রাজনীতি
দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি।’
তিনি বলেন, 'যারা দেশে-দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে আজকে বিএনপি-জামায়াত তাদের হাতে, বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায়। দেশটাকে তারা আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়।’
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন (২৮ সেপ্টেম্বর) উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন ভণ্ডুল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অনেক অপচেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এ অপচেষ্টায় কোনো লাভ হবে না।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই অপচেষ্টা যারা করছে সেই বিএনপি হচ্ছে ছাগলের তিন নম্বর ছানা। তাদের কেউ বাতাস দিচ্ছে এবং সেই বাতাসে ফখরুল সাহেব লাফাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা লাফাতেই থাকবেন আর এদিকে যথাসময়ে নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনে আবারও ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে আসীন হবেন।'
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
ভিসা নীতি আমেরিকার নিজস্ব ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভিসা নীতি নিয়ে বিব্রত, বিভ্রান্ত কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, আমেরিকা তাদের দেশে কাকে যেতে দেবে আর কাকে যেতে দেবে না, সেটা একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে আমরা বলতে পারি আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোনো অবনতি নেই। দু’দেশের সম্পর্ক আগে যা ছিল এখনো তাই আছে।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে নওগাঁর নিয়ামতপুরে নবনির্মিত শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, একটি মহল আমেরিকার এই ভিসা নীতিকে পুঁজি করে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে মন্ত্রী এধরনের গুজবে কান না দিয়ে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন অর্জন ও সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে আধুনিক এবং কার্যকর পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে পুলিশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলেছেন।
আরও পড়ুন: ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিশেষ কারো বিষয়ে বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খুঁজে বের করে বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ফয়সল মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বিশেষ অতিথি নওগাঁ-২ (ধামইরহাট - পত্নীতলা) আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর- বদলগাছি) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছলিমুদ্দিন তরফদার সেলিম, নওগাঁ-৬ (আত্রাই- রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল, নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মাওলা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি: কাদের
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বাংলাদেশ সফর এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্রিকস ও জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে দেশের কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের ‘মিথ্যাচারের’ নিন্দা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোটি কোটি ডলারের জন্য লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপবাদ ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের ।
তিনি বলেন. ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকায় সাম্প্রতিক ব্রিকস সম্মেলনে এবং ভারতে জি২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের জাতির জন্য অতুলনীয় মর্যাদা ও সম্মান এনেছেন।’
এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্ব নেতাদের উল্লেখযোগ্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব দরবারে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবস্থানকে তুলে ধরেছে এবং এসব তার দক্ষ নেতৃত্বের স্বীকৃতি।
তিনি বলেন, 'বিশ্ব নেতারা যখন বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করছেন, তখন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সক্রিয়ভাবে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তারই প্রমাণ।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের জীবনযাত্রার উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে, সেগুলোর প্রতি ঈর্ষা পোষণ করে একটি রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপি একদিকে তাদের ব্যাপক ব্যর্থতার সঙ্গে লড়াই করছে, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন উদ্যোগ এবং তার বৈশ্বিক নেতৃত্বের প্রশংসা অব্যাহত থাকায় তারা হতাশার সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে ভুল, বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ করেন কাদের।
বিএনপির নেতারা গণতন্ত্রের ফেরেশতা নয়: ইনু
বিএনপির নেতারা যতই গণতন্ত্র-নির্বাচন নিয়ে হৈচৈ করুক না কেন তারা গণতন্ত্রের ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাসানুল হক ইনু।
তিনি আরও বলেন, তারা প্রত্যেকেই মানুষ পোড়ানো, জঙ্গিতাণ্ডব ও হত্যা-খুনের ভয়ঙ্কর সব জল্লাদ।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে জেলা জাসদ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য: পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, মানুষ পোড়ানো, জঙ্গিতাণ্ডব ও হত্যার আসামিদের প্রধান সিডিকেন্ট হচ্ছে বিএনপি।
ইনু বলেন, বিএনপির প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার জঘন্য সব অপরাধীদের হালাল করার সরকার হিসেবেই ভূমিকা রাখবে। এর সঙ্গে নির্বাচন, গণতন্ত্র ও নিরপেক্ষতার কোনো সম্পর্ক নেই।
এসময় জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মহসিন ও জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহম্মদ আলীসহ স্থানীয় জাসদ জাসদ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারাই ভিসানীতিতে ফেঁসে গেছেন: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করতে ‘গোপনে’ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের
জিয়ার পক্ষে রাজপথে স্লোগান জাতির জন্য দুভার্গ্যজনক: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। সেই খুনি জিয়ার পক্ষে রাজপথে স্লোগান দেওয়া হয়; যা এ জাতির জন্য অত্যন্ত দুভার্গ্যজনক।’
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে এ কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩' উপলক্ষে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর পুস্তক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী ১৮ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, নিরাপদ, সুখী-সমৃদ্ধ, সোনার বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। দেশ ও জাতির স্বার্থে বর্তমান সরকারকে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্যথায় জাতির ভাগ্যাকাশে অমানিশার অন্ধকার নেমে আসবে।’
আরও পড়ুন: অভিনেতা ও নাট্যকার মাসুম আজিজের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।
সংস্কৃতি সচিব বলেন, জাতির পিতার জীবনাদর্শকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনী আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ।
উল্লেখ্য, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত এ পুস্তক প্রদর্শনীতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়টি দপ্তর ও সংস্থা অংশ নিয়েছে। দপ্তর ও সংস্থাগুলো হলো- গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
আরও পড়ুন: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
‘বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করুন’ মন্ত্রণালয় ও ইসিকে যুবলীগের স্মারকলিপি পেশ
বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে চার দফা স্মারকলিপি পেশ করেছে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মইনুল হোসেন খান।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি ছাড়াও বাকি দফাগুলো হলো- বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় কার্যকর এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা জনগণের কাছে পরিষ্কার যে জিয়াউর রহমানই ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। কারণ তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তারাই বন্দুকের নল উঁচু করে দল গঠন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের জনগণের উপর এই সংগঠন যে নৃশংসতা চালিয়েছে; একাত্তরের আদলে যেভাবে সন্ত্রাস, নির্যাতন, হত্যা ও সহিংসতা করেছে; তাতে আমরা নৈতিকভাবে মনে করি এদেশে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।’
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, আমরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই। এটি আজকের যুব সমাজ ও প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে যারা সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সেই নাগরিকদের প্রত্যাশা। এটি না হলে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। তাই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এখন সময়ের দাবি এবং একটি ন্যায্য দাবি বলে আমরা মনে করি। আমরা আজ এ দাবি উপস্থাপন করার জন্য এখানে এসেছি।’
আরও পড়ুন: ঢাকার প্রবেশমুখে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ শনিবার
শেখ হাসিনার উপর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা এবং আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনি বিদেশ থেকেও জঘন্য কর্মকাণ্ড এবং সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত। গতকাল আমাদের যুবলীগের একজন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। প্রায় ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দাবি করছি, বিএনপি-জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।’
স্মারকলিপি পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। আইন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা নেব। আমরা সব ঘটনা অবগত আছি। ইতোমধ্যেই তারেক রহমান ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সবকিছু করব।’
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেনের নেতৃত্বে আরেকটি প্রতিনিধি দল ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।
অন্যদিকে, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপির অনুলিপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৭ জুলাই
রাজধানীতে যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ সোমবার
তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যা করার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। এর আগে চার দফা দাবিতে যুবলীগের পক্ষে থেকে মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে তারেক রহমান ও জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনার দাবিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কারাগারে থেকেও কলকাঠি নাড়তে পারেন ইমরান
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা। সম্প্রতি দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের পর এখন উচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট কারাগারে বন্দী আছেন তিনি।
২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে তিনি পদচ্যুত হন। এরপর থেকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ইরমানের রাজনৈতিক ও আইনি লড়াইয়ের মধ্যে এখনও পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে নাটকীয় মোড়।
