চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ। জেলার ওপর দিয়ে টানা তিন দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ফলে এ জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দপতন ঘটেছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ সকালে বাইরে বের হচ্ছে না। অপেক্ষা করছে রোদ ওঠার। অনেকে আবার জীবিকার তাগিদে তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে বের হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, রবিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৮৮ শতাংশ। পরে সকাল ৯টায় সামান্য একটু কমে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তিনি আরও জানান, আশা করা যাচ্ছে এখন থেকে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।তবে দুয়েক দিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বিদায় নেবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরু থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় জেঁকে বসেছে শীত। এ সময় তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে। হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক দিনে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরদিন শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর মধ্যদিয়ে এ জেলায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এরপর শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা আরও কমে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস আরও বলছে, তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে আজ-কালের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে আবহাওয়া সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
৬ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়েরিয়া রোগী, হাসপাতালে নেই স্যালাইন সেট-ক্যানোলা
রোটা ভাইরাস ও আবহাওয়াজনিত কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এরমধ্যে অধিকাংশই শিশু রোগী। চিকিৎসক ও নার্সরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
গত ১ সপ্তাহে সদর হাসপাতালের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে মোট ২৮৩ জন রোগী। এদের মধ্যে অধিকাংশই হলো শিশু ও বয়স্ক। এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে দুই শতাধিক রোগী।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২৮৩ রোগী ভর্তি হয়েছেন। ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন ৪৩ জনের অধিক রোগী। এরমধ্যে অধিকাংশই ছিল শিশু।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি, তাঁবুতে চলছে শিশুদের চিকিৎসা
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গাইদঘাট গ্রামের রোগীর মা পলি খাতুনের ছেলে ভর্ আছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, আমার ৮ মাসের ছেলে তিন দিন আগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে ভর্তি করাই হাসপাতালে। রোগীর এতো চাপ যে এখানে থাকতেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও ছেলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত থাকতে তো হবেই।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার এলাকার নাজমা খাতুনের মেয়ে ভর্তি হাসপাতালে। নাজমা বলেন, গত দুদিন থেকে পাতলা মল আর বমি হচ্ছিল মেয়ের। সকালে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে খাওয়া স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ দিলেও স্যালাইন সেট ও ক্যানোলা সাপ্লাই নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিব সাদী বলেন, হাসপাতালে কলেরা স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ সাপ্লাই আছে। তবে স্যালাইন সেট ও ক্যানোলা নেই, সেটা আশা করছি অল্প কিছু দিনের মধ্যে চলে আসবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু ডা. মাহবুবর রহমান মিলন বলেন, ইদানিং রোটা ভাইরাস ও শীতজনিত কারণে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী বেশি। বিশেষ করে শিশু রোগী বেশি রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। এর কোনো মেডিসিন না থাকার কারণে ৪ থেকে ৫ দিন শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত থাকছে। ৫ দিন পর ভাইরাস মারা গেলে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে কোনো মতেই শিশুদের বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না। যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা ভালো৷ শিশুদের প্রতি বেশি যত্ন নিতে হবে। মোটা কাপড় পরিধান করাতে হবে। রাস্তার ধারের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি মানুষের সচেতনতা না বাড়লে ডায়রিয়া মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যাবে।
এ চিকিৎসক জানান, ১ থেকে ৬ মাসের শিশুদের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো যাবে না। খিচুড়ি খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। যতটুকু সম্ভব বাচ্চাদের সতর্ক রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: সাজেকের তিনটি গ্রামে ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত শতাধিক
১ সপ্তাহ আগে
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি বাবু, সাধারণ সম্পাদক শরীফ
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন কাউন্সিলে জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ। আর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু।
এই ৩টি পদে প্রত্যক্ষ ভোট গ্রহণ করা হয়।
নির্বাচ ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়া।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে নটার দিকে ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রিজাইটিং অফিসার অ্যাডভোকেট মারুফ সরোয়ার বাবু এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
আরও পড়ুন: দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও গণতন্ত্র এখনও মুক্ত হয়নি: গয়েশ্বর
৩ সপ্তাহ আগে
তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
এখনও হেমন্তকাল শেষ হয়নি। এরই মধ্যে শীতে জবুথবু চুয়াডাঙ্গাবাসী। গত কয়েকদিন ধরে বিকাল হলেই তাপমাত্রা কমছে।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাদের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
রিকশাচালক ঝন্টু মিয়া বলেন, ‘এখনই হাত-পা মনে হচ্ছে বরফ হয়ে আসছে। সন্ধ্যার পর শীত বাড়ে। আর কয়েকদিন পর রিকশা চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে হঠাৎ ঘন কুয়াশা
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত ১৫ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আজ এ জেলায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় টিকটকার মুন্নিকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২
চুয়াডাঙ্গায় টিকটকার মুন্নি হত্যার ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মানিক আলী মুন্সি ও পারভেজ মহসিন স্বপন। গ্রেপ্তার দুইজন চাচাতো ভাই।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে ২ সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা কামালের আদালতে মানিক ও পারভেজকে হাজির করা হলে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তারা দুই জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
পরে বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযুক্ত মানিক ও পারভেজ স্বীকার করেছে যে, মুন্নিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। পরে জবানবন্দি শেষে পুলিশ প্রহরায় ওই দুজনকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
মানিক চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি শেখপাড়ার টোকন আলী মুন্সির ছেলে ও পারভেজ একই এলাকার মইদুল ইসলামের ছেলে।
৯ নভেম্বর দুপুরে হাটবোয়ালিয়া বাজারে মার্কেটে আসার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। নিখোঁজের ৬ দিন পর চুয়াডাঙ্গা বোয়ালিয়া গ্রামের চরেরমাঠ থেকে তার অর্ধগলিত বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত শেষে এদিন রাতেই লাশ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
১ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় রস সংগ্রহে খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত গাছিরা
পঞ্জিকা অনুযায়ী আরও এক মাস পর শীত শুরু। তবে পঞ্জিকার অপেক্ষায় তর সইছে না প্রকৃতির। গ্রাম-বাংলার মাঠে-ঘাটে শীতের আবহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার গ্রামে গ্রামে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুত করতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার গ্রামে গ্রামে খেজুরগাছ কাটার কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। আর কিছু দিন পর গাছ থেকে রস সংগ্রহের পর্ব শুরু হবে।
জমির আলী নামে একজন গাছি বলেন, খেজুর গাছ কাটা সহজ কাজ নয়। অনেক সময় গাছের ওপর থাকা অবস্থায় ভারসাম্য রক্ষা করাটাই কঠিন হয়ে যায়। তবে শীতের শুরুতে রস সংগ্রহ করে পরিবারের জন্য কিছু সঞ্চয় করতে পারলে সেই কষ্টটা সার্থক হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দীননাথপুর গ্রামের গাছি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘গাছের ডালপালা পরিষ্কার ও চাঁছা-ছিঁলার কাজ হয়ে গেছে। বাপের পেশা এখনও ধরে রেখেছি। এবার ৮০টি খেজুর গাছ চাঁছা-ছিঁলার কাজ হয়েছে। তারপর গাছে গাছে ঘাট কেটে রাখা হবে। শীতের শিশির যত বাড়বে ঘাট দিয়ে রস গড়িয়ে পড়তে শুরু করবে।’
তিনি আরও জানান, তার জমির আইলে নিজস্ব গাছ রয়েছে ৪০টি। আরও ৪০টি গাছ তিনি বর্গা নিয়েছেন। এ মৌসুমে দাম ভালো থাকলে এসব গাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার মতো গুড় বিক্রি করতে পারবেন।
চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাছি খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা পেশাগত কারণে প্রায় প্রতি বছরই খেজুরগাছ মালিকদের কাছ থেকে চার মাসের জন্য বর্গা নিয়ে থাকি। গাছ ভেদে ২ কেজি করে খেজুরের গুড় এবং ২৫০ টাকা দিতে হয় মালিকদের। এবারও প্রায় ১০০টি খেজুর গাছের জন্য মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করেছি। বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে না দিয়ে জীবন-জীবিকার জন্য এই পেশা ধরে রেখেছি। খেজুর রস সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: খরায় কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা; বাজারেও সংকট
১ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলসহ যুবককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলসহ সবুজ (২৫) নামের এক যুবককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের একটি বাগানে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সবুজ ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের ফকিরপাড়ার গরু ব্যবসায়ী জয়নালের ছেলে। বুজ মোটরসাইকেলের ব্যবসা করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুনতাহা হত্যাকাণ্ড: ৪ আসামি ৫ দিনের রিমাণ্ডে
বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শামীম রেজা বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, মোটরসাইকেলসহ সবুজকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
‘মোটরসাইকেলের নিচে চাপা দেওয়া ছিল তার দেহ। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের যে কোনো সময় এ ঘটনা ঘটেছে।’
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান বলেন, ‘আলমডাঙ্গার মেহগনি বাগানে সবুজ নামে একজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ ৩ জন রিমান্ডে
১ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় থানা থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা হেফাজত থেকে মনোয়ারা খাতুন (৩০) নামে এক মাদক মামলার আসামি পালানোর ঘটনায় পুলিশের তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অনুসন্ধান করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- জীবননগর থানার দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) পবিত্র মণ্ডল, কনস্টেবল সোলাইমান খান ও মিতা খাতুন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অনুসন্ধান চলছে৷ এ ঘটনার অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরে। এ সময় শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যান ওই নারী আসামি। পালানোর ঘটনায় তার (পালানো নারী আসামি) বিরুদ্ধে পেনালকোডে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আসামি মনোয়ারা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের শাহজাহান মণ্ডলের মেয়ে।
এর আগে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) মহেশপুর ব্যাটালিয়ন ( বিজিবি- ৫৮) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ মনোয়ারা খাতুন তার সহযোগী নাজমুল হুদাকে আটক করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে। ওইদিনই বিজিবির পক্ষ থেকে আটক দুজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জীবননগর থানা সূত্রে জানা যায়, মনোয়ারা খাতুনকে নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়েছিল। সকালে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান তিনি। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মাঠে নেমেছেন।
১ মাস আগে
ট্রেনের ৮ ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়ে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
চুয়াডাঙ্গায় খুলনাগামী মালবাহী ট্রেনের ৮টি তেলের ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়ে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত পৌনে ১টার দিকে জীবননগর উপজেলার আনসারবাড়িয়া স্টেশনের অদূরে ডাউন সিগনাল পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
উথলী রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মিন্টু রায় বলেন, খুলনার সান্তাহার থেকে ৩২টি খালি ট্যাংকার নিয়ে একটি ট্রেন মঙ্গলবার রাতে খুলনা যাচ্ছিল। রাত পৌনে ১টার দিকে আনসারবাড়িয়া স্টেশনের অদূরে রেল লাইনের ১১ নম্বর পয়েন্টের কাছে ৮টি ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়।
লাইনচ্যুত ট্যাংকার উদ্ধারে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আসা উদ্ধারকারী ট্রেন ভোর থেকেই কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত বন্য হাতি
আনসারবাড়িয়া স্টেশনের কার্যক্রম চালু না থাকায় এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, লাইনচ্যুত ট্যাংকারগুলো উদ্ধারকাজ চলছে, উদ্ধার শেষে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের পয়েন্ট ম্যান শান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, তেলবাহী ট্যাংকার লাইনচ্যুত হওয়ায় ঢাকা থেকে খুলনাগামী ও খুলনা থেকে গোয়ালন্দগামী বা বিপরীতমুখী যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো চুয়াডাঙ্গা স্টেশন ও মোবারকগঞ্জ স্টেশনে আটকা পড়েছে।
শান্ত কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘মধ্যরাত থেকেই সারা দেশের সঙ্গে রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ভোর থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। আর চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন আটকে আছে। উদ্ধারকাজ শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’
এদিকে, ১০ ঘণ্টার বেশি সময় পার হলেও রেল চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রেনে থাকা যাত্রীরা এবং এই রেলপথ ব্যবহারকারীরা।
আরও পড়ুন: লাইনচ্যুতির সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
১ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাঠ থেকে আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুল মান্নান (৪০) গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত হিরাজ মন্ডলের ছেলে। তিনি দর্শনা ভাই ভাই গার্মেন্টসের কর্মচারী ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৭টার সময় বাসা থেকে বের হন আব্দুল মান্নান। রাতে তিনি বাসায় না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না। পরদিন সোমবার সকাল ৮টার দিকে খবর পাওয়া যায় গ্রামের মাঠে মৃত অবস্থায় মান্নানের লাশ পড়ে আছে।
সংবাদ পেয়ে এএসপি (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি মো. হুমায়ূন কবীর জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে মান্নান বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
২ মাস আগে