মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জে অতিরিক্ত মদ্যপানে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩
মুন্সীগঞ্জে অতিরিক্ত মদ্যপানের তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন অসুস্থ অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে গতকাল (শুক্রবার) বিকেল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন— টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কাঁঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়নের কাঁঠাদিয়া গ্রামের বাচ্চু বেপারী (৬০), একই গ্রামের ইব্রাহিম মুন্সী (৬০) এবং সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের ঘাসিপুকুরপাড় এলাকার হোসেন ডাক্তার (৬৫)।
এদের মধ্যে বাচ্চু বেপারী বৃহস্পতিবার রাতে এবং অন্য দুজন শুক্রবার মারা যান। অপরদিকে অতিরিক্ত মদ্যপানে অসুস্থ রহমতউল্লাহ বেপারীকে (৬০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর অসুস্থ আলামিন (৪৬) ও সিজানকে (২৮) স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে মদ্যপানে ৩ জনের মৃত্যুর অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, হতাহতরা দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপানে অভ্যস্ত ছিলেন।
কাঁঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের দাফন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি, খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
৯০ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ক্যাম্পে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মেঘনায় যৌথ বাহিনীর অভিযান
নতুন পুলিশ ক্যাম্পের টহল স্পিডবোটে জলদস্যুদের গুলিবর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকাল পৌনে ৪টায় এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে গজারিয়া থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাব -১১’র সম্মিলিত দেড়শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একযোগে অভিযান চালায়।
এ সময় মেঘনা নদীর তীরবর্তী জামালপুর, বালুয়াকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান তারা। ডাকাত চক্রের তালিকাভুক্ত সদস্য আশরাফ উদ্দিন ডাকাত, আবুল কালামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তল্লাশি করে যৌথবাহিনী।
এছাড়াও নৌপথের আতঙ্ক, জামালপুর গ্রামের পিয়াস, নয়ন ও রিপনদের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাদের ঘর-বাড়ি তালাবদ্ধ দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, অভিযানের খবর পেয়ে তারা ভয়ে বাড়িঘর তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এসব তথ্য দিয়ে যৌথ অভিযান অভিযান চলাকালীন সময়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ জানান, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আশরাফ উদ্দিন এবং আবুল কালাম ডাকাতের বাড়িতে অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নয়ন পিয়াস শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বাড়িঘরে তালাবদ্ধ দেখা যাচ্ছে। অভিযান শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত কোনো কিছু উদ্ধার বা কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পড়ুন: সিরাজদিখানে মুখোশধারী দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক আহত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত ২২ আগস্ট মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনার লক্ষ্যে গুয়াগাছিয়ার জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পরপর সন্ত্রাসী চক্র নয়ন পিয়াসের নেতৃত্বে একাধিকবার বিরোধিতাসহ ক্যাম্পের স্থান নিয়ে বিরোধিতা করে মানববন্ধন করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দির সন্ত্রাসী হৃদয় বেগ গত ৫ আগষ্ট দাউদকান্দি থানায় অস্ত্র লুট করে নয়ন পিয়াস বাহিনীর কাছে বিক্রি করে। বিভিন্ন ঘটনায় নয়ন-পিয়াস গা ঢাকা দেওয়ার পর হৃদয় বেগ নয়ন পিয়াস বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পুলিশের টহলরত স্পিডবোটে গুলিবর্ষণ তার নেতৃত্বেই হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট সোমবার বিকাল ৫টার দিকে মেঘনা নদীতে টহলরত পুলিশের সঙ্গে শীর্ষ সন্ত্রাসী নয়ন, পিয়াস গ্রুপের সদস্যদের আধা ঘণ্টাব্যাপী গুলি বিনিময় হয়। নতুন পুলিশ ক্যাম্পের বিরোধিতাসহ পুলিশের উপর একাধিক বার হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৬ আগস্ট স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঘোষণায় গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ায় চলে এই যৌথ বাহিনীর অভিযান।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, নয়ন, পিয়াস ও লালু সন্ত্রাসী গ্রুপের হামলায় নিহত হয়েছে সন্ত্রাসী চক্রের অন্যতম সদস্য ডাকাত বাবলা, শুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ। মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন ও নৌযানের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে একের পর এক ঘটছে হত্যাকাণ ও সন্ত্রাসী হামলা।
১০০ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেট কার উল্টে নিহত ৩
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রী ছাউনির পাশে ঢাকামুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকামুখী বেপরোয়া গতির প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজনের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। গাড়িটিতে চারজনই ছিলেন।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। অন্য দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে চিকিৎসকরা আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দুর্ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উদ্ধার অভিযানের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৮০, আহত ৫৪২
হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, গাড়িটি সরিয়ে নেওয়ার পর সকাল সোয়া ৭ টার দিকে ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রীনগর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রাইভেট কারটির ভাঙা অংশের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্ত। পড়ে আছে দুটি মরদেহ, আর আহত একজনের কান্না শোনা যাচ্ছিল।
১০৬ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জ কারাগারে বন্দি আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন নান্নু (৬০) কারাবন্দি অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
রবিবার (২৭ জুলাই) ভোরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. এনায়েত উল্ল্যাহ জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বুকে ব্যাথার কারণে জেলখানা থেকে সারোয়ারকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তবে হাসপাতালে তাকে ভর্তি দেখানো হয়নি।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আতাউর রহমান জানান, ভোর ৪টার সামান্য আগে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। হাসপাতালে আসার ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটের দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতার মৃত্যু
তিনি বলেন, ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ অবস্থায় আমরা তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। তাকে ভর্তি রাখার সময়ও পাওয়া যায়নি।’
জেল সুপার জানান, সারোয়ার হোসেন নান্নু রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ৫ মে থেকে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার তিন কন্যা রয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন রাজধানী ঢাকায় এবং একজন যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তিনি মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ ফয়সাল বিপ্লবের ফুফাতো ভাই।
গ্রেপ্তারের পর ফয়সাল বিপ্লবও কিছু দিন এই কারাগারে ছিলেন। এখন তাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
১৩০ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল জমি ব্যবসায়ীর
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে সাহেব আলী (৫৩) নামের এক জমি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের পশ্চিম ঘোড়ামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাহেব আলী ওই গ্রামের মো. ছাবেদ আলীর ছেলে এবং পেশায় জমি-জমার ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সাহেব আলী বৃহস্পতিবার রাতে মদিনানগর জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলে মো. জয়নাল বলেন, ‘জমি নিয়ে ব্যবসার কারণে আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে। বাবার মোবাইল ফোনেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল তারা।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে চোরের ছুরিকাঘাতে এসএসসি ফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থী নিহত
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, সাহেব আলী জমি-জমার ব্যবসা করতেন। জমি-সংক্রন্ত বিরোধের কারণে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা চলমান।
১৪৬ দিন আগে
দুই যমজ শিশুকে হত্যার অভিযোগে শ্রীনগরে বাবা-মা আটক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দি গ্রামে রাতে পানিতে ডুবিয়ে ৭ মাস বয়সী দুই যজম শিশুকন্যাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বিবন্দীর একটি পুকুর থেকে লামিয়া ও সামিহা নামের ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার জন্য শিশুদুটির বাবা-মা একে অপরকে দায়ী করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের দুজনকেই আটক করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা থানা পুলিশের।
স্থানীয়রা জানান, বিবন্দী গ্রামের দিনমজুর সোহাগ শেখের (২৮) সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের মজিদপুর দয়হাটা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে শান্তার (২৪) বিয়ে হয়। ৫ মাস আগে শান্তা যমজ কন্যা সন্তান প্রসব করেন। সন্তান হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ হতো। এর জেরে শান্তা সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে থাকতেন। তবে সম্প্রতি তিনি স্বামীর বাড়িতে আসেন।
সবশেষ গতকাল (সোমবার) রাত ৮টার দিকে সোহাগের ঘর থেকে হট্টোগোলের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে জানতে পারেন, বেশ কিছুক্ষণ আগে লামিয়া ও সামিহাকে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়ছে। এ সময় স্থানীয়রা পুকুরে নেমে শিশুদুটিকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে ছুটে যান সোহাগও। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের টিলাগড়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আটক ২
এ ঘটনায় শান্তা বেগমের অভিযোগ, সোহাগ ঘর থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে গিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেন। আর সোহাগের অভিযোগ, তার স্ত্রীই পানিতে ফেলে দিয়ে মেয়েদুটিকে হত্যা করেছে।
শিশুদুটির চাচা সাকিব শেখ বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে হঠাৎ সোহাগের ঘর থেকে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে শান্তা জানায়, তার স্বামী বাচ্চাদের পুকুরে ফেলে দিয়েছে। সে সময় সোহাগকে আমি ঘরে দেখতে পাইনি। পরে আমি দৌড়ে পুকুরে গিয়ে দেখি উপুড় হয়ে তারা পানিতে পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে পানিতে নেমে তাদের উঠিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সিনথিয়া নূর বলেন, ‘দুই শিশুরই পেটভর্তি পানি ছিল। পানি থেকে তোলার আগেই হয়তো তাদের মত্যু হয়েছে।’
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমূল হুদা খান জানান, স্থানীয়ভাবে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৫০ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই ছিলেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার ভবেরচরের দড়িবাউশিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন— মাহমুদুল হাসান (৩১) ও মেহেদী হাসান (৩০)। মাহমুদুল চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বহরী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং মেহেদী একই উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
নিহত মাহমুদুল হাসান ছিলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী মতলবের মাজহারুল ইসলাম সোহান জানান, মতলব দক্ষিণ থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে মাহমুদুল ও মেহেদী ঢাকা যাচ্ছিলেন। পথে ভবেরচর দড়ি বাউশিয়া এলাকায় পৌঁছালে তিশা পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে এসে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এর ফলে সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে একজন সেখানেই নিহত হন। অপরজনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ গজারিয়া থানায় একটি মামলা করেছে বলেও জানান তিনি।
১৫৩ দিন আগে
সাত দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব
মুন্সীগঞ্জে সজল হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ফয়সাল বিপ্লবের জামিন নামঞ্জুর করে তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে মুন্সীগঞ্জের ১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন।
এদিন মব এড়াতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় আদালতে আনা হয় তাকে। আদালতে তোলা হয় ৯টা ৫ মিনিটে।
আসামির পক্ষে জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুরের আবদেন নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শাহিন মো. আমানুল্লাহ ও অ্যাডভোকেট হাসান মৃধা। আর রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পরিদর্শক ছাড়াও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম ও সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) নূর হোসেন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। প্রায় ২০ মিনিট ধরে শুনানি হয়। এরপর তাকে ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে
আদাশের পর তাকে সরাসরি জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই আদালত এলাকায় তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয় অর্ধ সহ্রাধিক মানুষ। ছাত্র-জনতা ব্যানারে এই বিক্ষোভ থেকে মুন্সীগঞ্জে ৪ আগস্টের সহিংসতার জন্য তাকে দায়ী করা হয়। বিক্ষোভ থেকে ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, সাধারণত সকাল ১০টার আগে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় না। কিন্তু আজ এত আগে তাকে আদালতে আনা হবে, তা তারা জানতেন না।
গত ২২ জুন রাতে রাজধানীর মনিপুরী পাড়া থেকে গ্রেপ্তার হন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য। পরে ২৩ জুন তাকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। এরপর ৩০ জুন (সোমবার) ফয়সাল বিপ্লবকে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জে গত বছরের ৪ আগস্টের সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। এই তিনটি হত্যা মামলা ও আরও দুইটি হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল বিপ্লব।
১৫৭ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে পা পিছলে নদীতে পরার ২৯ ঘণ্টা পর লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে পা পিছলে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া মো. লোকমান হোসেনের (২৮) লাশ ২৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে মোল্লারচর এলাকার নদী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার লাশ উদ্ধার করে।
নিখোঁজ লোকমান হোসেন ভোলা জেলার তজুমউদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে 'ফারহান-৩' নামের মনপুরা থেকে ঢাকাগামী একটি লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে থামলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। লোকমান হোসেন তার স্ত্রী রিপা আক্তার, চাচাতো ভাই শিহাদ ও সোহেলকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চে যাত্রা করছিলেন। ঘাটে পৌঁছে সফরসঙ্গী সোহেলকে নামিয়ে দিতে গিয়ে হঠাৎ পা পিছলে নদীতে পড়ে যান লোকমান।
চাচাতো ভাই শিহাদ জানান, ‘সোহেলকে নামাতে গিয়ে পিছন থেকে সহায়তা করছিল লোকমান। ঠিক তখনই তার পা পিছলে যায় এবং মুহূর্তেই সে নদীতে পড়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।’
দুর্ঘটনার পরপরই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ-পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সোমবার সারাদিন কোনো সন্ধান মেলেনি। ফলে স্বজনদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে মোল্লারচর এলাকায় নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিবার ও এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, নদীপথে যাতায়াতে বাড়তি সতর্কতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে—যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। নিখোঁজের পর থেকে আমরা উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রাখি। লাশ উদ্ধার করে আমরা নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বটগাছ থেকে ট্রাকচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১৭০ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে ‘স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর’ পালিয়েছেন স্বামী
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সেলিনা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সুজন মোল্লার (৫০) বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত সুজন মোল্লা।
শুক্রবার (১৬ মে) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের চিতলিয়া দেওয়ানকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ঝগড়া-মারামারির একপর্যায়ে সেলিনা অন্য ঘরে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও পেছন থেকে তার ঘাড়ে কোপ দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন সুজন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম জানান, নিহত সেলিনা বকুলতলা গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে। ৯ মাস আগে সুজন মোল্লার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। প্রথম তিন মাস সংসার ভালো চললেও গত ছয় মাস ধরে সুজন তার স্ত্রীকে সন্দেহ করে প্রায়ই নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহত গৃহবধূ সেলিনার মা সুফিয়া বেগম বলেন, সুজ ন একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। সন্দেহের বশে সে প্রায়ই আমার মেয়েকে মারধর করত। এ নিয়ে একাধিকবার উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশও হয়েছে, কিন্তু তাতেও শান্ত হয়নি সে।
তিনিও আরও জানান, সেলিনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। আগের ঘরের মেয়ে সোহানা আক্তারের বকচরে বিয়ে হয়। মেয়েটির সন্তান হয়েছে, আর সেই সন্তান দেখতে যাওয়া নিয়েই প্রাণঘাতী এই ঝগড়া বাঁধে।
২০১ দিন আগে