আওয়ামী লীগ
কল্পকাহিনীর ভিত্তিতে ২১ আগস্ট মামলার বিচার করা হয়েছে: শিশির মনির
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই বেকায়দায় পড়েছে তখনই জঙ্গি ইস্যুকে হাতিয়ার ব্যবহার করেছে। হলি আর্টিজানের ঘটনায় প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হয় নাই। এর সঙ্গে অন্য কোনো রাষ্ট্রের বা গোষ্ঠীর যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা পুনর্তদন্তের প্রয়োজন আছে।
আন্দাজ, অনুমান ও কল্পিত কাহিনীর মাধ্যমে বিচার করায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সবাই খালাস পেয়েছে বলে মত এই আইনজীবীর।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অয়োজনে আওয়ামী সরকারের জঙ্গি প্রচারণা নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিশির মনির বলেন, ‘৪০০ বছরের ফৌজদারি মামলার ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে এমন একটি নজির নাই যেখানে দ্বিতীয়বার স্বীকারোক্তি নিয়ে একজন মানুষকে সাজা দেওয়া যায়, যা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় ডিজিএফআইয়ের বিশেষ সেলে আটক রেখে মুফতি হান্নানকে দিয়ে তারেক রহমান, আলী আহসান মুজাহিদ, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ শীর্ষ বিরোধী নেতাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।’
‘জঙ্গি ইস্যু ব্যবহার করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতের আমির শফিকুল ইসলামের মতো শীর্ষ রাজনীতিবিদকে সন্ত্রাসী হিসেবে জেলে আটকে রেখেছিল। ধর্মীয় উগ্রবাদকে সামনে এনে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার নামে বিগত সরকার বিরোধী দল ও মতকে দমন করে পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের অনুকম্পায় ক্ষমতায় টিকে ছিল।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা রকম অপকৌশল অবলম্বন করেছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল জঙ্গি দমনের নামে মানুষ হত্যা। তারা পশ্চিমা বিশ্বসহ ভারতকে দেখাতে চেয়েছিল বাংলাদেশে ইরাক, সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো উগ্রবাদী জঙ্গি রয়েছে। যে জঙ্গিরা শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের জন্যেও হুমকি। আওয়ামী লীগ সরকারই এই জঙ্গিবাদ দমন করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসীর কাছে জঙ্গিবাদ দমনে আওয়ামী লীগ নিজেকে রোল মডেল হিসেবে দাবি করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার কৌশল অবলম্বন করেছিল। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে তারা বারবার নিরীহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওপর জঙ্গি তকমা লাগিয়ে নানা রকম নাটক সাজিয়ে হত্যা করেছে।’
‘গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে দাড়ি রাখা, টুপি পরা, বোরখা পরা, মসজিদে নামাজ আদায় করা ব্যক্তিদের টার্গেট করা হতো। এমনকি যেসব বাসাবাড়ি থেকে ফজরের নামাজ আদায়ে মসজিদে যেত তাদের টার্গেট করা হতো জঙ্গি আখ্যায়িত করার জন্য।’
কিরণ বলেন, ‘২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট নানা রকম পুরস্কার, পদোন্নতি ও প্রণোদনা বিনিময়ে জঙ্গি ধরার অশুভ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিল। বিগত সরকারের আমলে পরিস্থিতি দেখে মনে হতো সারা দেশ জঙ্গিতে ছেয়ে গেছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, র্যাব, পুলিশ, ডিবি, গোয়েন্দা সংস্থা কার আগে কে তথাকথিত জঙ্গি আস্তানা আবিস্কার করবে, মিডিয়া কাভারেজ নিবে, দেশ-বিদেশে বাহবা কুড়াবে, যেকোনো মূল্যে জঙ্গি দমনের সাফল্য দেখাতে হবে; তথাকথিত সাফল্য দেখাতে গিয়ে এসব বাহিনী তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় একের পর এক জঙ্গি নাটক সাজিয়ে বহু মানুষ হত্যার মাধ্যমে অনেক পরিবারকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। প্রায় সব জঙ্গি দমন ঘটনার পেছনে কোনো না কোনো গল্প সাজানো ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে ক্রসফায়ার ও জঙ্গি নাটকের নামে হত্যার শিকার ব্যক্তিদের সঠিক তালিকা নেই। আমরা আশা করব একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে বিনা বিচারে, ক্রসফায়ার ও জঙ্গি নাটকে হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়ন করে তা প্রকাশ করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
‘দেশকে জঙ্গি তকমা দেওয়া ছিল আওয়ামী শাসকদের ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রধান হাতিয়ার’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রাইম ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক নয়ন মুরাদ, সংবাদিক আহমেদ সরওয়ার ও সাংবাদিক রিয়াজ রায়হান।
প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
৫ দিন আগে
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দিবে’: সিইসি
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা এবং আগামী নির্বাচনে দলটি অংশ নিতে পারবে কিনা, তা সময় বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, সময় আসলে দেখা যাবে কোন কোন দলের নিবন্ধন থাকে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সময় আসলে দেখা যাবে। সেজন্য কাজ করছে সিইসি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সিলেট সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন সিইসি।
