বাগেরহাটে বিভিন্ন কাঠ দিয়ে জনপ্রিয় সাইকেল তৈরি করা হচ্ছে। চাকা থেকে শুরু করে সাইকেল তৈরিতে ব্যবহৃত সব সরঞ্জামে কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। বিদেশের বাজারে পরিবেশ বান্ধব ‘বেবি ব্যালেন্স বাইকার’ বাহন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই সাইকেল। বেবি ব্যালেন্স বাইকার নামে এসব সাইকেল ইউরোপের বাজার দখল করে নিয়েছে।
এরইমধ্যে গ্রিসে ২০ হাজার পিচ বেবি ব্যালেন্স বাইকার রপ্তানি করা হয়েছে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে নতুন বাজার সৃষ্টি করেছে কাঠের এই সাইকেল। সাইকেল বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে দেশে। বিদেশের মাটিতে হাটতে শিখা ছোট শিশুরা এই সাইকেল ব্যবহার করছে।
বাগেরহাট বিসিক শিল্প নগরীতে ন্যাচরাল ফাইবার নামে একটি প্রতিষ্ঠানে তৈরি করা হচ্ছে নজরকাড়া কাঠের এই সাইকেল। কাঠের সাইকেলের পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানে কাঠ দিয়ে হোটেল বেড,সান বেড, কুকুর-বিড়ালের খেলনাসহ পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ধরণের ফার্নিচার তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্ববাজারে এসব কাঠের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিজেদের হাতে তৈরি কাঠের সাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পেরে উদ্যাক্তা এবং শ্রমিকরা বেজায় খুঁশি। সরকারি প্রণোদনা পেলে কাঠের এই সাইকেলে বিশ্ববাজার জয় করবে এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন উদ্যোক্ত মোস্তাফিজ আহম্মেদ।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে বাগেরহাট বিসিক শিল্প নগরীতে ন্যাচরাল ফাইবার নামে এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। প্রথম দিকে নারকেলের ছোবড়া দিয়ে ম্যাট্রেস, কয়ার ফেল্ট,কোকা পিট, ডিসপোজেবল স্লিপারসহ ছোবড়ার বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয়। ছোবড়ার ওই সব পণ্য দেশে বিক্রির পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করা হয়। আর ২০২৩ সাল থেকে কাঠের সাইকেল এবং কাঠের বিভিন্ন পণ্য তৈরি শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানে। বাগেরহাটে তৈরি কাঠের সাইকেলসহ কাঠের বিভিন্ন পণ্য বিশ্ববাজারে ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। বিদেশের বাজারে চাহিদা থাকায় এই প্রতিষ্ঠানে‘বেবি ব্যালেন্স বাইকার’ এর পাশাপাশি বড়দের জন্যও তৈরি করা হবে কাঠের সাইকেল।
আরও পড়ুন: দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খোঁজার নির্দেশ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর