চুয়াডাঙ্গা
‘বৈষম্যহীন, দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত থামবে না’
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মজলুম দল মন্তব্য করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘গত সাড়ে ১৫ বছর জামায়াতের নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, হাজারো নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। হাট-ঘাট, মসজিদ-মাদরাসা, এমনকি মন্দিরেও লুটপাট চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা চাটিবাটি গুটিয়ে পালিয়েছে। দুর্নীতিবাজ সবাই পালিয়েছে। তাই বৈষম্যহীন, মানবিক, দুর্নীতি দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থামবে না।’
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের টাউন মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্র-জনতার অবদানকে স্মরণ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে এই জাতি দেশবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবে ইনশাআল্লাহ। তরুণ-যুবসমাজ চাঁদাবাজমুক্ত, দখলবাজমুক্ত ও পেশীশক্তিমুক্ত নতুন দেশ চায়। আমরাও সাম্যের বাংলাদেশ চাই। এই প্রজন্ম বুকের রক্ত দিয়ে নতুন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। প্রয়োজনে আমরাও রক্ত দিয়ে হলেও এই স্বাধীনতা ধরে রাখব ইনশাআল্লাহ।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা কারও টাকার কাছে নিজেদের ভোট বিক্রি করব না। ষড়যন্ত্র চলছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ। কালো টাকা ও পেশীশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করব না। যারা কালো টাকা দিয়ে ভোটের মাঠে আসবে, তাদের ‘না’ বলে দিতে হবে।”
আরও পড়ুন: এদেশে আর কোনো মাইনরিটি-মেজরিটি শুনতে চাই না: জামায়াত আমীর
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা ২৬ লাখ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেছে। এসব টাকা জাল ফেলে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করে দেশে ফেরত আনতে হবে। আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের খুঁজে খুঁজে এনে ওই কাশিমপুর জেলে পাঠাতে হবে। তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াত আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য খন্দকার আলী মোহসিন, যশোর জেলা শাখার আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির আলী আজম, কুষ্টিয়া জেলা আমির মাওলানা অধ্যাপক আবুল হাশেম, মেহেরপুর জেলা আমির মাওলানা তাজ উদ্দীন খান, চুয়াডাঙ্গা জেল জামায়াতের সাবেক আমির আনোয়ারুল হক মালিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক আসলাম অর্ক, জেলা জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল প্রমুখ।
সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সব কর্মপরিষদের সদস্য, জেলার ৫টি থানার অধীনে সাংগঠনিক ৮ জন জামায়াতের থানা আমির ও স্থানীয় জামায়াত নেতারাসহ অসংখ্য কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
২ দিন আগে
ভারত থেকে দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে এলো চালের প্রথম চালান
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানির প্রথম চালান বাংলাদেশে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২ হাজার ৪৫০ টন চাল রেলবন্দরের ইয়ার্ডে পৌঁছায়। চালগুলো ভারতের বন্দর দিয়ে ৪২ ওয়াগনে করে বাংলাদেশে আসে।
এ সময় ভারতের রেলের পরিচালক সাগতম বালাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দর্শনা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু।
আরও পড়ুৃন: ভারত থেকে চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে আরও একটি জাহাজ
তিনি বলেন, ঢাকার পুরানা পল্টনের মেসার্স মজুমদার অ্যাগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এ চাল আমদানি করেছে। প্রতি টন চালের মূল্য ৪৯০ ডলার। কলকাতার ৭/১ লর্ড সিনহা রোডের সৌভিক এক্সপোর্ট লিমিটেড এ চাল রপ্তানি করেছে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান জানান, কাস্টমস পরীক্ষণ ও শুল্কায়নের পর এ চাল ঈশ্বরদী ও সিরাজগঞ্জে বুকিং হবে। সেখান থেকে ট্রাকযোগে আমদানিকারক চাল পরিবহন করবেন।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে বাংলাদেশ সরকার এক লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে। দর্শনা বন্দর দিয়ে এ চালের প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করল।
৪ দিন আগে
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা। উত্তর থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে তৃতীয় দফায় জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
এদিকে হাড় কাঁপানো শীত ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কষ্টে আছেন শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষেরা।
এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারনের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের।
চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তার মোড়ের চা দোকানি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘জব্বর (খুব) শীত পড়ছে। সবকিছু ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশা আর শীত। বেচা-কেনা নেই। খুব কষ্টে আছি।’
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
১ সপ্তাহ আগে
শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
