কক্সবাজার
কক্সবাজারে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে পেকুয়া এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কের ধনিয়াকাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লা রাজশান এলাকার সারমিন আক্তার (২৯), হাটাহাজারী এলাকার ফিরোজ আহমদ (৪৫) তারা দুজনে স্বামী-স্ত্রী। এছাড়াও টইটং ইউনিয়নের ধন্যাকাটা আবদুল্লাহপাড়া নতুনপাড়ার মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক মনিরুল মান্নান (২২)। অপরজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা জানান, লাশ উদ্ধার এবং গাড়িগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২ দিন আগে
কক্সবাজার ইনানী সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ: ঘুরে আসুন প্রবাল পাথুরে সৈকতে
বিশ্ব পর্যটনের বিস্তৃত পরিমণ্ডলে এক টুকরো বাংলাদেশ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্রসৈকত হিসেবে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এটি শুধু বাংলাদেশ নয় বরং পৃথিবীর অসংখ্য সমুদ্র প্রেমীদের প্রিয় গন্তব্যস্থল। শুধু বঙ্গোপসাগরের প্যানোরামাকে চোখে ধারণ করেই কাটিয়ে দেওয়া যায় পুরো একটি বিকেল। এমন প্রশান্ত দৃশ্যকল্পের সবটুকুই দৃষ্টিগোচর হয় ইনানী সৈকতে। কক্সবাজারের দীর্ঘ সৈকতেরই এই অংশ দর্শনার্থীদের দেয় প্রকৃতির সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কাটানোর অভাবনীয় সুযোগ। চলুন, বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান কক্সবাজার ইনানী বীচে ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।
ইনানী সমুদ্রসৈকতের অবস্থান
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের জেলা কক্সবাজারের অন্তর্গত উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত সৈকত ইনানী। কক্সবাজার সদর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণের এই প্রবাল সৈকতটিতে পৌঁছাতে হিমছড়ি ছাড়িয়ে আরও ১৫ কিলোমিটার যেতে হবে।
১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতের আরও একটি নাম পাথুরে সৈকত। বিংশ শতকের একদম শেষ দিকে ধীরে ধীরে এটি পর্যটকদের নজরে আসতে শুরু করে।
আরো পড়ুন: কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ভ্রমণ গাইড
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ইনানী সমুদ্রসৈকত যাওয়ার উপায়
বাসযাত্রার ক্ষেত্রে সরাসরি কক্সবাজারের বাস পাওয়া যাবে ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর,যাত্রাবাড়ী,ফকিরাপুল অথবা কলাবাগান থেকে। বাস কোম্পানি এবং ধরণ (এসি/নন-এসি) ভেদে প্রতি জনের জন্য ভাড়া পড়তে পারে ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এভাবে কক্সবাজার যেতে সময় লাগতে পারে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা।
যারা ট্রেনে যেতে ইচ্ছুক তাদের বিমানবন্দর বা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজারের ট্রেন ধরতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সিটে যাত্রীপ্রতি ভাড়া পড়বে ন্যূনতম ৬৯৫ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৮০ টাকা। রেলপথে কক্সবাজার পর্যন্ত যেতে প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লাগবে।
এছাড়া কক্সবাজারের সরাসরি বিমানও রয়েছে, যেগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় নেয় মাত্র ১ ঘণ্টা।
কক্সবাজার থেকে ইনানী যেতে হয় মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে। এর জন্য চাঁদের গাড়ি, ছাদ খোলা জিপ, ট্যুরিস্ট জিপ ও মাইক্রোবাসের মতো বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় পরিবহন রয়েছে। এগুলো সবই সুগন্ধা পয়েন্টে ভিড় করে থাকে। ১০ থেকে ১২ জনের বড় গ্রুপ হলে ইনানী যাওয়ার জন্য পুরো একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। একটানা ভ্রমণে ইনানী বিচ পর্যন্ত যেয়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘুরে আসা সম্ভব।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
এছাড়া রয়েছে অ্যাকোয়াহলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভান নামে ছাদ খোলা ডাবল ডেকার বাস। শুধু মেরিন ড্রাইভে যাতায়াতের উদ্দেশ্যে বানানো এই পরিবহনে করে বেশ আরামদায়কভাবে ইনানী পর্যন্ত যাওয়া যায়।
ইনানী সৈকতের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ
৮০ কিলোমিটারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে সর্বাধিক সুন্দর দর্শনীয় স্থান হচ্ছে ইনানী বিচ। এখানকার বিশেষত্ব হচ্ছে ভাটার সময় সৈকত জুড়ে প্রবাল পাথর এবং শান্ত সাগর। জোয়ারের সময় এই পাথরগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। পাথরগুলোর সর্বাঙ্গ জুড়ে থাকে ধারালো ঝিনুক আর শামুক।
এখানকার শান্ত পরিবেশে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা আর কোনো সৈকতে পাওয়া যায় না। এছাড়াও দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য এখানে নানান ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
আরো পড়ুন: বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ: ঘুরে আসুন দ্বিতীয় সাজেক
সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বালুকাময় তীর ধরে ঘোড়ায় চড়া সঙ্গে দক্ষ গাইড থাকায় নতুন বা অভিজ্ঞ যেকোনো রাইডারের জন্যই এই অভিজ্ঞতা বেশ উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
এর থেকে আনন্দটা আরও একধাপ বেড়ে যায় জেট স্কিইং-এর সময়। কেননা এখানে যুক্ত হয় বঙ্গোপসাগরে ছুটে বেড়ানোর দুঃসাহস আর রোমাঞ্চের উত্তেজনা। সাধারণত স্কিইং করার সময় জেটে রাইডারের সঙ্গে একজন দক্ষ প্রশিক্ষক থাকেন। তবে দর্শনার্থীদের যারা অভিজ্ঞ তারা একা একাও স্কিইং করতে পারেন।
ইনানী পর্যন্ত যাওয়ার সময়টাও বেশ চিত্তাকর্ষক। কেননা যাত্রাপথে একে একে পেরিয়ে যায় হিমছড়ি পাহাড়,পথের ধারে সাম্পান নৌকা আর নারিকেল বা ঝাউ গাছের ফাঁক দিয়ে দীর্ঘতম উপকূলরেখার দৃশ্য।
ইনানী সৈকত ভ্রমণের সেরা সময়
নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার এবং রৌদ্রোজ্জ্বল থাকায় এই মৌসুম ইনানী ঘুরতে যাওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময়। ভারি বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা না থাকায় রৌদ্র ও সমুদ্রস্নান এবং জেট স্কিইংয়ের জন্য এই আবহাওয়াটি সবচেয়ে উপযুক্ত।
আরো পড়ুন: ভিয়েতনামের হা লং বে দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণ: ঘুরে আসুন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
এই অনুকূল আবহাওয়ার জন্য বিশেষত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। অবকাশ যাপনের বিভিন্ন সেবা বিশেষ করে হোটেল ভাড়া থাকে সবচেয়ে বেশি।
তাই বাজেট ভ্রমণপিপাসুরা আরামদায়ক উষ্ণতার পাশাপাশি কম খরচে ভ্রমণ করতে বেছে নিতে পারেন নভেম্বরের শেষ বা মার্চের প্রথম দিকটা।
এখানে খেয়াল রাখতে হবে যে, বিকেলের দিকে জোয়ারের কারণে পিক টাইমেও মানুষের ভিড় হাল্কা থাকে।
অপরদিকে, প্রবাল দেখার জন্য ভাটা পর্যন্ত অপেক্ষার বিষয় আছে। তাই ইনানী ভ্রমণের জন্য নিদেনপক্ষে একটি দিন থাকার পরিকল্পনা নিয়ে আসা উচিত। এতে ভোরে সূর্যোদয় আর সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখারও সুযোগ থাকে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের পাতায়া ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
৩ সপ্তাহ আগে
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ভ্রমণ গাইড
বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে প্রতিধ্বনির মতোই ধ্বনিত হয় কক্সবাজারে অবস্থিত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের কথা। বঙ্গোপসাগরের ফেনীল জলরাশিকে দৃষ্টি সীমায় রেখে এই সৈকত ধরে টেকনাফ পর্যন্ত রচনা করা যায় এক অতুলনীয় ভ্রমণের উপাখ্যান। বালুকাবেলার শুভ্রতার সঙ্গে সারি বেঁধে দাঁড়ানো ঝাউ গাছের গাড় সবুজ; এরই মাঝে হঠাৎ একঝাঁক দুধ রঙা পাখি যেন প্রকৃতির এক অদ্ভূত খেয়াল। এমন প্রাকৃতিক নৈসর্গকে প্রাণভরে উপভোগের জন্য এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সদ্য নির্মিত মেরিন ড্রাইভ। অপার সম্ভাবনাময় সড়কটি উপকূল ভ্রমণকে এক অপূর্ব মাত্রা দিয়েছে। চলুন, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কপথটি দিয়ে সৈকত ভ্রমণের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মেরিন ড্রাইভ সড়কের অবস্থান
বিখ্যাত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিই মেরিন ড্রাইভ। এর শুরু হয়েছে কক্সবাজারের কলাতলী মোড়ে আর শেষ হয়েছে টেকনাফের শাপলা চত্বরের জিরো পয়েন্টে।
মেরিন ড্রাইভের নির্মাণ ও তাৎপর্য
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে এই দৃষ্টি নন্দন সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০১৭ সালের ৬ মে সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ২০১৮-এর ২৬ জুন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সড়কটিকে সংরক্ষিত পর্যটন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। শুধু পর্যটনই নয়, এই সড়ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি,পরিবহন খাতে উন্নতি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি মঞ্চ স্থাপিত হয়েছে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ যাওয়ার উপায়
এই সড়ক পরিদর্শনের জন্য প্রথমে সরাসরি কক্সবাজার চলে আসতে হবে। ঢাকার ফকিরাপুল, কলাবাগান, কল্যাণপুর, গাবতলী ও যাত্রাবাড়ী থেকে কক্সবাজারের নিয়মতি বাস রয়েছে। শ্রেণি ভেদে এগুলোর টিকিট মূল্য জনপ্রতি ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। বাস যোগে কক্সবাজার আসতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে।
ট্রেনে আসার ক্ষেত্রে কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরাসরি কক্সবাজারের ট্রেন রয়েছে। সিটের ধরনভেদে যাত্রীপ্রতি ভাড়া পড়ে ৬৯৫ থেকে ২ হাজার ৩৮০ টাকা। আর কক্সবাজার পৌঁছতে সময় নেয় প্রায় ৯ ঘণ্টা।
আরও দ্রুততম সময়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট ব্যবস্থা। প্লেন যাত্রার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছা যায়।
কক্সবাজার পৌঁছার পর মেরিন ড্রাইভে যাওয়ার চাঁদের গাড়ি, ট্যুরিস্ট জিপ, ছাদ খোলা জিপও মাইক্রোবাস পাওয়া যাবে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে। পর্যটন মৌসুমের ওপর ভিত্তি করে এই পরিবহনগুলোর ভাড়া কম-বেশি হয়ে থাকে। বিশেষত অফ সিজনে চান্দের গাড়ি ভাড়া ৬ হাজার টাকা, সেখানে পিক টাইমগুলোতে পড়বে প্রায় ৭ হাজার টাকা। খোলা জিপ বা চান্দের গাড়িগুলোতে ১০ থেকে ১২ জন পর্যন্ত এক সঙ্গে যাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ: ঘুরে আসুন দ্বিতীয় সাজেক
পুরো মেরিন ড্রাইভ ঘুরে আসতে সময় লাগে প্রায় ৫ ঘণ্টা। সময় সংকুলান না হলে পুরোটা না ঘুরে হিমছড়ি বা ইনানী বিচ পর্যন্ত যেয়ে ফিরে আসা যেতে পারে।
৩ সপ্তাহ আগে
কক্সবাজারে মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ
কক্সবাজারে মাদকের টাকা দিতে না পারায় মাকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটায় কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার পর নিজেই সদর থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অভিযুক্ত ছেলে আবিদ।
নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী ও অভিযুক্ত ছেলে হোসাইন মোহাস্মদ আবিদ (২৮)।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, এক যুবক মাকে হত্যা করেছে বলে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পণকারী যুবক থানায় এসে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, ‘মাদকের টাকা না দেওয়ায় সে নিজেকে সামলাতে না পেরে নিজে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। পরে মায়ের মৃত্যু হওয়ায় তার নিজেকে অপরাধী মনে হতে থাকে। তাই তিনি নিজেই শাস্তি পেতে থানায় হাজির হন।’
ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ জানান, লাশের সুরতাহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আবিদ প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য মাকে অত্যাচার করতেন। শুক্রবার রাতে মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তিনি। হত্যাকাণ্ডের সময় আবিদ ও তার মা ঘরেই ছিলেন। তার অসুস্থ বাবা নিয়াজ আহমেদ চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেয়ের বাসায় রয়েছেন।
৪ সপ্তাহ আগে
কক্সবাজারে এএসআই'র বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ
কক্সবাজার টেকনাফে ঘুষের টাকা না পেয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মুবিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
ভুক্তভোগী নারী টেকনাফ শামলাপুল শীলখালী এলাকার প্রবাসী রহমত উল্লাহর স্ত্রী শারমিন।
অভিযোগ বলা হয়, ১৬ অক্টোবর ওই প্রবাসীর বাড়িতে স্বত্ব দখলের জমির ঘেরা-বেড়া ও ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে একদল দুর্বৃত্ত। আতঙ্কিত প্রবাসীর পরিবার পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চান। তখন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তদন্তের নামে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আব্দুল মুবিন ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নেন। পরে ১৮ অক্টোবর সহকারী এএসআই’র ব্যক্তিগত নাম্বার থেকে ফোন করে সুষ্ঠু বিচার দেওয়ার নামে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলে যাওয়ার জন্য কু-প্রস্তাব দেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘বিচার পাইয়ে দেওয়ার নামে আমার কাছ থেকে দুই দফা টাকা নেন মুবিন স্যার। এরপর আমাকে অনেকদিন ঘুরান। পরে তিনি আমাকে আবাসিক হোটেলে যাওয়ার কথা বলেন। যা আমার কাছে ডকুমেন্টস আছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী এএসআই আব্দুল মুবিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তার কথাই হয়নি। সম্পূর্ণ ভুয়া।’
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ওই নারীর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাকিল আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এ সময় তিনি সঠিক বিচারের আশ্বাস দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।’
১ মাস আগে
চুনতিতে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি নিহতের ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত
কক্সবাজারের চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় ১৪ অক্টোবর এক হাতির মৃত্যুর ঘটনায় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের লোকোমাস্টার জামাল উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ২৩ অক্টোবর এ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
পরিবেশ উপদেষ্টার অনুরোধের পর, অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান এলাকায় বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় ট্রেনের গতি ২০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে (চট্টগ্রাম) আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ (চট্টগ্রাম) এবং বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (লোকো (চট্টগ্রাম)।
বর্ণিত দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অন্যদিকে, চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেড এবং আশপাশের এলাকায় হাতির সুরক্ষা ও মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনের বিষয়ে সুপারিশমালা প্রদানের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে।
এছাড়াও, উপদেষ্টার নির্দেশে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো চট্টগ্রামের আকবার শাহ এলাকায় পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান।
১ মাস আগে
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
কক্সবাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
উখিয়ার ১৪ এবং ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনভর দুই পক্ষের এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
গুলিবিদ্ধরা হলেন- উখিয়ার পালংখালীর মোহাম্মদ বেলাল (৩৯), উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেন ডি-৭ ব্লকের বাসিন্দা ওমর ফারুক (৩০), একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৩ ব্লকের বাসিন্দা মো. ইউনুস (২৫), উখিয়ার ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা আবদুল্লাহ (১৮) ও একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হামিদা (৫০)।
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে কে বা কারা গুলি করেছে সেটি জানা যায়নি।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশি একজন আহত হয়েছেন।
তাছাড়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাসকারীরা বেশ আতঙ্কে আছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গোলাগুলির কারণে আতঙ্কিত স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছে। তাছাড়া তারা ঘর থেকে জরুরি কাজ ছাড়া বের হচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ২
২ মাস আগে
কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও ট্রলারডুবিতে নিহত ১২, নিখোঁজ ৫ শতাধিক জেলে
কক্সবাজারে টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে এবং বৈরী আবহাওয়ায় ট্রলারডুবিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ট্রলারসহ ৫ শতাধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে কক্সবাজারে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারডুবিতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জেলের। এছাড়া টেকনাফের বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে এক শিশু।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ইনানী থেকে দুইটি লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় মেলেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈকতকর্মীদের ইনচার্জ মাহবুব।
তিনি জানান, ইনানী পাটোয়ার টেক বিচের পাশাপাশি জোয়ারের পানির সঙ্গে দুইজনের লাশ ভেসে আসে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর আগে শহরের সমিতি পাড়া থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইনানী থেকে শুক্রবার বিকালে আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়ীতে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংষর্ষে চালক নিহত ইউএনবি নিউজ গাইবান্ধা
শুক্রবার কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্টের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ২৩ জেলেসহ এফবি রশিদা নামে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে জামাল নামের এক জেলে নিহত হন। জীবিত অবস্থায় ১৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, দুই দিনে ইনানী থেকে তিনজন, কলাতলী থেকে একজন ও সমিতি পাড়া থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই পাঁচজনের লাশ সাগর থেকে ভেসে এসেছে।
সাগরে ট্রলারডুবির কারণে এসব জেলের মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কক্সবাজারের সদরের ঝিলংজায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আখি মনি এবং তার দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিমপাড়ায় ক্যাম্পে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
৩ মাস আগে
কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে ১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩
কক্সবাজারে শহরের লাবণী পয়েন্টের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবিতে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন জেলে।
আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লাবনী পয়েন্টের কাছাকাছি সাগরে ২৪ জেলেসহ এফবি রশিদা নামের ট্রলারটি ডুবে গেলে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত জেলের নাম জামাল বলে জানা গেছে। তিনি চট্টগ্রাম লোহাগাড়ার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সি সেইফ লাইফ গার্ডের সিনিয়র ইনচার্জ ওসমান গনী।
আরও পড়ুন: মোংলা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি
তিনি জানান, ঝরের কবলে পড়ে একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটি আমরা দেখতে পেলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করি। উদ্ধারের মধ্যে একজন গুরুতর আহত জামালকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আহত জেলেদের সঙ্গে কথা বলেছি, ঐ ট্রলারে ২৩জন জেলে ছিল। মূলত তারা ঝরের কবলে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসকের পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন বলেন, ঝড় ও বাতাসের কবলে পড়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ট্রলারটি সাগরের কূলে আছে। এই ঘটনায় ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজন নিহত হয়েছেন। আহত জেলেরা বলছে কয়েকজন নিখোঁজ আছেন। আহত জেলেরা সুস্থ হলে তাদের সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ৮ জেলে, জীবিত উদ্ধার ৫
৩ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিমপাড়ায় ক্যাম্পে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম, আব্দুল হাফেজ ও আব্দুল ওয়াহেদ।
কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, জেলায় পাহাড় ধসে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি ও ৩ জন রোহিঙ্গা।
৩ মাস আগে