কক্সবাজার
কক্সবাজারে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ছয় বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় মো. সোলেমান নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গনি এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি মো. সোলেমান টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল এলাকার বাসিন্দা।রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে আদালত থেকে হাজতে নেওয়ার পথে সোলেমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন: ডা. নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
নিহত শিশুটি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মামলার বাদী ও মেয়েটির বাবা জানান, ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার পর বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তার মেয়ে। পরে পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া বাঁধ এলাকা তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ৩ ডিসেম্বর মহেশখালী থানায় মামলা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন টিটু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নৃশংস খুনিকে দণ্ডিত করার ফলে অপরাধীরা আর এ ধরনের অপরাধ করার সাহস পাবে না।
১০০ দিন আগে
গুরুত্বপূর্ণ পক্ষকে বাদ দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়: খলিলুর রহমান
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সব পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরে রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, ‘কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষকে বাদ দিয়ে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি সবার সঙ্গে কথা বলেছি। যদি না বলি, তাহলে কোনো সমাধান হবে না। আমি এখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমাদের এই কাজ করতে হবে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’
সোমবার (২৫ আগস্ট) রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কক্সবাজারে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন খলিলুর রহমান।
মিয়ানমারের গণমাধ্যম, সরকার, সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির সঙ্গে কথা বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ করেছে কিনা— এই প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারের এক সাংবাদিককে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে এক সাংবাদিক বন্ধুকে দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি। আপনারা আসতে থাকুন, আরও নিয়ে আসুন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্র
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষকে বাইরে রেখে সমাধান করা সম্ভব নয়, এটিই বাস্তবতা। আলোচনা মানেই সেটি যেকোনো সমাধানের জন্য, আর সেই সমাধান সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।’
‘যদি কোনো পক্ষকে বাইরে রাখা হয়, তাহলে কোনো চুক্তি বাস্তবায়িত হবে না বা খুব দ্রুত ভেঙে পড়বে। তাই আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার দরজা খোলা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে, ২০১৭ সালে শেখ হাসিনা সরকারের ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গা সংকট আরও জটিল হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সমাধান সম্ভব নয়। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের ওপর গুরুতর অর্থনৈতিক ও সামাজিক বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে, যা সক্রিয় আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে অবশ্যই মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে।
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমি ১৯৭৮ সালে কুতুপালং ক্যাম্পের প্রথম ক্যাম্প ইনচার্জ ছিলাম এবং আমার রোহিঙ্গা বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করেছি। সমস্যার উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং তা তাদের উদ্যোগেই সমাধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের রোডম্যাপ তৈরিতে প্রধান উপদেষ্টার ৭ দফা প্রস্তাব
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহাসচিব মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির নেতা আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া ফুয়াদ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা আখতার হোসেনসহ অনেকে এই সেশনে বক্তব্য রাখেন।
রাশেদ খান বলেন, আমরা চাই চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিক। যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবাই মিলে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।
জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার জানান, তার দল রোহিঙ্গা সংকটের মানবিক সহায়তা, ন্যায়বিচার ও টেকসই সমাধানের পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করবে।
আখতার হোসেন বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার চাই। নিরাপদে মিয়ানমারে ফেরত না যাওয়া পর্যন্ত তাদের খাদ্য, শিক্ষা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে, রোববার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শুরু হয়। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
১০১ দিন আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের রোডম্যাপ তৈরিতে প্রধান উপদেষ্টার ৭ দফা প্রস্তাব
রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কক্সবাজারে আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডারস’ ডায়ালগে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় ও টেকসইভাবে রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের জন্য বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরিতে যৌথ প্রচেষ্টার লক্ষ্যে সাত দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন তিনি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে এই সংলাপে যোগ দিতে কক্সবাজার পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। এদিন বেলা ১১টার দিকে তিন দিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়। এতে মিয়ানমার ও আঞ্চলিক স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এবং বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কেবল কথার জালে বন্দি থাকতে পারি না। এখনই সময় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও। সংকটের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে ভাবা এবং তা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখা সবার যৌথ দায়িত্ব।
যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গারা নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরে যেতে না পারেন ততদিন পর্যন্ত তাদের বিষয়টি ও এর টেকসই সমাধানকে বৈশ্বিক এজেন্ডায় রাখার জন্য জোর দেন অধ্যাপক ইউনূস।
গত মার্চ মাসে পবিত্র রমজানে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং তিনি নিজে কক্সবাজারে এক লক্ষাধিক রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে যোগ দিয়েছিলেন বলে সেই স্মৃতিচারণও করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে শুনেছি, রোহিঙ্গারা যত দ্রুত সম্ভব নিজ আবাসভূমিতে ফিরে যেতে চান। অনুষ্ঠানে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা স্মরণ দিবস’ উপলক্ষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংলাপে যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
এ সময় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে মিয়ানমারে তাদের নিজ আবাসভূমিতে প্রত্যাবাসনের জন্য দৃশ্যমান আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা যা করছি, তা অব্যাহত রাখতে হবে।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক), পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম, ইউএনএইচসিআরের সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজুও বক্তব্য রাখেন।
প্রফেসর ইউনূসের সাত দফা প্রস্তাব
প্রথমত, রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছামূলক ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য একটি কার্যকর রোডম্যাপ তৈরিতে কাজ করতে হবে। কথার জালে আর বন্দি থাকা যাবে না।দ্বিতীয়ত, ২০২৫-২৬ সালের যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনার অর্থ ঘাটতি পূরণে আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী ও মানবিক অংশীদারদের অব্যাহত সহায়তা জরুরি।
তৃতীয়ত, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এজন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ও আরাকান আর্মিকে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, জীবিকা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের ভেতরে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ ঘরে ফিরতে দিতে হবে।
চতুর্থত, মিয়ানমারের ভেতরে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস ও সংঘাত নিরসনে সংলাপ প্ল্যাটফর্ম জরুরি। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় বসতে হবে যাতে পুনর্মিলন, অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়।
পঞ্চমত, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা অপরিহার্য। মানবপাচার, মাদকপাচার, ছোট অস্ত্রের চোরাচালানসহ সীমান্তবর্তী অপরাধ মোকাবিলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
ষষ্ঠত, জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। মিয়ানমার, আরাকান আর্মি ও অন্যান্য সংঘাতপক্ষের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংকট নিরসনের স্বার্থে পদক্ষেপ নিতে হবে।
সপ্তমত, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে), আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় চলমান জবাবদিহি প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করতে হবে। আইসিজের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ কার্যকর করতে হবে এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সূত্রপাত মিয়ানমারে, তাই সমাধানও মিয়ানমারেই নিহিত। দেরি না করে সব পক্ষকে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে সংলাপে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার তিন দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতেই এ বছর উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে তথ্য দেন তিনি। কক্সবাজারের এই সংলাপ নিউইয়র্কে সম্মেলনে একটি কার্যকর রোডম্যাপ তৈরিতে অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ টেকসই সমাধানের পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করছে। ২০১৭ সালে মাত্র কয়েক সপ্তাহে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করার বিষয়টি উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এখনও নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। এই পরিস্থিতিতে ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়ানোই নৈতিক দায়িত্ব বলে মত দেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, সীমিত সম্পদ ও সামর্থ্য সত্ত্বেও মানবিক বিবেচনায় তাদের জীবন রক্ষার জন্য রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এটি প্রমাণ করে যে মানবজাতির সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটে আমরা তাদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহানুভূতি দেখিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী সংকটের মুখে আর চুপ করে থাকা সম্ভব নয়। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর ভূমিকা অনেক বেশি জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।এ সময় দাতা, অংশীদার, জাতিসংঘ সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং বিশ্বব্যাপী বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর অব্যাহত সহায়তা, সহযোগিতা ও সংহতির প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন যা কক্সবাজারকে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে পরিণত করেছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রতিবছর প্রায় ৩২ হাজার নবজাতক জন্ম নিচ্ছে।
অন্যদিকে, মিয়ানমারে এখনো পাঁচ লাখেরও কম রোহিঙ্গা রয়েছে। এই চিত্র স্পষ্ট করে যে অব্যাহত নিপীড়নের কারণে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ছেড়ে যাচ্ছেন। গত আট বছরে বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী বিশাল ত্যাগ স্বীকার করে আসছেন বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, সম্পদ, পরিবেশ ও প্রতিবেশ, সমাজ ও শাসনব্যবস্থার ওপর এর বিরাট প্রভাব পড়েছে।
এর আগে, রোববার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শুরু হয়। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
১০২ দিন আগে
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংলাপে যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কক্সবাজারে আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডারস’ ডায়ালগে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে এই সংলাপে যোগ দিতে কক্সবাজার পৌঁছান তিনি। এদিন ১১টার দিকে তিন দিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়।
এতে মিয়ানমার ও আঞ্চলিক স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এবং বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা স্মরণ দিবস’ উপলক্ষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে মিয়ানমারে তাদের নিজ আবাসভূমিতে প্রত্যাবাসনের জন্য দৃশ্যমান আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা যা করছি, তা অব্যাহত রাখতে হবে।
রোববার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শুরু হয়। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রথম দিনের কর্মসূচিতে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশেষ ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আস্থা গড়ে তোলার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম এ সেশনে অংশ নেন। এতে আরও অংশ নেন কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবির থেকে আসা রোহিঙ্গা প্রতিনিধি এবং রোহিঙ্গা প্রবাসীরা।
সেশনটি পরিচালনা করেন রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ লাকি করিম, মোহাম্মদ রফিক (খিন মৌং) ও ওমর সালমা। এ সময় বক্তব্য রাখেন সয়েদুল্লাহ, ফুরকান মির্জা, আবদুল্লাহ, হুজ্জাউত উল্লাহ, সহাত জিয়া হিরো, আবদুল আমিন, জাইতুন নারা, জিহিন নূর, আবদুল্লাহ ও রো মুজিফ খান। রোহিঙ্গা প্রবাসীর সদস্যরাও আলোচনায় অংশ নেন। সেশনটি রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের জন্য নির্ধারিত থাকায় অন্য অংশগ্রহণকারীরা কেবল পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে সংলাপে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত থমাস এইচ অ্যান্ড্রুজ সেশনে যোগ দেন। এ ছাড়া ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন, সংবাদমাধ্যম, বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সেশনে অংশ নেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক (ভারপ্রাপ্ত) রানা ফ্লাওয়ার্স, মিয়ানমারের জন্য স্বাধীন তদন্ত সংস্থার প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান এবং ইউএনএইচসিআরের সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজুও।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদসহ প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও এ সংলাপে অংশ নেন।
১০২ দিন আগে
২৫ আগস্ট কক্সবাজার যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা কনফারেন্সে যোগ দিতে একদিনের সফরে কক্সবাজার যাবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু আবারও আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে কক্সবাজারে বড় পরিসরে রোহিঙ্গা কনফারেন্সের আয়োজন করা হচ্ছে। ২৪-২৬ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিন এ কনফারেন্স চলবে। প্রধান উপদেষ্টা ২৫ আগস্ট কনফারেন্সে যোগ দেবেন।
প্রেস সচিব জানান, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, দেশে ফেরত পাঠানো এবং আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রধান প্রধান সমস্যাগুলো কনফারেন্সে উঠে আসবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শফিকুল আলম আরও বলেন, 'এমন আরও দুটি কনফারেন্সের আয়োজন করা হবে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ জাতিসংঘে ১৭০ দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বড় পরিসরে কনফারেন্স হবে। এছাড়া কাতারের দোহায় আরেকটি কনফারেন্সের আয়োজন করা হচ্ছে।'
কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে ৪০ দেশের প্রতিনিধি থাকবেন। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতেরা কনফারেন্সে অংশ নেবেন বলে জানান প্রেস সচিব।
১০৫ দিন আগে
কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাটের ভেতরে ইয়াবা, আটক ২
কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাটের ভেতরে করে ইয়াবা বহনের অভিযোগে দুই পর্যটককে আটক করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময় একটি ক্রিকেট ব্যাট কেটে এর ভেতর থেকে ৫ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তল্লাশির সময় এ ঘটনা ঘটে, জানান কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—মাদারীপুর জেলার জাকির হোসেন (২৬) এবং বরিশাল জেলার তানভীর আহমদ (৩০)। এদের মধ্যে তানভীর কক্সবাজার বিমানবন্দরের চাকরিচ্যুত কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: যৌথবাহিনী অভিযানে লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন অস্ত্রসহ মাদকদ্রব্য জব্দ, আটক ৩
ওসি ইলিয়াস খান বলেন, ‘আটক হওয়া দুই যুবক বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলা বিমানের যাত্রী ছিলেন। তারা ফ্লাইটের সময় অনুযায়ী সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিমানবন্দরে আসেন। এ সময় বিমানবন্দরের কর্মীরা যাত্রীদের মালামাল তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। এতে ব্যাগ ও মালামাল স্ক্যানিং করার সময় ক্রিকেট ব্যাটের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় পাঁচ হাজার ১০০টি ইয়াবা পাওয়া যায়।’
তিনি জানান, আটকদের কক্সবাজার সদর থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১০৯ দিন আগে
কক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি চালকসহ নিহত ৪
কক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি ড্রাইভারসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রেন আটকে দেওয়ায় ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার (২ আগষ্ট) বেলা পৌনে ২টার দিকে রামুর রশিদনগর রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান। তিনি বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ছিটকে যায়। এতে চালক শাহাব উদ্দিন, যাত্রী মর্জিনা ও তার শিশুসন্তানসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক যাত্রী মারা গেছেন। তবে একজনের পরিচয় শনাক্ত করার সম্ভব হয়নি।
ওসি তৈয়বুর রহমান আরও জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে যাত্রী কক্সবাজার শহরে যাচ্ছিলেন। পথে রামুর রশিদনগর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এর আগেও ওই ক্রসিংয়ে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু, রেললাইন অবরোধ
এদিকে এই ঘটনার পর পর স্থানীয় উত্তেজিত জনতা রেল লাইনের উপর অবস্থান নিলে দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা রেল চলাচল বন্ধ ছিল এবং আটকে রাখা হয় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি।
পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন জানান, বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রেন আটকে দেওয়ার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও র্যাবের সহযোগিতায় বিকাল ৫টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতাদের রেল পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
১২৪ দিন আগে
রামুতে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩, আহত ৭
কক্সবাজারের রামুতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ক্যাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে বাবা ও ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাত যাত্রী।
সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামু রশিদ নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে তিন যানবাহনের সংঘর্ষে নিহত ১
নিহতরা হলেন— কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের হাবিব উল্লাহ, তার ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও রামুর পূর্ব রাজারকুলের রিমঝিম বড়ুয়া। নিহত এবং আহতরা সবাই বাসের যাত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি নাছির উদ্দিন বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী পুরবী পরিবহনের একটি বাস এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ক্যাভার্ডভ্যান রামু রশিদনগর এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এর ফলে বাসটি সড়ক থেকে খাদে পড়ে যায় এবং ক্যাভার্ডভ্যানটি সড়কের পাশে একটি গাছে আটকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন বাসযাত্রী নিহত হন। আহত সাতজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাস ও ক্যাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনাকবলিত যান দুটি উদ্ধারের কাজ চলছে।
১৭২ দিন আগে
যাত্রাপথে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল, দুর্ভোগে ৮ শতাধিক যাত্রী
কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকাগামী আট শতাধিক যাত্রী।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ স্টেশনে ট্রেনটি আটকা পড়ে বলে জানান কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী।
তিনি জানান, ট্রেনটিতে ২৩টি বগিতে প্রায় আট শতাধিক যাত্রী অবস্থান করছেন।
সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে গোলাম রব্বানী বলেন, ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আইকনিক স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুর দেড়টার দিকে ইসলামাবাদ স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে আটকা পড়েন আট শতাধিক পর্যটক।’
আরও পড়ুন: এবার ভারতে যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত ৭
ট্রেনটির ইঞ্জিনের মোটর পুড়ে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
আইকনিক স্টেশন ম্যানেজার আরও বলেন, ‘কক্সবাজার স্টেশনে কোনো ধরনের রিলিফ ট্রেন বা লোকোসেড নেই। এতে ট্রেনটি চালু করতে চট্টগ্রাম থেকে ইঞ্জিন আনতে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে। ইঞ্জিনটি নিয়ে এরমধ্যেই একটি রিলিফ ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ইসলামাবাদ স্টেশনের দিকে রওনা দিয়েছে।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক এবিএম কামরুজ্জামান বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে নতুন ইঞ্জিনসহ একটি রিলিফ ট্রেন রওনা হয়েছে। বিকল হওয়া ইঞ্জিনটি সরিয়ে নতুন ইঞ্জিন সংযোগের পরই কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।
১৭২ দিন আগে
কক্সবাজার থেকে উড্ডয়নের পর খুলে পড়ল বিমানের চাকা
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের চাকা খুলে নিচে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীর ইউএনবিকে ফোনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কী কারণে এমনটি ঘটেছে, তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর বলা যাবে। তবে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি নিরাপদে ল্যান্ড করেছে।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানে বহু ফ্লাইট বাতিল, বিমানবন্দর বন্ধ
এদিকে, কক্সবাজার এয়ারপোর্ট কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আকাশে উড্ডয়নের পরই পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। আজ দুপর ১টা ১৭ মিনিটে বিজি ৪৩৬ বিমানটি ৭১ যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করে এবং ২ টা ১৭ মিনিটে বিমানটি নিরাপদে ঢাকায় অবতরণ করেছে।
২০২ দিন আগে