দেশবরেণ্য লালন শিল্পী টুনটুন বাউলসহ ২০ জন শিল্পী আসরে গান পরিবেশন করেন। ওই গ্রামের লালনভক্ত রেফাজ উদ্দিন স্মরণে অন্য বছরের মত এবারও পরিবারের সদস্যরা লালন গানের আয়োজন করেন।
দেশবরেণ্য বাউল শিল্পী টুনটুন বাউল বলেন, ‘লালনের দর্শন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই লালন গানের উদ্দেশ্য। তরুণ ও নতুন প্রজন্মের মাঝে লালনের আদর্শ বানী ছড়িয়ে দিতে পারলে সমাজ থেকে মাদকমুক্ত হবে। হানাহানি কমবে, সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি বাড়বে। দেশ জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত হবে।’
স্থানীয়রা জানায়, পয়লা গ্রামের রেফাজ উদ্দিন ছিলেন লালন সাঁইজির ভক্ত। তিনি জীবিত থাকাকালীন তার আখড়া বাড়িতে নিয়মিত লালন গানের আসর বসাতেন। রেফাজ উদ্দিন মারা যাওয়ার পর আজ প্রায় ১৮ বছর ধরে তার স্মরণে নিজ আখড়া বাড়িতে লালন গানের আয়োজন করে আসছেন ছেলেরা।
দর্শক-শ্রোতারা জানায়, কয়েক বছর ধরে তারা প্রতিবছর শীতের সময় একবার করে লালন গান শুনতে এই বাড়িতে আসেন। লালন গানে মাটির কথা বলে, মানুষের আত্মার কথা বলে। মনের খোরাক নিতে তারা এই লালন গান শুনেন।
লালন গানের আয়োজক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হানিফ মিয়া জানান, তার বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে ও লালনের মর্মবাণী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতি বছরই লালন গানের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আগামীতেও আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।