ওমিক্রন
দেশে ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্ট বিএফ.৭ আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত
দেশে ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্ট বিএফ.৭ এ আক্রান্ত একজন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
রোগী সম্প্রতি চীন থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
চীন ও ভারত সহ বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের নতুন উপ-ভেরিয়েন্ট, ওমিক্রন বিএফ.৭-এর বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার সংশ্লিষ্টদেরকে দেশের সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নদী বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ২৬ ডিসেম্বর এই বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের নতুন সংক্রমণরোধে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বাড়তি সতর্কতা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, অধিক সংক্রামক এই নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন বিএফ.৭ এর আবির্ভাব সম্ভবত চীন, ভারত এবং অন্যান্য দেশে, যা বর্তমানে ফের কোভিড ১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
কোভিডের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রাজিল ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আগত ব্যক্তিদের নজরদারি ও স্ক্রিনিং জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে ওমিক্রন বিএফ.৭ বৃদ্ধি: দেশের প্রবেশপথগুলোতে পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
ঢাকায় ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে: আইসিডিডিআর,বি’র সমীক্ষা
১ বছর আগে
ওমিক্রনের নতুন সংক্রমণরোধে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বাড়তি সতর্কতা
ওমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্টের (বিএফ.৭) সংক্রমণরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রশিদ জানান, সাম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত রবিবার দেশের সকল স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে ওমিক্রন বিএফ.৭ বৃদ্ধি: দেশের প্রবেশপথগুলোতে পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
তিনি জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিমের সদস্যরা রুটিনমাফিক কাজ চলমান রেখেছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বন্দরে বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়েছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাফর ইকবাল জানান,করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রী আসা-যাওয়া এখনও বন্ধ আছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে: আইসিডিডিআর,বি’র সমীক্ষা
বাংলাদেশে ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত
১ বছর আগে
ভারত ও আশেপাশের অঞ্চলে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন
করোনাভাইরাসের দ্রুত পরিবর্তনশীল ও অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের নতুন মিউট্যান্ট নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে এটি ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিএ.২.৭৫ নামের এই ধরনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ভ্যাকসিন ও আগের সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দিতে পারে।
তবে এটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরা বিএ.৫ সহ ওমিক্রনের অন্যান্য ভেরিয়েন্টের তুলনায় বেশি প্রাণঘাতী কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
মিনেসোটার রচেস্টারের মায়ো ক্লিনিকের ক্লিনিকাল ভাইরোলজির পরিচালক ম্যাথিউ বিনিকার বলেছেন, ‘ আমাদের পক্ষে এখনও এটার (ওমিক্রনের এই ধরন) সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলা সম্ভব না। তবে দেখে মনে হচ্ছে, বিশেষত ভারতে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এটি বিএ.৫-এর সমান গতিতে ছড়াবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১,১৬১
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্যমতে, এটি ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক জায়গায় শনাক্ত করা হয়েছে।
নয়াদিল্লির কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ-ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি-এর বিজ্ঞানী লিপি থুকরাল বলেন, ওমিক্রনের সাম্প্রতিক মিউট্যান্টটি ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে শনাক্ত হয়েছে এবং অন্যান্য রূপের তুলনায়েএটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও কানাডা সহ প্রায় ১০টি দেশে এটি শনাক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে দুজনের দেহে এই মিউট্যান্ট শনাক্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ হল প্রচুর পরিমাণে মিউটেশনের ফলে নতুন রূপটি ওমিক্রনের অন্যান্য ধরনের থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করছে।
আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হল জিনগত পরিবর্তনের কারণে অতীতের অ্যান্টিবডিগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ এখনও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ৭১ হাজার ছাড়াল
২ বছর আগে
ঢাকায় ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে: আইসিডিডিআর,বি’র সমীক্ষা
রাজধানীতে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের সাব ভেরিয়েন্ট বিএ.৫ এর সংক্রমণ মারাত্মক হারে বাড়ছে। ওমিক্রনের এই সাব ভেরিয়েন্টটিকে অতীতের চেয়ে অধিক সংক্রামক মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিআর,বি) ঢাকায় ওমিক্রন সাব-ভেন্টিয়েন্ট বিএ.৫ এর দ্রুত বিস্তারের কথা জানায়।
গত ছয় সপ্তাহ (চলতি বছরের ১৪ মে থেকে ২৪ জুন) এই সাব-ভেরিয়েন্টের বিস্তার সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
আইসিডিআর,বি জিনোম সিকোয়েন্সিং করে জানায়, এই সময়ে করোনা শনাক্ত হওয়া ৫২ জনের মধ্যে ৫১ জনই ওমিক্রনের বিএ.৫ সাব-ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। বাকি একজন বিএ.২ ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত।
আইসিডিআর,বির প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্স-কোভ-২ ভেরিয়েন্টগুলো পরিবর্তিত হয়ে নতুন নতুন রূপ লাভ করে।
ভিন্ন আরেক গবেষণায় দেখা যায়, ৪০ জন ওমিক্রন বিএ.৫ সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে ৩৮ জন রোগী কমপক্ষে করোনা টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জন টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, ২১ জন টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন এবং একজন শুধুমাত্র টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন।
এছাড়াও ৩৯ জন করোনা রোগীর হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ ছিল এবং একজনের কোনো উপসর্গ ছিল না। শুধুমাত্র একজনকে একদিনের জন্য হাসপাতালে ভতির্ থাকতে হয়। এতে বোঝা যায় এই সাব-ভেরিয়েন্টের তীব্রতা কম।
বিশেষজ্ঞেরা সকলকে করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার জন্য টিকা নেয়াসহ সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলার অনুরোধ জানান। এছাড়া এখনও যারা টিকা নেননি, তাদের সকলকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি: কমলাপুর রেলস্টেশনে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘনের মহোৎসব
গত ১৯মে ঢাকায় প্রথম সন্দেহভাজন ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্ট বিএ.৫ শনাক্ত করা হয়েছিল এবং বাংলাদেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রথমবার শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ৬ ডিসেম্বর।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় এক হাজার ৯৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে ও সাত জনের এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৮১ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৭২ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৯৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯ হাজার ২৭৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ৪ মাস পর করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু
২ বছর আগে
বাংলাদেশে ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে বাংলাদেশি দুই জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪/৫ শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক যশোরের দু’জন আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে করোনার নতুন এই উপধরনটি শনাক্ত করে।
যবিপ্রবির গবেষক দলটি জানায়, আক্রান্ত দু’জন ব্যক্তিই পুরুষ। যাদের একজনের বয়স ৪৪ এবং আরেকজনের বয়স ৭৯ বছর। আক্রান্ত ব্যক্তির একজন করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ এবং অপরজন দুই ডোজ নিয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং আরেকজন বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের শরীরে জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৃদু উপসর্গ রয়েছে। তারা উভয়েই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন বলে গবেষকরা ধারণা করছেন।
গবেষক দলটি আরও জানায়, বিএন.৪/৫ সাবভ্যারিয়েন্টে স্পাইক প্রোটিনে ওমিক্রনের মতই মিউটেশন দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মত স্পাইক প্রোটিনের ৪৫২ নম্বর অ্যামাইনো অ্যাসিডে মিউটেশন থাকে। এছাড়াও এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে স্পাইক প্রোটিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ৪৮৬ নম্বর অ্যামাইনো অ্যাসিডেও মিউটেশন দেখা যায়। ওমিক্রনের এই দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়েছে। গত মে মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ ভারতে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এই উপধরনটি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণের পঞ্চম ঢেউ এবং সাম্প্রতিককালে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ এর জন্য দায়ী বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। ভ্যাকসিন নেয়া ব্যক্তিরাও এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। আগামী দিনে এই সাব ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানে সংক্রমণশীল অন্যান্য সাব-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় ওমিক্রনে মৃত্যুর হার দ্রুত বাড়ছে
করোনার এই নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ জন্য মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। তিনি জানান, অচীরেই পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স করে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা সম্ভব হবে এবং এই সাব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণের কাজ জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে জিনোম সেন্টারে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের স্থানীয় সংক্রমনও শনাক্ত করা হয়।
যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনার নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান, মো. আল-ইমরান, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, শোভন লাল সরকার, এ এস এম রুবাইয়াতুল আলম, মো. সাজিদ হাসান, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, রাসেল পারভেজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে প্রথম ওমিক্রন এক্সই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত
২ বছর আগে
করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেবে নিউজিল্যান্ড
ওমিক্রনে আক্রান্তের হার হ্রাস পাওয়ায় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনা মহামারি সংক্রান্ত অনেকগুলো বিধিনিষেধ তুলে নেবে নিউজিল্যান্ড।
বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, আগামী ৪ এপ্রিল থেকে মুদি দোকান, রেস্তোঁরা এবং বারের মতো জায়গাগুলোতে যাওয়ার জন্য মানুষদের আর টিকা দেয়ার প্রয়োজন হবে না।
শিক্ষক, পুলিশ অফিসার এবং ওয়েটারসহ কিছু পেশাজীবীদের জন্যও ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হবে। তবে, স্বাস্থ্যসেবা এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের সেবাকারী, সীমান্ত রক্ষাকর্মীদের জন্য টিকার বাধ্যবাধকতা থাকবে।
এছাড়াও শুক্রবার থেকে আউটডোর বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন কনসার্ট ও ম্যারাথনের মতো অনুষ্ঠানগুলোতে ১০০ জন উপস্থিতির অনুমতি দেয়া হবে। আর ইনডোর প্রোগ্রামগুলোর ক্ষেত্রে ১০০র বদলে ২০০ জন উপস্থিতির অনুমতি দেয়া হবে।
তবে নাগরিকদের আবদ্ধ জায়গা যেমন- দোকান, গণপরিবহন প্রভৃতিতে এবং ৮ বা এর বেশি বয়সী বাচ্চাদের শ্রেণিকক্ষে মাস্ক পরতে হবে।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে ঝড়ে মাছ ধরার নৌকাডুবে নিহত ৩, নিখোঁজ ২
আরডার্ন বলেন, করোনভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত দুই বছরে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে।
এই প্রচেষ্টাকে সফল করতে আমাদের সকলেরই কিছু না কিছু করতে হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে, দেশটির সরকার ঘোষণা করেছিল আগামী ১২ এপ্রিল থেকে অস্ট্রেলিয়ান পর্যটকরা এবং ১ মে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ব্রিটেন সহ অন্যান্য অনেক দেশের পর্যটকরা নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক পর্যটন নিউজিল্যান্ডের বৈদেশিক আয়ের প্রায় ২০ শতাংশ এবং জিডিপির ৫ শতাংশের বেশি আয় হতো পর্যটন থেকে। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মস্কো থেকে আমেরিকান কূটনীতিক বহিষ্কার
ইউক্রেনে ৭ থেকে ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত: ন্যাটো
২ বছর আগে
দক্ষিণ কোরিয়ায় ওমিক্রনে মৃত্যুর হার দ্রুত বাড়ছে
দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে ছয় লাখ ২১ হাজার ২৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসময় মারা গেছে ৪২৯ জন রোগী।
সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর মধ্যবর্তী ব্যবধান বিবেচনা করে আগামী সপ্তাহগুলোতে মৃত্যু আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে দেশটির বিশেষজ্ঞেরা।
গত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে দেশটিতে ৭৪ লাখেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ লাখের বেশি।
ওমিক্রনের বিস্তার সরকারি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পূর্বাভাসের চেয়েও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মহামারির বিস্তার নিয়ে জনসাধারণের উদ্বেগ কমাতে বলেছেন, ওমিক্রন টিকা নেয়া লোকদের জন্য মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে বেশি মারাত্মক নয় এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারির শুরুতে দেশে মারাত্মক আঘাতকারী ডেল্টা স্ট্রেনের চেয়ে কম বিপজ্জনক।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ওমিক্রন ঢেউ শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অনেক ইউরোপীয় দেশের চেয়ে জনসংখ্যার আকারের তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়াতে এখনও করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম। কর্মকর্তারা এ জন্য টিকার সফলতার কথা জানিয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশেরও বেশি বুস্টার ডোজ নিয়েছে।
কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে অবমূল্যায়ন করেছেন। ডেল্টার চাপে বিপর্যস্ত হাসপাতাল ও এর কর্মীরা করোনার নতুন কোনো বড় ঢেউয়ে কিভাবে চাপ সামলাবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আগেই তা ভাবা উচিত ছিল।
সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ শিথিল করে জনসাধারণের কাছে ভুল বার্তা পাঠানোর জন্য সরকারের সমালোচনা করে বিশেষজ্ঞেরা। কারণ এতে জনসাধারণের মনে ধারণা জন্মে যে ওমিক্রন একটি হালকা বিষয়।
কোরিয়ার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লি সাং-উন একটি ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তাদের আশঙ্কার চেয়েও বড় ওমিক্রন বিস্ফোরণের জন্য ‘ক্ষমাপ্রার্থী’।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: ৭ আফ্রিকান দেশের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেই চট্টগ্রামে নিখোঁজ ২ জন
২ বছর আগে
ওমিক্রন বাংলাদেশকে দ্রুত হার্ড ইমিউনিটি অর্জনে সহায়তা করেছে: বিশেষজ্ঞদের অভিমত
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা বাংলাদেশের জন্য আর গুরুতর স্বাস্থ্য হুমকি হিসেবে দেখা নাও দিতে পারে। কারণ দেশটি ইতোমধ্যেই করোনার অত্যন্ত সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ব্যাপক বিস্তারের ফলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করেছে।
যদিও সারাদেশের মানুষের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে, সে সম্পর্কে জানার জন্য কোনো বিশ্বাসযোগ্য গবেষণা বা পর্যবেক্ষণমূলক প্রতিবেদন নেই। তবে চিকিৎসা বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভাইরাসজনিত ওমিক্রন একটি প্রাকৃতিক ভ্যাকসিনের মতো কাজ করেছে। যা দেশের বেশিরভাগ জনসংখ্যাকে সংক্রামিত করার মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
ইউএনবির সঙ্গে কথা বলার সময় দেশের অন্যতম শীর্ষ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিজন কুমার শীল, অধ্যাপক মুজাহেরুল হক এবং ডা. বে-নাজির আহমেদ বলেছেন, ভাইরাসের যে কোনও নতুন রূপ এখনও ওমিক্রন সংক্রমণের মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনকারী ব্যক্তিদের সংক্রামিত করতে পারে। তবে সম্ভবত এর ফলে গুরুতর কোনো অসুস্থতার সৃষ্টি হবে না।
তারা অবশ্য সতর্ক করে বলেছে, করোনার যে কোন ভ্যারিয়েন্টই টিকা না নেয়া ও জটিল শারীরিক অসুস্থতা থাকা ব্যক্তিদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
হার্ড ইমিউনিটি হল একটি ধারণা যা একটি মারাত্মক রোগের (ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল সংক্রমণ) বিস্তারের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্ষম করে তোলে। দুটি উপায়ে এটি অর্জন করা যেতে পারে-স্বাভাবিকভাবে বেশিরভাগ জনসংখ্যার সংক্রমণের মাধ্যমে এবং কৃত্রিমভাবে একটি দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: দেশে উচ্চ মাত্রার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রেখে যেতে পারে ওমিক্রন: প্রত্যাশা বিশেষজ্ঞদের
উচ্চ মানের ইমিউনিটি
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. বিজন কুমার শীল বলেন, ওমিক্রন যেভাবে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে তা দেশের মানুষের মধ্যে একটি উচ্চমানের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রেখে গেছে।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং, আমি মনে করি আগামী দিনে করোনাভাইরাস দেশে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করবে না।’
তিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ইতোমধ্যে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করেছে।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এটি খুব ভাল মানের হার্ড ইমিউনিটি। প্রাকৃতিক হার্ড ইমিউনিটি টিকার মাধ্যমে তৈরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার চেয়ে অনেক ভালো। আমেরিকার সিডিসিও এখন স্বীকৃতি দিচ্ছে, ওমিক্রন সংক্রমণের মাধ্যমে অর্জিত প্রাকৃতিক ইমিউনিটি দুই বা তিন ডোজ টিকা দেয়ার মতোই উপকারী।’
তিনি বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের কারণে শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের অনেক দেশই প্রাকৃতিক হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে যাচ্ছে।
বিজন কুমার শীল আরও বলেন, ‘যেহেতু ওমিক্রন সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, খুব কম মানুষই এই ওয়েভের দ্বারা সৃষ্ট প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডির বাইরে থাকবে।’
ডা. বিজন মনে করেন বাংলাদেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ইতোমধ্যেই ওমিক্রনে সংক্রামিত হয়েছে। এবং ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং,ভবিষ্যতে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট তীব্র জটিলতা সৃষ্টির মতো বড় কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. বে-নাজির আহমেদ বলেন, ‘ওমিক্রন প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন হিসেবে কাজ করছে, কারণ দেশের বেশিরভাগ মানুষ এটি দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: ৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত: বিএসএমএমইউ’র জরিপ
তিনি বলেন, ‘সুতরাং, আমরা ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করেছি।’
তিনি বলেন, নতুন স্বাভাবিক জীবন প্রভাবিত হবে না এবং মানুষের বিদ্যমান ইমিউনিটিকে ধ্বংস করতে পারে এমন নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট না এলে, মানুষ হয়ত করোনায় আর খুব বেশি ভুগবে না।
ফ্লুর মতো হতে চলেছে
ডা. বিজন আশাবাদী যে অদূর ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস ফ্লুর মতো হয়ে উঠবে, তবে এটি পৃথিবী থেকে নির্মূল হবে না।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে যদি একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট আবির্ভূত হয়, তবে এটি অন্যান্য ফ্লুগুলোর মতো উপসর্গ নিয়ে মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো টিকা না নেয়া মানুষগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
ডা. বিজন বলেন, সারা বিশ্বে ওমিক্রন সংক্রমণের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি, করোনাকে স্থানীয় রোগে রূপান্তর শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো অস্বাভাবিক ভ্যারিয়েন্ট আবির্ভূত না হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছয় মাসের মধ্যে করোনাকে স্থানীয় রোগ হিসেবে ঘোষণা করতে পারে।’
গবেষণা পরিচালনা
ডা. বিজন বলেন, ওমিক্রন সংক্রমণের মাধ্যমে কতজন মানুষ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডি অর্জন করেছে তা জানতে এবং বিভিন্ন ভ্যাকসিন এবং প্রাকৃতিক সংক্রমণ দ্বারা উৎপাদিত অ্যান্টিবডিগুলোর তূলনামূলক কার্যকারিতা এবং দীর্ঘায়ু জানতে সরকারের অবিলম্বে দেশব্যাপী একটি গবেষণা পরিচালনা করা উচিত।
তিনি বলেন, এই ধরনের গবেষণা চলমান টিকাদান কর্মসূচিকে উন্নত করতে এবং টিকাগুলোর বৈজ্ঞানিক ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ওমিক্রন তরঙ্গের পরে এখন কাকে টিকা দেয়া উচিত, তা জানার জন্য বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই এখন গবেষণা পরিচালনা করছে। আমাদেরও এটা করা উচিত।’
ডা. বিজনের কথার পুনরাবৃত্তি করে ডা. বে-নাজির বলেন, কোন শহর ও জেলায় মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি বেশি এবং কোথায় কম তা জানার জন্য গবেষণা করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের নতুন উপধরন আরও বেশি সংক্রামক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদেরও জানা উচিত কোন ধরনের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। আমরা যদি এটি জানতে পারি, যেখানকার মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, আমরা সেখানে কার্যক্রম চালাতে পারব। এটি গণটিকাদান কর্মসূচিকে নতুন করে সাজাতে সহায়তা করবে।
এছাড়া দেশের বাস্তব পরিস্থিতি জানতে এবং বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সরকারের উচিত করোনা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার পদক্ষেপ নেয়া।
টিকার প্রয়োজনীয়তা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মুজাহেরুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ অবশ্যই ওমিক্রনের ব্যাপক সংক্রমণের ফলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু হার্ড ইমিউনিটি অর্জনই যথেষ্ট নয়। এখনও আমাদের শিশুসহ শতভাগ লোককে ভ্যাকসিন দিতে হবে। কারণ আমরা নিশ্চিত নই যে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা টেকসই হবে বা ভবিষ্যতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব হলে এটি কতটা ভাল কাজ করবে।
ডা. হক বলেন, এটা নিশ্চিত যে করোনাভাইরাস শিগগিরই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে না, কারণ এর বিভিন্ন রূপ। এমনকি এর পুরানো ভ্যারেয়েন্টগুলোও টিকে থাকবে এবং মানুষকে সংক্রামিত করতে থাকবে।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সুতরাং, আমাদের হার্ড ইমিউনিটির ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। বরং ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আমাদের টিকার ওপর নির্ভর করা উচিত।’
তিনি বলেন, এমনকি কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে ভাইরাস সংক্রমণের হার এক শতাংশের নিচে নেমে আসতে পারে। তবে নতুন কোনো ভাইরাসের উদ্ভব হলে তা যে কোনো সময় আরও বাড়তে পারে।
এই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘সুতরাং, লোকেদের মাস্ক পরা এবং ভ্যাকসিন নেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনে চলা উচিত।’
টিকা তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিদ্যমান টিকার গুণমান উন্নত করতে গবেষণা চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘আমরা অদূর ভবিষ্যতে একটি কার্যকর ভ্যাকসিন পেতে পারি। যা আমাদের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আজীবন সুরক্ষা দেবে। যতক্ষণ না আমরা এই ধরনের ভ্যাকসিন পাই, ততক্ষণ আমাদের টিকাদান অভিযান চালিয়ে যেতে হবে এবং সবার জন্য বুস্টার ডোজ নিশ্চিত করতে হবে।’
ডা. বিজন বলেছেন, যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এবং ওমিক্রনে সংক্রামিত হয়েছেন তাদের বুস্টার ডোজ প্রয়োজন নাও হতে পারে।
তার মতে, যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে যাদের জটিল রোগ আছে, তারা ছাড়া সকলের হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে পারে। কারণ ওমিক্রন আগের সব ভ্যারিয়েন্টকে অতিক্রম করেছে।
২ বছর আগে
রবিবার থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে চলবে সুপ্রিম কোর্ট
দেশে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে আগামী রবিবার (৬ মার্চ) থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ চলবে। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের মে মাস থেকে ভার্চুয়াল ও ক্ষেত্র বিশেষে শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম চলে আসছিল।
এর মধ্যে ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার জেনারেল হলেন বজলুর রহমান
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এরপর গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে শারীরিক উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু হয়। এরমধ্যে করোনা মহামারির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৯ জানুয়ারি থেকে ফের ভার্চুয়ালি বিচার কাজ শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের চেয়ারম্যান হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর
২ বছর আগে
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ছাড়াল
ওমিক্রন সংক্রমণের মধ্যে বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৪৪ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৯০ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ ৫০ হাজার ৪০৮ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৩ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৮৭ লাখ ৮৭ হাজার ৬২০ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার ১৫ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৫৪ জনে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও এক কোটি টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ৮৯৭ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৭ জনে। দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭ জনে পৌঁছেছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৬০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার তিন দশমিক ৬৫ শতাংশ।এর আগে রবিবার শনাক্তের হার ছিলো চার দশমিক ০১ শতাংশ।
দেশে মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও সাত হাজার ৯৭৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ১ মার্চ থেকে টিকা সনদ না পেলে ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে