জেলার বিভিন্ন স্থানে শতশত গাছ পালা ভেঙে গেছে। বাড়ি ঘর ভেঙে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন শতশত মানুষ। অনেকে মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে চুয়াডাঙ্গায় আঘাত হানে এই ঝড়। প্রথমে ভারি বৃষ্টি ও পরে প্রচণ্ড বেগে ঝড়টি আঘাত হানে। এতে জেলা সদরসহ দামুড়হুদা, জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বিস্তীর্ণ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সামাদুল হক জানান, বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার। বৃষ্টি হয়েছে ৩১ মিলি মিটার।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে শত বছরের অসংখ্যা গাছসহ শতশত গাছাপালা উপড়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে কয়েকশ কাঁচা ও আধা পাকা বাড়ি ঘর ও টিনের ছাউনি। জেলার অনেক স্থানে বড় বড় গাছ ভেঙে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া জেলার চারটি উপজেলাতে বিদ্যুত ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বন্ধ হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা।
একই সাথে চারটি উপজেলার বিস্তীর্ণ জমির ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।