এদিকে হাড় কাঁপানো শীত ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনপদ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে একদিনের ব্যবধানে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে জেলার তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এ অবস্থায় কষ্টে আছেন শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষেরা।
চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তার মোড়ের চা দোকানি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘জব্বর (খুব) শীত পড়ছে। সবকিছু ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশা আর শীত। বেচা-কেনা নেই। খুব কষ্টে আছি।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট মোড় এলাকার পুরোনো কাপড় বিক্রেতা হাবু মিয়া বলেন, ‘শীতের শুরুতে বেচা-কেনা তেমন ছিল না। এখন বিক্রি বাড়ছে।’
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বিশ্বে ‘দ্বিতীয়’ ঢাকা
শীতার্ত ও অসহায় মানুষের মধ্যে কম্বলসহ শীতের গরম কাপড় বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এ মৌসুমে এ জেলায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি এ যাবতকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি।
১ সপ্তাহ আগে
চুয়াডাঙ্গায় স্কুলের ডিজিটাল পর্দায় ভেসে উঠল উসকানিমূলক লেখা, উত্তেজনা
চুয়াডাঙ্গা, ২ জানুয়ারি (ইউএনবি)- চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের ডিজিটাল সাইনবোর্ডের পর্দায় ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’ এমন লেখা ভেসে উঠেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা তদন্তপূর্বক শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকে সাইনবোর্ডের পর্দায় (ডিসপ্লে বোর্ডে) এই লেখা ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপরই তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি দুই সদস্যরা হলেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল ইসলাম ও আইসিটি অধিদপ্তরের জীবননগর উপজেলার সহকারী প্রোগামার অফিসার মাহমুদুর রহমান।
ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৬ সালে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে সাইনবোর্ডটি লাগানো হয়। সেখানে স্ক্রিনে সবুজ রঙের শিক্ষামূলক বাণী লেখা উঠতো। কখনও কোনো সমস্যা হয়নি। বুধবার সন্ধার পর হঠাৎ করে এই উসকানিমূলক লেখা ভেসে উঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাইনবোর্ডটিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। তাছাড়া ঘটনাস্থলটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।
জীবননগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল আমিন বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুইকার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন জানান, এটি ইন্টারনেটের অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ অ্যাপসের পাসওয়ার্ড হ্যাক করে লেখাটি বসিয়ে দিয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পরিদর্শক করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
২ সপ্তাহ আগে
চুয়াডাঙ্গায় টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ। জেলার ওপর দিয়ে টানা তিন দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ফলে এ জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দপতন ঘটেছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ সকালে বাইরে বের হচ্ছে না। অপেক্ষা করছে রোদ ওঠার। অনেকে আবার জীবিকার তাগিদে তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে বের হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, রবিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৮৮ শতাংশ। পরে সকাল ৯টায় সামান্য একটু কমে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তিনি আরও জানান, আশা করা যাচ্ছে এখন থেকে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।তবে দুয়েক দিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বিদায় নেবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরু থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় জেঁকে বসেছে শীত। এ সময় তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে। হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক দিনে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরদিন শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর মধ্যদিয়ে এ জেলায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এরপর শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা আরও কমে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস আরও বলছে, তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে আজ-কালের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে আবহাওয়া সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
১ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়েরিয়া রোগী, হাসপাতালে নেই স্যালাইন সেট-ক্যানোলা
রোটা ভাইরাস ও আবহাওয়াজনিত কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এরমধ্যে অধিকাংশই শিশু রোগী। চিকিৎসক ও নার্সরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
গত ১ সপ্তাহে সদর হাসপাতালের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে মোট ২৮৩ জন রোগী। এদের মধ্যে অধিকাংশই হলো শিশু ও বয়স্ক। এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে দুই শতাধিক রোগী।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২৮৩ রোগী ভর্তি হয়েছেন। ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন ৪৩ জনের অধিক রোগী। এরমধ্যে অধিকাংশই ছিল শিশু।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি, তাঁবুতে চলছে শিশুদের চিকিৎসা
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গাইদঘাট গ্রামের রোগীর মা পলি খাতুনের ছেলে ভর্ আছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, আমার ৮ মাসের ছেলে তিন দিন আগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে ভর্তি করাই হাসপাতালে। রোগীর এতো চাপ যে এখানে থাকতেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও ছেলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত থাকতে তো হবেই।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার এলাকার নাজমা খাতুনের মেয়ে ভর্তি হাসপাতালে। নাজমা বলেন, গত দুদিন থেকে পাতলা মল আর বমি হচ্ছিল মেয়ের। সকালে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে খাওয়া স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ দিলেও স্যালাইন সেট ও ক্যানোলা সাপ্লাই নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিব সাদী বলেন, হাসপাতালে কলেরা স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ সাপ্লাই আছে। তবে স্যালাইন সেট ও ক্যানোলা নেই, সেটা আশা করছি অল্প কিছু দিনের মধ্যে চলে আসবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু ডা. মাহবুবর রহমান মিলন বলেন, ইদানিং রোটা ভাইরাস ও শীতজনিত কারণে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী বেশি। বিশেষ করে শিশু রোগী বেশি রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। এর কোনো মেডিসিন না থাকার কারণে ৪ থেকে ৫ দিন শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত থাকছে। ৫ দিন পর ভাইরাস মারা গেলে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে কোনো মতেই শিশুদের বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না। যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা ভালো৷ শিশুদের প্রতি বেশি যত্ন নিতে হবে। মোটা কাপড় পরিধান করাতে হবে। রাস্তার ধারের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি মানুষের সচেতনতা না বাড়লে ডায়রিয়া মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যাবে।
এ চিকিৎসক জানান, ১ থেকে ৬ মাসের শিশুদের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো যাবে না। খিচুড়ি খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। যতটুকু সম্ভব বাচ্চাদের সতর্ক রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: সাজেকের তিনটি গ্রামে ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত শতাধিক
১ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি বাবু, সাধারণ সম্পাদক শরীফ
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন কাউন্সিলে জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ। আর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু।
এই ৩টি পদে প্রত্যক্ষ ভোট গ্রহণ করা হয়।
নির্বাচ ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়া।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে নটার দিকে ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রিজাইটিং অফিসার অ্যাডভোকেট মারুফ সরোয়ার বাবু এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
আরও পড়ুন: দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও গণতন্ত্র এখনও মুক্ত হয়নি: গয়েশ্বর
১ মাস আগে
তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
এখনও হেমন্তকাল শেষ হয়নি। এরই মধ্যে শীতে জবুথবু চুয়াডাঙ্গাবাসী। গত কয়েকদিন ধরে বিকাল হলেই তাপমাত্রা কমছে।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাদের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
রিকশাচালক ঝন্টু মিয়া বলেন, ‘এখনই হাত-পা মনে হচ্ছে বরফ হয়ে আসছে। সন্ধ্যার পর শীত বাড়ে। আর কয়েকদিন পর রিকশা চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে হঠাৎ ঘন কুয়াশা
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত ১৫ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আজ এ জেলায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় টিকটকার মুন্নিকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২
চুয়াডাঙ্গায় টিকটকার মুন্নি হত্যার ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মানিক আলী মুন্সি ও পারভেজ মহসিন স্বপন। গ্রেপ্তার দুইজন চাচাতো ভাই।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে ২ সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা কামালের আদালতে মানিক ও পারভেজকে হাজির করা হলে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তারা দুই জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
পরে বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযুক্ত মানিক ও পারভেজ স্বীকার করেছে যে, মুন্নিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। পরে জবানবন্দি শেষে পুলিশ প্রহরায় ওই দুজনকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
মানিক চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি শেখপাড়ার টোকন আলী মুন্সির ছেলে ও পারভেজ একই এলাকার মইদুল ইসলামের ছেলে।
৯ নভেম্বর দুপুরে হাটবোয়ালিয়া বাজারে মার্কেটে আসার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। নিখোঁজের ৬ দিন পর চুয়াডাঙ্গা বোয়ালিয়া গ্রামের চরেরমাঠ থেকে তার অর্ধগলিত বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত শেষে এদিন রাতেই লাশ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
২ মাস আগে