বাগেরহাট
বাংলাদেশের জলসীমায় ট্রলারসহ আটক ১৪ ভারতীয় জেলে
বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে একটি ট্রলারসহ ১৪ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী।
গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ওই জেলেদের মোংলার দিগরাজ নৌঘাঁটিতে আনা হয়। আজ রোববার আটক জেলেদের বাগেরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় ওই ১৪ জেলেকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরার অপরাধে রাজবাড়ীতে সাড়ে তিন কোটি টাকার জাল ধ্বংস, ১৩০ জেলে দণ্ডিত
মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে ‘এফ, বি শুভযাত্রা’ নামক একটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার আটক করে সমুদ্রসীমায় টহলরত নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা শহীদ আক্তার উদ্দিন।
ট্রলারটিতে ১৪ জন ভারতীয় জেলে রয়েছে। তারা বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছিলেন। তাদের বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এ সময় ট্রলারটিতে ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫০০ কেজি মাছ পাওয়া গেছে বলে জানান মোহাম্মদ জাহিদুল।
তিনি আরও জানান, ওই মাছ আদালতের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হবে। আটক জেলেদের নৌবাহিনীর মাধ্যমে মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হবে।
৪৭ দিন আগে
বাগেরহাটে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে কমিটির নেতাকর্মীরা বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন এবং অফিসের প্রধান ফটক ঘিরে রাখেন।
এ সময় নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। এই ঘেরাও কর্মসূচি দুপুর একটা পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্দলোনকারীরা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিক্ষোভ-অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি হরতাল কর্মসূচি স্থগিত করেছে। তবে কমিটির নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথের আন্দোলনও চলবে।
কমিটির সদস্যসচিব ও জামায়েতে ইসলামী বাংলাদশের জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, ‘আমরা হরতাল বাতিল করেছি, যাতে দুর্গাপূজা ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি না হয়। উচ্চ আদালত ১০ দিনের রুল জারি করেছেন, আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশাবাদী। চারটি আসন ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
উল্লেখ্য, ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনকে কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী।
তা সত্ত্বেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে, যা জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে কমিটির নেতারা অভিযোগ করেন।
নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, নতুন আসনবিন্যাস হলো— বাগেরহাট-১: (বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২: (ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা), বাগেরহাট-৩: (কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে আসনবিন্যাস ছিল— বাগেরহাট-১: (চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট), বাগেরহাট-২: (বাগেরহাট সদর, কচুয়া), বাগেরহাট-৩: (রামপাল, মোংলা), বাগেরহাট-৪: (মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)।
৭৯ দিন আগে
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি সংসদীয় আসন করার প্রস্তাবের প্রতিবাদ এবং চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
মঙ্গলবার(১৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম।
এসময় জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি মাওলানা ইউনুস আহমেদসহ সর্বদলীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত তিন দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাটাখালি থেকে নওয়াপাড়া মহাসড়ক অবরোধ, ২৪ আগস্ট রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া, কাটাখালি, ফকিরহাট, মোল্লাহাট সেতুতে, পিরোজপুর-বাগেরহাট মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি এবং জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি। এছাড়া সোমবার একই সময়ে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন এটিএম আকরাম হোসেন তালিম।
তিনি বলেন, বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল রাখার বিষয়ে আমরা সবদল এক সঙ্গে হয়েছি। আসন বহাল রাখার জন্য আমরা সবকিছু করতে রাজি আছি।
সম্মেলনে উপস্থিত সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. রেজাউল করিম বলেন, আসন কমানোর এই প্রস্তাব একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। নির্বাচন কমিশন যদি এই প্রস্তাব থেকে ফিরে না আসেন, তাহলে এত কঠিন আন্দোলন করা হবে। যার সামাল দেওয়ার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশন নেই।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, চারটি আসন থেকে তিনটি আসন করা হলে জেলাবাসী নানাভাবে বঞ্চিত হবে। নির্বাচন কমিশন যদি চারটি আসন বহাল না রাখেন, তাহলে বাগেরহাটকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল। ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এরপর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুসে ওঠে। একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। এর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান এমনকি ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছেন বাগেরহাটবাসী। আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১০৭ দিন আগে
বাগেরহাটে খড়ের গাদা থেকে অজগর উদ্ধার, সুন্দরবনে অবমুক্ত
বাগেরহাটের শরণখোলায় খড়ের গাদার নিচ থেকে একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়।
অজগরটি শরণখোলা গ্রামের ফিরোজ মিস্ত্রির বাড়ির মুরগীর খোপের মুরগী খাওয়ার পর খড়ের গাদার নিচে লুকিয়েছিল। ওয়াইল্ড টিম ও ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি) সদস্যরা ওই অজগরটি উদ্ধার করে। পরে অজগরটি সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়।
অবমুক্ত অজগরটি ১২ ফুট লম্বা এবং ওজন ১৫ কেজি।
পড়ুন: লালমনিরহাটে ৮ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
ওয়াইল্ড টিমের শরণখোলা ফিল্ড ফ্যাসিলেটেটর মো. আলম হাওলাদার জানান, সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে এসে অজগরটি একটি বাড়ির মুরগির খোপে ঢুকে কয়েকটি মুরগী খেয়ে ফেলে। পরে খড়ের গাদায় লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে অজগরটি উদ্ধার করে সুন্দরবন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. খলিলুর রহমান জানান, স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার করে অজগরটি আমাদেরকে কাছে দিয়েছেন। পরে আমরা শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের দক্ষিণ পাশে ধাবড়ি এলাকার বনে অজগরটিকে অবমুক্ত করেছি।
১৩৩ দিন আগে
বাগেরহাটে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৮
বাগেরহাটের ফকিরহাটে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও আট যাত্রী।
মঙ্গলবার (১০ জুন) ভোরে উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুলঘর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ছয়জনকে খুলনা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে বাসচালকসহ দুইজনের অবস্থা গুরুতর বলে পুলিশ জানান।
দুর্ঘটনায় নিহত বাসযাত্রীর নাম পরিচয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি। তবে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই পুরুষের বয়স প্রায় ৪০ বছর বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
তিনি জানান, ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ‘ইমাদ পরিবহনের’ একটি বাস মুলঘর এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাসটি রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায় এবং বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই একজন যাত্রীর মৃত্যু হয় এবং আটজন আহত হন। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে খুলনা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে বাসচালকসহ দুইজনের অবস্থা গুরুতর।
ওসি শেখ নুরুজ্জামান চানু আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৭৭ দিন আগে
কোরবানির মাংস বিতরণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, নারীসহ আহত ৩০
কোরবানির মাংস বিতরণকে কেন্দ্র করে বাগেরহাটের মোল্লাহাটে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার চুনাখোলা ইউনিয়নের সিংগাতি গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার সিংগাতি গ্রামের আজিজুল চৌধুরী (৪০) এবং একই গ্রামের মুরসালিন চৌধুরী (৩০)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আহত অবস্থায় প্রথমে আজিজুল চৌধুরীকে রাত ৮টার দিকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টায় মুরসালিন চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এছাড়া, আহতদের বাগেরহাটের মোল্লাহাট, খুলনা এবং গোপালগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে কোরবানির মাংস বিতরণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের নারীসহ ৩২ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে এরশাদ গ্রুপের দুই জন নিহত হয়।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় কোরবানির মাংস বিতরণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এছাড়া পুলিশ অপরাধীদের ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ওসি জানান।
১৮০ দিন আগে
বাগেরহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
বাগেরহাটে মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজিজুল চৌধুরী নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সিঙ্গাধি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আজিজুল চৌধুরী (৪০) মোল্লাহাট উপজেলা সিংগাতি গ্রামের মোশারফ চৌধুরীর ছেলে। আহতদের মোল্লাহাট, খুলনা ও গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সিঙ্গাধি গ্রামের এরশাদ চৌধুরী ও তার ভাইয়ের ছেলে মাসুম চৌধুরীর মধ্যে জমিজমা ও আধিপত্য নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আজিজুল চৌধুরী মারা যান।
আরও পড়ুন: আধিপত্য বিস্তার: সিলেটে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
নিহত আজিজুল এরশাদ চৌধুরীর পক্ষের লোক ছিলেন বলে জানা গেছে।
ওসি জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতির শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানোর কথা বলেন তিনি।
১৮০ দিন আগে
বাগেরহাটের ইনিস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি কেন্দ্রে শাটডাউন কর্মসূচি
বাগেরহাটে সিডিসি প্রদানসহ ৩ দফা দাবিতে ইনিস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি কেন্দ্রে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর ক্লাশ বর্জন করে সোমবার সকাল ৯টার দিকে কেন্দ্রের প্রধান ফটকের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অনির্দিষ্টকালের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
বাগেরহাটসহ দেশের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর এবং ফরিদুপুর ইনিস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে একই দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচি চলছে বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইউএনবিকে জানান।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, মেরিন ও শিপবিল্ডিং ডিপ্লোমাদের সমুদ্রগামী জাহাজের যোগদানের জন্য অনুর্ধ্ব ৬ মাসের প্রি- সি ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে অফিসার ক্যাডেড সিডিসি প্রধান, বিভিন্ন মন্ত্রাণালয় অধীনস্ত ইঞ্জিন ও মেশিন সংশ্লিষ্ট বিভাগে উপসহকারী প্রকৌশলী পদে মেরিন ও শিপবিল্ডিং ডিপ্লোমাদের নিয়োগ বিধান চালু করা ও প্রশিক্ষণের মান উন্নত করা।
মেরিন ও শিপবিল্ডিং ডিপ্লোমা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে এই শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বাগেরহাটে ইনিস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিমানের চাকা খুলে পড়ার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
শিক্ষার্থীরা জানান, এসএসসিতে ভালো ফলাফল করে তারা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে ভর্তি হয়। ভর্তির পর থেকে তাদের উপর বৈষম্য শুরু হয়। চার বছরের ডিপ্লোমা শেষ করার পরে তাদের চাকরির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের বেকার থাকতে হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ডিপ্লোমা ইন মেরিন ও শিপবিল্ডিং শিক্ষার্থীদের ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিদেশি জাহাজে চাকরির জন্য সিডিসি-কন্টিনিউয়াস ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়া হত। কিন্ত কোনো কারণ ছাড়াই শিপিং করপোরেশন মেরিন ও শিপবিল্ডিং ডিপ্লোমাধারীদের সিডিসি দেওয়া বন্ধ করে দেয়। যার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার কয়েক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, চার বছরের ডিপ্লোমা শেষ করা বিভিন্ন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন পদে সরকারি চাকরির সুযোগ থাকলেও মেরিন ও শিপবিল্ডিংয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সেই সুযোগ নেই। এসব বিষয়ে তারা বারবার আবেদন করলেও সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার ফলে সকল মেরিনের শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে।
তাদের দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান আন্দোলনতর শিক্ষার্থীরা।
এসময় বক্তব্য দেন, শিক্ষার্থী শেখ আমানউল্লাহ রাকিব, মিরাজ আহম্মেদ সিহাব, ধীরব চন্দ্র বর্মন ও প্রিন্স হালদার প্রমুখ।
১৯৯ দিন আগে
সুন্দরবনে আগুন, পানির উৎসের অভাবে নিয়ন্ত্রণে জটিলতা
বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের কলমতেজী ফরেস্ট টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন লেগেছে। শনিবার (২২ মার্চ) সকালে বনের টেপারবিল এলাকা থেকে প্রথমে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।
বিকালে বন বিভাগের পক্ষ থেকে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপনে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বলে এ সময় জানানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বনকর্মীরা। তবে খাল থেকে আগুন লাগার ওই এলাকার দূরত্ব বেশি হওয়ায় পানির উৎসের অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। আগুন যেন বনের ব্যাপক এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য আগুনের চারপাশে ফায়ারলাইন কাটা শুরু করেছেন বনরক্ষীরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শরণখোলা স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা আবতাদ ই আলম বলেন, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার স্টেশন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। রামপাল ও কচুয়া থেকে তাদের আরও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
ধানসাগর এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য পান্না মিয়া বলেন, সকালে সুন্দরবনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ির টেপারবিল এলাকার বনের মধ্যে আগুনের ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। এরপর বিষয়টি ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ‘সুন্দরবন দিবস’ আজ, জাতীয়ভাবে দিবসটি পালনে ২৩ বছরেও মেলেনি সাড়া
ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার বিপুলেশ্বর দাস বলেন, ‘আশেপাশে পানির কোনো উৎস নেই। বনের খাল থেকে প্রায় দুই-আড়াই কিলোমিটার দূরে গহীন বনের মধ্যে আগুন জ্বলছে। খালে জোয়ার এলে নৌপথে পানির পাম্প নেওয়া হবে।’
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করীম বলেন, সুন্দরবনে আগুন লাগেছে, আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে পৌছানোর পর আগুনের বিস্তৃতি বা কী অবস্থা সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।
২৫৭ দিন আগে
বাগেরহাটে উঠতে শুরু করেছে তরমুজ, কেজি ৫০ টাকা
বাগেরহাটে উঠতে শুরু করেছে তরমুজ। ফলের দোকানে পসরা সাজিয়ে কিংবা ভ্যান করে বিক্রি হচ্ছে রসালো এই ফল। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।
বিভিন্ন জাত ও নানা সাইজের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে বাগেরহাট বাজারে। ক্রেতাদের কাছে যেকোনো ফলের চেয়ে তরমুজের চাহিদা বেশি। ইফতারিতে তরমুজের প্রাধান্য বেশি। এছাড়া এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
বাগেরহাট শহরের মিঠাপুকুর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে আলদাভাবে তরমুজ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সাইজের তরমুজ পথচারীদের নজর কাড়ে। পথচারী থেকে শুরু করে করে অনেকে যানবাহন থামিয়ে তরমুজ ক্রয় করছেন। তিন কেজি থেকে শুরু করে আট কেজি ওজনের তরমুজ দেখা গেছে সেখানে।
আরও পড়ুন: চাষ না হলেও দক্ষিণের তরমুজে ভরপুর চাঁদপুর
পথচারী হালিম শেখ বলেন, ‘রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা এত তরমুজ এই মৌসুমে প্রথম দেখা গেলো। ৫০ টাকা কেজি দরে ৬ কেজি ওজনের একটি ক্রয় করে সে।
মিল্টন, আলম, তৌহিদ, অমলসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতারা জানান, তরমুজ তাদের অনেক পছন্দ। একারণে দাম যাই হোক; তারা তরমুজ ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।
তবে কয়েকজন সাধারণ ক্রেতা জানান, ৫০ টাকা তরমুজের কেজি তাদের কাছে বেশি হয়ে গেছে। মৌসুমের প্রথম ফল ও তরমুজ তাদের সবার পছন্দ থাকায় প্রয়োজনের তুলনায় ছোট সাইজের তরমুজ ক্রয় করেছেন।
হাবিব হোসেন পটুয়াখালী চাষিদের জমি থেকে প্রায় দেড় হাজার তরমুজ ক্রয় করে ট্রাকবোঝাই করে বাগেরহাট মিঠাপুকুর পাড়ে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ব্যবসা করছি। মিঠাপুকুর পাড়ে বিক্রি জন্য স্তূপ করে তরমুজ রাখা হয়েছে। ট্রাক থেকে তরমুজ নামানোর পর থেকে ক্রেতারা আসছেন তরমুজ ক্রয় করতে। খুচরা প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছে। এভাবে তরমুজ বিক্রি করতে পারলে বেশ টাকা লাভ হবে।’
এছাড়া এই মৌসুমে তরমুজ বাজারে প্রথম উঠছে। এ কারণে দাম একটু বেশি বলেও জানান তিনি। কয়েকদিন পরে তরমুজের দাম কমে আসবে বলেও জানান হাবিব হোসেন।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ‘সারাবছরজুড়ে কমবেশি তরমুজ পাওয়া যায়। তরমুজের প্রধান মৌসুম মার্চ মাস।’
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে তরমুজের বাম্পার ফলন, সেচ-পরিবহন সমস্যায় কৃষকরা
তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা জাতের হাইব্রিড তরমুজ চাষ হচ্ছে। এ বছর তরমুজের ফলনও ভালো। তরমুজ হাট-বাজারে নতুন আসায় এর দামও বেশি।’
উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার আরও বলেন, ‘গ্রীষ্ম ও শীতকালে বেশি তরমুজ চাষ হয়। গ্রীষ্মকালের তরমুজের চারা নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে রোপণ করা হয়।’ এছাড়া ড্রাগন কিং, পাকিজা, বিগফ্যামিলি, এশিয়ান ও বাংললিংকসহ বিভিন্ন নামে হাইব্রিড তরমুজ চাষ করা হয়েছে বলে এই কৃষি কর্মকর্তা জানান।
২৭৩ দিন আগে