হাইতি হাসপাতাল
হাইতিতে হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় পুলিশ-সাংবাদিকসহ নিহত ৩
হাইতির সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালে বন্দুকধারীর হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতদের মধ্যে সাংবাদিক, পুলিশ রয়েছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশটির সবচেয়ে বড় হাসপাতালটি পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা গুলি চালালে সাংবাদিক, পুলিশ ও চিকিৎসাকর্মীদের অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবারের ওই হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কারে ট্রাকের ধাক্কায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, রাজস্থানে নিহত ৯
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এই ঘটনার এক প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায় ভবনের ভেতরে বেশ কয়েকজনকে আহত বা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
শহরের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গ্যাং দলের দখল ও ধ্বংস হওয়ার পরে জুলাইতে হাইতির সরকার অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করেছিল।
অস্ত্রধারীরা এমন সময় গুলি চালিয়েছিল যখন সাংবাদিকরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী লর্থ ব্লেমার আগমনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
খবরে বলা হয়, দুই সাংবাদিক ও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সহিংসতার প্রত্যক্ষদর্শী ফটো সাংবাদিক দিউগো আন্দ্রে হাইতিয়ান টাইমসকে বলেন, ‘এটি একটি ভয়ানক সিনেমার মতো দৃশ্য ছিল এটি।’
তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকজন আহত সাংবাদিকের রক্ত আমার পোশাকে লেগে আছে।’
জানা গেছে, ভিভ আনসানাম গ্যাংয়ের সদস্যরাই এই হামলা চালিয়েছে।
এক ভিডিও বিবৃতিতে হাইতির প্রেসিডেন্সিয়াল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রধান লেসলি ভলতেয়ার বলেন, 'আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি, বিশেষ করে হাইতি ন্যাশনাল পুলিশ এবং সকল সাংবাদিক সংগঠনের প্রতি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের গ্যারান্টি দিচ্ছি যে এই কাজটির জন্য আমরা শাস্তির ব্যবস্থা না নিয়ে বসে থাকব না।’
এপ্রিলে একটি নতুন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা এবং ছয় মাস আগে কেনিয়ার পুলিশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা সত্ত্বেও হাইতির জনগণ অসহনীয় মাত্রার দলবদ্ধ অস্ত্রধারীদের দ্বার হামলার শিকার হচ্ছেন।
২০২১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসকে হত্যার পর থেকে হাইতিতে গ্যাং সহিংসতা চলছে।
পোর্ট-অ-প্রিন্সের আনুমানিক ৮৫ শতাংশ এখনও গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে।
জাতিসংঘ বলছে, শুধু এ বছরই হাইতিতে সহিংসতায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং দেশটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ৩৫
১৬ ঘণ্টা আগে