চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের ফায়ারিং অনুশীলনে পথচারী গুলিবিদ্ধ
চুয়াডাঙ্গায় জেলা পুলিশের বার্ষিক ফায়ারিং অনুশীলনের সময় বাবু (৩১) নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার হায়দারপুরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আহত বাবু পেশায় একজন পারটেক্স মিস্ত্রি এবং চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাতগাড়ির আব্দুল হামিদের ছেলে।
জেলা পুলিশ জানায়, বার্ষিক মার্কসম্যানশিপ (ফায়ারিং) অনুশীলন ৯ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর পর্ন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির ডিঙ্গেদাহ ক্যাম্পের ফায়ারিং বাটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রেঞ্জের তিন কিলোমিটার এলাকায় বসবাসকারীদের অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের জন্য আগেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল।
তবে বাবুর ভাই রাশেদের অভিযোগ, আজ কোনো ধরনের মাইকিং বা সতর্কতা ছাড়াই ফায়ারিং চলছিল। পাঁচ বছর আগে এখানে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আজ আমার ভাই মোটরসাইকেলে ব্যক্তিগত কাজে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হলো।
চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির নায়েক সুবেদার কামরুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশের জন্য ৬ বিজিবির ফায়ারিং বাট তিন দিন বরাদ্দ ছিল। আজ সকাল থেকে ফায়ার চলছে। এ সময় একজন বেসামরিক ব্যক্তির বুকে গুলি লাগে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, এক্স–রে করে দেখা গেছে, বাবুর বুকের বাঁ পাশে গুলি রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে রামেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ৬ বিজিবির ফায়ারিং রেঞ্জে জেলা পুলিশের বার্ষিক ফায়ারিং চলছিল। শুনেছি একজন মোটরসাইকেল আরোহী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। হাসপাতালে গিয়ে জেনেছি তিনি আশঙ্কামুক্ত।
৬ দিন আগে
১১ ডিগ্রিতে নামল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, লেপ-তোশকের দোকানে ভিড়
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আর শীত বাড়তেই জেলার লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়। রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা।
হঠাৎ করে শুরু হওয়া হিমেল হাওয়া, কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জেলার জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে দিনমজুর ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বনিম্ন। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮১ শতাংশ।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের মতে, কয়েকদিনের মধ্যেই জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়লেও কাজ থেমে নেই দিনমজুর ও শ্রমিকদের। ভোর থেকেই ঠান্ডা বাতাস উপেক্ষা করে কাজে ছুটছেন তারা।
১১ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট চরমে, অচল অপারেশন থিয়েটার
৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার ও ওষুধ বরাদ্দ নিয়ে চলছে ২৫০ শয্যার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। এমনকি প্রায় ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না থাকায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে অপারেশন থিয়েটার। এতে করে হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা পড়েছে চরম সংকটে।
অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না থাকায় সাময়িকভাবে একজন সহকারী সার্জনের মাধ্যমে ব্যবস্থা চালানো হলেও রোগীরা বলছেন, এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯৭০ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে শুরু হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কার্যক্রম। এরপর ২০০৩ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত হলেও কেবল খাবার ও ওষুধ বরাদ্দই বাড়ানো হয়, জনবল নয়। ফলে এখনো ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে হাসপাতালটি।
২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চুয়াডাঙ্গায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ছয়তলা ভবনের উদ্বোধন করেন, ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ৩০ কোটি টাকা। উদ্বোধনের সাত বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ ২৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হয়নি। এখনো ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে হাসপাতালের সব বিভাগ।
এর মধ্যে ৫০ শয্যার জনবলেও রয়েছে সংকট। সিনিয়র চক্ষু কনসালট্যান্ট, সিনিয়র ও জুনিয়র অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট, সিনিয়র শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র মেডিসিন কনসালট্যান্ট, জুনিয়র ইএনটি কনসালট্যান্ট, জুনিয়র রেডিওলজিস্ট, একজন মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টাল সার্জনের পদসহ নয়জন চিকিৎসকের পদ ফাঁকা। এছাড়া ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ২০টি পদও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে।
সম্প্রতি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. আ. স. ম. মোস্তফা কামাল ডেপুটেশনে (সংযুক্তির মাধ্যমে) সদর হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। অ্যানেসথেসিয়া কোর্স সম্পন্ন থাকায় আপাতত তার মাধ্যমেই অপারেশন থিয়েটার চালানো হচ্ছে।
হাসপাতালের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না থাকায় ছোট অপারেশনও বিলম্ব হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই সাধারণ ও গুরুতর রোগীদের অন্যত্র রেফার (স্থানান্তর) করতে হচ্ছে। ফলে বাড়ছে খরচ, ভোগান্তি এবং মানসিক চাপ।
রোগীদের অভিজ্ঞতাও একই রকম হতাশার। পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের রোগী উজির আলী বলেন, ‘এক মাস হলো ভর্তি আছি। ডাক্তার বলেছেন সোমবার অপারেশন হবে, কিন্তু এখনো হয়নি। গরিব মানুষের মৃত্যুতেও শান্তি নেই।’
মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি কাঞ্চন বেগমের মেয়ে পারভিনা খাতুন বলেন, ‘গত সপ্তাহে অপারেশন হওয়ার কথা ছিল, এখন বলা হচ্ছে আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
আরেক রোগী সেলিনা খাতুন জানান, ১৫ দিন হলো ভর্তি আছেন। প্রথমে তারিখ দিয়েছিল, পরে পরিবর্তন করেছে। এখন আর বিশ্বাস করতে পারছেন না, কবে হবে অপারেশন।
৫২ দিন আগে
আলমডাঙ্গায় ৪ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর জামায়াতে যোগদান
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন থেকে একযোগে চার শতাধিক নেতা-কর্মী জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভা ও যোগদান অনুষ্ঠানে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগ দেন।
ফুলের মালা পরিয়ে নবাগতদের দলে বরণ করে নেন জামায়াত নেতারা। এ সময় বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সলকসহ চার শতাধিক নেতাকর্মী জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমিনের হাতে হাত রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান আসাদ, সহকারী সেক্রেটারি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মাসুদ অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমীর প্রভাষক শফিউল আলম বকুল। সভায় সভাপতিত্ব করেন বেলগাছি ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আমান উদ্দিন।
৬৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে স্ক্যাবিসের প্রাদুর্ভাব, ওষুধ সংকটে হাসপাতাল
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ছোঁয়াচে চর্মরোগ স্ক্যাবিস বা খোস-পাঁচড়া আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু, নারী ও বয়স্ক সব বয়সী মানুষই সংক্রমিত হচ্ছেন। এই রোগে একজন আক্রান্ত হলে অল্প সময়ের মধ্যে পুরো পরিবার সংক্রমিত হয়ে পড়ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখা যায়, নতুন ও পুরোনো ভবনের করিডোর ও বারান্দা জুড়ে রোগীর উপচে পড়া ভিড়। চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে দীর্ঘ লাইন, অনেকেই দাঁড়িয়ে বা মেঝেতে বসে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন। হাসপাতালের কর্মীরা রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী খোস-পাঁচড়া ও অন্যান্য চর্মরোগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ওষুধের পর্যাপ্ত মজুত না থাকার কারণে অনেককে বাইরে থেকে ক্রিম, লোশন ও অন্যান্য ওষুধ কিনতে হচ্ছে। সরকারি মজুত ওষুধের মধ্যে সীমিত পরিমাণে হিস্টাসিন ট্যাবলেট রয়েছে।
চিকিৎসা নিতে আসা পারভীনা খাতুন বলেন, ‘হাতে চুলকানি দিয়ে শুরু, এখন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। গায়ে ছোট ছোট লাল দানা ওঠে, চুলকানি অসহনীয়। ডাক্তার ওষুধ লিখেছেন, কিন্তু বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে, এতে কষ্ট হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসক সংকটে বন্ধ হয়ে গেল চাঁদপুরের শতবর্ষী দাতব্য চিকিৎসালয়
রোগী হাসেম আলী জানান, ‘রাতে চুলকানি আরও বেড়ে যায়, ঘুমানোই কষ্টকর হয়ে পড়ে। হাসপাতালে সব ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না, তাই বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।’
সদর উপজেলার মোছা রিনা বেগম বলেন, ‘প্রথমে ছেলেটার হাতে চুলকানি ছিল, এখন পুরো পরিবার আক্রান্ত। রাতে কেউ ঘুমাতে পারি না।’
আলমডাঙ্গার রফিকুল ইসলাম জানান, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম সামান্য সমস্যা, এখন পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই হাসপাতালে আসতে হলো।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. লাইলা শামীমা শারমিন বলেন, স্ক্যাবিস অত্যন্ত ছোঁয়াচে চর্মরোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির পাশাপাশি পরিবারের সকল সদস্যকেও একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে, না হলে সংক্রমণ পুনরায় ফিরে আসে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে কিডনিসহ ত্বকে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আগে গরমের সময় এই সমস্যা বেশি দেখা যেত, এখন প্রায় সারাবছরই হচ্ছে। অনেকেই চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন, এতে জটিলতা বাড়ছে। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, কাপড় ধোয়া এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চললেই সংক্রমণ রোধ সম্ভব।
আরও পড়ুন: রংপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত দুই শতাধিক মানুষ, দেখা দিয়েছে আতঙ্ক
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, স্ক্যাবিস ও দাউদ দুটোই সংক্রামক রোগ। আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগেও এই রোগ ছিল, তবে বাজারের ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাওয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি এবং সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী ওষুধ দিচ্ছি। তবে সরকারি বরাদ্দ নেই এমন ওষুধ আমরা সরবরাহ করতে পারছি না, তাই রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।’
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ক্যাবিসের প্রাথমিক উপসর্গ হলো হাত-পায়ের আঙুলের ফাঁক ও শরীরের ভাঁজে চুলকানি, যা রাতে বেড়ে যায়। আক্রান্ত স্থানে ক্ষত হলে সেকেন্ডারি সংক্রমণ ঘটতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া, নিয়মিত হাত ধোয়া ও পরিষ্কার কাপড় ব্যবহারই সংক্রমণ রোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
বর্তমানে জেলায় স্ক্যাবিসের প্রাদুর্ভাব জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক। সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ এবং সচেতনতা বাড়ানোই এই রোগ নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ।
৬৯ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইক-আলমসাধু সংঘর্ষে মুয়াজ্জিন নিহত
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ইজিবাইক ও আলমসাধুর সংঘর্ষে বরকত আলি মোল্লা (৫২) নামে এক মুয়াজ্জিন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মুক্তারপুর মুল্লাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বরকত আলি উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের মৃত বুদো মোল্লার ছেলে এবং হাতিভাঙ্গা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসান আলি জানান, আজ (রবিবার) সকালে বরকত আলি কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে ইজিবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। মুক্তারপুর মুল্লাবাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা স্যালোইঞ্জিনচালিত একটি অবৈধ আলমসাধুর সঙ্গে ইজিবাইকের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ইজিবাইকটি দুমড়েমুচড়ে গেলে বরকত আলি রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ৫
দামুড়হুদা মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০৮ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় চাচাতো ভাইয়ের কোপে বাবা-ছেলের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের কোপে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের আলোকদিয়া-ভালাইরপুর চুলকানিপাড়ায় তুফানের চাতালের অদূরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—আলোকদিয়া বাজারপাড়ার বাসিন্দা তৈয়ব আলী (৪৫) ও তার ছেলে মিরাজ (১৬)।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ভিক্ষুকের ঘরে চুরি
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে তৈয়ব আলীর সঙ্গে তার চাচাতো ভাই রাজুর বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার সকালে এ বিরোধের জের ধরে রাজু ও তার মামাতো ভাই বাবু ধারালো অস্ত্র দিয়ে তৈয়ব আলী ও তার ছেলে মিরাজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই মিরাজ নিহত হয়।
গুরুতর আহত তৈয়ব আলীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও অবনতি হলে পুনরায় সদর হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে দুপুর আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাজু ও বাবুকে আটক করেছে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত রাজু ও বাবুকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
১১৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ভিক্ষুকের ঘরে চুরি
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক ভিক্ষুকের ঘরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেয়ে চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) গভীর রাতে জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ বাজারের মদনবাবুর মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটক দুজন হলেন— আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালার রাশেদুল ইসলাম রঞ্জু (৩৮) এবং একই এলাকার ভোলা হোসেন (৩৫)।
পুলিশ জানিয়েছে, জেহালার মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশন-সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘরে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন জোসনা খাতুন (৬৮)। ভিক্ষা করে সংসার চালান তিনি। গত ১৭ আগস্ট রাতে তারা বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের তালা ভাঙা, চিকিৎসার জন্য ভিক্ষা করে জমানো ৫০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে অভিযান চালিয়ে ২৯ হাজার ৮০ টাকা উদ্ধারসহ দুজনকে আটক করা হয়। বাকি টাকা উদ্ধারে তৎপরতা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, দুজনকে আটক করা হয়েছে। অসহায় ভিক্ষুকের টাকা উদ্ধারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এবং দ্রুততম সময়ে টাকা ফেরত দিতে পেরেছি।
ভিক্ষুকের পাশে দাঁড়ানোয় পুলিশের প্রশংসা করেন স্থানীয়রা।
১১৭ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ধানকাটা মেশিনের আঘাতে নিহত ১
চুয়াডাঙ্গা সদরের ছয়মাইল বুড়োপাড়ায় ধান কাটার সময় হারভেস্টার মেশিনের আঘাতে ইবাদত হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের বুড়োপাড়া গ্রামের আপাগাড়ির মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইবাদত হোসেন ওই গ্রামের মৃত আজগার আলীর ছেলে। পেশায় তিনি ইজিবাইকচালক ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে গবাদিপশুর জন্য মাঠ থেকে ঘাস সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন ইবাদত। এ সময় হারভেস্টার মেশিন দিয়ে গ্রামের আইনালের জমিতে ধান কাটা হচ্ছিল। ইবাদত মেশিনের পিছনে ঘাস কুড়াচ্ছিলেন। হঠাৎ মেশিনটি পিছনের দিকে সরালে চাকায় আঘাত পেয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হন তিনি। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত, আহত ৬
স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি দুর্ঘটনা। মেশিনের রডে আঘাত লেগেই তিনি মারা গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম জানান, পরিবারের সদস্যরা মৃত অবস্থায় ইবাদতকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি মাঠেই মারা গিয়েছিলেন।
১১৭ দিন আগে
ড্রেনেজ ও সড়ক অব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বাসিন্দারা
বর্ষা মৌসুম মানেই চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বাসিন্দাদের ভোগান্তি। দীর্ঘ জলাবদ্ধতাসহ জমে যায় পানি, ড্রেন উপচে পড়ে ময়লা পানি। ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে রোগ-জীবাণুর ঝুঁকিও। আর এমন সব নাগরিক দুর্ভোগের প্রধান কারণই হলো চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেনেজ ও সড়ক ব্যবস্থার দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা।
পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেই এই সমস্যা প্রকট আকারে দেখা দিলেও বিশেষভাবে বুজরুকগড়গড়ী বনানীপাড়া, শান্তিপাড়া, সবুজপাড়া, সাদেক আলী মল্লিকপাড়া, পলাশপাড়া, গুলশানপাড়া, মুক্তিপাড়া, দক্ষিণ হাসপাতালপাড়া ও মসজিদপাড়ার অবস্থা সবচেয়ে করুণ। কোথাও সড়কের পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত, কোথাও ড্রেন ভেঙে পানি ছড়িয়ে পড়েছে রাস্তায়। অনেক স্থানে ড্রেনের মুখে জমে থাকা আবর্জনার স্তূপের কারণে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং তা বসতবাড়ির ভেতরেও ঢুকে পড়ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে এমন দুর্ভোগ চললেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
পলাশপাড়ার বাসিন্দা পিয়াল খান বলেন, ‘বর্ষা এলেই আতঙ্ক শুরু হয়। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। রাতে শিশুদের নিয়ে চলাচল করাটা একপ্রকার দুঃসাহসিক অভিযানে পরিণত হয়।’
গুলশানপাড়ার মুস্তাফিজুর রহমান কনক অভিযোগ করে বলেন, ‘তিন বছরেও ড্রেন পরিষ্কার হয়নি। মুখ বন্ধ হয়ে আছে, পানি বের হতে পারে না। বর্ষায় পুরো এলাকা ডুবে থাকে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ, জনভোগান্তি
বনানীপাড়ার আক্তার হোসেন বলেন, ‘অনেকবার অভিযোগ জানিয়েছি। কাউন্সিলর এসে ছবি তোলে, আশ্বাস দেয়, কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না। বর্ষায় ঘরের ভেতর পর্যন্ত ড্রেনের পানি ঢুকে পড়ে।’
১৩০ দিন আগে