রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এ প্রচারণা শুরু হয়। সুসজ্জিত মিনি ট্রাকে করে মাইকিং ও হাতে পোস্টার, লিফলেট নিয়ে প্রচারণা চালান তারা। চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাইমন সাদিক, মীর সাব্বির, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, অপু বিশ্বাস, অরুনা বিশ্বাস, বিজরী বরকতউল্লাহ ও তারিন আহমেদ নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নেই: সিইসি
রেজাউলের জন্য প্রচারে নেমে তারকারা বলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নের মার্কা নৌকা। আমরা বিশ্বাস করি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের যে উন্নয়ন, সে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং চট্টগ্রামবাসী নতুন একজন নগর পিতাকে পাবে, যাকে পেলে চট্টগ্রাম আরও সুন্দর এবং সুপরিকল্পিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাই ২৭ তারিখ সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিন। চট্টগ্রামের উন্নয়নের মার্কা, নৌকা মার্কা।’
নায়ক রিয়াজ বলেন, ‘চট্টগ্রামের নগরপিতার জন্য যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি একজন যোগ্য প্রার্থী। আমরা মনে করি রেজাউল করিম ভাইয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম আরও সমৃদ্ধ হবে। চট্টগ্রামবাসীর কাছে তাই নৌকার পক্ষে ভোট চাই। নৌকা যেন চট্টগ্রামে বিজয়ী হয় এই কামনা করি।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে এত উন্নয়ন হয়েছে- চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না। মনে হয়েছে বিদেশের কোনো রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। ইউরোপ-আমেরিকার যে ধরনের রাস্তা, সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: এজেন্টদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিইসির নির্দেশ
এসময় মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, শেখ হাসিনার প্রতীক। নৌকায় ভোট দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। নৌকার মাধ্যমে পাকিস্তানিদের পরাজিত করেছি। নৌকায় দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তাই চট্টগ্রামবাসী আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের সুযোগ করে দেবেন।’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া চসিক নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: নগরবাসীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করার প্রতিশ্রুতি বিএনপি প্রার্থীর
এর আগে, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ৫ আগস্ট।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা ছিল। সে হিসেবে ইসির সিদ্ধান্ত অনুসারে ২৯ মার্চ এ সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯-এর কারণে পরে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এখন করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে জনগণ কিছুটা মানিয়ে ওঠায় নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে।