মন্ত্রী
কপ-২৮ সম্মেলন : শুক্রবার শুরু হচ্ছে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক
কপ-২৮ সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর)। এই বৈঠক আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সরকারের প্রতিনিধি/কর্মকর্তা পর্যায়ের বিভিন্ন ধাপে গত ৬ দিনের আলোচনা শেষে এই আলোচনা শুরু হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গত ৩০ নভেম্বর শুরু হওয়া কপ-২৮ সম্মেলনের মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকেই মূলত সব বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল জানায়, সব দেশকেই কার্বন নির্গমন কমাতে হবে এবং এক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তবে প্রথম রাউন্ডের ছয় দিনের আলোচনায় এই ইস্যুটির ব্যাপারে কোন সিদ্বান্ত গ্রহণ করা যায়নি। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার এখন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেই এখন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
অর্থায়ন ও কার্বন নিগর্মন কমানোর বাধা অতিক্রম করতে পারছে না জলবায়ু আলোচনা। এই দুই ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে উন্নত ও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলো। ফলে অর্থায়ন ও কার্বন নির্গমন কমানোর জটিল সমীকরণে প্রবেশ করতে যাচ্ছে জলবায়ু আলোচনা।
এক্ষেত্রে প্রথম সপ্তাহের আলোচনায় উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার লস অ্যান্ড ড্যামেজ বা ক্ষয় ও ক্ষতি তহবিলের অগ্রগতি আশার আলো দেখাচ্ছে জাতিসংঘকে। এই আশা নিয়েই শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সম্মেলনের দ্বিতীয় ধাপের মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা।
গত ৩০ নভেম্বর দুবাইয়ের এক্সিবিশন হলে উদ্বেধন হয়েছে জাতিসংঘের ২৮তম জলবায়ু সম্মেলন। পরদিন ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় সপ্তাহব্যাপী প্রথম রাউন্ডের কর্মকর্তা পর্যায়ের আলোচনা।
আরও পড়ুন: পাঁচটি বিপর্যয়কর জলবায়ু টিপিং পয়েন্ট অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী: বিজ্ঞানীদের সতর্কতা
এবারের সম্মেলনের শুরুতে সবচেয়ে কঠিন ইস্যু মনে করা হয়েছিল বিগত মিশর জলবায়ু সম্মেলনে অনুমোদন হওয়া লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডে অর্থায়ন এবং এই তহবিলকে কার্যকর করা। কিন্তু সম্মেলনের প্রথম দিনেই আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এই তহবিলে ১০০ মিলিয়ন তথা ১০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিয়ে এই ফান্ডকে কার্যকর করে দেয়। আয়োজক দেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশও এই তহবিলে অর্থ প্রদান করে। এ পর্যন্ত এই তহবিলে প্রায় ৫৮০ মিলয়ন বা ৫৮ কোটি ডলার জমা পড়েছে। ফলে এটি এখন কার্যকর হয়েছে। এই তহবিলের ট্রানজিশনাল কমিটি এই তহবিলের টাকা ব্যবহারের গাইডলাইন তৈরি করছে।
লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড কার্যকর হওয়ার পর সম্মেলনের সবচেয়ে কঠিন কাজ সহজ হয়ে যায়। ফলে আশা করা হয়েছিল, সম্মেলনের অন্যান্য কাজগুলোও সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু কার্বন নির্গমন কমানো এবং উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের আলোচনায় এসে এই আলোচনা বাধার সম্মুখীন হয়। বরং কার্বন নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে সম্মেলনের সভাপতির একটি বক্তব্যকে ঘিরে আলোচনা আরও জটিল আকার ধারণ করে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কার্বন নিগর্মন কমানোর মিটিগেশন বিষয়ক আলোচনায় মূলত উন্নত দেশ এবং দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিরোধ এই আলোচনাকে জটিল করে দেয়। ঐতিহাসিক দায় হিসাবে কার্বন দূষণকারী উন্নত দেশগুলোকেই কার্বন নির্গমন কমানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই আলোকে চীন, ভারত, রাশিয়া ও সৌদি আরবের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলো বর্তমান কার্বন নির্গমন ব্যবস্থাকে সাইডলাইনে রাখতে চাইছে।
তারা বলছে, কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য উন্নত দেশগুলোর ঐতিহাসিক দায় রয়েছে। তাই এই কাজটি উন্নত দেশগুলোকেই করতে হবে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশগুলো বলছে, কার্বন নির্গমনের এই কাজটি একযোগে ৯০ দশক থেকে যারা কার্বন দূষণ করছে তাদেরও করতে হবে। অন্যথায় বায়ুমন্ডল থেকে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে কার্বন কমানো যাবে না। এক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশ, ক্ষুদ্র দ্বীপ দেশ এবং ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলোর মধ্যস্থায় এগিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট: অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান
তারা বলছে, এই ইস্যু নিয়ে উন্নত দেশ ও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলো যুদ্ধ করলে কার্বন নির্গমন কমানো যাবে না। সব দেশকেই কার্বন নির্গমন কমাতে হবে এবং এক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তবে প্রথম রাউন্ডের ছয় দিনের আলোচনায় এই ইস্যুটির ব্যাপারে কোন সিদ্বান্ত গ্রহণ করা যায়টি। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার এখন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেই এখন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
অর্থায়নের ক্ষেত্রেও একইভাবে জটিলতা তৈরি হয়েছে। উন্নত দেশগুলো ২০০৯ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর জলবায়ু অভিযোজন ও মিটিগেশনে ১০০ বিলিয়ন করে ডলার দেবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তারা গত চার বছর ধরে পূরণ করছে না।
উপরন্তু, ২০২৩ সালে এসে একটি গোঁজামিলের হিসাব দিয়ে বলছে, তারা এবছর ৮৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
এখানেও সেই একই দাবি উঠেছে যে, যারা কার্বন নির্গমনের জন্য ঐতিহাসিকভাবে দায়ী তারাই অর্থায়ন করবে। কিন্তু উন্নত দেশ না হয়েও এবারের জলবায়ু সম্মেলন নতুন নজীর সৃষ্টি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা সম্মেলনের প্রথম দিনেই লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডে ১০ কোটি ডলার দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে যে, উন্নত দেশ না হয়েও উন্নয়নশীল দেশ অর্থায়ন করতে পারে। এই নজির টেনে উন্নত দেশগুলো বলছে, আমিরাতের মতো যে সকল দেশগুলোর সামর্থ আছে তাদেরও উচিত জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন করা।
তবে জলবায়ু অর্থায়নের চাহিদা এখন ট্রিলিয়ন ডলারেও পৌঁছে গেছে। তাই অর্থায়নের পরিমাণও বাড়াতে হবে। সেই আলেচনা গত বছর (২০২২) থেকে শুরু হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলো দাবি জানিয়েছে, ২০২৫ সাল থেকে এই অর্থায়ন প্রতি বছর ৫০০ বিলিয়ন ডলার করতে হবে। কিন্তু উন্নত দেশগুলো সুস্পষ্ট করে এ বিষয়ে কিছু বলছে না। এই আলোচনা আগামী বছর শেষ হবে। সেখানেই ঠিক হবে, ২০২৫ সাল থেকে কত বিলিয়ন ডলার দিয়ে অর্থায়ন শুরু হবে এবং অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া কেমন হবে।
প্রথম সপ্তাহের আলোচনার মুল্যায়ন প্রসঙ্গে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থার নির্বাহী সচিব সাইমন স্টিয়েল বলেন, ‘এই পৃথিবীর মানবজাতিকে বাঁচাতে এখন আমাদের উচিত এই সম্মেলনে সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমন কমানোর অঙ্গীকার করা। এখানে রাজনীতির কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে সরকারগুলোর উচিত তাদের কর্মকর্তাদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দেয়া।’আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
তিনি বলেন, ‘আমাদের শুধু ভাল সদিচ্ছা থাকলেই কার্বন নির্গমন কমাতে পারব না। কেবলমাত্র অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতিই এক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল এনে দিতে পারে। অর্থায়নই হচ্ছে এখন জলবায়ু প্রতিরোধের বড় চালিকাশক্তি। আলোচকদের এখন শেষ সপ্তাহে এসে এই দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেয়া উচিত।’
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘কার্বন নির্গমন হ্রাস এবং অর্থায়ন বিষয়ে আলোচনা থমকে আছে। এই দুই বিষয় এখন সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে লস অ্যান্ড ড্যামেজ, কার্বন দূষণ পরিস্থিতির বৈশ্বিক মূল্যায়ন, গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপটেশন, প্রযুক্তি প্রভৃতি বিষয়ে একমত হওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ডের অর্থ ব্যবহারে নতুন করে গাইডলাইন দেয়া হচ্ছে। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সহজে এবং বেশি পরিমাণে অর্থ পায়। অর্থের প্রবাহ বাড়াতে না পারলে জলবায়ু পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি করা যাবে না। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মূল্যায়ন নিয়ে ২৪ পৃষ্টার একটি দলিল (টেক্সট) প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন এই ২৪ পৃষ্ঠার দলিলকে চার দিনের মধ্যে একটি জায়গায় এনে অনুমোদন করা কঠিন কাজ।’
আরও পড়ুন: কপ-২৮ সম্মেলনে স্থানীয় জলবায়ু নেতৃত্বে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ
দেশের খাদ্য সংকট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত: মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের খাদ্য সংকট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত।
তিনি বলেন, খাদ্য ও প্রাণিজ আমিষের যোগান আসে এ খাত থেকে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও ভূমিকা রাখছে এ খাত।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরাম (এফএলজেএফ) প্রকাশিত ‘এফএলজেএফ ভয়েসের’প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
এসময় মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ৫২টি দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি হয়। বাংলাদেশ থেকে মাংস রপ্তানিরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ বিদেশে বাংলাদেশের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য রোগ মুক্ত গবাদিপশুর অঞ্চল তৈরি করে আমরা মাংস রপ্তানির প্রক্রিয়ায় রয়েছি।
তিনি বলেন, এভাবেই সাম্প্রতিককালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। এ উন্নয়ন দৃশ্যমান উন্নয়ন, এ উন্নয়ন কথার ফুলঝুড়ি নয়, এ উন্নয়ন বাস্তবসম্মত উন্নয়ন। এ উন্নয়নের একটি বড় অংশীদার গণমাধ্যমকর্মীরা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বিকশিত হওয়ার অনেক পথ ও পন্থা দেখিয়েছে গণমাধ্যম।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৮২ শতাংশ, এটি বিস্ময়কর। এক সময় বলা হতো মাছের আকাল, মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ যেগুলো একসময় বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল, সেগুলো এখন সবখানে পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমরা অর্জন করেছি। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাছের মোট উৎপাদন হয়েছে ৪৯ দশমিক ১৫ লাখ টন লাখ মেট্রিক টন, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট উৎপাদনের চেয়ে প্রায় ৮২ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, মাছ উৎপাদনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, চাষের মাছ উৎপাদনে পঞ্চম এবং ইলিশ আহরণে প্রথম স্থানে রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, জনসাধারণের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষের খাবারের জন্য মাছ সুস্বাদু ও নিরাপদ হবে এবং বিদেশে রপ্তানির মাছও নিরাপদ হবে। ফলে মাছ রপ্তানিতে মানসম্পন্ন জায়গায় আমরা পৌঁছুতে পেরেছি। নিরাপদ মাছ উৎপাদনের জন্য মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০ ও মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ আইন, ২০২০ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের টেকসই আহরণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্রসীমায় মৎস্য নৌযান মনিটরিং, কন্ট্রোল ও সার্ভিল্যান্স জোরদারকরণে ভেসেল মনিটরিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জয়েন্ট মনিটরিং সেন্টার। এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৫০০টি আর্টিসনাল মৎস্য নৌযান ও ৫টি বাণিজ্যিক মৎস্য নৌযান প্রযুক্তিভিত্তিক ভেসেল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ‘গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ খাতের অর্জন তুলে ধরে এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দুধ উৎপাদনের পরিমাণও পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ১৫ বছরে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন যথাক্রমে প্রায় ৫ গুণ, ৭ গুণ এবং ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান, উপকরণ সহায়তা প্রদান ও সহজ শর্তে সরকার ঋণ দিচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। প্রাণিচিকিৎসা খামারির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের ৬১টি জেলার ৩৬০টি উপজেলায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফলে অসুস্থ প্রাণিকে এখন হাসপাতালে নিতে হয় না, হাসপাতাল প্রাণির কাছে চলে যাচ্ছে। প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের ফলে কোরবানির সময় এখন পাশ্ববর্তী দেশের ওপর নির্ভর থাকতে হয় না বরং উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে কোরবানির হাটে গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকছে।
শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, দেশে চিড়িয়িাখানা পরিচালনার জন্য কোনো আইন ছিলনা। সম্প্রতি চিড়িয়াখানা আইন সংসদে পাশ হওয়ায় দেশের চিড়িয়াখানার আইনগত ভিত্তি তৈরি হয়েছে। দেশে ডেইরি খাতের জন্য ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড ছিল না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সম্প্রতি ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠনের উদ্দেশ্যে সরকার আইন প্রণয়ন করেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আব্দুল কাইয়ূম, যুগ্মসচিব ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমনসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
খুব শিগগিরই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করা হবে: মন্ত্রী
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করার কাজ চলছে। আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে বিধিমালা শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে স্মার্ট ভূমি সেবা বিষয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলেছি। এটাকে একটা সাসটেইনেবল জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমার পরে যিনি আসবেন তার বেসিক্যালি রুটিন ওয়ার্ক হবে। কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলোকে যদি ক্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারে। মোটামুটি আমরা একটা কাঠামোতে নিয়ে এসেছি।’
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এই মেয়াদের শেষ সময়। আগামীটা আগামীতে দেখা যাবে, আল্লাহ কী রাখছেন। তবে মনে হচ্ছে, স্যাটিসফেকশন (সন্তুষ্টি) নিয়ে ইনশাআল্লাহ যেতে পারছি। আমার মধ্যে সব সময় একটা ভীতি কাজ করত... একটা কথা আছে- শেষ ভালো যার সব ভালো তার।'
তিনি বলেন, 'জাতিকে কতটুকু পেরেছি সেটা তারা বিবেচনা করবে, কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে ইনশাআল্লাহ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। স্যাটিসফ্যাকশন নিয়ে আমি যেতে পারছি।’
আরও পড়ুন: পরিবেশ সুরক্ষায় চিংড়ি মহালের ফাঁকা স্থানে সবুজায়নের নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'যারা কাজের প্রতি মনোযোগী, কাজ করতে বেশি আগ্রহী, তাদের মধ্যে সবসময় একটা জিনিস থেকে যায়- আরেকটু সময় পেলে যদি আর একটু কাজ করতে পারতাম এই সময়টা পেলে নিশ্চয়ই আমি কাজ আরও গোছাতে পারতাম। আমার পাঁচ বছরটা আমি চেষ্টা করেছি প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটি দিনকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়।'
শেষ সময়ে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'এমন একটা মার্জিনাল সময়ে পড়েছিলাম, এটা না হওয়ার আশঙ্কা ছিল। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সাপোর্ট দিয়েছেন, সেজন্য এটা আমি করতে পেরেছি। একটা আইন পাস করা চাট্টিখানি কথা নয়। একেবারে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত অধীর আগ্রহে এই আইনের অপেক্ষা করছিল। আমি স্যাটিসফাইড যে এই আইন করে যেতে পেরেছি।'
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করার কাজ চলছে জানিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ইনশাআল্লাহ বিধিটা হয়ে যাবে। বিধিটা না হলে হাফ-ডান হয়ে যাবে। হাফ-ডান নিয়ে আবার প্রবলেম হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, 'ভূমি উন্নয়ন কর যেটা ম্যানুয়ালি ছিল, সেটাকে আমরা বন্ধ করে পুরো ক্যাশলেস করে ফেলেছি। প্রতিদিন ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ৫ কোটি টাকা জমা হচ্ছে। বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।'
ভূমিমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। অনেকের একসঙ্গে খতিয়ান থাকে, ভাগ হয় না, ল্যান্ডট্যাক্স দিতে পারে না। কিছু কিছু বিষয়ে কমপ্লেইন আসছে। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মোটামুটি কি পয়েন্টস, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন, ল্যান্ডট্যাক্স এগুলো মোটামুটি আমরা সেরে ফেলেছি।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা কার্যক্রমের সমন্বয়ে ধীরগতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বা সাব রেজিস্ট্রি অফিস আবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে, কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে আরও কাজ বাকি আছে।
তিনি বলেন, 'আমরা ল্যান্ড জোনিংয়ের কাজ করছি। ডিজিটাল সার্ভের কাজ সারাদেশে শুরু হবে।'
সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাজ একটা ট্র্যাকে আমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। এখন এটা স্পিড আপ করতে হবে। কিছু কাজ বাকি আছে আমার মনে হয়। এটাই এক মাসের মধ্যে মোটামুটি একটা কাঠামোতে চলে আসবে। শতভাগ সন্তুষ্ট না হলেও মোটামুটি একটা জায়গায় আমরা দাঁড় করিয়েছি।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, 'তবে হ্যাঁ, মাঠ পর্যায়ে এখনও আমাদের সমস্যা আছে। রাতারাতি কোনো কিছু রিপেয়ার করা খুবই কঠিন। সিস্টেমের মাধ্যমে ডেভলপ করে আমি যতটুক পেরেছি করেছি।'
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. জাহিদ হোসেন পনির।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া কোটি টাকা আত্মসাতকারী নারী আটক
মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া কোটি টাকা আত্মসাতকারী নারী আটকলালমনিরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে থাকা নারী নাসিমা আকতার স্বপ্নাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। আটক নারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের টাওয়ার পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আটক
এছাড়া সরকারি বিভিন্ন ভাতা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের দুই শতাধিক হতদরিদ্র নারীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাসিমা আক্তার স্বপ্নার মা কোহিনূর বেগমের নামে সমাজসেবা থেকে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ‘দুঃস্থ্ মহিলা কল্যাণ সমিতি’ নামে একটি এনজিও রয়েছে। ওই এনজিওর ব্যানারে গ্রামের নারীদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রলোভন দেখান তিনি। এনজিও থেকে গরু, সমাজসেবা থেকে এককালীন অনুদান, শিশু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দিয়ে নারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করেন।
এসময় তিনি নিজেকে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের পরিচয় দেন। তিনি বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে প্রত্যেক নারীর কাছ থেকে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেন।
এভাবে এক পর্যায়ে গ্রামের দুই শতাধিক নারীর কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন স্বপ্না। পরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারলে এলাকার নারীরা টাকা ফেরত চান। ভুক্তভোগীরা কোনো সুরাহা না পেয়ে মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, নানা প্রলোভনে গ্রামের নারীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের ব্যাপারে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের কথিত আত্মীয় নাসিমা আক্তার সপ্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৬৯৭ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক
নেতাদের পরিবারের সদস্যদের আটকের অভিযোগ বিএনপির
বিএনপির শনি ও রবিবারের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য শনি ও রবিবারের হামলা বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত।
তিনি বলেন, ‘শনি ও রবিবারের হামলা বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত। তারা দীর্ঘদিন ধরে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে বিএনপি গোপনে তাদের সন্ত্রাসী রাজনীতির স্টাইল বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা তাদের পুরনো পথ, তাদের ভয়ংকর রাজনীতিতে ফিরে আসতে সময় নিচ্ছিল। সময়মতো তারা তাদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ বেছে নিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা দেশের বিচার বিভাগের অবমাননা।
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই দিনে তারা কী করেনি? বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে বিএনপি-জামায়াত জোট আবারও নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।’কাদের বলেন, বিএনপি ও তাদের জোট গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী না হওয়ায় সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করছে।তিনি আরও বলেন, ‘‘গতকাল প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংস হামলা ও একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি তারেক রহমানের 'টেক ব্যাক' ফর্মুলার অংশ।’’
আরও পড়ুন: সহিংসতার দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারবেন না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী 'অপরাধীদের' বিচারের আওতায় আনা হবে: হাছান মাহমুদ
বিএনপির আন্দোলনে জনসমর্থন নেই: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলের মতো বিএনপিকে উৎসাহিত করছে, কিন্তু বাস্তবে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে কেউ সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থান পরিষ্কার, তারা ইসরায়েলকে সমর্থন করে। একদিকে পশ্চিমা দেশগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ইসরাইলকে উৎসাহ দিচ্ছে, অন্যদিকে মির্জা ফখরুল বলছেন, তারাও (পশ্চিমা দেশগুলো) তাদের সমর্থন করছে। কিন্তু বিএনপির আন্দোলনে কারো সমর্থন নেই।
আরও পড়ুন: হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে চায়: হাছান মাহমুদ
সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সোমবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির বিদেশ নির্ভরতার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের ওপর বিএনপির কোনো আস্থা নেই। তাই জনগণের দিকে না তাকিয়ে বিএনপি এখন কাকের মতো দূরদেশ থেকে কে কী বলেছে, তার দিকে তাকিয়ে আছে।
নির্বাচনের আগে সংলাপের বিষয়ে বিদেশি সুপারিশের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণই ক্ষমতার মালিক। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কে দেশ চালাবে আর কে চালাবে না।
বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর যে কেউ যেকোনো কিছু সুপারিশ করতে পারে, কিন্তু মানুষ কী চায় সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো প্রয়োজন বা বাধ্যবাধকতা নেই।
তিনি বলেন, চলমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে কাজ করবে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিএনপির নীরবতার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। কিন্তু মানবতাবিরোধী এই অপরাধের বিষয়ে বিএনপি নীরব।
একটি বড় শক্তি অসন্তুষ্ট হতে পারে, তাই নীরব থেকে বিএনপি আসলে এই বর্বরতা, নৃশংসতা, যুদ্ধাপরাধ ও ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের বিষয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছে ইউরোপীয় দেশগুলো : ড. হাছান মাহমুদ
খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা হাছান মাহমুদের
১৫ বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেটের আকার বেড়েছে ১২ গুণ: মন্ত্রী
গত ১৫ বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত জনকল্যাণমূলক সেবাখাতে বাজেটের আকার ১২ গুণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বিগত পনেরো বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত জনকল্যাণমূলক সেবাখাতগুলোর বাজেটের আকার ১২ গুণ বাড়ানো হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বাজেট ছিল ১ হাজার ১৩ কোটি ৩১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেট ১২ হাজার ২১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি, অর্জন ও কার্যক্রম অবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আট বিভাগে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২০ লাখ প্রবীণ ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০০ কোটি টাকা। জনপ্রতি ৬০০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৮ লাখ প্রবীণ ব্যক্তির জন্য বার্ষিক বাজেট উন্নীত হয়েছে ৪ হাজার ২০৫ কোটি টাকায়।
মন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের দরিদ্রপ্রবণ ১১২টি উপজেলাকে শতভাগ বয়ষ্কভাতা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে আরও ১৫০টি উপজেলাকে শতভাগ বয়স্ক ভাতার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ২৬টি উপজেলায় ভাতা পাওয়ার উপযোগী শতভাগ লোক ভাতার আওতায় এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত সময়ে প্রতিটি কর্মসূচিতে বাজেট, উপকারভোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে বলেও জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ৯ লাখ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৭০ কোটি টাকা। তা মাথাপিছু মাসিক ৫৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জনের জন্য বাজেট বরাদ্দ ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা। বর্তমানে মাথাপিছু ভাতা মাসিক ৮৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ লাখ জনের জন্য বাজেট ২ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা করা হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষা-উপবৃত্তিখাতে ১৩ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ১১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: মুনাফালোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি: মৎস্যমন্ত্রী
সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সমর্থন: মন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি বাংলাদেশে পরিকল্পিত বনায়নের মাধ্যমে কার্যকর সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সম্পদের সুরক্ষা বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদের ৪৫তম বর্ধিত সভায় সুন্দরবন রক্ষায় এক দশকে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শৈবাল: সুন্দরবন উপকূলে স্বপ্ন দেখাচ্ছে কৃষকদের
