রাজনীতি
রাজনীতিতে ফিরতে ট্রাম্পের ছবি ব্যবহার করছে আ.লীগ: বিএনপি
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ব্যবহারসহ নানা গোপন উপায়ে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে ফেরার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাফিজ উমেদ আহমেদ।
রবিবার রাজধানীতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে তারা আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক অবস্থান হারিয়েছে বলেই এ ধরনের চক্রান্তে মেতেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার পর থেকে দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী আত্মগোপনে থাকার মাঝে আজ (রবিবার) নূর হোসেন দিবসে কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
তবে আওয়ামী লীগকে এই ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের ছবিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: ৭ নভেম্বর 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' পালন করবে বিএনপি
এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোর বৈঠক শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জনগণ দ্বারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে শেখ হাসিনা ও তার দল বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন ছদ্মবেশে রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে যখন দেশের মানুষ আপনাকে বিতাড়িতে করে- এখন আপনি একেক সময় একেক কাভারে আসতে চান। কোনো কোনো সময় হিন্দু-মুসলিম ইস্যুটা নিয়ে আসবেন, কিছু সময় ওই যে হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের চিত্র নিয়ে আসবেন। আবার এখন ট্রাম্পের (ডনাল্ড ট্রাম্প) চিত্র আসছে।’
‘আসলে যাদের এখন অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, তারা কোনো একটা অন্য কোনো বেশে তারা আসতে চাচ্ছে দেশের মধ্যে। এটা হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা- তারা যে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে, এটাই প্রমাণ করে।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ট্রাম্পের বেশে কেন আসতে হবে, হিন্দুদের অত্যাচারের বেশে কেন আসতে হবে? কেন তারা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এই অবস্থায় পৌঁছাল- এটা তারা নিজেরাই প্রমাণ করেছে, তাই না।’
‘আমি বলতে চাই, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মোড়কে আসার চেষ্টা হচ্ছে। যারা রাজনৈতিকভাবে ব্যাংক্রাপট (দেউলিয়া) হয়ে গেছে, তারা বিভিন্ন মোড়কে আসার চেষ্টা করছে- একটা আবহাওয়া সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
অপর এক আলোচনা সভায় ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আরেক দেশে বসে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চান’ বলে মনে করেন বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর : শহীদ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাফিজ বলেন, ‘হাসিনা কত নিষ্ঠুর, কত ছাত্র হত্যা করেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য কত নির্মম এরা ছিল। আল্লাহর গজব এদের উপর পড়েছে। এখন আরেক দেশে বসে ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে উনি বাঁচতে চান।’
‘আসেন না বাংলাদেশে, এত বড় বড় কথা বলেন, বাংলাদেশে আসেন। এখন জিয়াউর রহমান নাই, তার দল বিএনপি এখনও আছে। তার বাংলাদেশের জাতীয়বাদ আছে। আমরা সবাই মিলে এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’
জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, পরিষদের মহাসচিব ডক্টর ইন্তাজ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছলচাতুরী বাদ দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: সরকারকে বিএনপি
১ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি
বিএনপি-জামায়াত ঐক্যবদ্ধ থাকলে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এক স্মরণসভায় তিনি বলেন, বিএনপি তার দীর্ঘদিনের মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আগামী দিনগুলোতে দেশকে পুনর্গঠনে আগ্রহী।
তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই ঐক্যের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। যাতে আমরা এই দেশকে সুন্দরভাবে পুনর্গঠন করতে পারি। আসুন আমরা উভয়েই মিলে দেশের স্বার্থে কাজ করি। সবাই মিলে আমরা দেশকে গড়ব।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের বৈঠক
সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস দাবি করেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও তার সহযোগীরা দেশেই রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার দোসররা ভিন্ন পদে বসে থাকলে দেশ এগোতে পারছে না, কারণ তারা নানা চক্রান্ত করছে। তবে জামায়াত-বিএনপি একসঙ্গে কাজ করলে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম ও অনেক ত্যাগের পর গত ৫ আগস্ট জাতি হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন আওয়ামী লীগবিহীন বাংলাদেশ চাই। আওয়ামী লীগ ও সভ্য মানুষ এবং আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এক সঙ্গে থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ আসলে শয়তানের বন্ধু।’
শেখ হাসিনার দোসর ও প্রতিবেশী দেশের ঘৃণ্য অপচেষ্টা প্রতিহত করতে অন্য সব গণতান্ত্রিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত সরকার এখন সময়ের দাবি: বিএনপি
২ সপ্তাহ আগে
নিষিদ্ধ হওয়ায় ছাত্রলীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন, তাই তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সমাবেশ করার অধিকার নেই। তারা সেই চেষ্টা করলে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শনিবার বিকেলে রংপুর জেলা পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি ময়নুল ইসলাম আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান আইজিপির
তিনি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাকে বদলি করা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বদলি বা ক্লোজডের বিষয়টি একটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া।
ময়নুল ইসলাম বলেন, কতিপয় পুলিশ সদস্য জড়িত।
মামলাগুলোর তদন্ত চলমান। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
নেতৃত্ব পর্যায়ে গুটিকয়েক বিপথগামী অফিসারের কারণে পুলিশ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবার জণগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের পুলিশ তৈরি করতে চায় সরকার।
রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, প্রশাসন ও রাজনীতি একসঙ্গে মেলাবেন না।
যে পুলিশ রাজনীতি করতে চান, তারা দয়া করে চাকরি ছেড়ে চলে যান। আর যে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা পুলিশকে ব্যবহার করতে চান তারাও এটা থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে পুলিশের যে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার শুরু হয়েছে সেটা সম্ভব হবে।
আইজিপি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেছে। ওই অস্ত্র তারা ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। আমরা চেষ্টা করছি, এসব অস্ত্র সরকারের কাছে জমা করতে।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন আইজিপি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আইজিপি ময়নুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে যান। সেখানে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার মা-বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অপরাধ করে শাস্তি এড়ানোর সুযোগ নেই: আইজিপি
৩ সপ্তাহ আগে
আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই; নিষিদ্ধ হওয়া উচিত: অলি আহমদ
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) ওলি আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দেশের ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে তাদের যে ভূমিকা ছিল, এরপর তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
অলি বলেন, ‘কেন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে না? আমরা আজ আবার বলেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত কারণ তারা ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।’
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করা ওলি আহমদ বলেন, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে পুলিশ ও প্রশাসনসহ সবকিছু ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত: অলি আহমদ
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও কিছু পুলিশ প্রতিবাদ চলাকালে গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা টিকতে পারেনি।
তার মতে, এই আন্দোলনে ১৫০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে।
ওলি বলেন, আজ তারা ২৩টি প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির সমাধানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াত, সিপিবিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া চলতি পর্বে এটি দ্বিতীয় সংলাপ।
গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটস পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (আন্দালিব) সহ ১৫টি রাজনৈতিক দলকে আজকের সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ আজানো হয়েছে।
সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংস্কার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় গণফোরামের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বিকেল ৩টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান মিত্র জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল প্রায় সব রাজনৈতিক দলের।
এদিকে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক টিভি অনুষ্ঠানে দেওয়া তার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, 'এটা (নির্বাচনের সময়) ঘোষণা করার এখতিয়ার একমাত্র তারই আছে।’
তবে ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কর্নেল অলি আহমদের গাড়িতে ‘ছাত্রলীগের’ হামলা ?
৪ সপ্তাহ আগে
যারা দেশ বিক্রি করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে থাকবে না: জামায়াতের নায়েবে আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ ডক্তার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, অনেকে বলে আওয়ামী লীগেরও রাজনীতি করার অধিকার আছে। অবশ্যই তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, রাজনীতি করার অধিকার তাদেরই আছে যারা শুধু রাজনীতি করে। এছাড়া যারা দেশ বিক্রি করে দেয় তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশ থাকবে না।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত: জামায়াতের নায়েবে আমির
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নজমিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে সীরাতুন্নবী আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস করে, হত্যা করে, লুটপাট করে, দেশ বিক্রি করে দেয়, মানুষের সম্পদ খেয়ে ফেলে তারা কি রাজনীতিবিদ?
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির কবর দিন: জামায়াত আমির
এমন রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশ আর কারো থাকবে না। আর যারা রাজনীতি করবেন প্রত্যেকেরই স্বাধীনতা আছে।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার। উপজেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রিয় মজলিসে সূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির আইনজীবী শাহজাহান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়: জামায়াত আমির
১ মাস আগে
জবিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ, রবিবার থেকে ক্লাস শুরুর আশ্বাস
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে রবিবার (১৮ আগস্ট) থেকে সশরীরে ক্লাস চালুর আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে করা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জবির ছাত্রকল্যাণ-পরিবহন পরিচালকসহ একাধিক দপ্তরপ্রধানের পদত্যাগ
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মডেল রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে পূর্বঘোষিত ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে পাঁচটি দাবি বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৩টার মধ্যে বাস্তবায়নে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
এই পাঁচ দাবির মধ্যে ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সব ধরনের রাজনীতি বাতিলের ঘোষণা দেন কোষাধ্যক্ষ। এ ঘোষণার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষদের ডিন চেয়ারম্যান ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা শিক্ষকরা সম্মতি জানান।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের দেওয়া নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাত্রসংসদ নির্বাচন করার ব্যাপারে একটি কমিটি গঠনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রবিবার থেকে সশরীরে ক্লাস শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোষাধ্যক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, উপদেষ্টা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: হল উদ্ধারে মঙ্গলবার আন্দোলনে নামবে জবি শিক্ষার্থীরা, কোষাধ্যক্ষ-শিক্ষকদের পাশে থাকার আহ্বান
আল্টিমেটামের ৪ ঘণ্টার মধ্যেই জবি উপাচার্যের পদত্যাগ
৩ মাস আগে
ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসতে নিরুৎসাহিত করলেন গাজী আশরাফ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে দ্বিমত প্রকাশ করে নিরুৎসাহিত করেছেন।
আশরাফ মনে করেন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশিকা থাকা উচিত। কারণ খেলোয়াড়রা যখন তাদের মনোযোগ ক্রিকেট এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে বিভক্ত করে তখন সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: বিদেশি ক্রিকেট লিগগুলোতে যেমন খেলছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান একই মনোভাব পোষণ করে বলেছেন, খেলোয়ার জীবনে ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা উচিত নয়।
আশরাফ বলেন, 'যেসব সংস্কার হয়েছে, তাতে আমি বিশ্বাস করি জাতীয় দলে থেকে কেউ রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারে কিনা সে বিষয়ে অবশ্যই একটি প্রক্রিয়া থাকা উচিত।’
সাকিব আল হাসানের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে আশরাফ স্বীকার করেছেন সমাধানের সম্ভাবনার কথা।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল করে। সেগুলো সংশোধনেরও সুযোগ রয়েছে। সাকিব যদি তার এই যাত্রায় ভুল করে থাকে, সেটা সে নিজে বুঝে নিজেকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার সুযোগ পাবে।’
আসন্ন সফরে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন সাকিব। তার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ জাতীয় দলের সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তার আগে জাতীয় নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সাকিব ও মাশরাফি দুজনই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। যারা সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পদচ্যুত হয়েছেন। এর ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ক্রিকেট দল
ভয়ডরহীন ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াকু পুঁজি
৩ মাস আগে
রাজনীতিতে ফিরবেন না শেখ হাসিনা: ছেলে সজীব ওয়াজেদ
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তার মা শেখ হাসিনা কোনো রাজনীতিতে ফিরবেন না, কারণ তিনি খুবই ‘হতাশ’।
সোমবার (৫ আগস্ট) পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা জয় বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে একথা বলেন।
আরও পড়ুন: শেরপুর জেলা কারাগার ভাঙল দুর্বৃত্তরা, ৫০০ বন্দির পলায়ন
জয় বলেন, তার মা রবিবার থেকে পদত্যাগের কথা ভাবছিলেন এবং পরিবারের চাপে তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য দেশ ছেড়েছেন।
ক্ষমতায় থাকাকালে মায়ের সাফল্যের সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, 'তিনি বাংলাদেশকে ঘুরিয়ে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র মনে করা হতো। এটি একটি দরিদ্র দেশ ছিল। আজ পর্যন্ত এটি এশিয়ার অন্যতম উদীয়মান বাঘ হিসেবেেই বিবেচিত হতো। তিনি খুবই হতাশ।’
বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলায় সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জয় বলেন, 'গতকাল ১৩ জন পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাহলে উন্মত্ত জনতা যখন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে, তখন পুলিশ কী করবে বলে আপনি আশা করেন?
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, নিহত ৬
রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান সারজিস আলমের
৩ মাস আগে
এমপি আনোয়ারুল আজিম হত্যার নেপথ্যে দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি: মেয়ে ডরিন
কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ওরফে আনার রাজনৈতিক কারণে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেয়ে অভিযোগ করেছেন মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন।
শনিবার(৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কলকাতায় বাবার হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ডরিন বলেন, ‘অবশ্যই আমার বাবা হত্যার পেছনে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলের কোন্দল আছে। তা না হলে তারা (তার বাবার দল অর্থাৎ আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন) কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হবে! তারা সব জানত। এমনকি তারা আমাকে সান্ত্বনা দিতেও এসেছিল!’
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
কেন তাঁকে জানানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ডরিন আরও বলেন, 'এরপর আমি সাংবাদিক ভাইদের বলি, আমার বাবা নিখোঁজ, দয়া করে তাকে খুঁজে বের করুন। সাহায্য চাইতে ডিবিপ্রধান, ডিবি পুলিশের কাছে গিয়েছি। তারপরও তাদের (সন্দেহভাজনরা) কেন আমাকে জানায়নি বা কেন পুলিশের কাছে সাহায্য চায়নি?’
তিনি আরও বলেন, তথ্য গোপন করা হয়েছে, যা একটি অপরাধ। আপনারা জানেন যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল ঝিনাইদহ গিয়ে তিনটি মোবাইল উদ্ধারে কাজ করে। মোবাইল তিনটি কিন্তু তারা পায়নি। প্রমাণ লোপাটও অপরাধ। তিনি বলেন, আমি চাই প্রতিটি অপরাধের শাস্তি হোক।
ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনকি প্রধান সন্দেহভাজন খুনি শিমুল ভূঁইয়াকে গ্যাস বাবুর বিষয়ে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেওয়া হয়েছে। গ্যাস বাবু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এবং সাইদুল করিম মিন্টুর চাচার নাম প্রকাশ করেছেন। অবশ্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারণ তারা পরস্পর সম্পর্কিত। আমি বিশ্বাস করি, এই তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গত ১২ মে এমপি আনার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। পশ্চিমবঙ্গের বড়ানগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন তিনি। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে আনোয়ারুল আজিম রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন।
বাসা থেকে বের হওয়ার পাঁচ দিন পর ১৮ মে বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বরানগর থানায় আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন। গত ২২ মে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেন নামে একটি আবাসিক ভবনের ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে হঠাৎ খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফ্ল্যাটের ভিতরে রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেলেও লাশ পাওয়া যায়নি।আরও পড়ুন:এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ আসামিই গ্রেপ্তার: ডিবিপ্রধান
৪ মাস আগে
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে: খাদ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত। কারণ শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা।
শুক্রবার (১৭ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় শেখ হাসিনার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। প্রতিষ্ঠা হতো পাকিস্তান মডেলের গণতন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক রাজনীতির দল নয়। দলগুলোর জন্ম হয়েছে সেনা শাসকদের হাতে। দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চাও নেই বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
এর আগে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান খাদ্যমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে