মুনাফা
বছরের প্রথম ৯ মাসে হুয়াওয়ের মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ২০২৩ সালের প্রথম ৯মাসের ব্যবসায়িক ফলাফল ঘোষণা করেছে।
এই সময়ের মধ্যে হুয়াওয়ের আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৫৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন চীনা ইউয়ান অর্থাৎ বাংলাদেশি প্রায় ছয় লাখ সাতাশি হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে দুই দশমিক চার শতাংশ বেশি। একই হিসাবে গত বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, ‘কোম্পানির পারফরম্যান্স আমাদের পূর্বানুমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের ওপর আস্থা রেখে সমর্থন জুগিয়ে চলার জন্য আমি আমাদের গ্রাহক ও সহযোগীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, আমরা গবেষণা ও উন্নয়নে (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) আরও বিনিয়োগ বাড়াব। যাতে আমাদের পণ্য ও পরিষেবাগুলোকে আরও বিস্তৃত করতে পারি এবং একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, বরাবরের মতো আমাদের লক্ষ্য হলো আমাদের গ্রাহক, সহযোগী ও সমাজের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুন: আগামী বছরেই নেট ৫.৫জি চালু করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
১ বছর আগে
প্রথম প্রান্তিকে ২০২.০৭ কোটি টাকা মুনাফাসহ প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে ওয়ালটন
বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক অস্থিরতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা, ভূ-রাজনৈতিক সংকটসহ নানা প্রতিকূল ব্যবসায়িক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় কোম্পানিটি।
এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) ২০২ দশমিক শূন্য ৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিটি।
আজ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৬তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর এই তথ্য প্রকাশ করে ওয়ালটন।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাব বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০২ দশমিক শূন্য ৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান হয়েছিল ৪৬ দশমিক ১০ কোটি টাকা।
ওয়ালটন হাই-টেক প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি করেছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির রিসিভেবলস্ কালেকশন বা দেনাদারদের থেকে টাকা প্রাপ্তির পরিমাণ বৃদ্ধিসহ অপারেটিং প্রফিট মার্জিন ব্যাপকহারে বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।
অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ব্যাংক ঋণ কমার পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানি স্ট্যান্ডার্ডে ব্যাটারি উৎপাদন করছে ওয়ালটন
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ টাকা যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল মাইনাস ১ দশমিক ৫২ টাকা। প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত ২৪৮ দশমিক ৮৮ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫০ দশমিক ৪০ টাকা।
একই সময়ে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৬৮ টাকা।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে বিক্রয় এবং ঋণের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ২২ এবং ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ২১ দশমিক ৮১ এবং ৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি ২৬২ দশমিক ৪৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে প্রায় ৯৯ দশমিক ২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১ দশমিক ৮৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এদিকে প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয় হয়েছে ৬২ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ৩২২ দশমিক ৪২ কোটি টাকা। ফলে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। পূর্বের বছর একই সময়ে কোম্পানির লোকসান হয়েছিল ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ওয়ালটন-ডিআরইউ মিডিয়া ফুটবল-২০২৩ শুরু
১ বছর আগে
ঋণ কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
অব্যবস্থাপনা এবং ঋণ কেলেঙ্কারির সমালোচনা সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফা অর্জনে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল)। বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আইবিবিএল এখন দেশের সর্বোচ্চ আমানত ধারণকারী ব্যাংক। গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ঋণ কেলেঙ্কারির প্রতিবেদনের পর এই ব্যাংক থেকে অনেক আমানতকারী টাকা তুলে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ ইসলামী ব্যাংকে তারল্য সংকটে ৪০০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকগুলি বিতরণকৃত ঋণ এবং সংগ্রহের আপডেটের ওপর তাদের শাখা অফিসের তথ্যের ভিত্তিতে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
শনিবার প্রকাশিত বিবি’র প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ২০২২ সালে আগের (২০২১) বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা মুনাফা অর্জনে ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আইবিবিএল। ২০২২ সালে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর), ব্যাংকটি দুই হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে।
এর আগের বছর ২০২১ সালে ব্যাংকটির (আইবিবিএল) মুনাফা ছিল দুই হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। ২০২০ সালে তা ছিল দুই হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে, ২০২২ সালে, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। ২০২১ সালে তা ছিল দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা।
কিন্তু পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। পরিচালন মুনাফা থেকে ঋণের বিপরীতে নির্দিষ্ট হারে প্রভিশন বা সেফটি স্টক সংরক্ষণ এবং কর্পোরেট ট্যাক্স পরিশোধের পর নিট মুনাফা গণনা করা হবে। নিট মুনাফা হল ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা।
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফা করতে পারেনি। বিপরীতে, তারা ৩৭১ কোটি টাকা লোকসান করেছে; গত বছরও লোকসান হয়েছিল ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া ছয় মাসে সিটিজেন ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে দুই কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ব্যাংকটি ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে কার্যক্রম শুরু করে।
অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জা আজিজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে এবং এ ধরনের ঋণের সুদ আয় খাতে দেখিয়ে দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। কাগজে ভাল দেখানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সদিচ্ছা প্রয়োজন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের প্রান্তিকে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩৪ লাখ টাকার বেশি, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে বিবি’র পর্যবেক্ষক
১ বছর আগে
গুগল-মাইক্রোসফটের মুনাফায় মন্থর গতি
প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যালফাবেট ও মাইক্রোসফটের বিক্রয় মুনাফায় তীব্র মন্থর গতি দেখা দিয়েছে। যার ফলে অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গুগল ও ইউটিউবের প্রধান কোম্পানি অ্যালফাবেট জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরসহ গত তিন মাসে মাত্র ছয় শতাংশ বিক্রয় মুনাফা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ছয় হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। কারণ, কোম্পানিগুলো তাদের বিজ্ঞাপন বাজেট কমিয়েছে।
মহামারির সময়টি যদি বাদ দেয়া হয় তাহলে গত এক দশকে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট সবচেয়ে দুর্বল ত্রৈমাসিক বৃদ্ধি দেখেছে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে যে কোম্পানিটির কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রযুক্তির চাহিদা দুর্বল হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুগল স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা বন্ধ করবে আগামী জানুয়ারিতে
কোম্পাটির বিক্রয় ১১ শতাংশ বেড়ে আয় হয়েছে পাঁচ হাজার ১০ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে ধীর গতির আয় বৃদ্ধি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি উল্লেখ করেছে, মূল্য ও সুদের হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ভোক্তা ও ব্যবসাগুলো হ্রাস পাচ্ছে। যা বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা জাগিয়েছে বাজার বিশ্লেষকদের মধ্যে।
মার্কিন ডলারের শক্ত অবস্থার কারণে আমেরিকান বহুজাতিকদের ক্ষতি হচ্ছে। যা বিদেশে পণ্য বিক্রি করা আরও ব্যয়বহুল করে তুলেছে
গত ত্রৈমাসিকে অ্যালফাবেটের মুনাফা ৩০ শতাংশ কমে হয়েছে এক হাজার ৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার। কারণ ইউটিউবের বিজ্ঞাপন হতে আয় প্রথমবারের মতো কমেছে।
টানা পাঁচ ত্রৈমাসিকে কোম্পানিটির বিক্রয় বৃদ্ধি মন্থর হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফটকে বাদ দিয়ে ক্রেতা হিসেবে ওরাকলকে বেছে নিল টিকটক
চীনে বন্ধ হয়েছে গুগল ট্রান্সলেট
২ বছর আগে
তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে রবি
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় রাজস্ব ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধির ওপর ভর করে তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৮ কোটি ৯ লাখ টাকা মুনাফা করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের রাজস্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা।
৩ বছর আগে