৯৫ কিলোমিটার বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমাটিন পৌঁছে পুনরায় ৯৫ কিলোমিটার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার ফিরবে ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’। প্রতিদিন ১৯০ কিলোমিটার রোমাঞ্চকর সমুদ্র ভ্রমণের সাথে মেতে উঠবেন ৫৮২ জন যাত্রী। এছাড়া জাহাজ থেকে সমুদ্র, পাহাড় আর সূর্যাস্ত দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার ‘সমুদ্র যাত্রা’ অনুষ্ঠান উদ্বোধনের মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে হলে দেশের বিশাল জলরাশি তথা সমুদ্র, নদীকে ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যটন শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সমুদ্র, নদী, লেক, ঝর্ণাকে ঘিরে। আমাদের বিশাল সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদের বহুমূখী ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার শহর থেকে দীর্ঘ সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিন যাত্রা পর্যটন শিল্পের জন্য হবে একটি মাইলফলক। এমন ভ্রমণে বিদেশি পর্যটকরাও আকৃষ্ট হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার শহর থেকেই সরাসরি যাওয়া যাবে সেন্টমার্টিন
শুক্রবার থেকেই পর্যটকরা কক্সবাজার থেকে সরাসরি সাগর পথে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজের মাধ্যমে।
জাহাজটির কক্সবাজারের পরিচালক ও ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াাছরা (এয়ারপোর্ট রোড) বিআইডব্লিওটিএ ঘাট থেকে নিয়মিত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে নিয়মিত ছেড়ে যাবে জাহাজটি। কক্সবাজার ঘাট থেকে ছাড়বে প্রতিদিন সকাল ৭টায়। সেন্টমার্টিন থেকে ছাড়বে প্রতিদিন বিকাল ৩টায়। উভয় দিক থেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। কিছুদিন পর সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার সময় আরও ১ ঘণ্টা পেছানো হবে।
এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজের ইকোনমি আসনের (২য় শ্রেণি চেয়ার) ভাড়া জন প্রতি দুই হাজার টাকা। এছাড়া বিজনেস শ্রেণি আসন (১ম শ্রেণি চেয়ার) ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৫০০ টাকা। এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজে মোট ১৭ টি লাক্সারি ক্লাস কেবিন রয়েছে বলে তিনি জানান।