মাস্ক
মাস্ক পরার পরামর্শ পরিবেশ অধিদপ্তরের
বায়ুমান সূচকে ঢাকার বায়ুদূষণ ৩০০ এর বেশি হলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনায় ঘরের বাইরে অবস্থানকারী জনসাধারণকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পাশাপাশি অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু ও বয়স্কদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া বা দূষণের মাত্রা বিবেচনায় অন্য পরামর্শ দেওয়া হবে।
বায়ুদূষণ বায়ুমান সূচকে ৩০০ এর কম হলে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশনায় বায়ু দূষণ নিয়ে জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক পরামর্শ প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বায়ু দূষণের মাত্রা বিবেচনায় এখন থেকে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের বায়ুমানের অবস্থা পরিবীক্ষণের লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরগুলোতে ১৬টি কন্টিনিউয়াস এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম (সিএএমএস) থেকে পরিবীক্ষণ ডাটা রিয়াল টাইম অটোমেশন পদ্ধতিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের কালিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
৮ মাস আগে
করোনার জেএন.১ ধরন: মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ এনটিএসির
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি (এনটিএসি)।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এনটিএসির সভাপতি ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে কমিটির ৬৫তম সভায় চারটি সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে করোনার নতুন ধরন জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টের উত্থানের সর্বশেষ পরিস্থিতি, নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৭ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ও নতুন ভ্যারিয়েন্ট এখনও শনাক্ত হয়নি বলে বৈঠকে জানানো হয়। একই সঙ্গে বিশেষ করে হাসপাতালসহ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের মাস্ক পরাসহ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয় কমিটি।
এছাড়া সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার মাধ্যমে নজরদারি জোরদার এবং ভবিষ্যতে জরুরি পরিস্থিতিতে করোনা টেস্ট ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত
এছাড়া বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করারও সুপারিশ করেছে কমিটি।
বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে করোনার ভ্যাকসিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের করোনার ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রোগীর কোনো উপসর্গ থাকলে অস্ত্রোপচারের আগে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শও দেওয়া হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৫ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
৯ মাস আগে
মৌলভীবাজারে জেলা পরিষদের উদ্যোগে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের উদ্যোগে দরিদ্র মানুষদের দেয়া জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের মাঝে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের হাতে ওই সব কম্বল ও মাস্ক তুলে দেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকদের মাঝে চিত্রনায়িকা শাহানূরের কম্বল বিতরণ
জেলার ৬৭টি ইউনিয়নে জন্য সাত হাজার কম্বল ও দেড় লাখ মাস্ক বিতরণ করা হয়।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকবর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুল মুহিত টুটু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক মিন্টু, জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দা জেরিন আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
আখাউড়ায় মাস্ক না পরায় ৯ জনকে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাস্ক না পরায় ক্রেতা বিক্রেতাসহ ৯ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওমিক্রন রোধ ও সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
