মন্ত্রী
২ মাসের মধ্যে বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে: মন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বিমান তৈরি করা প্রতিষ্ঠান এয়ার বাস ও বোয়িংয়ের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া মূল্যায়ন কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার আগে পর্যন্ত বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে না।’
রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ ফারুক খান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট থেকেই আমাদের এটার জন্য অর্থায়ন করতে হবে। মনে করি আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে এটা শেষ হবে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে: বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী
কতটি বিমান কেন হচ্ছে- এ বিষয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ১০টির মতো বিমান কেনার। সেটা নির্ভর করে, যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব এসেছে সেটার ওপর ভিত্তি করে তারা (মূল্যায়ন কমিটি) আমাদের কী রিপোর্ট করে। তবে অবশ্যই দুই থেকে চারটির মতো হতে পারে।’
বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিনি বিভিন্ন আমেরিকান কোম্পানির কথা বলেছেন, যারা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। আগামীতে সেটা আরও সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী। আমিও তাকে জানিয়েছি যে আমরা যেভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে কেনাকাটা করি ইভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে সেভাবেই করব। সবসময় আমরা একটা ভালো প্রোডাক্ট নিতে চাই এবং আগামীতেও তাই নেব।’
তিনি বলেন, ‘আলোচনায় তিনি (রাষ্ট্রদূত) বোয়িংয়ের কথা বলেছেন। সেটা মূল্যায়ন করছি। মূল্যায়ন শেষে কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে, সেই কোম্পানি থেকে কেনার বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরও নতুন বিমান কিনতে চাই। কারণ সেটা আমাদের জন্য প্রয়োজন। আপনার জানেন এ বিষয়ে বিভিন্ন এক্সপার্টদের নিয়ে একটি মূল্যায়ন কমিটি কাজ করছে।’
বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবী। আমরা দু'টার মধ্যে যেখান থেকে ভালো অফার পাব, সবকিছু মিলে যেটা ভালো হবে সেটা কিনব। এটা ঠিক যে এয়ার বাসও আমাদের ভালো অফার দিয়েছে।’
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রদূত) আজকেও আমাকে এ কথাটা বলেছেন। আমি বলেছি মিডিয়াতে যখন কোনো খবর আসে সেটা খবর হিসেবে দেখবেন। আপনি জানেন যে বাংলাদেশ সরকার এখনও এটাকে মুল্যায়ন করছে। কমিটি রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত ফাইনাল হবে না।’
বোয়িং থেকে বিমান না কিনলে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। এমন একটা কথা আসছে- এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হবে কেন? আমাদের দিক থেকে এর কোনো কারণ দেখি না, আমেরিকার দিক থেকেও কারণ দেখি না।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা অতীতে অনেক বাংলাদেশি কেনাকাটায় অংশগ্রহণ করেছে, সেখানে অন্য কোনো কোম্পানিতে আমরা দিয়েছি। আমার মনে হয় এই কথাগুলো সাইড লাইনের। অবশ্যই আমেরিকান কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায়, একইভাবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন জায়গায় অফার দিচ্ছে। যেটাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হবে, সেটাই কেনা হবে।’
আরও পড়ুন: পর্যটন কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে: পর্যটনমন্ত্রী
বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বুধবার (৩ জুলাই) সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পিরোজপুর থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. শামীম শাহনেওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন চাকরিতে প্রার্থীর সংখ্যা অনেকাংশে বাড়বে। ফলে নিয়োগে প্রতিযোগিতা বাড়তে পারে। এটি ৩০ বছরের কম বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবিকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট না থাকায় বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসি থেকে শুরু করে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করে ২২ থেকে ২৩ বছরে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায় তারা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পরও চাকরিতে আবেদন করার জন্য কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ বছর সময় পান।
তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থীর বয়সসীমা ৩০ বছরের মধ্যে আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১ থেকে ২ বছর সময় লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের ন্যূনতম বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি আসলে ওটার কাছাকাছি বিষয়।’
সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিবেদন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বয়স ও লিঙ্গভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সি (২৩-২৫ শতাংশ) সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ (৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং তার থেকে বেশি বয়সিদের গ্রুপে (২৯ বছরের বেশি) সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা সর্বনিম্ন (১ দশমিক ৭১ শতাংশ)।
মন্ত্রী আরও বলেন, অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করায় স্বাভাবিকভাবেই শূন্যপদের সংখ্যা কমেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন চাকরিতে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বেশি হবে।
বয়সসীমা বাড়ানো হলে বর্তমানে যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি তারা এ সুযোগ পাবেন। এতে ৩০ বছরের কম বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: পাটের ব্যাগ বাজারে এনে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে: পাটমন্ত্রী
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
উন্নত রাষ্ট্র গঠনে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে: মন্ত্রী
সরকার উন্নত রাষ্ট্র গঠন করতে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার (২৬ মে) সকালে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে ‘সিটি করপোরেশন অবহিতকরণ প্রশিক্ষণ’ কোর্স আয়োজন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন।
উন্নত রাষ্ট্র গঠনে শক্তিশালী সরকার গঠন প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, `পৃথিবীতে যেসব দেশ উন্নত হয়েছে, তাদের শক্তিশালী সরকারের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। সরকার যত বেশি শক্তিশালী হয় জনগণের সুশাসন, ন্যায় বিচার, আকাঙ্ক্ষা তত বেশি উন্নত হয়। সরকার বলতে শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, স্থানীয় সরকারকেও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি শক্তিশালী করা না হয়, তাহলে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের একাগ্রতা সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, জনপ্রতিনিধিরাই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।’
উপস্থিত কাউন্সিলদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার অর্থকে এ দেশে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়। অনেকে মনে করেন, স্থানীয় সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে অর্থবিত্ত দেওয়া হবে, আর স্থানীয় সরকার সে অর্থ দিয়ে মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করবে। এটা মোটেও সঠিক নয়। পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলোর স্থানীয় সরকার আর্থিকভাবে স্বনির্ভর ছিল বলেই সমৃদ্ধি লাভ করতে পেরেছে। নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউটে (এনআইএলজি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে আরও ছিলেন- ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু ও এনআইএলজির মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়।
সুপারিশের কার্যকারিতা নেই, জল ঘোলা করার চেষ্টা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর বক্তব্যের পর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশের চিঠির আর কার্যকারিতা নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সুপারিশপত্রটি নিয়ে একপক্ষ জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে।
রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নীতিমালা করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
এদিকে সম্প্রতি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ ক্ষেত্রে ৩৫ ও কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের কাছে চিঠি দেন শিক্ষামন্ত্রী।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
সুপারিশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী।
চাকরিপ্রার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন। শনিবার তারা সমাবেশের পর শাহবাগ এলাকা অবরোধও করেন।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে আপনার একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী অনুরোধ করেছিল, আমি কিছু কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মনে হয়েছে সেটার বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। সেই হিসেবে আমি একটি সুপারিশপত্র দিয়েছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে অনেকেই জল ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে, রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তটা কী। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে যে এখন সিদ্ধান্ত নেই সেটা বলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমার সেই সুপারিশপত্রটি পুঁজি করে এক পক্ষ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি তাদের বলব, এটা অত্যন্ত একটা খারাপ কাজ তারা করছেন। রাষ্ট্র উত্তর দিয়েছেন, এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে। সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা আর নেই। এখন এটাকে নিয়ে জলঘোলা করে বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য নয়।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি মাত্র ১ শতাংশ চাকরিপ্রার্থীর বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে। সেখানে ৩৫ করলে আর কতই বা বাড়বে সেটা পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে। মন্ত্রী মহোদয়ও আমাকে ব্যাখ্যা করেছেন। সেটা নিয়ে আর জলঘোলা করা উচিত হবে না বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখার আশা মন্ত্রীর
ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখার আশা মন্ত্রীর
আগামী ঈদুল আজহার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবার ফের বন্ধ রাখতে পারবেন বলে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এছাড়া আগামীতে শনিবার স্কুল খোলা থাকবে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট সময় পাবে বাড়ির কাজ করার জন্য, সেটা বিবেচনায় নিয়ে শনিবারও স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরও অন্যান্য অনেক বিষয় ছিল। যেহেতু আমরা ৯টি কর্মদিবস পাইনি, শনিবার আপাতত একটা ব্যবস্থা করে সেই কর্মসূচি পাওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকায় তা পুষিয়ে নিতে গত ৪ মে থেকে শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তবে এটা স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা এনসিটিবির সঙ্গে আলোচনা করছি, ডিরেক্টরেট অফিসগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাজ যথাযথভাবে করছে কি না, সেটার জন্য সময় পাওয়া যাচ্ছে কি না, সেটাও দেখার প্রয়োজন আছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, অতিমাত্রায় চাপ দিয়ে সবদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করে অনেক বেশি শিখন ফল অর্জন করব, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। এটা একটা সাময়িক বিষয়। আমরা আশা করছি আগামী ঈদুল আজহার পরে এটা (শনিবার ক্লাস) আমাদের হয়তো কন্টিনিউ করতে হবে না। অবস্থা বিবেচনায় সেটা আমরা করব।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির ব্যবহারকারী না হয়ে প্রযুক্তির উদ্ভাবক হতে স্নাতকদের প্রতি আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নীতিমালা করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
ড্রিমলাইনারের ত্রুটির বিষয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলতে বিমানকে নির্দেশ মন্ত্রীর
ড্রিমলাইনার-৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের বিষয়ে বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে উত্থাপিত কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে দ্রুত কথা বলতে বিমানকে নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বিমানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
বিমানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় আপাতত উত্থাপিত কারিগরি সমস্যা নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে ও যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে উড়োজাহাজ নির্মাণ কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে দ্রুত কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।
কারণ বাংলাদেশ সরকার ও বিমানের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তাই মুখ্য।
এসময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কারিগরি ও মেইনটেনেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে বিমানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।
দ্রুতই এ বিষয়ে অধিকতর তথ্য জেনে মন্ত্রীকে জানাবেন।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সকালে পড়ে গিয়ে বিমানমন্ত্রী কোমরে আঘাত পান। পরে ২ এপ্রিল তার হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্টের অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকায় মন্ত্রী বাসা থেকেই নথি নিষ্পন্ন করাসহ সব দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে বিমানে ৮৪ জন গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ
যাত্রীদের সুবিধার্থে ঈদে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বৃদ্ধি
আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশে বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আইরিশদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি কয়েক হাজার বাংলাদেশিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আয়ারল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাদারদের আয়ারল্যান্ডে উচ্চতর পড়াশোনা এবং কাজ করার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে দেশটির এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কোভেনিকে অনুরোধ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে পণ্য ও সেবায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন এবং ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) বাণিজ্য অগ্রাধিকার ও ২০৩২ সালের পর জিএসপি+ সুবিধার জন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সোমবার (১৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মন্ত্রী সাইমন কোভেনি।
আয়ারল্যান্ডের এই মন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার নতুন নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের টেকসই উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি প্রযুক্তি, ওষুধ ও জ্বালানি খাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও সহযোগিতার ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময়ের পরামর্শ দেন।
তিনি ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইবিএ সুবিধা এবং ২০৩২ সালের পর জিএসপি+ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের আবেদনের পক্ষে আইরিশ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
আয়ারল্যান্ড সরকারের অভিবাসনবান্ধব নীতির কথা উল্লেখ করে সাইমন আরও বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের আয়ারল্যান্ডে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ইবিএ-জিএসপি প্লাস সুবিধা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য অতিরিক্ত ১৫ লাখ ইউরো মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে।
দুই মন্ত্রী গাজায় যুদ্ধ নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশু হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি বয়ে আনতে পারে বলে তারা একমত হন।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করেন। এই পদক্ষেপকে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি 'গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক' হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ড সম্প্রতি কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খানকে বাংলাদেশে তাদের অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি ও মাসুদ জামিল খান।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দিনের সরকারি সফরে রবিবার ঢাকায় আসেন আইরিশ মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করলেন আইরিশ মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বিনিয়োগের সবচেয়ে উত্তম পরিবেশ নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটক বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই আমাদের বিদ্যমান পর্যটন অকাঠামো উন্নয়ন এবং নতুন পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণে জাপানি বিনিয়োগ একটি লাভজনক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠককালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
