বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক বলেন, কারখানাগুলো স্বত:স্ফূর্তভাবে এটি করছে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের যদি কোনো প্রয়োজন থাকে হাসপাতালের পাশাপাশি আর কাকে দিতে হবে আমাদের জানান।’
মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার (এমএন্ডএস) ইতোমধ্যে চিকিৎসকদের জন্য এটি দেয়া শুরু করেছে বলে বিজিএমইএ প্রধান জানান।
এমএন্ডএস কাপড় পাওয়ার সাথে সাথে তারা মাস্ক তৈরি করবে জানিয়ে রুবানা হক আরও বলেন,‘এমএন্ডএসের কান্ট্রি ম্যানেজার স্বপ্না ভৌমিক আমাদের সাথে এটি শেয়ার করেছেন। চিকিৎসকদের স্যুটগুলো বিশেষ কাপড়ের।’
একটি ফেসবুক পোস্টে স্বপ্না ভৌমিক লিখেন, দেশের হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করা ডাক্তার, নার্স এবং রোগীদের জন্য পিপিই তৈরি করছেন তার দল। এ কাজে তাকে সহায়তা করছে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন তৈরি পোশাক কারখানাগুলো। এগুলো হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়েছেন বলেও তিনি জানান।
ভৌমিক বলেন, ‘এটি চিকিৎসক এবং নার্সদের বিনামূল্যে দেয়া হবে। আমরা এখনও পণ্যের মানের অধিকার পাওয়ার জন্য কাজ করছি। আসুন আমরা এই কঠিন সময়ে একটু মানবিকতা ছড়িয়ে দেই।’
রুবানা জানান, বিজিএমইএ বুধবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ১০ লাখ মাস্ক হস্তান্তর করবে।
এদিকে রবিবার দেশে নতুন করে আরও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আক্রান্তদের দুজন দেশের বাইরে থেকে এসেছেন এবং অপরজন বিদেশ ফেরত একজনের থেকে সংক্রমিত হয়েছেন। আজ নতুন তিনজনসহ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৭ জন। যাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৩ লাখ ৭ হাজার ৬২৭ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৬১ জন চিকিৎসাধীন এবং ৭ হাজার ৭৬৫ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৮৪৭ জনের মধ্যে ৯৫ হাজার ৭৯৭ জন (৮৮ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ১২ শতাংশ রোগী মারা গেছেন।