সিইসি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারক নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। অনেকে একদিনে নির্বাচন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে একদিনে সব নির্বাচন করা কোনোভাবেই সম্ভব না।
আরও পড়ুন: ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
সিইসি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম’র মাধ্যমে হবে না। প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময় অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য কাজ করছি। যা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে দিয়ে হবে। এবার নির্বাচনে প্রবাসীরাও অংশ নিতে পারবেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম।
আরও পড়ুন: নারীর তুলনায় পুরুষ ভোটার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
৬ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় স্কুলের ডিজিটাল পর্দায় ভেসে উঠল উসকানিমূলক লেখা, উত্তেজনা
চুয়াডাঙ্গা, ২ জানুয়ারি (ইউএনবি)- চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের ডিজিটাল সাইনবোর্ডের পর্দায় ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’ এমন লেখা ভেসে উঠেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা তদন্তপূর্বক শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকে সাইনবোর্ডের পর্দায় (ডিসপ্লে বোর্ডে) এই লেখা ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপরই তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি দুই সদস্যরা হলেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল ইসলাম ও আইসিটি অধিদপ্তরের জীবননগর উপজেলার সহকারী প্রোগামার অফিসার মাহমুদুর রহমান।
ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৬ সালে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে সাইনবোর্ডটি লাগানো হয়। সেখানে স্ক্রিনে সবুজ রঙের শিক্ষামূলক বাণী লেখা উঠতো। কখনও কোনো সমস্যা হয়নি। বুধবার সন্ধার পর হঠাৎ করে এই উসকানিমূলক লেখা ভেসে উঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাইনবোর্ডটিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। তাছাড়া ঘটনাস্থলটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।
জীবননগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল আমিন বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুইকার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন জানান, এটি ইন্টারনেটের অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ অ্যাপসের পাসওয়ার্ড হ্যাক করে লেখাটি বসিয়ে দিয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পরিদর্শক করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
২ সপ্তাহ আগে
আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সাফিয়া খাতুন গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আকরাম খান রাব্বি হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মোসা. সাফিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) পল্লবীর বালুঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাফিয়া জাতীয় সংসদের ৩৩৩ নম্বর সংরক্ষিত নারী আসনের (চকরিয়া-পেকুয়া) সাবেক সংসদ সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
পল্লবী থানা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় রাব্বি তাদের গুলিতে আহত হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাব্বির বাবা ফারুক খান ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সাফিয়া জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় সাফিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সিতে পাস, গ্রেপ্তার ৩
১ মাস আগে
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা রাজনীতি বা নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ নাকি আমরা দিয়েছি। এ কথাটি সঠিক নয়। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
‘আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নাই। আমরা কখনও কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে মানা (নিষেধ) করিনি। কিন্তু হাসিনাসহ যারা মানুষ খুন করেছে, বিদেশে টাকা পাচার ও দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। আর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে- কাকে রাজনীতি করতে দেবে, আর কাকে দেবে না; এখানে আমরা কেউ নই, এ দায়িত্ব আমাদের নয়।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটি সাফ করতে সময় লাগে। তারা অনেক কাজ করবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে তো। এখন কি আর আওয়ামী লীগের লোকজন অত্যাচার করতে পারে? উনাদের একটু সময় দিতে হবে। তারা কাজ শেষ করলে নিশ্চয়ই নির্বাচন হবে এবং জনগণের সরকার আসবে। আমরা বলেছি, এটি একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তাকে যে কষ্টে রাখা হয়েছিল তা চিন্তাও করতে পারবেন না। তারপরও কখনও তিনি মাথা নত করেনি; তিনি মাথা উঁচু করে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।’
বন্যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘বন্যায় এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করেছেন। শত নির্যাতনের পরও আমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আর দেশের ওপর যারা এত অত্যাচার করেছে, তারা পালিয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
১ মাস আগে
সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর বাড়িতে আগুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার (মায়া চৌধুরী) গ্রামের বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের বাড়িটির দুটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
রবিবার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মতলব উত্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নুরুল করিম ইউএনবিকে বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে খবর পাই, বাড়ির দুটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) প্রদীপ বলেন, খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। এসপি মো. আব্দুর রকিবের নির্দেশে যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুটি বেকারি ও একটি গ্যারেজে আগুন
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির চৌধুরী বলেন, আমরা সাবেক এমপি মায়া চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পেয়ে দ্রুত সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সারোয়ার মজুমদার বলেন, আমরা এটিকে ন্যক্কারজনক ঘটনা মনে করি। আমাদের নেতা তারেক রহমান। আমরা কখনোই সহিংসতার রাজনীতি করি না। সহিংসতার রাজনীতিকে আমরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেই না।
কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু ফেসবুকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধের অপকৌশল হতে পারে! রাষ্ট্রের যেকোনো নাগরিকের বাড়িতে আগুন দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনুন।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে মায়া চৌধুরীও আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা খবর পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে হাসপাতালে আগুন, ১০ নবজাতকের মৃত্যু
১ মাস আগে
আ.লীগ আফ্রিকান মাগুর, সবই খেয়ে ফেলত: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছিল আফ্রিকান মাগুর মাছের মতো। যা পেত সবই খেয়ে ফেলত। এছাড়া ১৬ বছর আওয়ামী লীগ নিজেদের লোকজনকে লুটপাটের গণতন্ত্র দিয়েছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণ করেছিল। তাই দেশে এখন গণতন্ত্র আনতে অচিরেই নির্বাচন দরকার। এই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জে শনিবার (১৬ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে আসা ১৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ১৭ লাখ কোটিই পাচার করেছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: পরাজিত ফ্যাসিস্টরা ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে: রিজভী
শেখ হাসিনা রক্ত পিপাসু, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হাজার হাজার মানুষ খুন করেছেন বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে নিজের বাবার জমিদারি মনে করতেন। তাই তিনি নিজের ইচ্ছে মতো দেশ পরিচালনা করেছেন, ব্যাংক লুট করেছেন। বিরোধী দলের ওপর খুন, গুম, নির্যাতন চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে পলাতক অবস্থায় থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বিএনপির দুই নেতাকে হত্যা করিয়েছেন।
ফ্যাসিবাদ পুনরায় যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, তাহলেই ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
আমরা বিএনপি পরিবার’র উদ্যোগে উপজেলার দুধল ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই সভা হয়।
এর আগে তিনি সুন্দরকাঠী গ্রামে শহীদ আরিফুর রহমান রাসেলের কবর জিয়ারত করেন।
আমরা বিএনপি পরিবারের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, জেলা বিএনপির (দক্ষিণ) আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাসির হাওলাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জমাদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন তালুকদার প্রমুখ।
সভার শুরুতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বরিশাল বিভাগের ৩১টি শহীদ পরিবারকে উপহার সামগ্রী তুলে দেন রিজভী।
দেশের ২৮টি জেলার ১৫০ শহীদ পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
আরও পড়ুন: মুজিবের ছবি অপসারণ নিয়ে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন রিজভী
শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী
২ মাস আগে
আওয়ামী লীগের নির্বাচনের ভবিষ্যৎ জনগণ নির্ধারণ করবে: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের জোট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না তা জনগণই নির্ধারণ করবে।
তিনি বলেন, ‘গণহত্যা চালানোর পরও যে দলের অনুশোচনা নেই, বিচারের আগে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের জোট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না তা জনগণই বিবেচনা করবে।’
মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত দলগুলোর নির্বাচনের যোগ্যতা নির্ধারণে জনগণের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটা আমার বলার জায়গা না। এখন আপনি যদি মনে করেন, যারা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, আরও চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার মানুষকে অঙ্গহানি ঘটিয়েছে, চোখ কেড়ে নিয়েছে, এখনো তারা সেই অপকর্মের পক্ষে কথা বলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ফাঁস হওয়া রেকর্ডটা সঠিক হয়, তাহলে এখনও তাদের নেত্রী ২৮৭ জনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। অন্য দেশে বসে সন্ত্রাসী হুমকি দিচ্ছে, যিনি একটা গণহত্যার মামলার আসামি। বিচারের আগে, দায়মুক্তির আগে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচি চালাবে আরও হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করার জন্য? কাজেই সবকিছু একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসবে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘একটা গণহত্যা চালানোর পর এখনও একটা দল বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমাদের এত বড় আন্দোলনের নেতাদের কিশোর গ্যাং বলার চেষ্টা করে, আরও মানুষকে হত্যা করার হুমকি দেয়, সেই দলের রাজনৈতিক অধিকার থাকা উচিত কি না, তা প্রতিটি মানুষই বিবেচনা করবেন। বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দেখা যাবে।’
মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব দেশেই মৃত্যুদণ্ড রহিত করার কথা বলে জাতিসংঘ। তাদের একটি অপশনাল প্রটোকল আছে। ওই প্রটোকলের মূলকথাই হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড রদ করার জন্য। কিন্তু পৃথিবীর খুব অল্প দেশেই মৃত্যুদণ্ড রদ করেছে। এটা তাদের অঙ্গীকার থেকে বলবেই। কিন্তু আমাদের যে ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম, আমাদের যে জুডিসিয়াল কালচার আছে, সেগুলো তো আমাদের কাছে প্রাধান্য পাবে। মৃত্যুদণ্ড রহিত করার যে অপশনাল প্রটোকল রয়েছে, আমাদের কোনো সরকারের পক্ষ থেকেই এই অপশনাল প্রটোকলের পক্ষরাষ্ট্র হওয়ার বিন্দুমাত্র উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তাদের বলেছি, আমাদের আইনগত যে সংস্কার, সেটাতে তারা জড়িত আছেন, প্রতিষ্ঠানিক সংস্কারে আমাদের যদি ফরেনসিক সহায়তা লাগে, সেটা তারা দেবেন। আমরা এখানে সুবিচার করব, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বিচার করছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগের আদালতে যেভাবে হয়েছে, সেভাবে আমরা অবিচার করব না। আমাদের কোনোকিছু লুকানোর নেই। আমরা কীভাবে বিচার করছি, সেটা যে কেউ এসে দেখতে পারবেন।’
বৈঠকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন আইন উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে হাই কমিশনার বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে সেক্ষেত্রে মানবাধিকার যেন নিশ্চিত করা যায় সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জুলাই গণহত্যার বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে: আসিফ নজরুল
২ মাস আগে
আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার
আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়ার রিটও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
রিটকারীদের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্টে বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ চেয়ে রিট
সোমবার (২৮ অক্টোবর) এ রিট দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম।
আদালতে রিটকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, রিটকারীরা আর রিট আবেদনটি চালাতে চান না। এ কারণে হাইকোর্ট রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
দলগুলো হলো- আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম-এল) (দিলীপ বড়ুয়া), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজার রানার জামিন স্থগিতই থাকছে
২ মাস আগে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি
বিএনপি-জামায়াত ঐক্যবদ্ধ থাকলে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এক স্মরণসভায় তিনি বলেন, বিএনপি তার দীর্ঘদিনের মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আগামী দিনগুলোতে দেশকে পুনর্গঠনে আগ্রহী।
তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই ঐক্যের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। যাতে আমরা এই দেশকে সুন্দরভাবে পুনর্গঠন করতে পারি। আসুন আমরা উভয়েই মিলে দেশের স্বার্থে কাজ করি। সবাই মিলে আমরা দেশকে গড়ব।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের বৈঠক
সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস দাবি করেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও তার সহযোগীরা দেশেই রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার দোসররা ভিন্ন পদে বসে থাকলে দেশ এগোতে পারছে না, কারণ তারা নানা চক্রান্ত করছে। তবে জামায়াত-বিএনপি একসঙ্গে কাজ করলে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম ও অনেক ত্যাগের পর গত ৫ আগস্ট জাতি হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন আওয়ামী লীগবিহীন বাংলাদেশ চাই। আওয়ামী লীগ ও সভ্য মানুষ এবং আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এক সঙ্গে থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ আসলে শয়তানের বন্ধু।’
শেখ হাসিনার দোসর ও প্রতিবেশী দেশের ঘৃণ্য অপচেষ্টা প্রতিহত করতে অন্য সব গণতান্ত্রিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত সরকার এখন সময়ের দাবি: বিএনপি
২ মাস আগে