রবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার বলা হয়, তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ১ লাখ যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৩০ শতাংশ। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রাহক সংখ্যা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর মধ্যে এ হার সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৭ লাখ, যা মোট গ্রাহকের ৬৯ দশমিক ২ শতাংশ।
রবি জানায়, এ বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানের মোট রাজস্বের পরিমাণ ৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব বৃদ্ধির হার ১ শতাংশ। এ বছরের প্রথম নয় মাসে রবির ইবিআইটিডিএ এবং কর পরবর্তী মুনাফা যথাক্রমে ২ হাজার ৪৫৮ কোটি এবং ১১৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছরের প্রথম নয় মাসে ইবিআইটিডিএ এবং কর পরবর্তী মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৯ শতাংশ।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ৮৭৫ দশমিক ১ কোটি টাকা, যা এ প্রান্তিকের মোট রাজস্বের ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এ বছরের প্রথম নয় মাসে তারা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা।
রবি এ প্রান্তিকে মূলধনী বিনিয়োগ করেছে ৩৬২ দশমিক ৫ কোটি টাকা। ফলে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে রবির মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াল ১ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।
রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেয়ার বাজারে প্রবেশের আগ মুহূর্তে তৃতীয় প্রান্তিকে লক্ষণীয় রাজস্ব বৃদ্ধিসহ মুনাফা নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এনালিটিকস-নির্ভর উদ্ভাবনীতে দৃষ্টি দেয়ার প্রতিফলন রয়েছে এ আর্থিক অগ্রগতিতে। এটি আমাদের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা। তবে উচ্চ কর হার আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেই চলেছে, বিশেষ করে নূন্যতম ২ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স। আমরা আশা করি সরকার এ পরিস্থিতি পরিবর্তনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে যেন শেয়ার বাজারে আমাদের শেয়ার হোল্ডারদের সাথে আকর্ষণীয় মুনাফা ভাগাভাগি করতে পারি।’