ব্যবসা
স্মল বিজনেস ফটোগ্রাফি: প্রয়োজনীয়তা ও শেখার উপায়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক
স্ব-নিযুক্ত পেশা বা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে স্বাধীনতা এবং উদ্যোগী দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু এর সঙ্গে যখন নিজের সবচেয়ে ভালো লাগা কাজটি যুক্ত হয় তখন সেখানে তৈরি হয় সৃজনশীলতা ও নির্ভরতার জায়গা। ঠিক এমনি একটি কাজ, শখ বা যোগ্যতার নাম ফটোগ্রাফি। বর্তমান বিশ্বে যখন সর্বত্র দৃশ্যমান কন্টেন্টের জয়জয়কার, তখন ফটোগ্রাফি একটি আকর্ষণীয় ও নির্ভরযোগ্য ক্যারিয়ারের নামান্তর। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে কর্মশালা ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অনলাইন থেকেও শেখা যাচ্ছে ফটোগ্রাফি। চলুন, স্ব-নিযুক্ত স্মল বিজনেসের জন্য এই দক্ষতা অর্জনের উপায় এবং এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
ফটোগ্রাফি শেখার প্রয়োজনীয়তা
কোনও ব্যক্তি বা বস্তুকে ফ্রেমবন্দি করার প্রতি ভালো লাগার অনুভূতিকে চূড়ান্তভাবে একটি সফল পেশায় রূপান্তর করার প্রথম শর্তই হলো ফটোগ্রাফি শিক্ষা। বর্তমান বিশ্বের শিল্প জগতের একটা বিরাট অংশ হচ্ছে স্থির চিত্র বা ছবি। বিনোদন, গবেষণা, এবং বিপণন; প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফিচার ছবি ছাড়া যেন অপূর্ণই থেকে যায় কন্টেন্টটি। এমনকি ওয়েব দুনিয়ার শীর্ষস্থানীয় কন্টেন্ট ভিডিওরও গোড়াপত্তনটা হয় ক্যামেরা থেকেই।
তাছাড়া একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ও পোর্টফোলির জন্য প্রয়োজন হয় উচ্চ-মানের ছবি। এক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য দরকার পড়ে ছবির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুর উপর আলোকসজ্জা ও কম্পোজিশনের সামঞ্জস্যতা। এর জন্য সঠিক ক্যামেরা সেটিংটি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারিগরি দিকের বাইরেও বিকাশ ঘটাতে হয় শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির। এটি প্রকাশ পায় মূলত ছবির মাধ্যমে প্রকাশিত বার্তার মাধ্যমে। এই সবগুলো বিষয় সম্মিলিতভাবে পর্যায়ক্রমিক ফটোগ্রাফি শিক্ষার দিকে ধাবিত করে।
ফটোগ্রাফির বিভিন্ন ধরণ
ছবি তোলার কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে ফটোগ্রাফির শ্রেণি বিভাজন। সেই সঙ্গে ফটোগ্রাফি-ভিত্তিক ব্যবসার উদ্দিষ্ট গ্রাহকও বদলে যায়। যেমন ইভেন্ট ফটোগ্রাফিতে করপোরেট পার্টি এবং বিয়ে বা বার্ষিকীর মতো বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের ছবি তোলা হয়। পণ্য এবং বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফির মূল বিষয় থাকে বিজ্ঞাপন, ক্যাটালগ এবং ওয়েবসাইটের ছবি। ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা পেশাগত প্রোফাইল তৈরির জন্য প্রাধান্য পায় পোর্ট্রেইট ফটোগ্রাফি। দুর্লভ বা বিশেষ বন্যপ্রাণীর চমকপ্রদ উপস্থিতি থাকে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির কেন্দ্রবিন্দু। ঠিক তেমনি ফুড ফটোগ্রাফির সেশনগুলো থাকে বিভিন্ন ফলমূল, তৈরি খাবার বা খাবারের রেসিপি নিয়ে।
আরো পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
কারা ফটোগ্রাফি শিখতে পারেন
এই সৃজনশীল কাজটি প্রাথমিকভাবে স্থির চিত্রের মাধ্যমে জীবনকে তুলে ধরার শখ বা আবেগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই অনুভূতি যারা লালন করেন তারা ফটোগ্রাফিকে তাদের প্রধান পেশা অথবা অন্য কাজের সহায়ক পেশা হিসেবে নিতে পারেন।
এছাড়া জীবনের নানা অঙ্গনের প্রতি ভালো লাগার ভিত্তিতে এই পেশাকে আরও সংকীর্ণ করে নিয়ে আসা যায়। যেমন যারা নিয়ত সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানের মাঝে থাকতে পছন্দ করেন তাদের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে ইভেন্ট ফটোগ্রাফি। এগুলোর মধ্যে সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন হচ্ছে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি।
যাদের বাহারি রকমের খাবারের প্রতি টান আছে, তাদের জন্য ফুড ফটোগ্রাফি। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য ট্রাভেল বা ল্যান্ড্স্কেপ ফটোগ্রাফি, যার একটা বিরাট ক্ষেত্র হচ্ছে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি। এছাড়াও ফ্যাশন, বাণিজ্যিক পণ্য এবং স্থাপনাকে কেন্দ্র করেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আগ্রহীরা ফটোগ্রাফার হতে পারেন।
ফটোগ্রাফির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
একাডেমিক শিক্ষার যেকোনো বিষয়ের মতো ফটোগ্রাফিরও রয়েছে ব্যাপকতা। তাই এই দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। মূলত এই বিষয়গুলোর মাধ্যমে ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষকের নির্দেশনাগুলো যাচাই করা যাবে। সেই সঙ্গে শিক্ষানবিশ সঠিক তালিম-ই পাচ্ছেন কিনা- সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
ফটোগ্রাফির কারিগরি দক্ষতা এবং শৈল্পিকতা এর বেশ কয়েকটি উপাদানের উপর নির্ভরশীল। এগুলো হচ্ছে ক্যামেরার অ্যাপারচার, শাটার স্পিড, আইএসও। এই বিষয়গুলো মূলত যে ব্যক্তি বা বস্তুকে ক্যামেরার ফ্রেমবন্দি করা হচ্ছে তার চারপাশের আলো ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ক্যামেরার লেন্স। কোন ধরণের ছবি তোলার জন্য কোন ধরণের লেন্স উপযোগী তা জানাটা আবশ্যিক। এই কারিগরি ব্যাপারগুলোতে যতটা অভ্যস্ত হওয়া যাবে, ক্যামেরাকে ততটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যাবে।
এছাড়া ছবি তোলার পরবর্তীও বেশ কিছু কাজ রয়েছে, যার জন্য প্রয়োজন হয় ইডিটিং সফ্টওয়্যারের। ফটো ইডিটিং-এর জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত সফ্টওয়্যারগুলো হচ্ছে অ্যাডোব ফটোশপ এবং লাইটরুম।
ফটোগাফি কোথায় শিখবেন
অনলাইন মাধ্যম
লাইভ ক্লাস বা আগে থেকে রেকর্ডকৃত টিউটোরিয়াল ভিডিওগুলো বর্তমানে কোনও স্কিল শেখার জনপ্রিয় মাধ্যম। বাংলাদেশে বেশ কিছু ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে যারা এই অনলাইন সেবাগুলো দিয়ে থাকে। তন্মধ্যে ঘুড়ি লার্নিং-এর ‘লার্ন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি ফর বিজনেস’ কোর্সটি স্বল্প সময়ে বিশদ জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উপযোগী। কোর্সটির প্রশিক্ষক বাংলাদেশের স্বনামধন্য ওয়েডিং ফটোগ্রাফার নাফিস ফুয়াদ শুভ।
যারা একদম নতুন, তাদের ফটোগ্রাফির জগতে প্রবেশের সেরা উপায় হতে পারে টেন মিনিট্স স্কুলের বেসিক ফটোগ্রাফি কোর্সটি। এখানে প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন দেশের সুপরিচিত ওয়েডিং ফটোগ্রাফার প্রীত রেজা।
আরো পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
এছাড়া ‘মোবাইল ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি’ শিরোনামের ফ্রি কোর্সটিতে মিলবে দারুণ কিছু টিপ্স অ্যান্ড ট্রিকস।
ফটোগ্রাফির খুঁটিনাটি নিয়ে বিশদ জ্ঞান লাভের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট হতে পারে বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ইউডেমি। কারিগরি দিক এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ কেস স্টাডির ক্ষেত্রে এখানকার ফ্রি কোর্সগুলোই যথেষ্ট সমৃদ্ধ। সর্বাধিক রেটিংপ্রাপ্ত কন্টেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জিওগ্রাফি ফটোগ্রাফার ক্রিস ব্রে-এর ‘ইন্ট্রোডাক্টরি ফটোগ্রাফি কোর্স’। প্রথম সারির আরও একটি কোর্স হচ্ছে ওয়েডিং ফটো ও ভিডিওগ্রাফার জেরাড হিলের ‘ফটোগ্রাফি: ডিচ অটো - স্টার্ট শুটিং ইন ম্যানুয়েল’।
ধারাবাহিকভাবে সাজানো-গোছানো না হলেও ফ্রি রিসোর্সের ক্ষেত্রে বেশ আকর্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। এখানে ফটোগ্রাফারদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানীয় চ্যানেলটি হলো ‘ম্যাঙ্গো স্ট্রিট’। ফটোগ্রাফার দম্পতি র্যাচেল গুলোটা ও ড্যানিয়েল ইনস্কিপ পরিচালিত এই চ্যানেলের ভিডিওগুলো বেশ ছোট। ফলে নিত্য-নতুন টিপস এবং কৌশলগুলো খুব সহজেই দর্শকরা গ্রহণ করতে পারেন।
স্ট্রীট ফটোগ্রাফিতে আগ্রহ থাকলে দেখা যেতে পারে ব্রিটিশ ফটোগ্রাফার অ্যালান শ্যালার ইউটিউব চ্যানেলটি। ফুড ফটোগ্রাফিতে সেরা চ্যানেল হচ্ছে জোয়ানি সাইমনের ‘দ্যা বাইট শট’। অন্যদিকে, ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি শেখার জনপ্রিয় চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নাইজেল ড্যানসন’ এবং টেড ফোর্ব্সের ‘আর্ট অব ফটোগ্রাফি’।
আরো পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
অফলাইন মাধ্যম
ফটোগ্রাফিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য দেশ জুড়ে রয়েছে বেশ কিছু প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপকভাবে সমাদৃত সংগঠন পাঠশালা। এখানে দীর্ঘ মেয়াদি একাডেমিক প্রোগ্রামের পাশাপাশি রয়েছে কয়েকটি স্বল্প মেয়দি কোর্স। এছাড়া বিভিন্ন উপলক্ষে প্রায়ই এখানে ফটোগ্রাফারদের নিয়ে ওয়ার্কশপ ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
একই ধরণের আরেকটি প্রতিষ্ঠান কাউন্টার ফটো, যেটি মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। এখানে ফটোগ্রাফির ওপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি বা প্রফেশনাল ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগ রয়েছে। অফলাইন প্রোগ্রামের পাশাপাশি ‘বেসিক অব ফটোগ্রাফি’ নামে কাউন্টার ফটোর একটি অনলাইন কোর্স রয়েছে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে পেশাজীবীদের পাশাপাশি নতুন ফটোগ্রাফারদের জন্য ৪ সপ্তাহব্যাপী ডিজিটাল ফটোগ্রাফি কোর্স রয়েছে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির তিন মাসব্যাপী ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিতে পারে।
এছাড়া ফটোগ্রাফির ওপর স্বল্পকালীন প্রোগ্রাম আয়োজকদের মধ্যে আরও রয়েছে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজম, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি সোসাইটি, এবং ছায়া ইনস্টিটিউট কমিউনিকেশন অব ফটোগ্রাফি।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
২ মাস আগে
ব্যবসার আড়ালে টাকা লুটকারীদের শাস্তি দিন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ব্যবসায়ী নেতারা
ব্যবসার নামে যারা অর্থ লুটপাট করেছেন তাদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকেরগভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠকে তারা এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় এখন ২৭৮৪ মার্কিন ডলার: বিবিএস
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, 'যারা ব্যবসার নামে সম্পদ লুটপাট করেছে, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছে এবং যারা ব্যাংক লুট করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে বলেছি। আমরা ব্যবসায়ীরা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন,‘আমরা প্রতারণা, লুটপাট ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে। মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।’
তিনি উল্লেখ করেন, 'আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে ঋণের কিস্তির মেয়াদ বাড়াতে বলেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা না হলে অনেক ব্যবসা খেলাপি হয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, 'মার্কিন ডলারের উচ্চ বিনিময় হারের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা গভর্নরকে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’
মাহবুবুল বলেন, অর্থনীতি সুশৃঙ্খল রাখতে ব্যবসায়ীরা কাজ করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব ভালো পদক্ষেপে ও দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করবেন।
বিকেএমইএ'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইডিএফের অর্থ বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এতে আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। সেখানে তিন মাসের কিস্তি পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
হাতেম আরও বলেন, ছয়টি ব্যাংকের কার্যক্রমে বিধিনিষেধ আরোপের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিকেএমইএ নেতা হাতেম বলেন, 'সব ব্যাংকিং নীতিমালা ঠিক ছিল না, সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুদের হার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইডিএফের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ব্যবসায়ীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে থাকবে, যারা জালিয়াতি করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।’
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
৩ মাস আগে
আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আইনের বাইরে কেউ ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবে না এবং আইন না মেনে ব্যবসা করলে সরকার কঠোর হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে হঠাৎ চালের দাম বাড়ানোর যুক্তি সঠিক নয়। বাজারে যে চাল আছে, সেটি নতুন কেনা ধানের চাল নয়।
কম দামে কেনা ধানের চাল বেশি দামে বিক্রি করছেন কেন- মিল মালিকদের প্রতি এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, মিলগেটের চালের দাম বস্তায় লেখা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে। এতে খুচরা ও পাইকারি বাজার মনিটরিং আরও শক্তিশালী হবে।
