বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকলেও করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকালে বিশ্বে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ২৬ কোটি ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ৭৮২ জনে পৌঁছেছে। একই সময়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৫২ লাখ ২৩ হাজার ৬৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৫ জন এবং মারা গেছেন সাত লাখ ৮২ হাজার ১০৪ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৪ হাজার ৯৬৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ ৫ হাজার ৮৭২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭৬ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৯ হাজার ২৪৭ জনে।
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্বদের করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে ২৮২ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৮৩ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৬৬ জনে পৌঁছেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৮৫১ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কে হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে সতর্কতা
ওমিক্রন: ক্লাস নেয়ার দিন বাড়ানো যাবে না, চলবে এইচএসসি পরীক্ষা
ওমিক্রন: দেশে আসতে প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে বিদেশ থেকে দেশে আসতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এখন থেকে যেকোনো দেশ থেকে দেশে আসতে হলে ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনা রিপোর্ট দেখাতে হবে, যা পূর্বে ছিলো ৭২ ঘণ্টা।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত যাত্রীরা আফ্রিকা থেকে আসবে বাধ্যতামূলকভাবে তাদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে নিতে বলেছি। একই সঙ্গে তাদেরকে ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। যেকোনো দেশ থেকেই করোনা টেস্ট ছাড়া কেউ আসে, তাদেরকে অবশ্যই ৪৮ ঘন্টার বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে যেতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কোয়ারান্টাইনের জন্য আমাদের আগের যে হোটেলগুলো ছিল, সেগুলোতে লোকজন অনেক কম। তাই অনেকগুলো আবারও তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে গেছে। আমরা আবারও তাদের আহ্বান জানাচ্ছি এবং সেগুলোতে কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করছি।’
তিনি বলেন, 'আমরা বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ দেশের প্রবেশ পথগুলোতে নির্দেশনা জারি করেছি যেন ওমিক্রন দেশে প্রবেশ করতে না পারে। আশা করি আমরা সফল হব যদি সকলে আমাদের সহযোগিতা করেন।'