মাদকদ্রব্য
চবি ক্যাম্পাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য জব্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আটক ৩০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য সেবনরত অবস্থায় ৩০ জন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতকে আটক করা হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে গাঁজা ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, মাদক গ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে ১১টি মোবাইল, ২৮টি মোটরসাইকেল ও ২টি প্রাইভেটকারও জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
আটকদের মধ্যে ৮ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাকিরা বহিরাগত এবং এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডি।
আরও পড়ুন: ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগে চবি ছাত্রলীগের ২৩ জনকে শোকজ
সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একাডেমিক শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, ‘আমরা বায়োলজিকাল ফ্যাকাল্টির পুকুর পাড়, সেন্ট্রাল ফিল্ড, বঙ্গবন্ধু হলের পেছনে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ঝুপড়ি, উন্মুক্ত মঞ্চ ও এরকম নীরব-নির্জন বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদকবসেবনরত অবস্থায় বহিরাগত ও আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করি। পরে তাদের কাছ থেকে আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আর বহিরাগতদের মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩০ জনের অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদেরকে উচ্ছৃঙ্খল অবস্থায় আটক করা হয়। পরে তাদের মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আমরা বহিরাগত বা মাদক, এসবের বিরুদ্ধে কিছুতেই ছাড় দেব না।’
আরও পড়ুন: চবিতে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে অভিযান, ৩০ মোটরসাইকেল জব্দ
৫ মাস আগে
বাজারের কোনো এনার্জি ড্রিংকে মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বৃহস্পতিবার সংসদে বলেছেন, টাইগার, স্পিড ও গুরুর মতো যেসব কোমল পানীয় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো কার্বোনেটেড পানীয় হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর পানীয় পণ্যের নমুনায় (স্পিড, রয়্যাল টাইগার, ব্ল্যাক হর্স, বুলডোজার, পাওয়ার, গুরু, গিয়ার, স্ট্রং ও রেড বুল) কোনো ধরনের মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য জানান শিল্পমন্ত্রী।
প্রশ্নে সংসদ সদস্য বলেন, এনার্জি ড্রিংকগুলো এনার্জির নামে মানবদেহে ভয়াবহ রোগ প্রবেশ করাচ্ছে এবং অনেক ব্র্যান্ডের এনার্জি ড্রিংকে মাদকদ্রব্যও রয়েছে। ২৭টি এনার্জি ড্রিংক বিএসটিআইয়ের জাল লাইসেন্স ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করছে। এনার্জি ড্রিংকে যৌন উদ্দীপক উপাদান মেশানো হচ্ছে। কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য এনার্জি ড্রিংকগুলো কোমল পানীয়তে পরিণত হয়েছে। এসব অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে বিএসটিআই এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: অবৈধ মাদক প্রতিরোধে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা করছে সরকার
উত্তরে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার এ পর্যন্ত ২৭৩টি পণ্য বিএসটিআইয়ের আওতায় নিয়ে এসেছে। দেশে এনার্জি ড্রিংকসকে বাধ্যতামূলক পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তবে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত টাইগার, স্পিড, গুরু ও অন্যান্য পানীয়, যা দেশে বাজারজাত করা হচ্ছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কার্বনেটেড পানীয় হিসেবে বিএসটিআই লাইসেন্স সংগ্রহ করেছে।
গত এক বছরে ২৩৭টি পানীয়ের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মান অনুযায়ী সবগুলো নমুনা উত্তীর্ণ হয়েছিল বলে জানান নুরুল মজিদ।
তবে তিনি আরও বলেন, পানীয়র সঙ্গে মাদকদ্রব্য মিশ্রণ এবং এনার্জি ড্রিংকসের নামে বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএসটিআইয়ের অভিযানে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
১০ মাস আগে
মাদকদ্রব্য উদ্ধারে দেশসেরা কুমিল্লা পুলিশ
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে জানানো হয়েছে, এক বছরে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে সারাদেশে প্রথম হয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। এছাড়া চোরাচালান পণ্য ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে কুমিল্লা জেলা পুলিশ তৃতীয় অবস্থান অধিকার করেছে।
দেশ সেরা এই অর্জনে পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিভিত্তিক পুলিশ সেবা সম্প্রসারণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, পুলিশ আছে জনতার পাশে’- এই প্রতিপাদ্যে ৩ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ছয় দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, ২০২২ সালে কুমিল্লা জেলায় ১৮টি থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে মোট দুই হাজার ১২৯টি মাদকের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাধারণ ডায়েরি হয়েছে ১৩ টি। এসব মামলায় মোট গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা দুই হাজার ৬০১ জন। মোট ১৮ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ৮৭০ টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমানে গাঁজা, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, ইস্কাপ সিরাপসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এক বছরে আট হাজার ৬৯৯ কেজি ৬৩ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ২১ হাজার ৫৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এক লাখ ২১ হাজার ৫২৯ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। বিদেশি মদ বিয়ার, বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় সিরাপও জব্দ করা হয়।
অপরাধ বিশ্লেষক ও কুমিল্লা আদলতের আইনজীবী এএমএম মইন বলেন, যেহেতু আমাদের জেলাটি ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা এবং কুমিল্লা থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি হওয়ায় কুমিল্লা মাদকের ট্রানজিট হিসেবে কাজ করে। যে কারণে মামলাও বেশি। শুধু স্থানীয়রা না, দেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীরাও এসব মামলার আসামি।
তিনি আরও বলেন, মাদক মামলা বডি রিকভারি না হলে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায় আসামিরা। যারা আটক হচ্ছে তারা বেশির ভাগই বাহক। আসল ব্যবসায়ী ধরা কম পড়ে।
পুলিশ মামলাগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করে মূল পর্যন্ত যাওয়া উচিত। তবে কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাদক উদ্ধারে যে অর্জন- তা কুমিল্লায় মাদক নির্মূলে স্মারক হিসেবে থাকবে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইমরুল হাসান বলেন, পুলিশ তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে। আমরাও চেষ্টা করি মাদক উদ্ধার করার। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আমরা মাদক উদ্ধারে চেষ্টা করি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কুমিল্লার প্রতিটি থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ প্রতিনিয়ত মাদক উদ্ধারে কাজ করছে। সারা দেশে আমাদের এই অর্জনে আমরা খুশি। কুমিল্লা ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়া মাদক সম্পর্কিত তৎপরতা বেশি, তবে আমরা সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করি।
আরও পড়ুন: পুলিশকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দৃঢ়ভাবে মোকাবিলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সেবা অব্যাহত রাখুন: পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ আহত ২
নারায়ণগঞ্জের বন্দর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের সময় ছুরিকাঘাতে অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ দুইজন আহত হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৯ নভেম্বের) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডে উপজেলার সোনাচোরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে আহতরা হলেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা উপপরিদর্শক হাবিব ও কনস্টেবল শরীফ হোসেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সোনাচোরা এলাকায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম। এ সময় সোনাচোরা পুদলীপাড়া এলাকার মাদক সম্রাট হুমায়ূনসহ তার সহযোগী কবির, কালু, মনসুর বাবুকে মাদকসহ আটক করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী হুমায়ুন ও তার সহযোগীরা এস আই হাবিব এবং সিপাহী শরীফকে বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অভিযানের সময় স্থানীয়রা দুই মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের কারো নাম জানা যায়নি।
ছুরিকাঘাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. সাদিক বলেন, আহত দুইজনের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। ঢাকা মেডিকেলে তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, বুধবার সোনাচোরা এলাকায় অভিযান চালানোর সময় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই সিপাহীকে ছুরিকাঘাত করে মাদক ব্যবসায়ীরা। আহতদের ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিকালে ঢাকা মেডিকেল থেকে ফোন করে আমাকে একজন জানিয়েছে। পরে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেন নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা উপ-পরিচালক মো. মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা খুন
পাবনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের
২ বছর আগে
দুদকের মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট, মুক্তিতে বাধা নেই
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট জামিন পেয়েছেন। ফলে তার মুক্তিতে আর বাধা থাকলো না।
বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো.আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো.আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন। তারও আগে গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট
সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে চার মামলাতেই জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া ছয় মাসের সাজা অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
এদিকে ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: সম্রাট কেন জেলে? পাঁচ তারা জেল চাই!
দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
২ বছর আগে
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: কারাগারে আশিষ চৌধুরী
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারক আগামি ১০ এপ্রিল জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
এর আগে দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার সাব-ইন্সপেক্টর শামীম হোসেন সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আশিষ রায় চৌধুরীকে আদালতে হাজির করেন।
মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যা: ২৪ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিম আশরাফ চৌধুরী জামিন আবেদন করেন। তবে শুনানির জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই জানিয়ে ১০ এপ্রিল জামিন শুনানির প্রার্থনা করেন।
আদালত নিবেদন মতে জামিন শুনানির তারিখ ১০ এপ্রিল ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল রাতে র্যাব-১০ এর অভিযানে রাজধানীর গুলশান থেকে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে (৬৩) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ২২ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ বোতল সোডা ওয়াটার, একটি আইপ্যাড, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, দুটি আইফোন ও নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বুধবার রাতে র্যাব-১০ এর ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ মার্চ
২ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে গ্রেপ্তার ২, ইয়াবা জব্দ
সিরাজগঞ্জের র্যাবের অভিযানে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে চার হাজার ৯৪৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার দত্তপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ গ্রামের মৃত ফোরখ আহমদ সিকদারের ছেলে মো. ইউনুস সিকদার (৩৮) ও শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার মৃত আসরাব সরদারের ছেলে মো. চুন্নু মিয়া সরদার (৩৭)।
র্যাব-১২ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার মেজর এম. রিফাত-বিন-আসাদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানার দত্তপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চার হাজার ৯৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে এ অবৈধ ব্যবসায় জড়িত ছিল বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ৬ লাখ ইয়াবা জব্দ, রোহিঙ্গা যুবক আটক
কক্সবাজারে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মূল্যের ইয়াবা জব্দ, নারী আটক
২ বছর আগে
নওগাঁয় ২ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, অস্ত্র জব্দ
নওগাঁয় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশি বিদেশি ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার দোগাছি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, দোগাছি দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইসমাইল প্রামাণিকের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০) ও মুজিবুর রহমানের ছেলে জামিল হোসেন (৩৬)।
আরও পড়ুন: আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু আলাউদ্দিনকে হত্যার দায়ে ৩ আসামি গ্রেপ্তার
বুধবার সকালে র্যাব-৫ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় দোগাছি গ্রামের লিটন হোসেনের বাড়ির সামনে অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা ও গাঁজা সেবনের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় ওই দুই সন্ত্রাসীকে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে, তাদের বাড়ি থেকে হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মারামারির কাজে ব্যবহারকৃত পাচঁটি রামদা, ৮টি চাপাতি, ছয়টি ধারালো ছুরি, পাচঁটি বাটাল, পাচঁটি ছোট ছুরি, একটিটি বিদেশি ছোরা,একটি বিদেশি তলোয়ার, ১৪টি ছিনতাইকৃত মোবাইল, ৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৫ আরও জানায়, তাদের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মারামারিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে
পরীমণির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রে চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ আরও দুজনরে বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মোস্তফা কামাল।
চার্জশিটভুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন আশরাফুল ইসলাম দীপু এবং কবির হোসেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর ১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণি।
পড়ুন: মুক্তি পেলেন পরীমণি
পরীমণির রিমান্ড নিয়ে দুই বিচারককে আবার ব্যাখ্যা দিতে হবে
পরীমণির গাড়িসহ জব্দ করা ১৬ আলামত ফেরত দেয়ার সুপারিশ
৩ বছর আগে
পরীমণির জামিন শুনানি দ্রুত করার বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিন আবেদনের শুনানি ২১ দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে দুই দিনের মধ্যে তার জামিন আবেদনের শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওই দিন শুনানির দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) পরীমণির জামিন আবেদনের শুনানি ১৩ সেপ্টেম্বর ধার্যের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরীমণির পক্ষে করা এক রিভিশন আবেদন শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
আদালত বলেছেন, ‘২১ দিন পরে তারিখ দেয়ার কী আছে? অভিযুক্তের (পরীমণি) জামিন আবেদন শুনানির অধিকার আছে। কিন্তু মহানগর দায়রা জজ জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন, যা আবেদনকারীর অধিকার ও স্বাধীনতাকে খর্ব করে।’
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন আবেদন, শুনানি ১৩ সেপ্টেম্বর
গত ২২ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ এই মামলায় পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমণি। এতে বিলম্বে জামিন আবেদন শুনানির দিন রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পরীমণির অন্তর্বর্তীকালীন জামিনও চাওয়া হয়। এই আবেদনের ওপর আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর শুনানি হয়।
আদালতে পরীমণির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। এছাড়া পরীমণির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
এর আগে গত ২১ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে পরীমণিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে তাকে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। এরপর একাধিকবার তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।
৩ বছর আগে