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে সুন্দরবনের সুরক্ষা ও উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের উল্লেখযোগ্য সফলতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত সুন্দরবনের সুরক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছে। এর ফলস্বরূপ সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদের ৪৫তম বর্ধিত সভায় সুন্দরবন রক্ষায় এক দশকে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সভায় পরিকল্পিত বনায়নের মাধ্যমে কার্যকর সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সম্পদের সুরক্ষা বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের আউটস্ট্যান্ডিং ইউনিভার্সাল ভ্যালুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল থার্মাল টেকনোলজি ব্যবহার, সরকারের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান- ২০১০ সংশোধন ইত্যাদি পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের অংশ হিসেবে ছয়টি কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।’
সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সরকার গাছ কাটা, ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবহার ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুন্দরবনের মোট আয়তনের ৫৩ দশমিক ৫২ শতাংশ রক্ষিত এলাকা থেকে সকল ধরনের সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার বন্যপ্রাণীর প্রধান প্রজননকাল জুন, জুলাই ও আগস্ট এই ৩ মাস সুন্দরবন থেকে সকল ধরনের বনজদ্রব্য সংগ্রহ এবং পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সাল থেকে রাস মেলা বন্ধ করায় সুন্দরবনে এসময় পূর্বের মতো হরিণ শিকারের কোন ঘটনা ঘটেনি এবং সুন্দরবনের পরিবেশের ওপর কোন বিরূপ প্রভাব পড়েনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় সুন্দরবন দিবস পালিত
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের বক্তব্য নিষ্ঠুর: গণতন্ত্র মঞ্চ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের বক্তব্যকে নিষ্ঠুর ও নৃশংস আখ্যায়িত করেছে কয়েকটি বিরোধী দল ও সংগঠনের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গণতন্ত্র মঞ্চ।
গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ না দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, চিকিৎসা পাওয়া তার নাগরিক ও মানবাধিকার। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনৈতিক দরকষাকষির কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অধিকার কেড়ে নিলে যেকোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকির পুরো দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সোমবার (২ অক্টোবর) ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু'র সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব গণতন্ত্র মঞ্চের পরবর্তী সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও রাষ্ট্রসংস্কর আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি আবেদন পাওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় এ অভিমত ব্যক্ত করে।
এর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেন।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: একতরফাভাবে আগামী নির্বাচন করতে আরপিও সংশোধন করেছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
১৯-২১ জুলাই চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
আদালতের কপি হাতে পেলে তারেকের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর ব্যবস্থা নেব: মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, আদালতের আদেশের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে অনুরোধ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা এবং অবৈধ ও যাচাইবিহীন আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: নগদ-এর অর্জন মানে ডাক বিভাগের অর্জন: মোস্তাফা জব্বার
সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আদালতের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পরে আমরা আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী যা করতে পারি তা করব, তবে ডিজিটাল অঙ্গনে কী বিষয়বস্তু খোলা রাখা উচিত বা কী নয় তা নিয়ে বিশদ আলোচনার প্রয়োজন।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে তারেক রহমানের সব ভিডিও কনটেন্ট ও বক্তৃতা অপসারণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও বলেন, আমরা তারেক রহমানের বিষয়বস্তু অপসারণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করব। আমরা যতদূর জানি, আদালতের আদেশ উপেক্ষা করার মানসিকতা সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোর নেই।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার