কালবৈশাখী ঝড়
গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে নারীর মৃত্যু, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে শাপলা বেগম (৩৪) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়কের গোপালপুরে একটি গাছ ভেঙে প্রায় ১৪ ঘন্টা যানবাগন চলাচল বন্ধ থাকে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে ঝড় শুরু হয়। ১০ মিনিটের এই ঝড়ে ঘর-বাড়ি ফসল ও গাছপালার বেশ ক্ষতি হয়। ঝড়ে উপজেলা দুটির অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি মামলা: প্রতিবেদন ফের পিছিয়ে ২ জুলাই
এ সময় গোবিন্দগঞ্জের রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের পীরপল বাজারের একটি চায়ের দোকানের ওপর বট গাছ ভেঙে পরলে দোকানের মালিক খোকা মিয়ার স্ত্রী শাপলা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০০ দিন আগে
কালবৈশাখীতে গাছের ডাল পড়ে র্যাব সদস্য নিহত
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক নামে র্যাবের একজন কনস্টেবল নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১২ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কের সাহার বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা র্যাব- ১৩ ক্যাম্পে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিউটি শেষে রবিবার রাতে এক সহকর্মীর সাথে মোটরসাইকেলযোগে ক্যাম্পে ফিরছিলেন আবু বক্কর সিদ্দিক। এ সময় সাহার বাজার এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে সড়কের পাশের একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে তাদের ওপর। এতে আবু বক্কর সিদ্দিক গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ পড়ে ও ডাল ভেঙে ২ জনের মৃত্যু
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার সঙ্গে থাকা অপর সহকর্মীরও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দরকার।
২০৬ দিন আগে
কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ পড়ে ও ডাল ভেঙে ২ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ পড়ে ও ডাল ভেঙে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১১ মে) সন্ধ্যার দিকে ঘাগড়া ইউনিয়নের বাড়েরা এলাকায় ও মরাকুড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— বাড়েরা এলাকায় আব্দুল মজিদের ছেলে সজিব (২০) ও মরাকুড়ি এলাকার মৃত আফসার আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া (৫৫)।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার দিকে ঝড় শুরু হলে ঘাগড়া ইউনিয়নের বাড়েরা এলাকায় একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেন সজিব। এ সময় হঠাৎ করে তার ওপর গাছ ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অপরদিকে মরাকুড়ি এলাকায় সুরুজ মিয়া বাড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ঝড় শুরু হলে গাছের একটি ডাল তার মাথার ওপরে এসে পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে আরও তাপপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস
পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
২০৭ দিন আগে
কালবৈশাখী ঝড়ে ভোলায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ২
কালবৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে ভোলার মনপুরা ও লালমোহনে পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য গাছপালা। এ সময় ঘর চাপা পড়ে হারিস ও বজ্রপাতে বাচ্চু নামে ২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৪ থেকে ৫ জন।
রবিবার সকালে লালমোহনে উপজেলায় বদরপুর সাতবাড়িয়া এলাকায় এবং চরভূতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামে ২ জন মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমি-বাড়ি বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে কালবৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় ঝড়ে মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের সময় লালমোহনে উপজেলায় বদরপুর সাতবাড়িয়া এলাকায় ঘর চাপা পড়ে হারিস নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং লালমোহনের চরভূতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামের বাচ্চু নামে একজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৪ থেকে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অনেক পরিবার মাথার উপর টিনের চালা পর্যন্ত নেই। রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে পড়ে আছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে ২ জনের মৃত্যুসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে বরাদ্দের জন্য জেলায় পাঠাবো। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তা প্রদান করা হবে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কোনো সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
কালবৈশাখীতে সুনামগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ২০
৬০৬ দিন আগে
নীলফামারীতে কালবৈশাখী ঝড়: তিন উপজেলার দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
নীলফামারীতে ঝড়ে তিনটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেমাবার (১৫ মে) রাত ৯টার দিকে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ, টুপামারী ও জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে এই ঝড় বয়ে যায়।
এ সময় উপড়ে ও ভেঙে পড়ে অসংখ্য গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাঠে থাকা পাকা ধান, ভুট্টা ও কলা খেত।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে আকস্মিকভাবে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবল বেগে ঝড় বয়ে আসে। প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ওই ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও ঝড়েছে।
এ সময় জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি, টুপামারী ইউনিয়নের নিত্যানন্দী এবং জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।
এছাড়া ভেঙে ও উপড়ে পড়ে অসংখ্য গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার কলা খেত। এদিকে শিলাবৃষ্টিতে ঝড়ে পড়ে মাঠে থাকা পাকা বোরো ধান।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে বড়-ছোট গাছপালা। প্রবল বাতাসে এলাকার কলা ও ভুট্টা ক্ষেতের গাছ ভেঙে পড়েছে। পাশাশি শিলাবৃষ্টিতে বিচ্ছিন্নভাবে ঝড়ে পড়েছে মাঠের পাকা বোরো ধান।
আরও পড়ুন: ঘুর্ণিঝড়ের সময় জন্ম, নবজাতকের নাম রাখা হলো 'মোখা'
অপরদিকে জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতের ঝড়ে তার ইউনিয়নের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামে প্রায় ২৫টি কাচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিছিন্নভাবে ছোট-বড় গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে।
