চরাঞ্চলের ওই জমিতে সবুজ ফসলি ক্ষেতে সুন্দর ফুল দেখতে পেয়ে গত শনিবার স্থানীয় এক চেয়ারম্যান জমি ও ফসলের ছবি তুলেন। এটি পপি গাছ তা চেয়ারম্যন ও প্রশাসন জানতে পেরেছে ভেবে ওই রাতেই পপি গাছ ধ্বংস করে ফেলে পপি চাষীরা। পরেরদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালালেও ধ্বংসকৃত পপি গাছ ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি।
এদিকে পপি চাষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদরের নিজাম মিজি ও খোরশেদ আলম মাঝিসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে সদর থানার এসআই লোকমান মিয়া বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
সদর সাথার ওসি মো. আনিছুর রহমান জানান, আলু চাষের কথা বলে স্থানীয় তিন কৃষকের ১ একর ৭৪ শতক জমি ভাড়ায় নেন নিজাম মিজি ও খোরশেদ আলম মাঝি। তবে তারা ওই জমিতে আলু চাষ না করে পপি চাষ করে।
খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পপি ক্ষেতের কোনো মালিককে না পেয়ে আলামত হিসেবে পপি গাছ জব্দ করে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা যখন চরবানিয়ালে যাই। সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকায় পপি চাষ হয়েছে দেখতে পাই। কিন্তু, ক্ষেতের কোনো মালিককে পাওয়া যায়নি আর ক্ষেতের ফসল আগেই কেউ নষ্ট করে দিয়েছে। সেগুলো আর ব্যবহার উপযোগী নেই। আলামত হিসেবে আমরা কিছু পপি গাছ জব্দ করেছি।’
তিনি আরও জানান, যেহেতু পপি পাঁচ কেজি পরিমাণের চেয়ে বেশি তাই এটি আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের এখতিয়ারে না থাকায় সদর থানায় নিয়মিত মামলা করার জন্য পুলিশকে বলা হয়।
বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, নিজাম, খোরশেদ মাঝি ও অজ্ঞাত একজন স্থানীয়দের কাছ থেকে আলু চাষের কথা বলে জমি ভাড়া নিয়েছিল। তারাই পপি গাছ চাষ করেছে বলে জানতে পারি। এটি চিহ্নিত করার ব্যাপারে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হেসেন পীরের সাহসী ভূমিকা ছিল।
এদিকে, নমুনা হিসেবে যে ফসল জব্দ করা হয়েছে তা পপি এবং মাদক হিসেবে নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম সাকিব হোসেন। তিনি জানান, এটি পপি গাছ এবং এটি মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।