মন্ত্রী
রাশিয়ার জাহাজ ‘উরসা মেজর’র জন্য পেছাবে না রূপপুরের কাজ: মন্ত্রী
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জামবাহী রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’ নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি কারও জন্য ভালো হয়নি মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় রূপপুর প্রকল্পের কাজ পেছাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে, এটি আমাদের নিশ্চিত করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বিলম্ব: মন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর'র ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে ইয়াফেস ওসমান বলেন, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়কে নিয়ে বোধহয় নানাজন নানা কথা বলছেন। যাই হোক রাশিয়ান জাহাজের ব্যাপারে আমি বলি, আমাদের সঙ্গে তাদের যে কন্ট্রাক্ট (চুক্তি) সেটা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত না পণ্য রূপপুরের নদী বন্দরে পৌঁছাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, আমরা তখনই কনসার্ন হই, যখন আমাদের নদী বন্দরে এসে পৌঁছায়। তারপরও আমি বলবো, যে অঘটন ঘটেছে-এটা কিন্তু কারও জন্যই ভালো নয়। এতদিন ধরে হাজার হাজার জাহাজ এসেছে, কোনো সময় কোনো কথা ওঠেনি। এর মধ্যে একটা অঘটন ঘটেছে এবং আমরা তাদের বলে দিয়েছি ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
এ সময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, তারা টাইমলি কাজটা শেষ করবে। আমরা এখনও সেই পথেই আছি। সুতরাং ভয়ের কোনো কারণ নেই যে অনেক দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
কার্গো জাহাজটি কী এসে পৌঁছেছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আইএম নট ইস্টারেস্টেড, কার্গো কোথায় থাক। লন্ডনে বা অন্য কোথায় থাকুক।
তাহলে এখনও আসেনি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আপনারা বুঝবেন ভালো। আপনারা যেহেতু সাংবাদিক। এটা ইউর ডিউটি, নট মাই। এখানে কোনো সেনসেটিভ ব্যাপার নেই। যতক্ষণ না আমাদের নদী বন্দরে আসছে, আমাদের টেনসেশনের ব্যাপার নেই। সুতরাং আপনাদের এত ভয় পাওয়ার কারণ নেই, যে এটা নিয়ে বোধহয় হইচই হবে।
এতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজের সময় পিছিয়ে যাবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি তো বললাম রাইট টাইমে হবে এটা বলেছে তারা। অনেক কাজ তো আগেও আছে। এমন নয় যে একটা কাজ পিছিয়ে গেছে বলে সব কাজ পিছিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের বলেনি, ওটার কারণে টাইম পেছাবে। তাহলে আমি কেন বলতে যাবো।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বলা হয় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বলছে জাহাজটা বাংলাদেশে আসছিল। এর উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমি এ বিষয়ে কনসার্ন না। বাংলাদেশ আছে, ঠিক আছে। তাই বলে কি আমার মন্ত্রণালয়ের বাইরে ফরেন মিনিস্ট্রির ব্যাপারে আমি বলবো?
জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলেচনার বিষয়ে বলেন, আমরা যে কাজগুলো করছি, সাইন্সের ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে যে কাজ হচ্ছে। এগুলোতে তাদের যে সহযোগিতা লাগবে, সেটার বিষয়ে তাদের বলেছি। আমি খুশি এ কারণে ডিসিরা বিষয়টি ওভাবেই নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন
২০২১ সালের মে পর্যন্ত এক বছরে ৪ লাখ ৪৩ হাজার অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন: মন্ত্রী
করোনা মহামারি চলাকালীন এপ্রিল ২০২০ থেকে মে ২০২১ এর মধ্যে মোট ৪ লাখ ৪৩ হাজার অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন।
বুধবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: দালালদের হাত থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের রক্ষা করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের আর্থ-সামাজিক পুনর্বাসনের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ১৫ হাজার ৭০৬ জনকে পুনর্বাসন ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছে ৪২৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এছাড়া ৫২ হাজার ৭৪ জন অভিবাসী শ্রমিককে আবার বিদেশ যাওয়ার জন্য স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছে এক হাজার ১০৬ কোটি টাকা।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সংসদে বলেছেন, ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি খাদ্য গুদামে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মোট খাদ্যশস্যের মধ্যে তিন লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন গম, ১৪ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার ৩৮১ টন ধান রয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে সরকারের ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ভারত, ভিয়েতনাম ও মায়ানমার থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে তিন লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার: নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ চায় জাতিসংঘ
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
মহান বিজয় দিবসে জাতীয় কর্মসূচি
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপনের লক্ষ্যে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসাবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনী সদস্যরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরস্থ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতি এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহকে জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদক দল বাদ্য বাজাবেন।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বিজয় দিবসে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
এ উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।
ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে এবং এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু বিকাশ কেন্দ্রসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে।
এদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে ঘর পেল সুনামগঞ্জের ৩০টি গৃহহীন পরিবার
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি কেনো সমাবেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে এবং তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো অপছন্দ, এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দিবে।
বুধবার সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে বিএনপি’র উদ্দেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি কি জানে না বাংলাদেশের ইতিহাস? ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন এবং সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক - এই দু’জনকে পাক-হানাদার বাহিনী ও আলবদর বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায়। ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর -এই বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো নৃশংসতম ঘটনা বাংলাদেশে সংগঠিত হয়।
জ্ঞান, গরিমা যাদেরকে ঘিরে সেই সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সাংবাদিক, চিকিৎসকদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য কেনো বিএনপি বেছে নিলো এটাই এখন প্রশ্ন?
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন বিএনপি যেতে চায় না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে, সেই ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ভাষণ বিএনপির পছন্দ নাও হতে পারে - যদিও জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে সর্বকালের অন্যতম সেরা ভাষণ হিসেবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান, যেখানে স্বধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, ১৬ ডিসেম্বর যারা বিশ্বাস করে, সেখানেই পাক-হানাদার বাহিনী - মুক্তি বাহিনী, মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন - সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন বিএনপির অপছন্দ তা জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক উদ্যান। বিশাল জায়গা এখানে, আওয়ামী লীগের সব সমাবেশ ও জাতীয় সম্মেলন এখানেই হয়।