এদিকে ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। বিভিন্ন স্থাতে সঞ্চালন লাইনের তার ছিড়ে পড়লে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত।
বিদ্যুতের নেসকো নীলফামারী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজার এলাকায় কয়েকটি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের তার ছিঁড়ে গেছে। সেগুলো মেরামত কাজ চলছে। সন্ধ্যার মধ্যে শতভাগ মেরামত কাজ সম্পন্ন হবে।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ও টুপামারী ইউনিয়নের দুটি গ্রামের ওপর দিয়ে ওই ঝড় বয়ে যায়। এতে সামান্য কিছু ক্ষতি হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের কাজ চলছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপপরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে জেলা সদরের একটি গ্রামে দুই থেকে আড়াই বিঘা করে ধান ও কলা ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া মাঠে থাকা অন্যান্য ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
৯৩৩ দিন আগে
সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু
সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার জগন্নাথপুর ও শাল্লা উপজেলায় এই পৃথক ঘটনা ঘটে।
জগন্নাথপুরে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে বয়ে যাওয়া ঘন্টাব্যাপী প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে মা-মেয়ে ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বহু ঘরবাড়ি, ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক হারুণ মিয়ার টিন সেড ঘরের ওপর পাশাপাশি দুটি বিশাল আকৃতির ঢেউয়া ও খস গাছ প্রচন্ড ঝড়ে উপড়ে ঘরের ওপর পড়ে চাপা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই স্কুল শিক্ষক হারুণ মিয়ার স্ত্রী মৌসুমি বেগম (৩৫), মেয়ে মাহিমা বেগম (৪) এবং এক বছর বয়সী ছেলে হোসাইন আহমদের মৃত্যু হয়।
পাটলী ইউপি চেয়ারম্যান আংগুর মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে প্রচন্ড শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে বড় আকৃতির দুটি গাছ টিন ঘরের মধ্যে পড়ে চাপা দিলে মা ও ছেলে- মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের সময় করণীয়
তিনি জানান, পরিবারটি খুবই গরীব। স্ত্রী সন্তানদের হারিয়ে একটি বেসরকারি স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক হারুণ মিয়া এখন পাগলপ্রায়।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, মা ও ছেলে- মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
এদিকে জেলার শাল্লা উপজেলার নাছিরপুর গ্রামে বজ্রপাতে মুকুল খাঁ (৫০) ও তার ছেলে মাসুদ খাঁর (৭) মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাতটার সময় এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মাসুদ খাঁ তার দুই ছেলে ও শ্যালক পুত্রকে নিয়ে বাড়ির পাশে জমিতে কৃষি কাজ করতে যান। সকাল ৭টার দিকে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মুকুল খাঁ ও ছেলে মাসুদ খাঁর মৃত্যু হয়। নিহত মুকুল খাঁর ছেলে রিমন খাঁ (১১) ও শ্যালক পুত্র তানভীর হোসেন (৭) আহত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য দ্রুত হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩
১৩৩০ দিন আগে
বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বায়ু 'অস্বাস্থ্যকর'
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রবিবার কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ঢাকা তৃতীয় খারাপ অবস্থানে রয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) রেকর্ড করা হয়েছিল ১৮৩।
নেপালের কাঠমান্ডু এবং মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন যথাক্রমে ৩৩১ এবং ১৯১ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ুর কারণে বিশ্বে ২ কোটি মানুষ অভিবাসী হওয়ার আশঙ্কা
একিউআই ১০১ থেকে ২০০ মধ্যে থাকলে বিশেষত শিশু এবং বয়স্ক জনগণের মতো সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়।
সরকারি সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা পরিষ্কার বা দূষিত এবং এর ফলে যেসব স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে সেসব জানাতে প্রতিদিনের বাতাসের মান প্রকাশের সূচক 'একিউআই' ব্যবহার করে।
এদিকে, রবিবার রাজধানী ও দেশের অন্যান্য অংশে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের সাথে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে।
ঝড়ের সময় গাইবান্ধা ও ফরিদপুর জেলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন।
বছরের প্রথম এই মৌসুমী ঝড় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ রাজধানীতেও আঘাত হানে এবং কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ: সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ঢাকা
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে - পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম ১০ এবং পিএম ২.৫), এনও ২, সিও, এসও২ এবং ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সাথে জড়িয়ে আছে। সাধারণত বর্ষায় এর বায়ু মানের উন্নতি হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই) এবং বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উত্স হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ কাজের ধুলা।
বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর একটি। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা যায়, দূষিত বায়ু নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণের ফলে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসজনিত রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ু এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণের ফলে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
১৭০৫ দিন আগে
কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ৩০ মিনিট স্থায়ী কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে পুরো জেলা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন।
২০৩০ দিন আগে
রাজধানীতে কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাত
রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টির সাথে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে।
২০৩৭ দিন আগে
কালবৈশাখী ঝড়: বাগেরহাটে ঘরচাপায় এক স্কুলছাত্র নিহত
বাগেরহাটের চিতলমারীতে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরচাপা পড়ে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
২০৩৮ দিন আগে