মন্ত্রী বলেন, মিলাররা কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর দোষ দেয়। কিন্তু তাদের অবৈধভাবে ধান-চাল কিনতে মিলাররাই সহযোগিতা করে। তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে প্যাকেট করে চাল সরবরাহ করেন মিলাররাই।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ঢাকার খুচরা বাজারে অভিযানে গেলে অভিযোগ করে মিলাররা চাল ছাড়ছে না, আর মিলাররা বলছেন তাদের চাল বিক্রি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বাজার বাড়লে বেশি দামে বিক্রি করবেন এটা মেনে নেওয়া হবে না। বাজারে স্বাভাবিক চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে মিলারদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান শুরু করেছি আমার নির্বাচনি এলাকা থেকেই। সারাদেশে অভিযান এখন চলছে। আমরা এটি চালিয়ে যাব।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল হাই, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান হুসাইনি, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান জাকারিয়া, ঝিনাইদহ অটোরাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, ডিএসসিসি আওতাধীন এলাকায় ব্যবসা করতে হলে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স (বাণিজ্যিক অনুমতি) নিতেই হবে। এছাড়া কাউকে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের রাজস্ব মেলাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রাজস্ব আদায়ে আমাদের অভিযানগুলো আরও কঠোর করতে হবে। ব্যক্তি বিশেষের প্রতিষ্ঠান, নামকরা মার্কেট বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা; যাই হোক না কেন, কেউ যদি ট্রেড লাইসেন্স না করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তাহলে প্রয়োজনে সেসব স্থাপনা-মার্কেট সিলগালা করে দিতে হবে, ক্রোক করতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে রাজস্ব আদায়ের সার্বিক পর্যালোচনা সভা ‘রাজস্ব সম্মেলন’ এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কিছু উদাহরণ সৃষ্টি করা হলে বাকিরাও নড়েচড়ে বসবে। সেজন্য আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে আরও কঠোরতা প্রদর্শনের নির্দেশ দিচ্ছি। বাণিজ্যিক অনুমতি ছাড়া আমরা কাউকে ঢাকা শহরে ব্যবসা পরিচালনা করতে দিবো না।
মেয়র বলেন, রাজস্ব আদায়ে একটি বড় বিষয় হলো আপনার আচরণ ও ব্যবহার। এক্ষেত্রে আপনার দপ্তরে যারা সেবা নিতে আসছেন, তাদের সঙ্গে ভালো ও সুন্দর ব্যবহার করবেন।
তিনি বলেন, সেবা নিতে এসে একজন ব্যক্তির যেন আপনার দপ্তরে তিনবার, চারবার আসা না লাগে। সেটা কাম্যও নয়। যেদিন এসেছেন, সেদিনই তাকে সেবা দিবেন। প্রয়োজনে একটু বিলম্ব হলেও সেদিনই সেবা দেবেন। তাকে কালকে আসেন, পরশু আসেন, তিনদিন পরে আসেন, দশ দিন পরে আসেন- এসব বলা যাবে না।
শেখ তাপস বলেন, এতে করে সে ব্যক্তি কর দেওয়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেন। আপনার আচরণগত কারণে বা তাকে যথাযথ সেবা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করার কারণে একজন আগ্রহী করদাতাও করখেলাপি হয়ে যেতে পারেন। সুতরাং কোনো আগ্রহী করদাতাকে করখেলাপি বানাবেন না।
এ সময় হয়রানি ছাড়া জনগণকে সেবা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কঠোরতা দেখানো হবে বলেও উল্লেখ করেন মেয়র।
তিনি বলেন, এখানে থেকে কোনো ধরনের গাফিলতি, অবহেলার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: যারা উন্নয়ন করেনি, তারাই উন্নয়ন দেখতে পায় না: মেয়র তাপস
সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে রপ্তানি সম্প্রসারণ ও এলসি নিয়ে আলোচনা রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং দূতাবাসের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তা বুধবার রাতে এক নৈশভোজে রপ্তানি সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি বলেছেন, নৈশভোজের সময় রাষ্ট্রদূত লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) সুরক্ষাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছেন।
মুখপাত্র বলেছেন, ডব্লিউ অ্যান্ড ডব্লিউ গ্রেনস (একটি আমেরিকান কোম্পানি) আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত, মার্কিন দূতাবাসের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তা এবং অন্যান্য স্টাফ সদস্য। সেখানে তারা প্রধান বেসরকারি খাতের কৃষি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের কৃষি পণ্য রপ্তানি করেছে।
দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি ব্যবসাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবান অংশীদার। কারণ দেশটি সয়াবিন, গম, তুলা ও পশুসম্পদ উন্নয়ন থেকে তৈরি পোশাক খাত পর্যন্ত অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করতে চায়। যেগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সসহ অন্যান্য দেশের বেশ কয়েকজন কূটনীতিক নৈশভোজে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
১ বছর আগে
নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে কাজ করার অনুমোদন পেল নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেড।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে কাজ শুরুর অনুমোদনের কপি হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার তার কার্যালয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকের হাতে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের কপি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) হস্তান্তর করেন।
এসময় নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে শুভেচ্ছা জানান ও সফলতা কামনা করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
গত তিন বছর ধরে দেশে ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা চালু করার জন্যে নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল নগদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার ফলে সামনের দিনে ডিজিটাল ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় আধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যেতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
এ বিষয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, আমরা দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য বুধবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন পেলাম। সাধারণ মানুষ যারা নানা কারণে ব্যাংকে আসতে পারে না, তাদের কাছেই সেবা নিয়ে হাজির হবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। এই পদ্ধতিতে গ্রাহককে আর ব্যাংকে আসতে হবে না, বরং ব্যাংকই মানুষের হাতে হাতে ঘুরবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রথাগত ব্যবসায়ীর বাইরে যারা আছেন, তাদের কোনো রকম জামানত ছাড়াই এক অংকের ঋণ দেব। পাশাপাশি ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম চালুসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজের সবকিছুর সমাধান দেবে আমাদের ডিজিটাল ব্যাংক। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথ আরও সুগম হবে।
সব আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তুতি শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান তিনি।
অনুমোদনের কপি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (বিআরপিডি) মো. মনিরুল ইসলাম ও নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২০,৪০০ টাকা দাবি, মালিকদের ১০,৪০০ টাকা প্রস্তাব
জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
১ বছর আগে
ব্যবসায়ীরা মায়ের কোলে থেকেই ব্যবসা করছেন: খাদ্যমন্ত্রী
বর্তমান সরকারের আমলে ব্যবসায়ীরা ভালো আছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার কখনো ব্যবসায়ীদের দল-মত হিসেবে বিবেচনা করে না। তাদের ব্যবসায় সরকার হস্তক্ষেপ করে না।
তিনি আরও বলেন, সে যেকোনো দলেরই হোক না কেন। তাই বলা যায় মায়ের কোলে থেকেই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন।
আরও পড়ুন: পিঠা-পুলি বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যের অংশ: খাদ্যমন্ত্রী
বুধবার দুপুরে নওগাঁ শহরের কনভেনশন সেন্টারে ব্যবসায়িক মিলন মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের মানবিক হতে হবে। দেশের জনগণের প্রতি ব্যবসায়ীদের লক্ষ রাখতে হবে, ভোক্তাদের যাতে কোনো কষ্ট না হয়।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন বলেন, জেলার ১১টি উপজেলায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজের অনুমোদন ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
তিনি বলেন, নওগাঁ শহরের তীব্র যানজট দূর করতে চার-লেন সড়ক নির্মাণ কাজও শুরু হবে শিগগিরই। ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনায় রেখে সীমান্ত এলাকায় স্থলবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা অনেকটা এগিয়েছে। এটি নির্মাণ হলে ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসা ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আসবে।
তিনি বলেন, কৃষিতে সমৃদ্ধ উত্তরের জেলা নওগাঁ। তবে এখনো জেলায় ভারী কোনো শিল্প কারখানা গড়ে উঠেনি। কৃষিভিত্তিক এ জেলাকে এগিয়ে নিতে এবং শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে এফবিসিসিআই কাজ করবে।
মন্ত্রী বলেন, এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এতে এ জেলাসহ আশপাশের জেলার উন্নয়ন হবে।
আরও পড়ুন: আমন মৌসুমে ৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সরকারের সহযোগিতা চায় বিটিসিসিআই
থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় শিল্প স্থানান্তরে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিটিসিসিআই)।
দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার এবং অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের লাভজনক খাতগুলোকে উন্নীত করতে শুল্ক বাধা অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিটিসিসিআই।
মঙ্গলবার শিল্প ভবনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বিটিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদের সৌজন্য সাক্ষাতে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়।
শামস মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু। বিটিসিসিআই ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বিটিসিসিআই সভাপতি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে আরও যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং শিল্পমন্ত্রীকে সহায়তা ও উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন ধরবে না: সালমান এফ রহমান
তিনি বলেন, ইটালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সিয়াম সিটি সিমেন্ট লিমিটেডের মতো বাংলাদেশের কয়েকটি বড় কোম্পানির বিনিয়োগ বাংলাদেশকে বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে থাইল্যান্ডের আগ্রহ প্রমাণ করে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পাট, চামড়া, কৃষি, হালকা প্রকৌশল প্রভৃতি খাত ছাড়াও বাংলাদেশ থাই বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ওষুধ, তৈরি পোশাক, পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা, হিমায়িত খাবার, মৎস্য, অবকাঠামো, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের দিকেও নজর দিতে পারেন।
বিটিসিসিআইকে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন শিল্পমন্ত্রী।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডও বাংলাদেশের অবকাঠামোখাতে বিনিয়োগ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বিটিসিসিআই'র জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই'র সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সুসম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায় চেক প্রজাতন্ত্র
১ বছর আগে
চাঁদপুরে ৫০০০ ইয়াবাজব্দ, গ্রেপ্তার ৫
চাঁদপুরে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এসব ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাটের জাহিদ হোটেলের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কক্সবাজার টেকনাফ এলাকার দেলোয়ার হোসেন, ফয়েজ উদ্দিন হারিস, রেদওয়ান, সোনা মিয়া ও মো. মিজান।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় গ্রেপ্তারদের দেহ তল্লাশি করে ৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। ইয়াবাগুলো টেকনাফ থেকে চাঁদপুরের হরিণাঘাট হয়ে শরিয়তপুর নিয়ে যাওয়ার সময় তারা গ্রেপ্তার হন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ুন কবির জানান, মাদকের সঙ্গে আমাদের কোনো আপস নেই। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২২৮০ ইয়াবাজব্দ, গ্রেপ্তার ২
টেকনাফ সীমান্তে লক্ষাধিক ইয়াবা জব্দ, আটক ৩
১ বছর আগে
রাজশাহীতে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
রাজশাহীতে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) দামকুড়া থানার চরমাজারদিয়াড় এলাকায় হাড়ুপাড়া ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক আবু সাঈদ (৩০) চরমাজারদিয়াড় মধ্যপাড়া গ্রামের আমির হোসেন চৌকিদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, আবু সাঈদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শত্রুতা চলছিল। মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে আবু সাঈদ প্রতিবাদ করায় মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়।
সেই বিরোধের জেরে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জন সাঈদের পথ আটকে তার পায়ে গুলি করে এবং তাকে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানিয়রা সাঈদের পরিবারকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয় দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সাঈদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় দামকুড়া থানায় নিহত সাঈদের স্ত্রী বাদী হয়ে রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান রাত থেকেই শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে