চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার ফাঁসি
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজের কিশোরী মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আলতাপ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের পর ২০০৮ সাল থেকে তিনি ঘরজামাই হিসেবে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় পিতা আলতাপ হোসেনকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার আদেশ তার(দন্ডিত ব্যাক্তির) জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পরবর্তী পর্যায়ে প্রথম দায়দেনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আদালত এটা রায়ে উল্লেখ করেছেন। সর্বোপরি সাক্ষী শুরু থেকে মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান করতে সক্ষম হয়েছি। সমাজে এ ধরণের ঘৃণিত অপরাধ আর যেনো সংঘটিত না হয়—এটা আমরা আশা করছি।
২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ভুট্টাখেতে শিশুর ঝলসানো বিবস্ত্র লাশ, ধর্ষণ সন্দেহ পুলিশের
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নে ওই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থানকালে পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব অনুভূত হলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ২ থেকে ৩ মাসের অন্তসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী জানায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বোনের বাড়িতে গেলে ওইদিন রাতে বাবা বসত ঘরে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ২ থেকে ৩ মাসে ৭ থেকে ৮ বার ধর্ষণ করেছে।
তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী গত ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আজ এ রায় হলো।
২৩ ঘণ্টা আগে
চুয়াডাঙ্গায় বৈশাখে ইলিশ বিক্রিতে ভাটা, হতাশ ব্যবসায়ীরা
পহেলা বৈশাখ মানেই বাঙালির উৎসব আর পান্তা-ইলিশ। প্রতিবছর নববর্ষ ঘিরে ইলিশের বাজার থাকে জমজমাট। কিন্তু এবার চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে ছিল একেবারেই ভিন্ন চিত্র।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ বিক্রিতে নেই কোনো জোয়ার।
ব্যবসায়ীরা মাছ সাজিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতা ছিলেন হাতে গোনা। দাম তুলনামূলক কম হলেও ইলিশ বিক্রি হয়নি বললেই চলে— ফলে চরম হতাশায় ভুগছেন বিক্রেতারা।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের মাছ বাজারে দেখা যায়, মাত্র চারজন বিক্রেতা ইলিশ বিক্রির চেষ্টা করছেন। তাদের একজন বলেন, ‘অন্যান্য বছর পহেলা বৈশাখের দুই থেকে তিন দিন আগেই ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকত। হুড়োহুড়ি লেগে যেত। এবার মানুষ আসছেই না, আগ্রহও নেই।’
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশের দাম তুলনামূলকভাবে ক। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু এরপরও বিক্রিতে একেবারেই মন্দা।
একজন বিক্রেতা জানালেন, গত বছর এই সময়ে দিনে ২০ থেকে ৩০ কেজি বিক্রি হতো। এবার দিনে ৫ কেজিও বিক্রি হচ্ছে না। দাম কমিয়েও লাভ হচ্ছে না।
ইলিশ কিনতে আসা শাহারিয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাই। এবার বাজারে এসে দেখি মাছ কম, আর দাম বেশি। মাঝারি সাইজের ইলিশের দাম চাচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। পরিবারের অন্য খরচ সামলে ইলিশ কেনা কঠিন। তাছাড়া ইলিশের স্বাদ নিয়েও অভিযোগ আছে। আগের মতো সুস্বাদু না। একটিমাত্র মাছ কিনেছি ৬০০ টাকায়, বাচ্চারা খেতে চেয়েছে তাই।’
আরও পড়ুন: ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হবে সৌদি আরব ও আমিরাতে
মাছ ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে ইলিশ বিক্রি করি। এই সময়টায় ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এবার সেই চিত্র নেই। দাম কমিয়েও লাভ হচ্ছে না। কেউ বলছেন মাছের স্বাদ নেই, কেউ বলছেন দাম বেশি। বৈশাখে ইলিশ বিক্রি না হওয়ায় আমরা খুবই হতাশ।’
চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের নিচের অংশে বাজার করতে আসা শিউলি আক্তার নামের এক চাকরিজীবী নারী বলেন, ‘ছুটির দিনে বিশেষ রান্না করব বলে বাজারে এসেছি। তবে পান্তা-ইলিশে আমাদের পরিবারের তেমন আগ্রহ নেই। বাচ্চারাও খেতে চায় না, তাই আয়োজন করিনি।’
বিক্রেতারা বলছেন, চুয়াডাঙ্গায় এবারের বৈশাখে ইলিশ বিক্রির বাজার ছিল একেবারেই মলিন।
২ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় লাটাহাম্বার গাড়ির ধাক্কায় মো. ইমরান নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ছাগল ফার্মের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান।
নিহত মো. ইমরান (৩৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার বলেশ্বরপুর গ্রামের খন্দকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা শহরের সাতগাড়ি এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: কারখানার লিফট ছিঁড়ে নিচে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাতে মোটরসাইকেল করে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন ইমরান। ছাগল ফার্ম এলাকার সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যান লাটাহাম্বার তার মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি খালেদুর রহমান বলেন, ঘাতক লাটাহাম্বারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইমরানের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত যানটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় যুবককে কুপিয়ে জখম
তরমুজ বিক্রিকে ঘিরে পুরনো বিরোধের জেরে চুয়াডাঙ্গা শহরে এক যুবকের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে শহরের টাউন ফুটবল মাঠের সামনে নিপুন সাহা (২৪) নামের ওই যুবককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে একদল দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত নিপুন সাহা চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজারপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা কৃষ্ণ সাহার ছেলে। তিনি তার পরিবারসহ টাউন ফুটবল মাঠের কাছে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
এদিকে, একটি তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে ধারাবাহিক হামলায় এযাবৎ তিনজন আহত হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তরমুজ বিক্রি কেন্দ্রিক ঘটনা এখন রাজনৈতিক মোড় নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে জখম করল প্রতিপক্ষ
নিপুনের মা কাজল রানী সাহা জানান, রাতে বাসার পাশে রাস্তার বের হলে ২০ থেকে ২৫ জন বিভিন্ন বয়সী যুবককে বড় বড় দা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তিনি চিৎকার করলে নিপুন ঘর থেকে বের হলে তারা তাকে ধাওয়া করে পৌরসভা মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ফেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় নিপুনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোর্শেদ আলম জানান, তার মাথা, পিঠ ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় নিপুন অভিযোগ করেন, শহরের ছাগল ফার্মপাড়ার আবু হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন (২৬), জেবু ও রানা নামের ব্যক্তিসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন তার ওপর হামলা চালিয়েছে। নিপুন সাহা আগে সিলেটে থাকতেন। এখন চুয়াডাঙ্গায় থাকেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে যে বিরোধের ঘটনা ঘটে, তার জের ধরেই এই হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বড় বাজারে একটি তরমুজ সাদা হওয়ায় তা ফেরত দিতে গিয়ে বিক্রেতা ও ক্রেতা পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় বিক্রেতা পক্ষের রুবেল ইসলাম রুবু ও আমিরুল ইসলাম আহত হন। নিপুন সাহা ওই ঘটনায় বিক্রেতা পক্ষের পক্ষে থাকায় শনিবার রাতে তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
৪ দিন আগে
তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই, চুয়াডাঙ্গায় বসন্তেই গ্রীষ্মের আঁচ
চলছে বসন্ত; গ্রীষ্ম আসতে এখনও বাকি অন্তত দুই সপ্তাহ, এর মধ্যেই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১৮ শতাংশ থাকায় গরমের অনুভূতি আরও বেড়েছে।
রমজানের শেষ পর্যায়ে এসে এমন তীব্র গরমে নাকাল জেলার সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড রোদ আর গরমে রোজাদারদের কষ্ট বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। কেউ কেউ শরীরে দুর্বলতা অনুভব করছেন, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ভুগছেন বেশি।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা নাসির উদ্দীন বলেন, ‘রোজা রেখে এই গরম সহ্য করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দুপুরের পর বাইরে বের হওয়া যায় না। গরমে মাথা ঘুরছে, শরীরও দুর্বল লাগছে।’
নিম্ন-আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের কষ্ট আরও বেশি। চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা নাম না প্রকাশ করতে চাওয়া এক রিকশাচালক বলেন, ‘কাজ না করলে খাবার জুটবে না, কিন্তু এই গরমে রোজা রেখে রিকশা চালানো খুব কষ্টকর; গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে পারদ বেড়ে যাচ্ছে।’
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, গরমের কারণে শহরের রাস্তাঘাট তুলনামূলক ফাঁকা। অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। তবে দিনমজুর, শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রোদ-গরম উপেক্ষা করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলার কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, ‘বাজারে ক্রেতা কম আসছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ বের হচ্ছে না। আমরা তো ঘরে বসে থাকতে পারি না, বিক্রি না করলে সংসার চলবে কীভাবে?’
প্রচণ্ড রোদের মধ্যে বাস ও রেল স্টেশনেও যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
১৯ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স
অযত্ন-অবহেলায় যেন নিজেই রোগী হয়ে যাচ্ছে ভারত সরকারের উপহার পাওয়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স। মুমূর্ষু রোগীর নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের কাজে নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স পড়ে থেকে থেকে অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এখন কর্তৃপক্ষের বোঝস্বরূপ পড়ে আছে হাসপাতালে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার নতুন বিল্ডিংয়ের এক কোণে পড়ে আছে এই অ্যাম্বুলেন্সটি। অবশ্য এর আগে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভেতরেও পড়েছিল ভারতের উপহারের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা স্থাপনের টাকা নিয়ে হাওয়া, ছিনতাই-ডাকাতি আতঙ্কে ফেনী পৌরবাসী
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারত সরকার উপহার হিসেবে যেসব অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশ পেয়েছিল, তাদেরই একটি পায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। এই আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়।
সে দিনই অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি বুঝে নেওয়ার প্রায় সাড়ে ৩ বছর পার হয়ে গেলেও চালু করা হয়নি এর সেবা। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা যাচ্ছে না। এ যেন গাড়ি থাকলেও ঘোড়া না থাকার মতো অবস্থা।
জানা যায়, আইসিউ অ্যাম্বুলেন্স তো পরের কথা, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সরকারি বা বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই আইসিইউ সেবা চালু নেই। অথচ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে প্রতিনিয়তই মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। যে কারণে এই আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যবহার এখানে অতি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ অ্যাম্বুলেন্সটি চালুর বিষয়ে যেন কারো কোনো মাথাব্যথা নেই।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা কেন্দ্র, ব্যাহত শ্রেণিকার্যক্রম
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুত কুমার রায় বলেন, ‘রোগী বহনে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও জনবলের অভাবে তা চালু করা যাচ্ছে না। সদর হাসপাতালটিতে আইসিইউ ইউনিট চালু করার বিষয়ে এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আইসিউই ইউনিট চালু হলে অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করা যাবে।’
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অধীনে রয়েছে। তবে সেটি সচল করে সেবা দিতে প্রশিক্ষিত জনবল ও চিকিৎসকের প্রয়োজন। জনবল না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি অব্যবহৃত পড়ে আছে।’
২৭ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১২ মার্চ) সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদা লোকনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রিন্টু উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের মুছাক আলির ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিন্টুসহ কয়েকজন শ্রমিক ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন। এ সময় রিন্টুর হাতে থাকা লোহার রড ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়া উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইনের তারে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঝলসে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দামুড়হুদা মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
৩৫ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার খাদিমপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৩৮) খাদিমপুর গ্রামের আব্দুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
স্থানীয় ইউপি সদস্য আরাফাত হোসেন জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর আলম ভাগ্নে সম্রাটকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ব্যক্তিগত কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় খাদিমপুর মোড়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। এ সময় কোনো গাড়ির চাকা তার কপালের উপর দিয়ে চলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশটি পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। দাফন সম্পন্ন করার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আজগার আলী বলেন, দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং ঘটনাটি তদন্তাধীন।
৫৩ দিন আগে
কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে ফের বোমাতঙ্ক
তিনদিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এলাকায় আবারও বোমাসদৃশ বস্তু দেখা গেছে। এর ফলে নতুন করে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হওয়া তল্লাশির একপর্যায়ে দুপুরে কেরু কোম্পানির চিনিকল এলাকায় এই ককটেলসদৃশ বস্তুগুলো দেখা যায়। তারপর থেকে পুলিশ সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছেন।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের ক্যাডার জয়নাল আবেদিন নফরের কেরু মিলের অফিসের পেছনে ককটেলসদৃশ বস্তুগুলো রাখা হয়। পরে রাজশাহী র্যাব-৫ এর বোম ডিসপোজেল ইউনিটের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসার পর সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এর আগে, গত ১৩ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডে অফিস-সংলগ্ন স্থান থেকে ককটেল উদ্ধার করা হয়। রাজশাহী থেকে র্যাব-৫ এর বোম্ব ডিসপোজাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ককটেল দুটি নিষ্ক্রিয় করেন। ওই ককটেলগুলো শক্তিশালী বলেও জানান তারা।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান, এ ধরনের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। ফলে আমরা চরম আতঙ্ক আর অনিশ্চিয়তার মধ্য রয়েছি।
অপরাধীদের শনাক্ত করে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় আনা হোক বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৬৯টি বোমা ও তৈরির সরঞ্জামসহ আটক ২
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, ‘এলাকায় বারবার বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধারের বিষয়টি উদ্বেগজনক। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, ‘লাল রঙের টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় রবিবার দুপুরে চারটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। পরে রাজশাহী র্যাব-৫ এর বোম ডিসপোজেল ইউনিট এসে বোম সাদৃশ্য বস্তু নিষ্ক্রিয় করে।’
তিনি বলেন, ‘যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এই বস্তুগুলো রাখা হচ্ছে।’
৫৯ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গার ১২১টি বিদ্যালয় বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মিলনমেলা
চুয়াডাঙ্গার ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রেখে মিলনমেলা ও বনভোজনের আয়োজন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন শিক্ষকরা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা কুতুবপুর ইউনিয়নের আক্কাছ লেক ভিউ পার্কে এই মিলনমেলা ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।
এতগুলো বিদ্যালয় বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মিলনমেলা ও বনভোজন আয়োজনে অভিভাবক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এখনও ঠিকমতো বই পায়নি। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির পর সোমবার বিদ্যালয় বন্ধ রেখে মিলনমেলা ও বনভোজন করাটা শিক্ষকদের ঠিক হয়নি।
এদিকে, শিক্ষক সমিতির নেতারা জানান, তারা সংরক্ষিত ছুটি নিয়ে এই আয়োজন করেন। তবে আয়োজনের সময় ছুটি বাতিল করে বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এর পরই মিলনমেলা ও বনভোজন স্থগিত করে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে ফিরে যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত ছুটির জন্য আবেদন করা হয়। সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমাদের ছুটি মঞ্জুর করেন। এরপরই আমরা মিলনমেলা ও বনভোজনের আয়োজন করি।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল
তিনি বলেন, ‘আয়োজন চলাকালে হঠাৎ আমাদের জানানো হয়, ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এখনই স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এরপর দুপুর ২টার মধ্যে আমরা আবারও ক্লাসে ফিরি।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসার লাইলা তাসলিমা নাসরিনকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে এক দিনের মধ্যে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে লাইলা তাসলিমা নাসরিন বলেন, ‘শিক্ষকরা বছরে তিন দিন সংরক্ষিত ছুটি নিতে পারেন। সেই ছুটির আবেদন মঞ্জুর করেই এই আয়োজন। এছাড়া আয়োজনের সময়ে ছুটি বাতিল করায় শিক্ষকরা ফিরে ক্লাস শুরু করেন।’
৬৪ দিন আগে