তাহলে বিএনপি কেনো তাদের পার্টি অফিসের সামনে ৩৫ হাজার স্কোয়ার ফিটের মতো একটা ছোট জায়গা সমাবেশের জন্য বেছে নিলো প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।
তিনি আরও জানতে চেয়ে বলেন, পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির এতো দৃঢ়তা কেন? এখানে তাদের কি কোন বদ উদ্দেশ্য আছে? কোন মতলবে তারা এটা চায়?
আওয়ামী লীগ ১০ ডিসেম্বর সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এখনও নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় আইওআরএ'র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু
ঢাকার একটি হোটেলে কাউন্সিল অব মিনিস্টারস (সিওএম) এর ২২তম বৈঠক বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএর) বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে থাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এই মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সভাপতিত্ব করছেন।
বিকালে বৈঠকটির ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানাবেন ।
আইওআরএর একটি আন্তঃ সরকার সংস্থা, যা ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়।
আইওআরএর-এর ২৩টি সদস্য রাষ্ট্র ও ১০টি সংলাপ অংশীদার রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওআরএকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সকলের সমর্থন ও অবদান কামনা করেছেন।
আইওআরএ’র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে উদ্বোধনী বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করব, আমাদের সমুদ্রকে সুস্থ রাখব। এটাই হোক আমাদের আজকের অঙ্গীকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিধা ছাড়াই আমি বলতে পারি যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, এমনকি দুই দশকেরও বেশি সময় পরেও আইওআরএ’র বাজারটি এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্পূর্ণরূপে অন্বেষণ করতে পারেনি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে আন্তঃ আইওআরএ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গতিশীলতা পুনর্বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ এবং এমন একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে আইওআরএ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং আন্তঃ আইওআরএ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাধা দূর করা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সহায়তা করুন: আইওআরএ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
আইওআরএ সম্মেলন: চলতি সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় আইওআরএ’র মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন ১৭ নভেম্বর
পতিত জমি চাষের জন্য ব্যবহার করতে অন্য মন্ত্রীদের কৃষিমন্ত্রীর চিঠি
যেকোনো সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে চিনি, পাট, টেক্সটাইল মিল এবং রেলওয়ের অব্যবহৃত জমি চাষের জন্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক আরও কয়েকজন মন্ত্রীকে আধা সরকারি (ডিও) চিঠি পাঠিয়েছেন।
শিল্পমন্ত্রী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং রেলপথমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করে চিঠিতে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক প্রতিকূল অবস্থায় সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারি মালিকাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অব্যবহৃত চাষযোগ্য জমিতে খাদ্যশস্য, শাকসবজি, ডাল ও তেলবীজ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান, চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল ও রেলপথের অব্যবহৃত বা পতিত জমিতে আবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করলে তা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: কৃষিতে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন: বিশ্ব খাদ্য ফোরামে কৃষিমন্ত্রী
আবাদের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।
চিঠিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। সে সঙ্গে সার ও জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি ও সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খাদ্য সংকটের আশংকা দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও কোন জমি যেন পতিত না থাকে, এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
এ প্রেক্ষিতে কৃষি মন্ত্রণালয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ফসলের আবাদ এলাকা বৃদ্ধি, বসতবাড়িতে পুষ্টিবাগান স্থাপন ও প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুগারমিলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না: কৃষিমন্ত্রী
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বিলম্ব: মন্ত্রী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ করার চেষ্টা করছে।
বুধবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে তার মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে ডলার সংকটের কারণে প্রকল্পের কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।
বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও উপস্থিত ছিলেন।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সরিয়ে নিতে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার জন্যই মূলত এই বৈঠক ডাকা হয়।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২য় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০১০ সালে হাতে নেয়া দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট রূপপুর এনপিপি প্রকল্পের দুটি ইউনিট রয়েছে। যার প্রতিটি এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন।
সরকার ২০২২ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৩ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে প্রথম ইউনিটের জন্য ২০২৪ সালের জুন এবং ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য লক্ষ্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল।
কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রকল্পটি আবার নতুন টাইমলাইন মিস করতে পারে।
প্রকল্পটি আবার বিলম্বিত হলে কত সময় লাগবে তা স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী।
‘আমরা সময়সীমার কাছাকাছি সময়ের মধ্যে কাজটি করার চেষ্টা করছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ বিভাগ উভয়ই সমন্বিতভাবে কাজ করবে।
বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন প্রকল্প সম্পর্কে নসরুল বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এখন প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সঞ্চালন লাইনের পদ্মা নদী ক্রসিং প্রকল্পের একটি বড় কাজ যা শেষ হতে আরও দেড় বছর সময় লাগতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আগেই আমরা সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ করতে পারব।
আরও পড়ুন: কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঋণের সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-৫ পুনরায় চালু
দেশে ৫জি চালুর পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, দেশে ৫জি সেবা চালু করার জন্য দেশে যে পরিবেশ থাকা দরকার, সেটি ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের মহাসড়কের নাম ৫জি। ৫জি সেবা চালু করার জন্য দেশে যে পরিবেশ থাকা দরকার সেটি ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এবং রবির যৌথ উদ্যোগে ‘৫জি প্রযুক্তি: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক গোলেটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ৫জি সেবাকে ঘিরে টেলিযোগাযোগ খাতের সকল অংশীদারদের নিয়ে এ আয়োজন সত্যিই সময়োপযোগী। ৫জি'র ব্যবসায়িক দিকের সঙ্গে সঙ্গে তা যেন সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার বাস্তব সমস্যা সমাধান করতে পারে সেদিকেও আমাদের প্রত্যেককে সচেষ্ট হতে হবে। এটি করা সম্ভব হলেই ৫জি বাণিজ্যিকভাবে সফল হবে।’
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান মোস্তফা জব্বারের
মোস্তফা জব্বার বলেন, মোবাইল ফোন অপারেটর রবির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সন্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’র সহযোগী অধ্যাপক ড. খালেদ মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘৫জি চালুর বিষয়ে আমরা সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত। এখন প্রয়োজন একটি সমন্বিত বাজার সমীক্ষা করা যাতে আমরা বুঝতে পারি কীভাবে আমরা ৫জি সেবা বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে পারি, অ্যামটব এখানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।’
বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বলেন, ‘৫জি স্পেকট্রাম রোলআউট করতে হবে, আমাদের ৭০০ ও ৩.৫ স্পেকট্রাম রেডি আছে। নীতিমালা আছে, প্রয়োজনে সবার কল্যাণে নীতিমালা পরিবর্তন করা হবে। স্পেকট্রাম শেয়ার করার প্রয়োজন হলেও তার উদ্যোগ নেয়া হবে। মানুষ কেন ৫জি নেবে কতটুকু লাভবান হবে এসব বিষয়ে সার্ভে করার প্রয়োজন রয়েছে। নেটওয়ার্কগুলো কোথায় কোথায় প্রয়োজন আছে, গ্রাহকরা ৫জি সেবায় কতটা উপকৃত হবেন তা স্টাডি করে বুঝতে হবে।’
রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘আমরা ৫জি নিয়ে প্রস্তুত আছি। নিয়ন্ত্রক কমিশনের দিক নির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। খাদ্য-বস্ত্রের পাশাপাশি এখন সবাই চায় কানেকটিভিটি। দ্রুত ৫জি কানেকটিভিটি দেয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বৈদেশিক মুদ্র্রায় বিপুল পরিমাণ সফটওয়্যার এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমদানি কমিয়ে স্বনির্ভর হতে আমাদের নিজস্ব মেধা কাজে লাগানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডে (বিটিসিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে কানেক্ট করছি। আমরা চেষ্টা করছি ৫জি যখন আসবে ওই সংযোগ যেন কাজে লাগাতে পারি। সব অপারেটরেদর সঙ্গে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি এবং অবকাঠামো শেয়ারিং করা হলে আমরা এগিয়ে যাব।’
গ্রামীণফোনের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হোসেন সাদাত বলেন, ‘৫জির শুরুতে আমাদের ইকোসিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে, টাওয়ারগুলোতে প্রচুর বিদ্যুৎ লাগবে। আমরা বিটিআরসির নির্দেশনায় কাজ করছি। ৭০টি দেশ ৫জি চালুর কাজ শুরু করেছে। আমাদেরও পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি সেবা শুরু করতে হবে।’
বাংলালিংক’র রেগুলেটরি অপারেশন’র ডেপুটি ডিরেক্টর মুখলেসুর রহমান বলেন, ‘অনেক কিছুই আমাদের ৫জি নিয়ে শিখতে হচ্ছে। সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করে অভিজ্ঞতা নিয়ে ৫জি শুরু চালু করতে হবে।’
টেলিটকের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (৫জি) রেজাউল করিম রিজভী বলেন, ‘৫জি নিয়ে এমন একটি আলোচনা সভা আয়োজন করার জন্য আমি টিআরএনবি ও রবিকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা ইতোমধ্যে ৫জি নিয়ে কাজ শুরু করেছি যার ধারাবাহিকতায় কিছুদিন আগে আমরা সফলভাবে ফাইভজি ট্রাইল পরিচালনা করেছি। এই আলোচনার ফলে এই খাতে উন্নতির নতুন নতুন ধারা উদ্ভাবন করতে পারবো যা ৫জি বাস্তবায়নে আমাদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) ইমদাদুল হক বলেন, ‘৫জি প্রত্যান্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সহজলভ্য ও অ্যাকটিভ শেয়ারিং থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অ্যামটব মহাসচিব এস এম ফরহাদসহ টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন: মোস্তফা জব্বার
সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা লাঠি নিয়ে আসছে, এটা আইনসিদ্ধ নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা লাঠি নিয়ে আসছে, এটা আইনসিদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে লাঠি-সোটা নিয়ে আসার জন্য ঘোষণা দিয়ে বলা হয়েছিল। ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় তারা লাঠি নিয়ে এসেছে। এটি আইন সিদ্ধ নয়।
শনিবার সচিবালয়ে জননিরাপত্তা বিভাগ আয়োজিত মিনি ম্যারাথন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ঘোষণা দিয়ে বলে দেয়া হয়েছিল, তারা যেন লাঠি-সোটা নিয়ে আসে। এটা কী ইঙ্গিত বহন করেছিল, আমরা সেটা জানতাম না, জানিও না। আমরা লক্ষ্য করেছি, ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় তারা পেছনে লাঠি এবং সামনে লাঠির ওপরে তাদের দলীয় পতাকা উড়িয়ে এসেছে। এগুলো কী মিন করে। আমরা তাদেরকে বলি, আপনারা নির্বিঘ্নে আপনাদের পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিটিস করুন, সেখানে আমাদের কিছু ভাবার নেই, কিন্তু লাঠি-সোটা নিয়ে আসা, এটা আইন সিদ্ধ নয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আপনারা যেটা বলছেন, জায়গায় জায়গায় তাদের ওপর ইয়ে (হামলা) করা হচ্ছে। আমি সবাইকে বলব, তাদের ভাষা, তাদের বাক্য এবং তাদের সবকিছু যেন পরিমিতভাবে ব্যবহার করেন। কারও ওপরে এমন কিছু যাতে না বলেন, যাতে করে তারাও বিক্ষোভ প্রকাশ করে কিংবা প্রতিরোধ তৈরি করে। যত ঘটনাগুলো ঘটেছে আমাদের দুদলের মধ্যে, এমন ধরনের স্লোগান কিংবা বাকবিতণ্ডা হয়েছে, সে জন্যই এই ঘটনাগুলো ঘটছে আমরা যতটুকু শুনেছি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপিকে আইনশৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। তারা যদি রাস্তা অবরোধ করেন কিংবা ভাঙচুর করেন, জনজীবনে দুঃসহ অবস্থা তৈরি করেন তাহলে আমাদের করার কিছু আছে।
মন্ত্রী বলেন,তারা যাতে কোনো ভাঙচুর অথবা কোনো বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত না হয় এই জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পাশেই থাকবে।
মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০ ভোট পেয়ে পুনরায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। অথচ বিএনপি, কিছু ব্যক্তিবিশেষ এবং চিহ্নিত কয়েকটি সংগঠন ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অপপ্রচার করছে। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভুল তথ্য উপাত্ত পাঠিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছিল এবং সেই প্রেক্ষাপটের মধ্যেই বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তারা যে অপপ্রচার চালিয়ে এসেছে, বিদেশিদের বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে, সেগুলো অসার এবং কাজে আসেনি। বরং প্রমাণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সঠিক পথেই আছে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে মানবাধিকারের সর্বোচ্চ লঙ্ঘন হয়েছে, যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকতে বিনা বিচারে হাজার হাজার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা-জওয়ানকে হত্যা করেছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে, ফাঁসি কার্যকর হয়েছে আগে, বিচারের রায় হয়েছে পরে। দিজ আর ডকুমেন্টেড অর্থাৎ এগুলোর প্রমাণ রয়েছে। জিয়ার আমলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সরকারও ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা, আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, খুলনার মনজুর ইমামকে হত্যা এবং হুমায়ুন কবির বালু থেকে শুরু করে বহু সাংবাদিক হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা সেগুলোর কোনো সঠিক বিচার করেনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের স্বপ্নে বিভোর বিএনপিকে সবক্ষেত্রে প্রতিহত করার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে, আমরা সেগুলো বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাচ্ছি। জিয়াউর রহমান যাদেরকে হত্যা করেছিল তাদের পরিবারগুলোর সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ ঢাকা-চট্টগ্রামহসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছে।