নীলফামারী
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নীলফামারীতে পিকআপ ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।
বুধবার (২০ মার্চ) নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের জোড়দরগা মসজিদের সামনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নূরে আলম সিদ্দিকী মার্কেন্টাইল ব্যাংক নীলফামারী শাখার কর্মকর্তা। তিনি নওগাঁ জেলা সদরের খাস নওগাঁ গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বরিশালে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ নিহত ৪
অপর নিহত জলঢাকা উপজেলার মৎস্য কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. আবু তাহের জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালীপুর নিজপড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সিএনজি চালক মো. শাহাবুদ্দিন বর্তমানে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে সৈয়দপুর থেকে সিএনজিতে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তারা। এসময় জেলা শহরের জোরদারগা মসজিদের সামনে এলে পেছন থেকে একটি পিকআপ সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলে নূর আলম সিদ্দিকী ও আবু তাহের নামে দুই যাত্রী নিহত হন। গুরুতর আহত হন সিএনজি চালক শাহাবুদ্দিন।
পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার ও আহত সিএনজি চালককে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক মো. তানভীরুল ইসলাম জানান, ‘আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত পিকআপ ও চালকের অনুসন্ধান চলছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবরোধ কর্মসূচি
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসচালক নিহত
নীলফামারীর ডোমারে স্বাধীনতার পর থেকে নেই সেতু, ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোয় পারাপার
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সীমান্তঘেঁষা ইউনিয়ন ভোগডাবুড়ী। এখানে বুড়ি তিস্তা নদীর বুদুর ঘাটের অবস্থান। এই ঘাটে স্থায়ী কোনো সেতু নেই। ফলে ৬ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন তারা।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৫২ বছর ধরে তারা এই ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশুরা সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনা। এজন্য ভয়ে থাকেন অভিভাবকরা।
জানা গেছে, ভোগডাবুরী ও বড়শশী ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বুড়ি তিস্তা নদী। নদীর এপাড়ে শব্দিগঞ্জ, গোসাইগঞ্জ ও আনন্দবাজার এবং ওপাড়ে সর্দ্দারপাড়, জালিয়াপাড়া ও চিলাপাড়া। গ্রামের মানুষদের অন্য কোনো উপায় না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন।
আরও পড়ুন: ১৪ বছরেও হয়নি সেতু, ভেলায় চড়েই স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
নদীর এপাড়ে রয়েছে শব্দিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোসাইগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কারেঙ্গাতলী উচ্চ বিদ্যালয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করে বুদুরঘাটের বাঁশের সাঁকো দিয়ে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
ইউনিয়ন থেকে সংসদ নির্বাচনের সময় দেওয়া হয় আশ্বাস। বুদুরঘাটে সেতু নির্মাণ করা হবে- সেই বুকভরা আশা নিয়ে দুই পাড়ের মানুষ আজও দিন গুএনছেন।
শব্দিগঞ্জ গ্রামের হবিবর, অমিনুল ও তাইজদ্দনি বলেন, ‘নদীর ওপার থেকে ছেলে-মেয়েরা নড়বড়ে সেতু দিয়ে স্কুল কলেজে আসা-যাওয়া করে। প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।’
স্থানীয় সাংবাদিক কাজল বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এলাকাবাসী দাবি করে আসছে একটি সেতু নির্মাণের। ৫২ বছর পার হলেও কেউ শোনেননি তাদের কথা।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ২০ হাজার মানুষ
বড়শশী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য মঞ্জু ইসলাম বলেন, ‘নদীর দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি একটি সেতুর। ট্রেন-বাস ধরতে সেতু না থাকায় এলাকার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার মন্তব্য জানা যায়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ওই আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার জানান, ‘উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে তালিকা দেওয়া হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজটি করা হবে। আর নতুন চেয়ারম্যান এই বিষয়ে তালিকা করে পাঠালে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ৪৬ দিন পর ভেসে উঠল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
স্ত্রী ও ২ মেয়েকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার পর ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আশিকুর রহমান মোল্লা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের টেক্সটাইল এলাকার মোল্লাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২ সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
নিহতরা হলেন— আশিকুর রহমান মোল্লার স্ত্রী তহুরা বেগম (৩৫), তার দুই মেয়ে আয়শা আক্তার (৮) ও জেরিন আক্তার (৫)।
পুলিশ জানায়, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার পর ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আশিকুর। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার গোলাম সবুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, মাদকাসক্ত ও ঋণগ্রস্ত ছিলেন আশিকুর রহমান মোল্লা। এ কারণেই হয়তো তিনি স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
২০২৩ সালে সারাদেশে আত্মহত্যা করেছে ৫১৩ শিক্ষার্থী: আঁচল ফাউন্ডেশন
বিএনপি এখন বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করল: নীলফামারীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির মধ্যে এখন চরম হতাশা। তারা বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করল, নির্বাচন করলেই ভালো হতো।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্টেশনে, বন্দরে, বিয়ে-সাদীর অনুষ্ঠানে দেখা হলে কী ঘটনা জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন- সব উনি শেষ করেছেন। উনি কে, তারেক রহমান। কারণ আজকে বিএনপিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন এই তারেক রহমান।'
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ রয়েছে: জার্মান রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রবিবার নীলফামারী জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হাছান মাহমুদ এ সব কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ সমন্বয়কের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিকেলে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর হয়ে নীলফামারী পৌঁছান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখতে পেয়েছেন সমগ্র পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র শেখ হাসিনার সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করছে। এতেই বিএনপির মধ্যে হতাশা আরও গভীর হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকের সঞ্চালনায় বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: এই সরকার জনগণের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নীলফামারীতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
নীলফামারীর ডোমারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ডোমার-দেবিগঞ্জ সড়কে ডোমার সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০) পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের মৃত আবু তালেবের ছেলে এবং সেলিম জাহাঙ্গীর (৪০) দেবীগঞ্জ উপজেলার ঢাঙ্গীর হাট গ্রামের আবু বাকি বিল্লাহর ছেলে। নিহতরা সম্পর্কে চাচা-ভাইজতা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল চালক নিহত
স্থানীয়রা জানায়, ব্যবসায়িক কাজে দেবীগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলে করে ডোমার অভিমুখে যাচ্ছিলেন জাহাঙ্গীর ও সেলিম। এসময় ডোমার থেকে দেবীগঞ্জগামী মালবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে নিহত হন জাহাঙ্গীর হোসেন। আহত সেলিম জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. শাওন বলেন, আহত সেলিম জাহাঙ্গীরকে বিকাল সাড়ে ৪টায় মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ১০ বছরের শিশু নিহত, আহত ১
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, বিকাল ৪টায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থলে এবং সেলিম জাহাঙ্গীরকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
তিনি আরও বলেন, ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
নীলফামারীর জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় শনিবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জলঢাকা উপজেলার বলগ্রাম ইউনিয়নের রমিজ উদ্দিনের ছেলে সোহান (২২) ও তার ভাই রহমান (১৮) এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলার ধোরিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন (৪২)।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি দ্রুতগামী ট্রাক পিছন থেকে দুই ভাইদের বহনকারী একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তারা তাদের মামার বাড়ি যাচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ধোরিয়া বাজার এলাকায় একটি ট্রাক তার মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে আরেকটি দুর্ঘটনায় ইসমাইলের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
তিস্তার পানি বাড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
তিস্তা নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
বুধবার সংস্থাটি তার নিয়মিত বুলেটিনে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে। যা ৪৮ ঘণ্টার বেশি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: পানি বাড়ায় তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়ের জন্য কমলগঞ্জ পয়েন্টে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, খোয়াই ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি কমে যাচ্ছে এবং সোমেশ্বরী ও ধলাই নদীতে যা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলতে পারে।
সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন
তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
নীলফামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু
নীলফামারী সদরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ারমোড় দোলাপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লিমা আক্তার (৯) ওই গ্রামের এন্তাজুল ইসলামের মেয়ে এবং আরিফ হোসেন (৭) একই গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাত ভাই-বোন।
পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতে বাড়ির উঠানে খেলছিল ওই দুই শিশু। এ সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে টিনের ঘরের চালে পড়লে ওই ঘরের টিনের বেড়াসহ বিদ্যুতায়িত হয়। শিশু লিমা খেলার ছলে ওই টিনের বেড়া স্পর্শ করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে শিশু আরিফও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
এলাকাবাসীর ধারণা বিদ্যুৎ সংযোগে নিম্নমানের জোড়া লাগানো তার ব্যবহার করায় প্রচণ্ড তাপে সেটি ঘরের চালে ছিঁড়ে পড়ে।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিবারের অভিযোগ না থাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ওই দুই শিশুর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কচুয়াতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু
নীলফামারীতে কালবৈশাখী ঝড়: তিন উপজেলার দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
নীলফামারীতে ঝড়ে তিনটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেমাবার (১৫ মে) রাত ৯টার দিকে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ, টুপামারী ও জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে এই ঝড় বয়ে যায়।
এ সময় উপড়ে ও ভেঙে পড়ে অসংখ্য গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাঠে থাকা পাকা ধান, ভুট্টা ও কলা খেত।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে আকস্মিকভাবে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবল বেগে ঝড় বয়ে আসে। প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ওই ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও ঝড়েছে।
এ সময় জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি, টুপামারী ইউনিয়নের নিত্যানন্দী এবং জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।
এছাড়া ভেঙে ও উপড়ে পড়ে অসংখ্য গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার কলা খেত। এদিকে শিলাবৃষ্টিতে ঝড়ে পড়ে মাঠে থাকা পাকা বোরো ধান।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে বড়-ছোট গাছপালা। প্রবল বাতাসে এলাকার কলা ও ভুট্টা ক্ষেতের গাছ ভেঙে পড়েছে। পাশাশি শিলাবৃষ্টিতে বিচ্ছিন্নভাবে ঝড়ে পড়েছে মাঠের পাকা বোরো ধান।
আরও পড়ুন: ঘুর্ণিঝড়ের সময় জন্ম, নবজাতকের নাম রাখা হলো 'মোখা'
অপরদিকে জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতের ঝড়ে তার ইউনিয়নের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামে প্রায় ২৫টি কাচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিছিন্নভাবে ছোট-বড় গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে।
এদিকে ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। বিভিন্ন স্থাতে সঞ্চালন লাইনের তার ছিড়ে পড়লে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত।
বিদ্যুতের নেসকো নীলফামারী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজার এলাকায় কয়েকটি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের তার ছিঁড়ে গেছে। সেগুলো মেরামত কাজ চলছে। সন্ধ্যার মধ্যে শতভাগ মেরামত কাজ সম্পন্ন হবে।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ও টুপামারী ইউনিয়নের দুটি গ্রামের ওপর দিয়ে ওই ঝড় বয়ে যায়। এতে সামান্য কিছু ক্ষতি হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের কাজ চলছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপপরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে জেলা সদরের একটি গ্রামে দুই থেকে আড়াই বিঘা করে ধান ও কলা ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া মাঠে থাকা অন্যান্য ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
নীলফামারীতে চার মাসের শিশুকে হত্যার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
নীলফামারীতে চার মাস বয়সী শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ মে)দিবাগত রাত তিনটার দিকে নীলফামারী জেলা শহরের দক্ষিণ হাড়োয়া ফকিরগঞ্জ গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম ইয়াহিয়া খান। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন ওই শিশুটির বাবা মাদরাসা শিক্ষক সৈয়দ জাকারিয়া শেখ (৫৫)।
জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের মৃত ওমর আলী শেখের ছেলে মাদরাসা শিক্ষক একেএম জাকারিয়া শেখ।
জাকারিয়া শেখ সৈয়দপুর উপজেলার সোনাখুলি কামিল মাদরাসার প্রভাষক পদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ টিকটকার গ্রেপ্তার
রবিবার (১৪ মে) দুপুরে থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
এলাকাবাসী জানায়, চার মাস বয়সী শিশু সন্তান ইয়াহিয়া খান রাতে বাবা মায়ের কাছে ঘুমায়। রাত তিনটার দিকে মা আয়শা সিদ্দিকা মমতা ঘুম থেকে জেগে সন্তানের শরীর ঠান্ডা ও নিথর দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন।
এলাকাবাসী এগিয়ে এসে শিশুটিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়ে উপস্থিত লোকজনের সন্দেহ হলে বাবা একেএম জাকারিয়া শেখকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মামলা ও পারিবারিক সূত্র মতে, মাদরাসা শিক্ষক একেএম জাকারিয়া শেখের সঙ্গে আট বছর আগে বিয়ে হয় পৌর শহরের হাড়োয়া ফকিরগঞ্জ গ্রামের আয়শা সিদ্দিকা মমতার। ওই শিক্ষকের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হলে মমতাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
তেমনি আয়শা সিদ্দিকা মমতারও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক জাকারিয়া নিজ বাড়ি ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ওই গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।
নীলফামারী পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাহফুজার রহমান বলেন, জমি-জমা ও চার মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার ঘুমানোর পর রাত তিনটার দিকে আয়শা সিদ্দিকা মমতা ঘুম থেকে জেগে তার শিশু সন্তানের শরীর ঠান্ডা এবং নিথর দেখে চিৎকার শুরু করেন।
স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে পুলিশ শিশুটির বাবা একেএম জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করেন।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) পলাশ মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়শা সিদ্দিকা মমতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার প্রধান আসামি একেএম জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় শিকার করেছেন।
এছাড়া ওই মামলায় জাকারিয়ার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০) ও মেয়ে আয়শা সিদ্দিকাকে (২৬) আসামি করা হয়েছে।
এদিকে জাকারিয়ার প্রথম স্ত্রীর মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা প্রিয়াংকা মুঠো ফোনে বলেন, ‘সৎ মায়ের নানা অত্যাচারে আমার বাবা অনেকটা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিছুদিন আগেও আমি তাকে (বাবা) ঢাকায় এনে চিকিৎসা করাই। এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জোড়া খুন: স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৮