সোমবার পৌরশহরের সড়কবাজার, বড়বাজারসহ রেলস্টেশন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সরকারি দায়িত্ব প্রতিপালন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এ অভিযান চালান। এসময় মাস্ক না পরায় ৯ জনকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম বলেন,ওমিক্রন রোধ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। পরবর্তী সরকারি আদেশ না আসা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ না মানলে লকডাউনের চিন্তা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
ফরিদপুরে করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিল এফসিসিআই
ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দু'টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও মাস্ক দিয়েছে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফসিসিআই)।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলামের হাতে এসব সামগ্রী তুলে দেন চেম্বারের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
এফসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান, পরিচালক মো. আলী আকবর, মো. আনিসুজ্জামান ও মো. লিয়াকত হোসেন লিটন এসব সামগ্রী তুলে দেন সংশ্লিষ্টদের হাতে। এসময় ফরিদপুরের বিএমএ সভাপতি ডা. আসম জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী টিটে, স্বাচিপের সভাপতি ডা. আব্দুল জলিল অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিমের ১শ’ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও
বিএসএমএমসি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসময় বলেন, এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন বাতাসে থাকা অক্সিজেনের মাত্রাকে বৃদ্ধি করে মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন ঘাটতি পুরণ করে। নতুন দু'টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসায় সুফল দিবে। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে ফরিদপুরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমের দিকে।
৩ বছর আগে
তালেবান মাস্ক না পরলে কি কিছু এসে যায়
এই দেশের মানুষের কাজ অনেক কম। অনেকের এত সময় আছে যে তালেবান মাস্ক পরে কি পরে না এবং কেন পরে না তা নিয়েও তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাদে জড়িয়ে পড়ছে । সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসার দিন দিন বাড়ছে, নাকি দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে? সম্ভবত বেকারের সংখ্যাই বাড়ছে। তাই তালেবান ও মাস্ক নিয়ে চলছে বাহাস।
এই তালেবান কি সেই জঙ্গি তালেবান
পুরোনো তালেবান নিয়ে কিছু হালকা স্মৃতি আছে সবার। তারা পাহাড় থেকে নামা বর্বর, নারী বিদ্বেষী। তারা পৃথিবীর নানা দেশে তালেবানি রপ্তানি করতে চাইতো। তাদের আমেরিকানরা পিটিয়ে বের করে দিয়েছে। বিষয় হলো, এবার কোনো মারামারি হয়নি। আমেরিকানরা ও তাদের বসানো সরকার নিজেরাই চলে গেছে। কোনো যুদ্ধই হলো না!
তফাৎ কেন হলো
আসল কথা মার্কিনিরা থাকতে চায় না, আর আফগান সেনারা লড়তে চায় না। অতএব তালেবানরা লড়বে কাদের সাথে। শত্রুর অভাবে এত আরামে তারা দেশ দখল করলো! দুই একটা খুচরো ঝামেলা বাদ দিলে ভয় ও দুর্ভাবনা বেশি ছিল। তবে খুনোখুনি অনেক কম হয়েছে গতবারের তুলনায়। এটা কেন? প্রতিরোধের অভাব,নাকি প্রতিপক্ষ ছিল না?
তালেবান কী বলে এখন
তালেবানরা সহজ সরলভাবে বলতে গেলে সেই সব কথাই বলছে, যাতে আগের তালেবান আর এখনকার তালেবানদের মধ্যে তফাৎটা ধরা যায়। তারা বলছে: কারো ওপর প্রতিশোধ নেবে না, নারীদের অধিকার দেবে, নারীরা কাজ করতে ও পড়তে পারবে, তবে তাদের হিজাব পরতে হবে ইরানিদের মতো, সংখ্যালঘুদের অধিকার দেবে, বিদেশিদের সম্মান করবে ইত্যাদি। তবে ততটাই করবে যতটা ‘ইসলাম’ অনুমতি দেয়। সেটা কতটা আমরা জানি না। আগামী দিনগুলিই কেবল বলতে পারবে কী হবে? তবে এটা ঠিক, ২০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার পর তারা আরেক দফা ক্ষমতা হারাতে চাইবে না। বাড়াবাড়ি করলে যে বিপদ হতে পারে এটা তারা জানে, তাই সতর্ক।
কে তাদের সহায়
এটাই আসল কথা। এককালের শত্রু এবং এখনকার মিত্র চীন ও রাশিয়ার খেলা এটা। তারা সাত বছর ধরে পরিকল্পনা করেছে কীভাবে এদেরকে দিয়ে মার্কিনীদের হটানো যায় এবং সেই দিক থেকে তারা সফল। রাশিয়াও চায় না, উভয় দেশেই মুসলমান জঙ্গি আছে, অতএব জঙ্গিবাদ দমানোতে তাদের স্বার্থ আছে। এই অঞ্চলের রাজনীতিকে সুস্থির করতে চায় তারা, যাদের আগের তালেবান উস্কে দিয়েছিল। এবার সই করা চুক্তি আছে। কিছু করবে না। তার চেয়ে বেশি ভয় যে ফাজলামো করলে রাশিয়া ও চীনের সাথে এক সাথে যুদ্ধ করতে হবে। আর সেটা করার ক্ষমতা তালেবান কেন, এই অঞ্চলের কেন, পৃথিবীর কোন দেশই রাখে না। এটাই মূল কথা।
তাহলে ?
রাশিয়া আর চীন চাইবে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি। দেশের ভেতরে কী হচ্ছে সেটার দিকে নজর থাকবে, কিন্তু বেশি না। যদি তালেবান কিছু করে তাহলে বিপদ তাদের। আর অর্থনৈতিক উন্নতি হলে তালেবানেরই বেশি লাভ।
তাই ‘অধিকারের’ বিষয়টা বড় হবে না। হবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়- এই সব। মার্কিনিদের অধীনে গত দুই দশকে নারী সমাজ অনেক বেশি দৃশ্যমান। কিন্তু কোনো খাতেই লক্ষ্য-কোটি ডলার খরচের পরও তেমন কিছু উন্নতি হয়নি। এটা মার্কিন সরকারেরই হিসাব। উন্নয়ন প্রকল্পে অপচয়, চুরি, অদক্ষতা সবই হয়েছে, যে কারণে এই হাল।
রাশিয়া-চীন আসলে কী চায়
রাশিয়া-চীন জানে যে মার্কিনিরা কিছুটা দুর্বল। তাই তাদের টপকে নিজেদের ‘বিশ্বের হুজুর’ বানাতে চায়। তাই খেলাটা ক্ষমতার, বিষয়টা অর্থনীতির, উদ্দেশ্য ওপরে উঠার। পৃথিবী জুড়ে ‘অধিকার ভিত্তিক’ যে প্রশাসন ব্যবস্থা, যেটা নিয়ে মার্কিনিরা আর এনজিওরা কথা বলে, সেটা ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। এখন যে করেই হোক অর্থিনীতিতে ওপরে ওঠার প্রতিযোগিতা, রাজনীতির দুনিয়া অনেকটা ক্ষীয়মান। অতএব কে মাস্ক পরলো, আর না পরলো তাতে কিছু আসবে যাবে না, যদি না তাতে অর্থনীতির ক্ষতি হয়।
আফসান চৌধুরী: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
৩ বছর আগে
জীবন-জীবিকার তাগিদে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আরোপিত বিধিনিষেধ মানুষের জীবন ও জীবিকার তাগিদেই তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধিনিষেধ মানুষের জীবন ও জীবিকার তাগিদেই খুলে দেয়া হয়েছে। এখন আমাদের স্বাস্থ্যবিধি, টিকা আর মাস্কেই ভরসা করতে হবে।’
আরও পড়ুনঃ চীন থেকে আসবে সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মিল্টন হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ রোগীর চাপ সামাল দিতে হোটেল খোঁজা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সারাদেশে টিকা কার্যক্রম বেগবান করা হচ্ছে। আপনারা মাস্ক পরবেন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখবেন। জীবন-জীবিকার তাগিদে খুলে দেয়া হলেও মনে রাখতে হবে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন করোনার দুর্যোগে আছি। পুরো পৃথিবী এই দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে। ৪০ লক্ষাধিক মানুষ মারা গিয়েছে। আমাদের দেশে অন্য দেশের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে আছে।’
আরও পড়ুনঃ গার্মেন্টস খোলায় সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
৩ বছর আগে
মসজিদসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ
দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আবারও মসজিদসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আরোপিত বিধি-নিষেধ অনুসরণ করার জন্য এবং মসজিদগুলোতে জামায়াতে নামাজ আদায়ের জন্য আবশ্যিকভাবে পালনীয় শর্ত উল্লেখ্য করে এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গত ২৩ জুলাই জারী করা বিজ্ঞপ্তির অনুবৃত্তিক্রমে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনায় আরও ২৪৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১২,৬০৬
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রত্যেক মুসল্লিকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করে শুধুমাত্র ফরজ নামাজ মসজিদে আদায় করতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।এছাড়া মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে, মুসল্লিদের নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনায় প্রাণ গেল আরও ১৭ জনেরবিজ্ঞপ্তিতে শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের জামায়াতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এছাড়া করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত এবং আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধ এর জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে আহ্ববান করা হয়েছে।
সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ৩৬ মৃত্যুএছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়েছে ।
উল্লেখ্য করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ০৫ আগস্ট রাত ১২.০০ টা থেকে ১০ আগস্ট দিবাগত রাত ১২.০০ টা পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে।
৩ বছর আগে
ইউএনডিপি, স্কাউটসের উদ্যোগে পশুর হাটে মাস্ক বিতরণ
চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও মাস্ক পরিধান করে পশু বেচাকেনার জন্য হাটে আগত জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ স্কাউটস।
সচেতনতা বৃদ্ধি ও মাস্ক বিতরণের জন্য ১৯ থেকে ২১ জুলাই ঢাকার বৃহৎ চারটি পশুর হাট যথাক্রমে গাবতলী, ধূপখোলা, আফতাব নগর উত্তর ও দক্ষিণ বাজারে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
হাটগুলোতে মোট ১১টি বুথ স্থাপন করে পশুর হাটে আগত জনসাধারণ, ক্রেতা বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং মাস্ক পরিধানের জন্য বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ শুরু করেছে বাংলাদেশ স্কাউটস এর রোভার সদস্যবৃন্দ। একই সাথে এই কর্মসূচি দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে পশুর হাটে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই কাজে আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ( ইউএনডিপি)।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে করোনায় একদিনে নতুন মৃত্যুর রেকর্ড ২৩১
বাংলাদেশ স্কাউটস এর সভাপতি জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সরকার ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে লকডাউন শিথিল করেছে। তবে মানুষের উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা । মানুষ নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে সর্তক না হলে মহামারিতে লড়াই করা কঠিন হবে।‘
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনায় আরও ৫২ মৃত্যু, শনাক্ত ১১৬৫
ইউএনডিপি এর আবাসিক প্রকৌশলী সুদীপ্ত মুর্খাজি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি আমাদের সকলের প্রয়োজন বিজ্ঞানসম্মতভাবে উৎসব উদযাপন করা। কেবল সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান, শারীরিক দূরুত্ব বজায় এবং ঘন ঘন হাত ধোয়া অনুশীলনের মাধ্যমে সকলকে সুরক্ষিত রেখে ঈদ উদযাপিত হবে।‘
৩ বছর আগে
মাস্ক না পরায় বিআইডব্লিউটিসির কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে মাস্ক না পরার কারণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মচারী মো. জাকির হোসনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার এ সংক্রান্ত দাপ্তরিক আদেশ জারি করেছে বিআইডব্লিউটিসি।
এতে বলা হয়েছে, মাস্ক পরিধান না করার কারণে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, বিশেষ অতিথিসহ অন্যান্যদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলা সরকারি নির্দেশনা অবজ্ঞার শামিল এবং সরকারি চাকরির নিয়ম-শৃঙ্খলার পরিপন্থি বলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির সময় যা যা মেনে চলবেন
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শিমুলিয়া ফেরিঘাটে বিআইডব্লিউটিসির নবনির্মিত দুটি ফেরি 'কদম' ও 'কুঞ্জলতা' উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মচারীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক লাগালেও 'সময় টিভিতে' প্রচারিত ছবিতে কর্মচারী মো. জাকির হোসেনের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের টিকা দেয়া শুরু
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ড. শামসুল আলম
৩ বছর আগে