিজ আমিষ জনগণের কাছে সরবরাহ করে যাচ্ছে। তবে জনবল সংকটের কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের অফিসগুলো ঠিকমতো জনসেবা দিতে পারছে না। দ্রুতই এ সংকট লাঘব করে কাঙ্ক্ষিত সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কালিগঙ্গা-বাদলবাসা নদীর ইজারা প্রদানকে কেন্দ্র করে রিটের ফলে জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে ; এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু সহযোগিতা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব সহজেই বলছি মাছ, মাংস, দুধের উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু যেটা বড় কথা, সেটা হচ্ছে এগুলো নিরাপদ কিনা?
আরও পড়ুন: মাংস-ডিম আমদানিতে নিরুৎসাহিত করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্যজীবী ও খামারিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তাৎক্ষণিক লাভের আশায় যেকোনো কিছু দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না। দেশীয় মাছ, মুরগি, গবাদি পশু রক্ষায় আপনাদের কাজ করতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিং হয়েছে। ‘জাল যার জলা তার’ এ নীতির ভিত্তিতে যেন ইজারা দেওয়া হয় সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। ইজারা কোনোভাবেই অমৎস্যজীবীদের দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসনের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
৩৫ দিন আগে