কক্সবাজার
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
কক্সবাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
উখিয়ার ১৪ এবং ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনভর দুই পক্ষের এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
গুলিবিদ্ধরা হলেন- উখিয়ার পালংখালীর মোহাম্মদ বেলাল (৩৯), উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেন ডি-৭ ব্লকের বাসিন্দা ওমর ফারুক (৩০), একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৩ ব্লকের বাসিন্দা মো. ইউনুস (২৫), উখিয়ার ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা আবদুল্লাহ (১৮) ও একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হামিদা (৫০)।
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে কে বা কারা গুলি করেছে সেটি জানা যায়নি।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশি একজন আহত হয়েছেন।
তাছাড়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাসকারীরা বেশ আতঙ্কে আছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গোলাগুলির কারণে আতঙ্কিত স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছে। তাছাড়া তারা ঘর থেকে জরুরি কাজ ছাড়া বের হচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ২
৪ দিন আগে
কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও ট্রলারডুবিতে নিহত ১২, নিখোঁজ ৫ শতাধিক জেলে
কক্সবাজারে টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে এবং বৈরী আবহাওয়ায় ট্রলারডুবিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ট্রলারসহ ৫ শতাধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে কক্সবাজারে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারডুবিতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জেলের। এছাড়া টেকনাফের বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে এক শিশু।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ইনানী থেকে দুইটি লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় মেলেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈকতকর্মীদের ইনচার্জ মাহবুব।
তিনি জানান, ইনানী পাটোয়ার টেক বিচের পাশাপাশি জোয়ারের পানির সঙ্গে দুইজনের লাশ ভেসে আসে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর আগে শহরের সমিতি পাড়া থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইনানী থেকে শুক্রবার বিকালে আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়ীতে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংষর্ষে চালক নিহত ইউএনবি নিউজ গাইবান্ধা
শুক্রবার কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্টের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ২৩ জেলেসহ এফবি রশিদা নামে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে জামাল নামের এক জেলে নিহত হন। জীবিত অবস্থায় ১৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, দুই দিনে ইনানী থেকে তিনজন, কলাতলী থেকে একজন ও সমিতি পাড়া থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই পাঁচজনের লাশ সাগর থেকে ভেসে এসেছে।
সাগরে ট্রলারডুবির কারণে এসব জেলের মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কক্সবাজারের সদরের ঝিলংজায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আখি মনি এবং তার দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিমপাড়ায় ক্যাম্পে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
১ মাস আগে
কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে ১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩
কক্সবাজারে শহরের লাবণী পয়েন্টের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবিতে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন জেলে।
আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লাবনী পয়েন্টের কাছাকাছি সাগরে ২৪ জেলেসহ এফবি রশিদা নামের ট্রলারটি ডুবে গেলে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত জেলের নাম জামাল বলে জানা গেছে। তিনি চট্টগ্রাম লোহাগাড়ার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সি সেইফ লাইফ গার্ডের সিনিয়র ইনচার্জ ওসমান গনী।
আরও পড়ুন: মোংলা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি
তিনি জানান, ঝরের কবলে পড়ে একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটি আমরা দেখতে পেলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করি। উদ্ধারের মধ্যে একজন গুরুতর আহত জামালকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আহত জেলেদের সঙ্গে কথা বলেছি, ঐ ট্রলারে ২৩জন জেলে ছিল। মূলত তারা ঝরের কবলে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসকের পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন বলেন, ঝড় ও বাতাসের কবলে পড়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ট্রলারটি সাগরের কূলে আছে। এই ঘটনায় ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজন নিহত হয়েছেন। আহত জেলেরা বলছে কয়েকজন নিখোঁজ আছেন। আহত জেলেরা সুস্থ হলে তাদের সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ৮ জেলে, জীবিত উদ্ধার ৫
১ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিমপাড়ায় ক্যাম্পে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম, আব্দুল হাফেজ ও আব্দুল ওয়াহেদ।
কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, জেলায় পাহাড় ধসে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি ও ৩ জন রোহিঙ্গা।
১ মাস আগে
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ২ শিশু কন্যাসহ মায়ের মৃত্যু
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ঝিলংঝা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি মনি এবং তাদের দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম।
নিহত আঁখি মনির শাশুড়ি বলেন, রাতে ২টার দিকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। সে সময় মিজানের বাড়ির দিক থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। গিয়ে দেখেন পাহাড় ধসে সপরিবারে মাটিচাপা পড়েছেন মিজান। তাৎক্ষণিকভাবে মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের উদ্ধার করা যায়নি।
পরে দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে স্ত্রী ও দুই শিশু মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, মিজানের বাড়িটি পাহাড়ের পাদদেশে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে পাহাড় ধসে তার বাড়িতে পড়ে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতউল গনি ওসমানী জানান, একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তিনি ভারি বর্ষণের এই সময়ে পাহাড়ে বসবাসকারী সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে অনুরোধ জানান।
১ মাস আগে
কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৮
কক্সবাজারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে অবৈধ দেশি-বিদেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: উদ্ধার হয়েছে লুট হওয়া ৩৮৮০ অস্ত্র
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদরের পিএমখালীর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারা হলেন- কলিম উল্লাহ (৩৪), মো. খোরশেদ আলম (৩৭), মো. হাসান শরীফ লাদেন (২০), মো. শাহিন (২৩), মো. মিজান (২০), আব্দুল মালেক (৪৮), আব্দুল হাই (২৪) ও আব্দুল আজিজ (২৫)।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে পরিত্যক্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
১ মাস আগে
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে কলেজছাত্র নিখোঁজ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে আতহার নূর কায়েম(১৭) নামে এক কলেজছাত্র নিখোঁজ হয়েছে।
শুক্রবার (১৬আগস্ট) সকালে কলাতলী সমুদ্র তীরে এই ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থী উখিয়া বালুখালী এলাকার বশির আহমেদের ছেলে। নিখোঁজ আতহার নূর কায়েম কক্সবাজার ডিসি কলেজের ২০২৪ সালের এইচএসসি পরিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিচকর্মী শফিউল করিম।
আরও পড়ুন: মিঠামইন হাওরে গোসল করতে নেমে তরুণ নিখোঁজ
তিনি বলেন, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে আসে। ফুটবল খেলা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নামলে স্রোতে ভেসে যায় ওই শিক্ষার্থী। বিষয়টি আমাদের জানালে তাৎক্ষণিক ‘সি লাইফ গার্ড’ নিয়ে আমরা উদ্ধার কাজে নামি। এখনো উদ্ধার কার্যক্রম চলমান। তবে এখন পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ ওই শিক্ষার্থীর বাবা বশির আহমেদ বলেন, আমরা সবাই ঘুমে ছিলাম। আমার অজান্তেই ছেলে ঘুম থেকে উঠে সমুদ্রে চলে আসে। ঘুম থেকে উঠে শুনি আমার 'ধন' সাগরে ভেসে গেছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ৮ জেলে, জীবিত উদ্ধার ৫
২ মাস আগে
ফিরলেন ৪৫ বাংলাদেশি, গেলেন ১৩৪ সেনা ও বিজিপি সদস্য
নাগরিকত্ব যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর দেশে ফিরেছেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কারাগারে বন্দি ৪৫ জন বাংলাদেশি।
একইসঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী (বিজিপি) ও অন্য বাহিনীর ১৩৪ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে ফিরলেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক, বন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা
শনিবার (৮ জুন) সকালে মিয়ানমারের জাহাজ ইউএমএস শিন ডুইন ৪৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে শনিবার সিট্যুয়ে বন্দর থেকে রওনা হয়ে কক্সবাজার বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে পৌঁছে এবং রবিবার (৯ জুন) মিয়ানমারের ১৩৪ সেনা ও অন্যান্যদের নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করে।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলো।
মিয়ানমার অনুবিভাগের সমন্বয়ে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও সিট্যুয়ের বাংলাদেশ কনসুলেটের কর্মকর্তারা সশরীরে সিট্যুয়েতে অবস্থান করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়, সাক্ষাৎকার ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া ও ট্রাভেল পারমিট দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি
৪ মাস আগে
কক্সবাজারে বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক এলাকায় সমুদ্রের ঢেউ থেকে বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে সিফাত আলম (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনের হুদেইদায় মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলায় নিহত ১৬
সিফাত কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুস আলমের ছেলে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল আক্তার কামাল বলেন, দুপুরের দিকে নাজিরারটেক এলাকায় দুই ভাই বাটা জাল নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার একপর্যায়ে বড় ভাই সমুদ্রের ঢেউয়ের কবলে পড়ে ভেসে যায়। বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে সাগরে তলিয়ে যায় সিফাত। পরে স্থানীয় জেলেরা দুই ভাইকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে ছোট ভাই সিফাতের মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, সমুদ্রে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে নৌকাডুবিতে ২০ জন নিহত
সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ২ জন নিহত
৪ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজারে প্রস্তুত ৬৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় কক্সবাজারে ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি। এছাড়া খোলা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম।
এছাড়া ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২ হাজার ২০০ সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার (২৫মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের কার্যালয়ে শহীদ জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এ সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
এসময় মুহম্মদ শাহীন ইমরান দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রস্তুতির তথ্য শোনার পর বলেন, সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি হোটেল-মোটেল জোনও যেন প্রয়োজন মোতাবেক দুর্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়ায় সেই অনুরোধ করেন। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, ফায়ার সার্ভিসকে জরুরি রেসকিউর জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড় ধস এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে তাদের সরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরদের বলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খাবার ও খিচুড়ির ব্যবস্থা করতে পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, হামুন, মোখাসহ অনেক ঘূর্ণিঝড় আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করেছি। এবারও আশা করছি সবাই একসঙ্গে কাজ করব। প্রান্তিক মানুষদের সচেতনতা ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে নিরাপদে রাখার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়াও রাতে রিচার্জেবল লাইট ব্যবহারের নির্দেশ দেন।
জেলা সিপিপির উপপরিচালক বলেন, সচেতন রয়েছে ৭টি উপজেলায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা। ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক পুরো কক্সবাজার জেলা-উপজেলায় কাজ করছে। ১৩০০ ভলান্টিয়ার কক্সবাজারে রয়েছে। ৪ নম্বর সিগন্যাল পাওয়ার পরপরই প্রচারণায় বেরিয়ে পড়বে স্বেচ্ছাসেবক দল। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টের ৮৮০ ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে। প্রতি উপজেলায় ৫০ জন করে কর্মী রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২২শ' সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য।
দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে ৪৮৬ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, ঢেউটিন ২৩ বান্ডিল, টিনের সঙ্গে গৃহ নির্মাণ সামগ্রীর ৬৯ হাজার টাকা মজুত রয়েছে। তবে শুকনা খাবার মজুত নেই।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’: আতঙ্কে বাগেরহাটের উপকূলবাসী
৪ মাস আগে