রাজনীতি
নির্বাচন ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের বিভেদ কী গভীর হচ্ছে?
গেল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠে অনুপস্থিত থাকায় আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে দীর্ঘদিনের দুই শরিক বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পরস্পর দূরে সরে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে গভীর বিভেদ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তাদের নেতারা পরস্পরকে তীব্র সমালোচনা করছেন, যা দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, অতীতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের মধ্যে যে মাত্রার বৈরিতা হয়েছে তা নজিরবিহীন। কারণ উভয় দলই তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শন করার চেষ্টা করছে।
নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফিরে আসতে না পারলে ত্রয়োদশ সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হতে জামায়াত অন্যান্য ইসলামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের চেষ্টা করতে পারে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তারা।
তবে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে এবং নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে বিএনপির জোটের অধীনে জামায়াতের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।
বর্তমান টানাপোড়েন সত্ত্বেও বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলের সিনিয়র নেতারা ইউএনবিকে বলেছেন, তারা তাদের ঐক্য নষ্ট করতে চান না। কারণ, তারা বিশ্বাস করেন যেকোনো বিভক্তি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসাকে সহজ করতে পারে।
গণঅভ্যুত্থানের পর দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্রতর হয়, প্রধানত ইসলামী ব্যাংকের দখল এবং অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নেওয়া নিয়ে সৃষ্ট বিরোধকে ঘিরে।
এরপরই জামায়াত নেতারা বিএনপির বিরুদ্ধে সারা দেশে 'দখল ও চাঁদাবাজি' করার অভিযোগ করেন।
বিএনপি প্রথমে কোনো মন্তব্য না করলেও ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, শুধু ভারত নয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধবিরোধীসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই অস্থিরতাকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
রিজভী জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল ও টেন্ডার কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। জবাবে জামায়াত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান গত ২৩ ডিসেম্বর রংপুরে এক অনুষ্ঠানে বলেন, দেশে পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি মাত্র দু'টি- একটি সেনাবাহিনী, অন্যটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
পরে রিজভী জামায়াতপ্রধানের বক্তব্যকে হাস্যকর আখ্যায়িত করেন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে 'ইসলামপন্থী দলের' ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন, তারা (জামায়াত) ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে একাত্তরের ভূমিকাকে জায়েজ করার চেষ্টা করছে।
দল দুটির সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে কঠোর শব্দ বিনিময় করেছে এবং তাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান শত্রুতাকে ঘি ঢালছে।
বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে একটি স্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষত ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় এবং ১৯৯৯ সালে তারা আনুষ্ঠানিক জোট গঠন করেছিল। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০ দলীয় জোট ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত তারা রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিল।
বিশেষ করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি ২০ দলীয় জোট ভেঙে দিয়ে কিছু বামপন্থীসহ আরও অনেক দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার পর থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই দুই দলের মধ্যে লক্ষণীয় মতপার্থক্য ও বিভেদ দেখা যাচ্ছে।
২০১৮ সালে জামায়াতকে উপেক্ষা করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করায় বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে নীরবতা পালন করায় জামায়াত বিএনপির প্রতি ক্ষোভ পোষণ করে। পরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর মতপার্থক্য মিটে গেলেও এখন আবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বিএনপির কয়েকজন নেতার অভিযোগ, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরপরই জামায়াতের আমির প্রথম বিএনপিকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, 'একজন জালিম চলে গেলেও আরেকজনের দেশের লাগাম নেওয়া উচিত নয়।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত সেপ্টেম্বরে বিএনপি আগাম নির্বাচনের দাবি জানালেও যাদের জনসমর্থন নেই তারা নির্বাচন চায় না।
বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ ও আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে তারা সক্রিয়ভাবে সোচ্চার হলেও জামায়াত তাদের অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচন পেছাতে চায়।
তারা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে জামায়াত এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাইছে, যা বিএনপির অবস্থানের পরিপন্থী।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, জামায়াত নেতাদের নেতিবাচক বক্তব্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, 'গত ৪৬ বছরে জামায়াত নির্বাচনী হিসাব-নিকাশে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী না হলেও মনে হচ্ছে দলটি বিএনপিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে।’
টুকু বলেন, জামায়াত নেতাদের তাদের রাজনৈতিক বক্তব্যের ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ বিএনপি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে গণতন্ত্রপন্থী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার দিকে মনোনিবেশ করছে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, বিএনপির কিছু নেতা পুরোনো শব্দ ও অবমাননাকর বাক্য ব্যবহার করে জামায়াতের বিরুদ্ধে কটুক্তি করছেন।
আকন্দ বলেন, 'জামায়াত সম্পর্কে এত পুরোনো বক্তব্য দেশের মানুষ গ্রহণ করেনি। তারা যদি এসব সেকেলে বক্তব্য গ্রহণ করতেন তাহলে জামায়াতের জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক সম্প্রসারণ বাড়ত না ‘
তিনি বলেন, জামায়াতের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় কিছু বিএনপি নেতা ঈর্ষা ও হিংসার বশবর্তী হয়ে এমন আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন।
আকন্দ অবশ্য দাবি করেন, কিছু নেতা মৌখিক বাক্য বিনিময় করলেও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে উভয় দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য নেই। আমিও মনে করি, দুই পক্ষের সম্পর্কের অবনতি হয়নি। কিছু নেতা হতাশা ও অহংকার থেকে মন্তব্য করছেন। এটা সাময়িক অবস্থান। মূল ঐক্য অটুট রয়েছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে জামায়াত বিএনপির বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করে তৃণমূলের সংগঠনকে উজ্জীবিত ও সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলকে চ্যালেঞ্জ করে জামায়াতপন্থী ছাত্রশিবিরও সব শিক্ষাঙ্গনে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্র পর্যায়ে নয়, দুই দলের তৃণমূল পর্যায়ে ফাটল ধরেছে। তবে নির্বাচনের আগে হয় দুই দল পুনরায় একত্রিত হবে, না হয় নতুন মেরুকরণ হবে।’
আরও পড়ুন: পদোন্নতির দাবিতে একট্টা হচ্ছেন সচিবালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী কর্মকর্তারা
১ দিন আগে
রাজনীতি করতে হলে জনগণের কথা মাথায় রাখতে হবে: সেলিম উদ্দিন
রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপদ আশ্রয়ের সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে জামায়াত কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগিরকের আয়-রোজগারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে। রাষ্ট্রই অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সকল মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে।’
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে দক্ষিণ খান পশ্চিম থানা জামায়াতের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আয়োজিত সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশের একশ্রেণির রাজনীতিক জনগণের ভোট নিয়ে নিজেরাই দেশের মালিক-মোক্তার বনে যান। তারা নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ ও জনগণের ওপর জুলুম করার জন্যই মাস্তান পোষেন। মানুষ তাদের পেছনে দৌঁড়াতে বাধ্য হয়। কিন্তু সেদিন শেষ হয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, অপরাজনীতি বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই চলবে না। এদেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের কথা মাথায় রেখেই করতে হবে। এক টাকার ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও জনগণকে কষ্ট দেওয়ার অশুভ বৃত্ত থেকে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থের বিপরীতে জাতীয় স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে দেশ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আমরা জাতিকে এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে সক্ষম হবো। তিনি দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে রাজনীতি ও রাষ্ট্রাচারকে ব্যসায়িক পণ্যে পরিণত করা হয়েছে। পতিত স্বৈরাচারের আমলে ব্যাপকভাবে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। এমনকি বই, খাতা, কলমসহ শিক্ষা উপকরণের দাম ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। রাজনীতিকে পরিণত করা হয়েছিল জুলুম- শোষণের হাতিয়ার হিসাবে। তাই সেই অশুভ রাজনীতির কালো থাবা থেকে বেড়িয়ে এসে আমাদেরকে জনকল্যাণের রাজনীতি শুরু করতে হবে।
আরও পড়ুন: এদেশে আর কোনো মাইনরিটি-মেজরিটি শুনতে চাই না: জামায়াত আমীর
দেশের সকল নাগিরক সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে সকলে মিলে সে পরিকল্পনা গ্রহণ সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। দারিদ্র বিমোচন ও বেকার সমস্যার সমাধনের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য দেশে ব্যাপকভিত্তিক শিল্পায়ন হওয়া দরকার। তাহলেই দেশ আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে।
থানা আমির আবু সাঈদ শাহনাওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন।
উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমির মো. মামুন, সেক্রেটারি আলী হোসাইন মুরাদ, কাউন্সিলর প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম ভূঁইয়া, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. আইয়্যুব আলী, মো. আশরাফুল আলম, সিরাজুল ইসলাম মামুন, নূরুল কবির ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
৬ দিন আগে
আজ হোক বা কাল, রাজনীতিবিদরাই দেশ চালাবে: উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আজ হোক বা কাল রাজনীতিবিদরাই দেশ চালাবেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, যদি রাজনীতিবিদদের মধ্যে ঐকমত্য না হয়, তাহলে জাতীয় ঐক্যের যে পথ নির্ধারণ করার কথা, সেটা এলোমেলো হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জিং সময়ে তৈরি পোশাক ক্রেতাদের ভূমিকার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত
সব রাজনৈতিক দল একত্রে বসেছে এটা একটা উদাহরণ। অতীতেও এমন কিছু দেখা যায়নি বলে জানান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
১ মাস আগে
রাজনীতিতে ফিরতে ট্রাম্পের ছবি ব্যবহার করছে আ.লীগ: বিএনপি
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ব্যবহারসহ নানা গোপন উপায়ে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে ফেরার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাফিজ উমেদ আহমেদ।
রবিবার রাজধানীতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে তারা আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক অবস্থান হারিয়েছে বলেই এ ধরনের চক্রান্তে মেতেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার পর থেকে দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী আত্মগোপনে থাকার মাঝে আজ (রবিবার) নূর হোসেন দিবসে কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
তবে আওয়ামী লীগকে এই ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের ছবিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: ৭ নভেম্বর 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' পালন করবে বিএনপি
এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোর বৈঠক শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জনগণ দ্বারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে শেখ হাসিনা ও তার দল বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন ছদ্মবেশে রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে যখন দেশের মানুষ আপনাকে বিতাড়িতে করে- এখন আপনি একেক সময় একেক কাভারে আসতে চান। কোনো কোনো সময় হিন্দু-মুসলিম ইস্যুটা নিয়ে আসবেন, কিছু সময় ওই যে হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের চিত্র নিয়ে আসবেন। আবার এখন ট্রাম্পের (ডনাল্ড ট্রাম্প) চিত্র আসছে।’
‘আসলে যাদের এখন অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, তারা কোনো একটা অন্য কোনো বেশে তারা আসতে চাচ্ছে দেশের মধ্যে। এটা হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা- তারা যে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে, এটাই প্রমাণ করে।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ট্রাম্পের বেশে কেন আসতে হবে, হিন্দুদের অত্যাচারের বেশে কেন আসতে হবে? কেন তারা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এই অবস্থায় পৌঁছাল- এটা তারা নিজেরাই প্রমাণ করেছে, তাই না।’
‘আমি বলতে চাই, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মোড়কে আসার চেষ্টা হচ্ছে। যারা রাজনৈতিকভাবে ব্যাংক্রাপট (দেউলিয়া) হয়ে গেছে, তারা বিভিন্ন মোড়কে আসার চেষ্টা করছে- একটা আবহাওয়া সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
অপর এক আলোচনা সভায় ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আরেক দেশে বসে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চান’ বলে মনে করেন বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর : শহীদ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাফিজ বলেন, ‘হাসিনা কত নিষ্ঠুর, কত ছাত্র হত্যা করেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য কত নির্মম এরা ছিল। আল্লাহর গজব এদের উপর পড়েছে। এখন আরেক দেশে বসে ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে উনি বাঁচতে চান।’
‘আসেন না বাংলাদেশে, এত বড় বড় কথা বলেন, বাংলাদেশে আসেন। এখন জিয়াউর রহমান নাই, তার দল বিএনপি এখনও আছে। তার বাংলাদেশের জাতীয়বাদ আছে। আমরা সবাই মিলে এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’
জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, পরিষদের মহাসচিব ডক্টর ইন্তাজ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছলচাতুরী বাদ দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: সরকারকে বিএনপি
২ মাস আগে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি
বিএনপি-জামায়াত ঐক্যবদ্ধ থাকলে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এক স্মরণসভায় তিনি বলেন, বিএনপি তার দীর্ঘদিনের মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আগামী দিনগুলোতে দেশকে পুনর্গঠনে আগ্রহী।
তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই ঐক্যের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। যাতে আমরা এই দেশকে সুন্দরভাবে পুনর্গঠন করতে পারি। আসুন আমরা উভয়েই মিলে দেশের স্বার্থে কাজ করি। সবাই মিলে আমরা দেশকে গড়ব।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের বৈঠক
সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস দাবি করেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও তার সহযোগীরা দেশেই রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার দোসররা ভিন্ন পদে বসে থাকলে দেশ এগোতে পারছে না, কারণ তারা নানা চক্রান্ত করছে। তবে জামায়াত-বিএনপি একসঙ্গে কাজ করলে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম ও অনেক ত্যাগের পর গত ৫ আগস্ট জাতি হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন আওয়ামী লীগবিহীন বাংলাদেশ চাই। আওয়ামী লীগ ও সভ্য মানুষ এবং আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এক সঙ্গে থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ আসলে শয়তানের বন্ধু।’
শেখ হাসিনার দোসর ও প্রতিবেশী দেশের ঘৃণ্য অপচেষ্টা প্রতিহত করতে অন্য সব গণতান্ত্রিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত সরকার এখন সময়ের দাবি: বিএনপি
২ মাস আগে
নিষিদ্ধ হওয়ায় ছাত্রলীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন, তাই তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সমাবেশ করার অধিকার নেই। তারা সেই চেষ্টা করলে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শনিবার বিকেলে রংপুর জেলা পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি ময়নুল ইসলাম আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান আইজিপির
তিনি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাকে বদলি করা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বদলি বা ক্লোজডের বিষয়টি একটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া।
ময়নুল ইসলাম বলেন, কতিপয় পুলিশ সদস্য জড়িত।
মামলাগুলোর তদন্ত চলমান। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
নেতৃত্ব পর্যায়ে গুটিকয়েক বিপথগামী অফিসারের কারণে পুলিশ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবার জণগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের পুলিশ তৈরি করতে চায় সরকার।
রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, প্রশাসন ও রাজনীতি একসঙ্গে মেলাবেন না।
যে পুলিশ রাজনীতি করতে চান, তারা দয়া করে চাকরি ছেড়ে চলে যান। আর যে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা পুলিশকে ব্যবহার করতে চান তারাও এটা থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে পুলিশের যে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার শুরু হয়েছে সেটা সম্ভব হবে।
আইজিপি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেছে। ওই অস্ত্র তারা ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। আমরা চেষ্টা করছি, এসব অস্ত্র সরকারের কাছে জমা করতে।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন আইজিপি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আইজিপি ময়নুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে যান। সেখানে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার মা-বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অপরাধ করে শাস্তি এড়ানোর সুযোগ নেই: আইজিপি
২ মাস আগে
আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই; নিষিদ্ধ হওয়া উচিত: অলি আহমদ
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) ওলি আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দেশের ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে তাদের যে ভূমিকা ছিল, এরপর তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
অলি বলেন, ‘কেন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে না? আমরা আজ আবার বলেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত কারণ তারা ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।’
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করা ওলি আহমদ বলেন, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে পুলিশ ও প্রশাসনসহ সবকিছু ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত: অলি আহমদ
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও কিছু পুলিশ প্রতিবাদ চলাকালে গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা টিকতে পারেনি।
তার মতে, এই আন্দোলনে ১৫০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে।
ওলি বলেন, আজ তারা ২৩টি প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির সমাধানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াত, সিপিবিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া চলতি পর্বে এটি দ্বিতীয় সংলাপ।
গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটস পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (আন্দালিব) সহ ১৫টি রাজনৈতিক দলকে আজকের সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ আজানো হয়েছে।
সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংস্কার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় গণফোরামের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বিকেল ৩টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান মিত্র জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল প্রায় সব রাজনৈতিক দলের।
এদিকে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক টিভি অনুষ্ঠানে দেওয়া তার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, 'এটা (নির্বাচনের সময়) ঘোষণা করার এখতিয়ার একমাত্র তারই আছে।’
তবে ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কর্নেল অলি আহমদের গাড়িতে ‘ছাত্রলীগের’ হামলা ?
২ মাস আগে
যারা দেশ বিক্রি করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে থাকবে না: জামায়াতের নায়েবে আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ ডক্তার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, অনেকে বলে আওয়ামী লীগেরও রাজনীতি করার অধিকার আছে। অবশ্যই তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, রাজনীতি করার অধিকার তাদেরই আছে যারা শুধু রাজনীতি করে। এছাড়া যারা দেশ বিক্রি করে দেয় তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশ থাকবে না।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত: জামায়াতের নায়েবে আমির
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নজমিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে সীরাতুন্নবী আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস করে, হত্যা করে, লুটপাট করে, দেশ বিক্রি করে দেয়, মানুষের সম্পদ খেয়ে ফেলে তারা কি রাজনীতিবিদ?
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির কবর দিন: জামায়াত আমির
এমন রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশ আর কারো থাকবে না। আর যারা রাজনীতি করবেন প্রত্যেকেরই স্বাধীনতা আছে।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার। উপজেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রিয় মজলিসে সূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির আইনজীবী শাহজাহান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়: জামায়াত আমির
৩ মাস আগে
জবিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ, রবিবার থেকে ক্লাস শুরুর আশ্বাস
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে রবিবার (১৮ আগস্ট) থেকে সশরীরে ক্লাস চালুর আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে করা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জবির ছাত্রকল্যাণ-পরিবহন পরিচালকসহ একাধিক দপ্তরপ্রধানের পদত্যাগ
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মডেল রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে পূর্বঘোষিত ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে পাঁচটি দাবি বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৩টার মধ্যে বাস্তবায়নে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
এই পাঁচ দাবির মধ্যে ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সব ধরনের রাজনীতি বাতিলের ঘোষণা দেন কোষাধ্যক্ষ। এ ঘোষণার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষদের ডিন চেয়ারম্যান ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা শিক্ষকরা সম্মতি জানান।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের দেওয়া নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাত্রসংসদ নির্বাচন করার ব্যাপারে একটি কমিটি গঠনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রবিবার থেকে সশরীরে ক্লাস শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোষাধ্যক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, উপদেষ্টা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: হল উদ্ধারে মঙ্গলবার আন্দোলনে নামবে জবি শিক্ষার্থীরা, কোষাধ্যক্ষ-শিক্ষকদের পাশে থাকার আহ্বান
আল্টিমেটামের ৪ ঘণ্টার মধ্যেই জবি উপাচার্যের পদত্যাগ
৪ মাস আগে
ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসতে নিরুৎসাহিত করলেন গাজী আশরাফ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে দ্বিমত প্রকাশ করে নিরুৎসাহিত করেছেন।
আশরাফ মনে করেন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশিকা থাকা উচিত। কারণ খেলোয়াড়রা যখন তাদের মনোযোগ ক্রিকেট এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে বিভক্ত করে তখন সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: বিদেশি ক্রিকেট লিগগুলোতে যেমন খেলছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান একই মনোভাব পোষণ করে বলেছেন, খেলোয়ার জীবনে ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা উচিত নয়।
আশরাফ বলেন, 'যেসব সংস্কার হয়েছে, তাতে আমি বিশ্বাস করি জাতীয় দলে থেকে কেউ রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারে কিনা সে বিষয়ে অবশ্যই একটি প্রক্রিয়া থাকা উচিত।’
সাকিব আল হাসানের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে আশরাফ স্বীকার করেছেন সমাধানের সম্ভাবনার কথা।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল করে। সেগুলো সংশোধনেরও সুযোগ রয়েছে। সাকিব যদি তার এই যাত্রায় ভুল করে থাকে, সেটা সে নিজে বুঝে নিজেকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার সুযোগ পাবে।’
আসন্ন সফরে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন সাকিব। তার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ জাতীয় দলের সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তার আগে জাতীয় নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সাকিব ও মাশরাফি দুজনই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। যারা সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পদচ্যুত হয়েছেন। এর ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ক্রিকেট দল
ভয়ডরহীন ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াকু পুঁজি
৫ মাস আগে