শুক্রবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আশার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানানো হয়, আজ বিকালে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তিনি স্ত্রী ও তিন ছেলে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ লুৎফুল হক মারা গেছেন
সিরাজগঞ্জের সাবেক এমপি মজিদ মণ্ডল মারা গেছেন
সফিকুল হক ২০০৬-০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কৃষি, যুব, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৭৮ সালে আশা প্রতিষ্ঠা করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন।
সফিকুল হক ১৯৪৯ সালে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে, আশা’র প্রতিষ্ঠাতা সফিকুল হকেরমৃত্যুতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস শোকবার্তা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাইসউদ্দিন মারা গেছেন
প্রথম নৌপ্রধান নুরুল হক আর নেই
তিনি বলেন, ক্ষুদ্রঋণের জগতে তিনি আকস্মিকভাবে প্রবেশ করেছিলেন। তার সীমাহীন সাহসই ছিল তার মূল শক্তি। তার সাহস, নেতৃত্ব এবং ব্যবস্থাপনার দক্ষতায় তিনি দেরিতে ক্ষুদ্রঋণের কর্মকাণ্ডে যোগ দিলেও আশাকে অতিদ্রুত দেশের সবচাইতে অগ্রগামী দুটি প্রতিষ্ঠানের কাতারে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন।
‘তিনি শুধু দ্রুত গতিতে দেশের আনাচে কানাচে ক্ষুদ্রঋণ সম্প্রসারণ করতে পেরেছিলেন তা-ই নয়, তিনি অসম্ভব সাহস নিয়ে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করার জন্য কল্পনাতীত রকমের প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজনে ক্ষুদ্রঋণ সঠিক মানুষের হাতে পৌঁছানোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গেছেন। এবং তিনি সফল হয়েছেন,’ শোকবার্তায় বলেন মুহাম্মদ ইউনূস।