ফারুক খান আরও বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্ব বর্তমানে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত উন্নয়ন অংশীদার। জাপান ইতোমধ্যে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। এছাড়া হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাইকা। এভিয়েশন খাতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে দুই দেশের একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার হতে পেরে জাপান আনন্দিত। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা চমৎকার।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি দ্রুতই তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ অপারেশন শুরু করা যাবে। পাশাপাশি বিমানের ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট ইতোমধ্যে জাপানের যাত্রীদের মধ্যে ইনফ্লাইট সেবা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পর্যটনে জাপানি বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে জাপান তা আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবে।
আমরা বিশ্বাস করি, এভিয়েশনের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে দুই দেশ একত্রে কাজ করার ফলে বাংলাদেশ ও জাপানের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রমজানে ইফতার পার্টি না করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলস সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এবং সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার জেনাজ লেনারসিকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
১ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি লুক্সেমবার্গ সফরকালে তিনি লুক্সেমবার্গের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
এছাড়া বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, লিথুয়ানিয়া, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, ভিয়েতনাম ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলসের উদ্দেশে বুধবার রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন।
সম্প্রতি উগান্ডায় অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে দুই দিনে ১৭টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা স্মরণ করে বুধবার রওনা হওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেখা যাক আমরা কতগুলো বৈঠক করতে পারি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এই ফোরামের সভাপতিত্ব করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল ফোরাম ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলোকে পশ্চিমে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত দেশগুলোর সঙ্গে একত্রিত করবে।
ইইউ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদাররা উভয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করে এমন জটিল অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, ভূ-রাজনৈতিক ও সুরক্ষা চ্যালেঞ্জগুলোর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এতে একটি উদ্বোধনী অধিবেশন, তিনটি গোলটেবিল আলোচনা এবং একটি সমাপনী অধিবেশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ব্রাসেলস ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে এবং ২০২৩ সালের মে মাসে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী দুটি ফোরামের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আয়োজন করা হয়েছে।
সংলাপের জন্য এটি একটি প্ল্যাটফর্ম। এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি, সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সংহতি বাড়াতে প্রায়োগিক উপায়গুলো চিহ্নিত করাই এ প্লাটফর্মের উদ্দেশ্য ।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
ইউরোপ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল, এ কারণেই ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম ইউরোপ এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের মধ্যে সংলাপ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতার জন্য ২০২১ সালের ইইউ কৌশলটি নির্ধারণ করে যে কীভাবে ইইউ এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতে, এটি স্পষ্ট যে সহযোগিতা এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ঝুঁকি ও বাধাগুলোর স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার মূল চাবিকাঠি।
বিশেষ করে ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে হাইকমিশনার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসময় জনপ্রশাসনমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতির সাক্ষাৎ, রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
এসময় মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে রূপকল্প ২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচিগুলোর সফল বাস্তবায়নে আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে ভারত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। ভবিষ্যতেও তাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সুযোগ আছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। ফলে এসব ক্ষেত্রেও দুই দেশের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
সাক্ষাৎকালে ভারতের হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।
হাইকমিশনার এ সময় শিল্প-সংস্কৃতি, অর্থনীতি, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির আশ্বাস দেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক, বাংলাদেশের নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনের কাউন্সিলর পাওয়ান বাধে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সান হাইয়ানের সাক্ষাৎ
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