আওয়ামী লীগ
মানিকগঞ্জে আ.লীগ নেতা-কর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার গ্রেপ্তার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও গ্রেপ্তারদের পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যার পর থানা চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল (সোমবার) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন বাকা (৫৬), উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক (৪৫), সাটুরিয়া সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (৫৪) ও উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী গোলাম রাব্বিকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যায় থানা ঘেরাও করেন ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও পরিবারের সদস্যসহ ৪০ থেকে ৫০ জন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার
সোমবার রাতে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, বিভিন্ন মামলায় সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজকে গ্রেপ্তারের পর তাদের অনুসারীরা থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততি চলছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
৭ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কার ও আ.লীগের বিচার মেলানোর সুযোগ নেই: বিএনপি
নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কার ও আওয়ামী লীগের অপরাধের বিচার মেলানোর কোনো যৌক্তকতা নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। নির্বাচনের পর ক্ষমতায় গেলে বিএনপিই এসব করবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ছাড়া শেখ হাসিনার পতনে সবচেয়ে বড় অবদান খালেদা জিয়ার বলেও দাবি করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। এছাড়া ডিসেম্বরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার প্রতিও জোর দিয়েছে বিএনপি।
সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো হেলাফেলা চলবে না। সংস্কার এবং বিচারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই। বিএনপির আগে কেউ সংস্কারের কথা বলেনি। সবার আগে খালেদা জিয়া জাতির সামনে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।’
‘দুই বছর আগে বিএনপিই ২৭ দফা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ। ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে এ সংস্কার হবে না,’ যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে খসরু বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনে সবচেয়ে বড় অবদান খালেদা জিয়ার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি থেকেছেন আপসহীন, আর তারেক রহমান তার নিরলস কাজের মাধ্যমে এই আন্দোলনে স্বৈরাচার পতনের পথ খুলে দিয়েছেন।’
‘বিএনপির মতো এত কঠিন সময় কেউ অতিক্রম করেনি, বিএনপির নেতাকর্মীদের মতো এতটা ক্ষতিগ্রস্থ কেউ হয়নি। আওয়ামী লীগের বিচার যদি করতে হয়, সেই বিচার বিএনপি করবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন পিছিয়ে দিতে টালবাহানা শুরু হয়েছে: তারেক রহমান
এ সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, কারও পদত্যাগ চাইনি বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, কারও পদত্যাগ চাইনি। পদত্যাগের নাটক দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য কথা বলা যদি অপরাধ হয়, সেই অপরাধ বিএনপি বারবার করতে পারবে।’
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা চলছে। অত্যন্ত সুকৌশলে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। দেশে পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রকারীরা ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনতে চায়।’
অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ছিল দেশের মানুষের আস্থা এবং আকাঙ্ক্ষার সরকার। কিন্তু এই নয় মাসে সরকার থেকে অবজ্ঞা ছাড়া আমরা আর কিছু পাইনি। সরকার দেশের মানুষকে অবজ্ঞা করছে। এই সরকার একটি ঔপনিবেশিক সরকার। যারা সরকারে আছেন, তাদের ৯০ ভাগই এ দেশের নাগরিক না।’
‘নয় মাসে যে সংস্কার সরকার করতে পারেনি; নয় বছরেও—এমনকি নব্বই বছর সময় দিলেও তারা পারবেন না। সরকারে এখন উচিত দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে জনগণের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। সরকার যেভাবে দেশ চালাচ্ছে, তাতে করে আওয়ামী লীগ যা ক্ষতি করেছে—তার থেকে দেশের অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে,’ বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয় নাই। তারা নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। না হলে সংস্কার আর বিচারের সঙ্গে নির্বাচন মেলানোর কোনো কারণ দেখি না। এই সরকারের কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা ছিল। সরকার জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
৪০ দিন আগে
ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশে সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় ঐকমত্য: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে সকল সেক্টরকে ধবংস করে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশটিকে ধ্বংস করে গেছে। তারা দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, ক্রীড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল খাতকে ধ্বংস করে গেছে। এর থেকে উত্তরণ করতে হবে। দেশ গঠনে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকালে খুলনা প্রেসক্লাবে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে প্রহসন মূলক নির্বচন করে সরকার গঠন করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে। গণতন্ত্র হত্যা করে। মানুষের কোনো মৌলিক অধিকার ছিল না। সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে যা ইচ্ছে তাই করেছে। দুর্নীতি ছিল তাদের মূলমন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি করে যে টাকা পাচার করেছে, তার অর্ধেক টাকা দিয়ে শিক্ষা খাতে বর্তমানে যে বাজেট তার দুইগুণ আর স্বাস্থ্য খাতে তিনগুণ করা যায়।
বিএনপি নেতা বলেন, হাজার ছাত্র জনতার প্রাণের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছি। গত ১৬ বছরে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অসংখ্যা নেতাকর্মী গুম, খুন ও নির্যাতন ভোগ করেছে।
আরও পড়ুন: কোনো দলের স্বার্থে নির্বাচন বিলম্বিত করা উচিত নয়: বিএনপি নেতা নজরুল
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রের হত্যার ইতিহাস, দুর্নীতির ইতিহাস ও টাকা পাচারের ইতিহাস।
তিনি বলেন, দেশে সকল স্তরে সংস্কার প্রয়োজন। এই জন্য আমরা আগে থেকেই ৩১ দফা দিয়েছি। এই ৩১ দফা একটি মহাকাব্য। আমরা চাই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের শাসনভার পেলে জাতীয় ঐকমত্য সরকার গঠন করে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করব।
সেমিনারে আন্দালিব রহমান পার্থ, ড. তৌফিক জোয়ার্দার, শাহীন চৌধুরী, ডা. সায়েম মোহাম্মদ, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
৫২ দিন আগে
আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত
আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এবার রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের পর রাত সোয়া ৯টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন জ্যেষ্ঠ ইসি সচিব আখতার আহমেদ। ব্রিফিংয়ে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গ সংগঠন এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ইলেকশন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হলো। সে অনুযায়ী আজকে আমরা গেজেট নোটিফিকেশনে জারি করেছি, আপনারা গেজেটের কপিটা বিজি প্রেস থেকে পেয়ে যাবেন।’
কোন গ্রাউন্ডে এই নিবন্ধন স্থগিত করা হলো—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন, তার ধারাবাহিকতায় আমরা এটি করেছি।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
পরে রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯–এর ধারা-১৮(১)–এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেহেতু বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল।
এর ফলে ছয় মেয়াদে দুই যুগের বেশি সময় সরকারে থাকা দেশের অন্যতম প্রাচীন এ দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে গেল।
এর আগে, রবিবার (১১ মে) জুলাই আন্দোলন দমনে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এ অঙ্গসংগঠনগুলোকে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এরপর সোমবার বিকালে আসে নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন। সেখানে বলা হয়, ‘ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।’
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের নিয়ম চালু করে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নম্বর ছিল ৬, প্রতীক নৌকা।
গত ১৭ বছরে সব মিলিয়ে ৫৫টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে জামায়াতে ইসলামীসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় এখন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল থাকল ৪৯টি।
৫৬ দিন আগে
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা, গুম, নিপীড়নসহ বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের নাসিমুল গনির সই করা প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
‘তাদের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম-খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।’
এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বলে প্রজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও দলটির সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাব হবে পুনর্গঠন, পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
‘এ সব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল আয়োজন, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং ভিনদেশে পলাতক তাদের নেত্রীসহ অন্য নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধমূলক বক্তব্য দেওয়া, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের চেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।’
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘যেহেতু এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। দলটি ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’
‘এছাড়া, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি ছড়াতে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে,’ বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকারি গেজেটের অপেক্ষায় ইসি: সিইসি
‘সরকার যুক্তিসঙ্গততভাবে মনে করে, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না-হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন।’
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সে কারণে তাদের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা করা হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
৫৭ দিন আগে
আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিসহ গ্রেপ্তার ৭
রাজধানীতে সাবেক এমপিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১০ মে) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার আওয়ামীলীগ মনোনীত সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম ওরফে শামীমা শাহরিয়ার (৪৫), দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান মতি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআর আই) পরিচালক ও শেখ হাসিনার সহকারী প্রেসসচিব আশরাফ সিদ্দিকী ওরফে বিটু (৪৪), কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নেছার আহমেদ ওরফে নেছার উদ্দিন হাওলাদার (৩৫), দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম (৪০), নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন সরকার (৫৫) ও দক্ষিণ বাড্ডা বাজার ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম বিপ্লব (৫৩)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১টায় ধানমন্ডি এলাকা থেকে শামীমা আক্তার, আশরাফ সিদ্দিকী ওরফে বিটু, দারুসসালাম এলাকা থেকে দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে ইমরান মতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাভারের কুমকুমারি বাজার এলাকা থেকে ৫টা ৫ মিনিটে রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এছাড়া লালবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাত পৌনে ১২টায় মোশারফ হোসেন সরকারকে, বাড্ডা থানার ১৮ নং সেক্টর থেকে মহিদুল ইসলাম বিপ্লবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
৫৮ দিন আগে
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। দীর্ঘ এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস। সভা শেষে রাত ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
পাশাপাশি, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে প্রকাশ করা হবে।
৫৮ দিন আগে
তিন দাবিতে গণসমাবেশের ডাক দিয়েছেন হাসনাত
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিনদফা দাবিতে শাহবাগে গণসমাবেশের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার (৯ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি। আজ (শনিবার) বিকাল ৩টা থেকে এই সমাবেশ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এই এনসিপি নেতা।
এ ছাড়াও, দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানগুলোতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ জড়ো হওয়ার জন্য আহ্বান তিনি।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্ষমতা নিয়ে সংশয় বাড়ছে: তারেক রহমান
দাবিগুলো হলো— আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচার সংক্রান্ত ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে করা এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করা।
এর আগে, গতকাল (শুক্রবার) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হাসনাত আবদুল্লাহ বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ ঘোষণা দেন। পরে সেখানে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। তাই আমরা সমাবেশস্থল থেকে শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি না আদায় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করব।’
৫৯ দিন আগে
আ. লীগকে নিষিদ্ধের দাবি: রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার
স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং জনসাধারণের উত্থাপিত দাবিকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার (৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সরকারের এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতিতে প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এতে বলা হয়, এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি: জাবিতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে সরকার জন দাবির প্রতি সম্মান রেখে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। চলমান তদন্তে সহযোগিতা করার পরিবর্তে, দলটি দেশের স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করার জন্য স্পষ্টতই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভ বিষয়ে সরকার অবগত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে ছাত্র-জনতার অবস্থান
৬০ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই জমায়েত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৯ মে) এই জমায়েতে সর্বস্তরের জনগণকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত।
তিনি বলেন, ‘সার্ক ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে। আজ তারা বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।’
‘ব্যান ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘সারা বাংলায় খবর দে’, ‘২৪ এর বাংলায়, ‘আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি স্লোগানে আজ সকাল থেকেই উত্তাল রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন তথা যমুনা প্রাঙ্গণ।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টার পর থেকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
রাত ১০টায় যমুনার সামনে উপস্থিত হন হাসনাত। এরপর থেকেই গণহত্যাকারী হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
৬০ দিন আগে