মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশের রেলওয়ের বিশেষজ্ঞ দল একটি রেল ইঞ্জিন নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান।
গত ৮ অক্টোবর ভারতের রেলওয়ের বিশেষজ্ঞ দল একটি রেল ইঞ্জিন পরীক্ষামূলকভাবে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ১০ মিনিট অবস্থানের পর আবার তারা ফিরে যায়।
রেলের পশ্চিমাঞ্চল জোনের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল ট্রেনের একটি ইঞ্জিন নিয়ে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা ডাঙ্গাপাড়ার ৭৮২ মেইন পিলারের সাব পিলার-৭৮২/৩-এস পিলারের পাশ দিয়ে হুইসেল বাজাতে বাজাতে ভারতের দিকে রওনা হন।
এ সময় ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী জেপি শিং, উপ-প্রধান প্রকৌশলী ভিকেমিনা, নির্বাহী প্রকৌশলী পিকেজে, ভারতীয় ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার সন্দ্বীপ কুমার, প্রকল্প পরিচালক তপন দাস প্রমুখ।
বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চেীধুরী, নীলফামারী ৫৬ বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামুনুল হক মামুন, বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আল ফাত্তাহ্ মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান, বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশি ডিভিশনের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন। ৫৫ বছর পর আবারও এই রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের নব দিগন্তে সূচনা হবে।