২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচিত হন মুসা মিয়া। এরপর তিনি ২০১৪ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৮ মার্চে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে আবারো চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করেন। তার সময়কালে স্থানীয় মানুষের সাথে দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান তালে কাজ করেছেন তিনি। যে কারণেই স্থানীয়দের কাছে অভিভাবক হয়ে উঠতে পেরেছেন মুসা মিয়া।
মুসা মিয়া ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বোয়ালমারীর ছোলনা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা তারা মিয়া এই উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২৮ বছরের ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষের সেবা করেছেন।
এম এম মোশাররফ হোসেন মুসা মিয়া জানান, ছাত্র জীবনে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। কিশোর বয়স থেকেই এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছেন। দলীয় রাজনীতি করলেও উদার চিন্তার কারণে দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের কাছেই তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল সব সময়।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই রাজনীতিক ১৯৭২ সালে বোয়ালমারীর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, পরে ১৯৭৪ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ১৯৭৬ সালে বোয়ালমারী কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে দায়িত্ব পান বোয়ালমারী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের। এরপর ২০০০ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
স্বাধীনতার পরবর্তীকালে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সব আন্দোলনে মুসা মিয়া রাজপথে প্রথম কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও বিশেষ করে ভারতে বাবরি মসজিদ হামলার পরে দেশে আন্দোলন সৃষ্টি হলে বোয়ালমারী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার সময় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ওই আন্দোলন প্রতিরোধ করেন তিনি।
রাজনীতিতে সফলতা নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় মুসা মিয়া বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকায় বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশর উন্নয়ন হয়নি। ফলে দেশ অনেক পিছিয়ে ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পরপর ক্ষমতায় আসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামকে শহর করার যে ইশতেহার এবারের জাতীয় নির্বাচনে ছিল সেই ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের কাজ করে যাবো। গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, পাকা রাস্তাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার পরিপূর্ণভাবে পূরণে কাজ করে যাবো।’