ইমরানের দল সরকারের সমালোচনা করে এই মামলাকে সাজানো বলে মন্তব্য করেছে। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে বলেও জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, এই মামলার লক্ষ্য হলো আসন্ন শরৎকালে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। সরকার ইমরানের প্রতি রাজনৈতিক নীপিড়নকে অস্বীকার করে তার দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে বৈধ বলছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে ৭০ বছর বয়সী ইমরান সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। পাশাপাশি ১৯৯০ সালে তার প্রতিষ্ঠা করা তেহরিক-ই- ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্ব থেকেও আইনানুযায়ী সরে যেতে হবে তাকে। এদিকে জরিপগুলো পিটিআই-এর জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচনের ইঙ্গিত দেয় এবং খানের কারাদণ্ড তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
তার বিরুদ্ধে কী মামলা ছিল
ইমরান ক্ষমতায় থাকাকালীন বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার থেকে আয়ের প্রতিবেদন জমা দেননি বলে ইসলামাবাদের একটি আদালত শনিবার রায় দিয়েছে। পাকিস্তানে সরকারি পদ ছাড়ার পর নেতাদের এই ধরনের উপহার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সেসব উপহারের মূল্যের একটি অংশ প্রদান করা হয়।
আদালত বলেছে, ইমরান সেই উপহারগুলোর মধ্যে কিছু বিক্রি করেছেন এবং গত বছর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদনে সেই উপার্জনগুলো উল্লেখ করেননি। এজন্য আদালত খানকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে, তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং তাকে ১ লাখ রুপি বা সাড়ে ৩০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করে।
রায়ের পরপরই, খানকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয় এবং রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে অ্যাটক শহরে একটি উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইমরানের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলো
ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আদালত অবমাননা থেকে শুরু করে সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছে।
সমালোচকরা বলছেন, আইনি লড়াইয়ের এই ঝাঁকুনি খানকে সরিয়ে দিতে শাসক জোটের একটি প্রচেষ্টার অংশ। কারণ তিনি বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে বিপুল সংখ্যক সমর্থক জড়ো করতে সক্ষম হয়েছেন।
খানকে একজন দুর্নীতিবাজ প্রতারক হিসেবে চিত্রিত করতে তাকে কারাগারের বাইরে রাখার পরিববর্তে ভেতরে রাখতে আইনি কৌশল প্রয়োগ করেছে সরকার। পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীতে সরকারের সমর্থক রয়েছে, যারা তার ৭৫ বছরের ইতিহাসের বেশিরভাগ সময় ধরে দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
এই গ্রেপ্তার ভিন্ন কীভাবে?
ইমরান খানকে অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছে। এটি এমনটি একটি কারাগার, দণ্ডিত জঙ্গি ও সহিংস অপরাধীদের জন্য এর কুখ্যাতি রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেছেন, সেখানকার অবস্থার সঙ্গে পরিচিত কর্মকর্তারা বলেছেন, তার জন্য একটি ফ্যান এবং আলাদা গোসলের সুবিধাসহ তার নিজস্ব সেল রয়েছে। যা কারাগারের সাধারণ কয়েদিদের মতো কঠিন অবস্থার থেকে এক ধাপ উন্নত।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করায় পিটিআই’র বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চলছে: ইমরান খান
মে মাসে ইমরানকে আটক করার ঘটনার চেয়ে এবারের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। এবার দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অভিযোগে আদালতের শুনানি পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেবার সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত হস্তক্ষেপ করে সেই আটককে বেআইনি ঘোষণা করেছিল। ইমরানকে পুলিশ কম্পাউন্ডে একটি গেস্ট হাউসে থাকার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। সেসময় তার আটকের বিষয়ে আইনি যুক্তি শেষ হওয়ার সময় দর্শকরা সাক্ষাৎ করতে পেরেছিল। খান অবশেষে লাহোরে ফিরেও এসেছিলেন। সমর্থকরা গাড়িতে গোলাপের পাঁপড়ি ছিটিয়ে তাকে বরণ করেছিলেন।
এরপর কী হবে
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বিশ্বাস করেন, সুপ্রিম কোর্ট খানের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং আপিলের সাজা বাতিল করতে পারে।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রধান গুল বলেছেন, ‘ইমরান খানের বিরুদ্ধে একেবারেই কোনো শক্ত মামলা ছিল না। তবে তাকে একটি প্রযুক্তিগত ভুলের কারণে এই দোষী সাব্যস্ত হতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, খানের প্রতি সমর্থন কমে যাচ্ছে।
‘তিনি কিছু নিষ্পাপ, নির্বোধ সমর্থকদের প্রতারণা করতে পারেন, কিন্তু সাধারণ জনগণ এখন তার আসল চরিত্র চিনতে পেরেছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘মুখোশ খুলে তার আসল চেহারা তুলে ধরা হয়েছে। তুচ্ছ লাভের জন্য রাষ্ট্রীয় উপহার কুক্ষিগত করেছেন।’
যদি ইমরান দোষী সাব্যস্ত হন তবে তিনি নির্বাচনে দলের নেতৃত্বও দিতে পারবেন না। কারণ অপরাধী দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কারাগারে থেকেও তিনি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খান আদালতে দোষী সাব্যস্ত, নিষিদ্ধ হতে পারেন রাজনীতিতে
মে মাসে তাকে আটক করার পর তার সমর্থকরা বিক্ষোভ করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছিল। খানের অনুগত কয়েক হাজার মানুষ শহরে তাণ্ডব চালায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে। সরকার ক্র্যাক ডাউন করেছে, ৭ হাজারেরও বেশি আটক করেছে। কিছু মামলার বিচার এখনও চলছে।
সরকারের আরও কঠোর পদক্ষেপের আশঙ্কায় আগেরবারের তুলনায় এবার ইমরানের গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি নীরব ছিল। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জন্য এবার তার আহ্বান বিপুল সংখ্যক সমর্থক জড়ো করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজনৈতিক পতন কী?
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আগামী সপ্তাহে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন। সম্ভবত নভেম্বরের মাঝামাঝি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেবেন। সাম্প্রতিক আদমশুমারির ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিলে সরকার কয়েক মাস ভোট পিছিয়ে দিতে পারে।
খানের কারাবরণ তাকে এবং তার দলের বৃহত্তর নির্বাচনী সমর্থন আদায় করতে পারে। ক্ষমতা হারানোর পর তিনি যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৈরি করেছিলেন। এটি আরও যোগ করবে যে পাকিস্তানের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য নির্ভীক কর্মী তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আজিম চৌধুরী বলেছেন, ‘ইমরান খানের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়াই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে জেল থেকেও তার প্রার্থীদের জন্য কার্যকরভাবে প্রচারণা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার
বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে আসেনি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে আসেনি।
তিনি বলেন, বিএনপি যে সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে; জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে আসেনি, সেটি তারা মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, আজ বুধবার (১৯ জুলাই) আবার তারা পদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। একই সঙ্গে আমাদের উন্নয়ন ও শান্তি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী সংলাপ নিয়ে কোনো বিদেশি চাপ নেই: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (১৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আপনারা জানেন, মঙ্গলবার বিএনপি সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য দেশে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করা। যেটি গতকাল আবার স্পষ্ট হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, তারা দেশের ৯টি জায়গায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মিরপুর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতার মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দিয়েছে, জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের 'শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা' শুরু আজ বিকালে
তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজনের উপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করেছে। তারা পৌরভবনেও হামলা চালিয়েছে।
বগুড়ায় সাতমাথা মোড়ে বিএনপির যাওয়ার কোনো অনুমতি ছিল না, পুলিশ বাধা দিলে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এতে বাধ্য হয়ে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুঁড়েছে।
লক্ষ্মীপুরে সামাদ একাডেমির সামনে আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তারা বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষকে প্রভোক (উসকানি) করেছে।
এভাবে সংঘর্ষ বাধিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এটিই। এভাবে সংঘর্ষ বাধিয়ে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। আমরা সেটির সুযোগ দেব না।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিজয় মিছিল নয়, পরাজয়ের মিছিল: কাদের
উন্নয়ন সংস্থাগুলোর রাজনীতিতে নয়, উন্নয়নের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দেশের জনগণকে ‘দেশ ধ্বংস করার মিশনে নিয়োজিতদের’ বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে আহ্বান জানাই যে দেশ ধ্বংস করার তালে যারা আছে, আপনারা তাদের বর্জন করুন।’
শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করলে কোনো লাভ হবে না।’
এর আগে, সফররত জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গ্রপের (এসডিজি) চেয়ার আমিনা জে মোহাম্মদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, প্যারিস চুক্তি এবং বর্ধিত অর্থায়ন, প্রযুক্তি বিনিময় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ন্যায্য রূপান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সংহতির জন্য বিশ্বব্যাপী পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, তারা কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে আলোচনা করেননি বরং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন - এইগুলো আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জ।’
দুঃখ করে মোমেন বলেন, অনেক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
আরও পড়ুন: অন্যের প্ররোচনায় বিপথগামী না হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর