বাগেরহাট
বাগেরহাটে চাষ হচ্ছে লিলিয়াম
দেশের মাটিতে নতুন সংযোজন লিলিয়াম ফুল। এটি শীতপ্রধান দেশের হলেও বাংলাদেশের মাটিতে চাষ হচ্ছে। বিদেশের মাটিতে লিলিয়াম রোপণ করার পর ফুল ফুটতে যতদিন সময় লাগে, তার চেয়ে অর্ধেক সময়ে দেশের মাটিতে ফুল ফুটেছে।
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গারফা গ্রামে নেদারল্যান্ডের লিলিয়াম ফুল চাষ করছেন তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ। পরীক্ষামূলকভাবে নিজের নার্সারিতে ফুল ফোটাতে সফল হয়েছেন। এখন তিনি দেশের মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে এটি চাষ করতে চান।
জেলার মোল্লাহাট উপজেলার গারফা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মধুমতি নদীর কাছে মধুমতি এগ্রো অ্যান্ড নার্সারি। প্রায় এক শতাংশ জমির উপরে এক ফুট দূরত্বের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে লিলিয়াম রোপণ করা হয়েছে। পলিনেট হাউজের মধ্যে (উন্নতমানের ইউভি পলি ও শেড নেট ওয়েলপেপারে আবৃত ফুল বাগান) প্রায় আড়াই ফুট উচ্চতার গাছে গাছে অনেকটা লাল রঙ্গের লিলিয়াম ফুল ফুটে আছে। প্রতিটি ফুলে ৬টি পাপড়ি। আবার অনেক গাছে কুঁড়ি ফুল ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে।
বিভিন্ন এলাকার মানুষ ফয়সাল আহম্মেদের নার্সারিতে বিদেশি ফুল দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকেই আবার বাণিজ্যিকভাবে লিলিয়াম চাষের আগ্রহের কথা জানাচ্ছেন।
জানা গেছে, নেদারল্যান্ড, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার শীত প্রধান দেশগুলোতে লিলিয়ামের ব্যাপক চাষ হয়। ফুল সাধারণ সাদা, হলুদ, কমলা গোলাপি, লাল ও বেগুনি রঙের। আলো সহ্য করতে পারে না বলে ঠান্ডা ও আলোবিহীন জায়গায় লিলিয়াম ফুল চাষ করতে হয়। দেশের মাটিতে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার আশা জাগাচ্ছে বিদেশি এ ফুল।
উদ্যোক্তা ফয়সাল আহম্মেদ জানান, নুতন যেকোনো বিষয়ে তার আগ্রহ অনেক বেশি। ইউটিউভ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিলিয়াম সম্পর্কে জানতে পারে তিনি। বাণিজ্যিক চাহিদা থাকা এটি চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তিনি। লাল তীর নামে বীজ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বীজ সংগ্রহ করেন।
এর পর তাদের সহযোগিতায় নেদারল্যান্ড থেকে দুই জাতের ২০০টি বাল্ব (কন্দ) এনে পরীক্ষামূলক তার চাষ করেন। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর প্রায় এক শতাংশ জমিতে ওই বাল্ব রোপণ করা হয়। এক স্কার ফুট অন্তর অন্তর বাল্ব রোপণ করা হয়। মাটিতে ভার্মিকম্পোস্ট, কোকডাস্ট ব্যবহার করা হয় এবং ছত্রাকনাশক স্প্রে করা হয়। পুরোপুরি জৈবিক পদ্ধতিতে চাষ করা হয়েছে। মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা তার ব্যয় হয়েছে বলে তিনি জানান।
ফয়সাল জানান, শীত প্রধান দেশে সাধারণত দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা এলাকায় লিলিয়াম চাষ হয়। ৬৫ থেকে ৭০ দিনের মাথায় গাছ থেকে ফুল হারভেস্টিং করা হয়। কিন্ত তার নার্সারীতে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় লিলিয়ামের চাষ করা হয় এবং ৩৩ দিনের মাথায় গাছে ফুল ফুটেছে। একটি গাছে সর্বোচ্চ সাতটি পর্যন্ত ফুল ফুটে আছে। ফুলদানিতে এই ফুল প্রায় এক মাস সতেজ থাকে এবং সুঘ্রাণ ছড়ায়।
ফয়সাল আহম্মেদ আরো জানান, ঢাকার ফুলের বাজারে প্রতিটি লিলিয়াম ফুল খুচরা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
মোল্লাহাটের উদয়পুর গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী মো. মেহেদী হাসান জানান, আগামীতে বাল্ব সংগ্রহ করে তিনি লিলিয়াম চাষ করবেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে বিএনপির সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকায় উপজেলা বিএনপির জনসভা ও দলটির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদের সই করা এক আদেশে অনুষ্ঠানস্থল দুটিসহ চারপাশের ১ কিলোমিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এবং চারপাশের ১ কিলোমিটারের মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সকল ধরনের জনসমাগম, সভা সমাবেশ করা, আগ্নেয়ান্ত্র বহন নিষিদ্ধসহ ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই আদেশ জরুরি পরিষেবা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজন্য হবে না।’
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিমকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া পার্শবর্তী গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কচুয়া উপজেলা বিএনপি জনসভার আয়োজনের ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই স্থান দুটিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ বলেন, ‘উভয় অনুষ্ঠানস্থলই অত্যন্ত কাছাকাছি স্থানে। উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনায় অনাকাঙিক্ষত ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
৪ দিন আগে
বাগেরহাটে ৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
বাগেরহাটে মেডিকেল অ্যাসিস্টান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে ক্লাস-বর্জন করে আন্দোলন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থীরা বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে প্রায় আধঘণ্টা ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় সড়কের দুই পাশে যানজট তৈরি হয়। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
সড়ক অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বাগেরহাট ম্যাটসের সভাপতি মো. রইচউদ্দীন হৃদয়, শিক্ষার্থী মো. হাসিব বাবু, মো. সাকিল ও হিমসহ আরও অনেকে।
ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, অনতিবিলম্বে ইন্টার্নশিপ বহাল রেখে কোর্স কারিকুলাম সংশোধন, অ্যালাইড হেলথ বোর্ড বাতিল করে অবিলম্বে মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ নামে স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অনতিবিলম্বে নিয়োগ দেওয়া।
১ মাস আগে
বাগেরহাটে প্রাইভেটকারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালকসহ নিহত দুই
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে একটি প্রাইভেটকারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় প্রাইভেটকারে থাকা তিনজন যাত্রী আহত হন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের মাদরাসাঘাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- প্রাইভেটকার চালক তারেক কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বাসিন্দা এবং যাত্রী রিয়াদ একই উপজেলার তুজারভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
খবর পেয়ে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা প্রাইভেটকারের থেকে চালকের লাশ এবং আহত চারজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করেন। আহতদের প্রথমে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে হাবিবুর রহমানের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ২
মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু জানান, মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা থেকে খুলনাগামী একটি যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় প্রাইভেটকারটি রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে চালক তারেক নিহত হন। আহত অবস্থায় চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক রিয়াদকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, প্রাইভেটকারে মোট পাঁচজন যাত্রী ছিল। ঘটনার পর নিহত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: পদ্মার চর দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের ‘হামলায়’ নিহত ১, আহত ১৫
১ মাস আগে
বাগেরহাটে বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
বাগেরহাটে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য সজিব তরফদার হত্যাকাণ্ডের মামলার এক আসামি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) পিরোজপুরের কাউখালী থানার হুগলি বাটকা এলাকা থেকে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার তথ্যানুযায়ী বাগেরহাট উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- একটি দোনালা বন্দুক, একটি একনালা পাইপগান, একটি কার্তুজ এবং একটি ধারালো অস্ত্রের কাঠের বাট।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পর যুবকের লাশ উদ্ধার
আবু বক্কর শিকদার বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহান শিকদারের ছেলে। সে কিলিং মিশনের সদস্য বলে পুলিশ জানায়।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, সজিব হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে চারজন। আবু বক্কর ওই হত্যা মিশনের একজন সদস্য।
তিনি আরও জানান, আবু বক্কর সজিব হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ মামলার অপর আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে মো. তৌহিদুল আরিফ জানান।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বাগেরহাটের ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সজিব তরফদারকে (৪৫) মির্জাপুর এলাকায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায তার স্ত্রী নাঈমা ফারহানা বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত পরিচয়ের ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করে শুক্রবার বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ ইন্দোনেশিয়া নাগরিকের লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় দানা: বাগেরহাটে প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বাগেরহাটে নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বাড়ায় জেলার রামপাল, মোংলা ও মোড়লেগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
এছাড়া বাগেরহাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এদিকে জেলার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৬ হাজার ৬৫১ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান জুমে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা করেছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৫ পরিবার
এসময় তিনি বলেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, জেলায় মোট ৩৩৮ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৭ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া মোড়েলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি এলাকায় ২০ কিলোমিটার বাঁধের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ দশমিক ৮ থেকে ৪ মিটার। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন অনুযায়ী বাঁধের উচ্চতা ৪ দশমিক ৭ মিটার হতে হবে। জোয়ারে পানি বাড়লে ওই সব এলাকায় বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলার রামপাল ও মোংলা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো বাঁধ নেই। জোয়ারে পানি বাড়লেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।
তিনি বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নদী পাড়ে ১৮৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের সম্ভ্যবতা যাচাইয়ের জন্য তাদের প্রস্তাব বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্ততি রয়েছে।
তিনি বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৬ হাজার ৬৫১ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে মানুষ তাদের গবাদি পশুও আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে আসতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, নগদ ১৫ লাখ টাকা ও ৮০০ মেট্রিকটন চাল, শুকনা খাবার মজুত রাখা হয়েছে। জেলাব্যাপি সিপিপি ও সেচ্ছাসেবক মিলে ৩ হাজার ৫০৫ জন সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৮৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৯টি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগের সংকেতের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু
১ মাস আগে
খুলনার আদালত থেকে পালানো আসামি ৪ ঘণ্টা পর বাগেরহাটে গ্রেপ্তার
খুলনার আদালত চত্বর থেকে পালানোর চার ঘণ্টারর মাথায় গ্রেপ্তার হয়েছেন চুরির মামলার আসামি হৃদয় সরদার।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে বাসে করে বাগেরহাট পালানোর সময় কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় কোর্ট পুলিশের এসআই কৃপাসিন্দুসহ ৪ এএসআই ও ২ কনেস্টবলকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে খুলনা মহানগর হাকিম আদালত চত্বর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় হৃদয় সরদার।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের একটি চুরির মামলায় হৃদয় সরদারকে গত ১০ জুলাই পাবলা দত্ত বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ জেল হাজতে পাঠায়। বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে মামলার হাজিরা দিতে তাকে খুলনা মেট্রোপলিটন আদালত চত্বরে নেওয়ার পথে ১২টার দিকে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পুলিশকে সর্তক করে নিরাপত্তা জোরদার ও চেকপোস্ট বসানো হয়। বাগেরহাটের দিকে বাসে পালানোর সময় বিকালের দিকে হৃদয়কে কাটাখালি চেকপোস্টে ফকিরহাট থানা পুলিশ আটক করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার প্রসিকিউশন মনিরা সুলতানা বলেন, ২০২৩ সালের একটি চুরির মামলায় হৃদয় নামে এক আসামি জেল হাজতে ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ১২টায় আদালতে নিয়ে আসার সময় দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা চৌকির মাধ্যমে কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলায় সুত্রাপুরে তাঁতী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
২ মাস আগে
বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাগেরহাটে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামন্ডপগুলোতে মহাষ্টমী তিথিতে নানা উপকরণ দিয়ে দেবী দুর্গাকে পূজা আর আরধনা করছেন ভক্তরা।
শুক্রবার সকাল ৭টায় মহাষ্টমীতে পুস্পঞ্জলি দিতে বাগেরহাট শহরের শত বছরের প্রাচীনতম শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দিরে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ভক্তের ঢল নামে।
ভক্তরা দেবী দুর্গার কাছে সব ধরণের অশুভ শক্তি বিনাশ করে দেশবাসীর জন্য শান্তিকামনা করেন। ঢাকের বাজনা, শঙ্ক আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পূজামন্ডপগুলো। চন্ডিপাঠ আর পূজারমন্ত্র ধ্বনিত হচ্ছে মন্ডপগুলোতে।আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: অনলাইনের কার্যক্রম মনিটরিং করছে র্যাবের সাইবার ইউনিট
পুস্পাঞ্জলি শেষে মা দুর্গার কাছে তারা সব ধরণের অশুভ শক্তি বিনাশ করে দেশবাসীর জন্য শান্তিকামনা করেছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, পূজামন্ডপগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় এবছর মোট ৫৯৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫৩টি পূজামন্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাগেরহাটে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলায় এবছর ৫৯৭টি পূজামন্ডবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামন্ডবগুলোতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব এবং জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক পুজামন্ডপগুলোতে টহল দিচ্ছে। একই সঙ্গে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
২ মাস আগে
বাগেরহাটে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
বাগেরহাটে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বহনের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি দেশি তৈরি পাইপগান, ছয় রাউন্ড গুলি, তিনটি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল এবং পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দের দাবি করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে রামপাল উপজেলার ফয়লা গরুর হাট এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার মহেশ্বর পাশা এলাকার হুমায়ুন কবির হুমা (৩৬), ইসতিয়াক শাহারিয়ার (২৩), কাজী রায়হান (২১), মো. আসিফ মোল্লা (২০) এবং মো. ইমন হাওলাদার (২১)।
আরও পড়ুন: মিরপুরে অভিনব কায়দায় প্রতারণা-ছিনতাই, ৫৭ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার ৬
সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, পাঁচজন দুর্বৃত্ত রামপাল উপজেলার ফয়লা হাট এলাকায় ঘোরাফেরা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল রেখে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার পাঁচজনই দেড় মাস আগে রামপাল উপজেলার ভাগা গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে অবস্থান করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের ভাড়া বাড়ির টিনের ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছয় রাউন্ড গুলি জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা খুলনা জেলার আড়ংঘাটা এলাকার আরিফ হত্যা মামলার আসামি। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা বাগেরহাটের রামপালে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিল।
আরিফ হত্যার ঘটনার ২৫ জুন আড়ংঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার পাঁচজন ওই মামলার আসামি।
তাদের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে দুটি ড্রেজার জব্দ, গ্রেপ্তার ১৮
২ মাস আগে
বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগ
বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) মনোয়ারা বেগম পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগমের অপসারণসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন: বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ
বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) রাতে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের ডা. অসীম কুমার সমাদ্দারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এদিকে অধ্যক্ষ পদত্যাগ করায় শিক্ষার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগম তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই পদত্যাগপত্র নার্সিং অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ না আসা পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ কনিকা মিস্ত্রিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার।
শহরের মুনিগঞ্জ এলাকায় নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিক্ষোভ করেন। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে মনোয়ারার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ করে জানান, ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হিসেবে মনোয়ারা বেগম যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, হোস্টেলে খাবারে অনিয়ম, প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়া এবং বিল-ভাউচার বাণিজ্যসহ প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ করছেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করবেন বিসিবি সভাপতি পাপন
পদত্যাগ করলেন চুয়েট ভিসি
৪ মাস আগে