চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় কিশোর হত্যায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় আলোচিত কিশোর রুবেল (১৪) হত্যার দায়ে আসামি মো. সোহাগকে (২০) আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এই রায় ঘোষণা করেন।
নিহত রুবেল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের ইয়ামিন আলীর ছেলে এবং আসামি সোহাগ একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এসএম শরীফউদ্দিন হাসু জানান, বয়স বিবেচনায় আসামির বিরুদ্ধে আমৃত্য কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলন: ২৭ মামলায় ৭০৩ গ্রেপ্তার
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকেলে কিশোর ভ্যানচালক রুবেলকে সদর উপজেলার দশমাইল বাজারে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হন সোহাগ আহম্মেদ। এ সময় প্রলোভন দেখিয়ে কুতুবপুর মর্তুজাপুর গ্রামের মাঠের ভেতর নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রুবেলকে হত্যা করেন সোহাগ। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা ইয়ামিন আলী পরদিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোহাগের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোহাগ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত বছরের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একমাত্র আসামি সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ একমাত্র আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপির ২ নেতাসহ ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রাম দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে আকরাম হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় তার কাছ থেকে দুই কেজি ৩৩৫ গ্রামের আটটি স্বর্ণের বার ও মোটরসাইকেল জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১২টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
আকরাম হোসেন (৩০) ঠাকুরপুর গ্রামের মরহুম আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
বিজিবি জানায়, সীমান্তের প্রধান খুঁটি ৯০ থেকে দেড় কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এক যুবক মোটরসাইকেল করে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিজিবি তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। পরে তাকে তল্লাশি করে আটটি স্বর্ণের বারসহ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং তার মোটরসাইকেলটি জব্দ করে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এ ব্যাপারে সুবেদার মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার যুবকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। জব্দকরা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা করার হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্তে ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ৭টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ইট বহনকারী ট্রলিচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইট বহনকারী ট্রলিচাপায় মুন্না হোসেন (১৯) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার খাসকররা বাজারের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই-বোনের মৃত্যু, আহত ৫
মুন্না খাসকররা ইউনিয়নের রায়সা গ্রামের নাসির মন্ডলের ছেলে।
খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মিল্টন প্রামাণিক বলেন, মুন্না মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফেরার সময় খাসকররা বাজারের সামনে ইট বহনকারী ট্রলিচাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ট্রলিটি ফেলে চালক পালিয়ে গেছেন। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৯
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালামকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) রাত ৯টার দিকে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে আজিজুল উলম কওমী মাদরাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিংয়ে ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মাওলানা আব্দুস সালাম ওই মাসরাসার শিক্ষক এবং একই উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আব্দুল গণি। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, বেশ কিছুদিন আগে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গভীর রাতে মাদরাসার শৌচাগারের আশপাশ নিয়ে খারাপ কাজ করতো হুজুর। প্রায় ৭-৮ দিন আমাকে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে এমন করেছে৷ সব শেষ ঈদুল আজহার উপলক্ষে মাদরাসা ছুটির আগে করেছে। পরে আমার বাবা-মাকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর ছেলে মাদরাসায় যেতে চাইছে না। পরে চাপ দিলে ছেলে ভয়ে সব কিছু খুলে বলে। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।’
এদিকে, ঘটনাটি জানার পর শনিবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা মাদরাসায় আসেন। বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালাম পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণধোলাই দেন৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নেই।
এ বিষয়ে বেহালা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোখলেচুর রহমান শিলন বলেন, ‘ঘটনাটি আসলেই নেক্কারজনক। এমন ঘটনার কঠিন বিচার হওয়া দরকার। আমি মনে করি এমন নেক্কারজনক ঘটনায় এমন একজন শিক্ষক লেবাসধারীর বিচার হলে কেউ এমন কাজ করার সাহস পাবে না।’
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। দুটি ঘটনায় আরও একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের বোয়ালমারি গ্রামে এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কিরণগাছিতে এ দুর্ঘটনাদুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মাদরাসাপাড়ার ইজিবাইকচালক মজনুর ছেলে রাজ (১৮) এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের ঘাটপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে নিহত মুকুল হোসেন (৫০)।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের যুবক নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, মোটরসাইকেলে চড়ে কুষ্টিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিলেন রাজ ও সজিব। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে বোয়ালমারী গ্রামে পৌঁছালে আলমডাঙ্গামুখী রয়েল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাজকে মৃত ঘোষণা করেন। সজিবকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে, রাত সাড়ে রাত ৯টার দিকে একই উপজেলার কিরণগাছি সড়কে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মুকুল হোসেন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে জেনেছি। এছাড়া রয়েল পরিবহনের একটি কোচের ধাক্কায় এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় নিহত ১
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় রাজিবুল ইসলাম নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কুয়াতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজিবুল (৩০) উপজেলার হারদি ইউনিয়নের থানাপাড়ার বুদো মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
রাজিবুলের বন্ধু ইসতিয়াক মিজান জানান, সকালে মোটরসাইকেলে চড়ে হাটুভাঙ্গা এলাকায় গরু কিনতে যাচ্ছিলেন রাজিবুল। এসময় কুয়াতলা পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা এসবি পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় নৈশপ্রহরী নিহত
স্থানীয়রা তাকে প্রথমে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হারদি হাসপাতাল) নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে কুষ্টিয়ায় যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আব্দুল গণি জানান, যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
আবারও তাপপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবুও জীবিকার তাগিদে এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে মানুষকে।
একদিকে তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে বিদ্যুতের লো ভোন্টেজ আর লোডশেডিং। ঘরে-বাইরে কোথাও এক মুহূর্তও মিলছে না স্বস্তি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সকাল থেকেই থাকছে প্রখর রোদের তাপ। এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
রোদের তীব্র তাপে মানুষ বাইরে বের হতে পারছে না। দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গত চার দিন মাঝারি তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে জেলা। যা অব্যহত থাকতে পারে আরও তিন থেকে চার দিন।
সোমবার (১০ জুন) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতা বাড়ায় এমন তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। যার কারণে প্রচুর পরিমাণে ঝড়ছে শরীরের ঘাম।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার (৭ জুন) থেকে চলতি মাসে মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহে ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশকে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা দিচ্ছে ইইউ
ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই কিছু অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস
চুয়াডাঙ্গায় কৃষকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) নামে এক কৃষককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১ জুন) সকালে জেলার সদর উপজেলার যুগিরহুদা গ্রামের মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই একই উপজেলার সুবদিয়ায় গ্রামের মৃত বেছের আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন, পাশাপাশি গ্রামে কবিরাজি করতেন।
আব্দুর রাজ্জাক শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় রূপসা নদীতে নিখোঁজ মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে যুগিরহুদা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের মাঠে আব্দুর রাজ্জাকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় কৃষকরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ধলাই নদীতে নিখোঁজের ৪ দিন যুবকের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পানিতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো- ওই গ্রামের মসজিদ পাড়ার আশরাফুল হকের মেয়ে তাবাসসুম (৬) এবং রাজু আহাম্মেদের মেয়ে রিতু (৫)।
সীমান্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্লা বলেন, খেলার সময় পুকুরে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া শিশুদের লাশ তাদের বাড়িতে রয়েছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বালতির পানিতে ডুবে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু
চবিতে ঘুরতে এসে ঝর্ণার পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় পাখিভ্যানের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পাখিভ্যানের ধাক্কায় জিয়ারুল হক নামে বাইসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জীবননগর-যশোর মহাসড়কের বাঁকা ব্রিকস ফিল্ডের আশপাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই নিহত
নিহত জিয়ারুল হক জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের মৃত জহির মণ্ডলের ছেলে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, জিয়ারুল বাড়ি থেকে বাইসাইকেল করে জীবননগর বাজারে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরচালিত একটি পাখিভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে জিয়ারুল সড়কের উপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোস্তাফিজুর রহমান সুজন বলেন, আমরা হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবিদ হাসান বলেন, স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাস উল্টে নিহত ৫
কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষার্থী নিহত