দেশটির পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দপ্তরের এশিয়াবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল অ্যাডামস বলেন, ‘যাতে প্রত্যেকে মিয়ানমারের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতে সম্পূর্ণরূপে অংশ নিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা এখন গুরুত্বপূর্ণ।’
যেসব জায়গায় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে সেখানে যত দ্রুত সম্ভব অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন ব্রিটিশ মন্ত্রী।
নাইজেল অ্যাডামস বলেন, ‘আমরা আরাকান আর্মি দ্বারা সংসদীয় প্রার্থীদের অপহরণের নিন্দা জানাই এবং তাদের তাৎক্ষণিক মুক্তির দাবি করি।’
তিনি বলেন, সামরিক একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে মিয়ানমারের যাত্রায় ২০২০ সালের নির্বাচন এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
‘তবে, আমরা রোহিঙ্গা এবং অন্য সংখ্যালঘুদের আবারও (নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে) বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি দেখে হতাশ হয়েছি,’ এক বিবৃতিতে বলেন নাইজেল অ্যাডামস।
তিনি জানান, সুস্পষ্ট যুক্তি বা স্বচ্ছতা ছাড়াই বিরোধপূর্ণ জায়গাগুলোতে নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে।
ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, তারা সন্তুষ্ট যে মিয়ানমারের অনেক লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের শান্তি ও গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন দেয়া ব্রিটেন অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
‘এ বিষয়ে আমরা নতুন সরকার ও সুশীল সমাজের সাথে কাজ করব,’ বলেন তিনি।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এপির খবর অনুযায়ী মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি সোমবার দাবি করেছে যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা পার্লামেন্টে পর্যাপ্ত আসন জিতেছে।
ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন এখনও রবিবারের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ সম্পন্ন না করলেও দলটি এ দাবি করেছে।
ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির তথ্য কমিটির মুখপাত্র মনয়ওয়া অং শিন বলেন, ‘আমি এখন নিশ্চিত করতে পারি যে আমরা ৩২২টির বেশি আসন পেয়েছি।’
মিয়ানমারের পার্লামেন্টে আসন রয়েছে ৬৪২টি। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির লক্ষ্য রয়েছে ৩৭৭টি আসন পাওয়া।