করোনার লক্ষণ দেখা দিলে গত সপ্তাহে পপি খুলনা মেডিকেল কলেজে নমুনা পরীক্ষা করান। বুধবার ফলাফল আসে তিনি কোভিড-১৯ পজেটিভ। এরপর থেকে তিনি শিববাড়ী মোড় সংলগ্ন পৈত্রিক বাসভবন জমিদার বাড়িতে আইসোলেশনে চলে যান।
পপি সাংবাদিকদের জানান, বেশ কিছু দিন ধরে তার জ্বর ছিল, সাথে কাশি। মাঝে জ্বর কমেও গিয়েছিল। কিন্তু শরীর ভালো লাগছিল না। এক সময় শ্বাসকষ্ট অনুভূত হচ্ছিল। পরে পরিবারের লোকজন তাকে নমুনা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। বুধবার সেই ফল হাতে পেয়েছেন তিনি।
‘এখন শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। জ্বর নেই। তবে গলাব্যথা ও কাশির সাথে কিছুটা শ্বাসকষ্ট আছে। স্বাদ ও ঘ্রাণ এখনও ফিরে পাইনি,’ যোগ করেন তিনি।
পপি জানান যে আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করবেন। তিনি এখনও হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করছেন না।
পপিদের বাসার কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। তাহলে তিনি কীভাবে আক্রান্ত হলেন? এ বিষয়ে পপি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর থেকে বেশ সতর্কতার সাথে চলাফেরা করছিলাম। তবে কিছু দিন রাতের বেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছিন্নমূল অসহায় মানুষের জন্য খাবার বিতরণ করেছি। এর বাইরে কোথাও বের হইনি। এভাবেই কোথা থেকে হয়ত আক্রান্ত হয়েছি।’
করোনামুক্ত হয়ে আবার যেন কাজে ফিরতে এবং সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন এ জন্য দেশাবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
পপির বাবা মিয়া কবির হোসেন টুলু শুক্রবার রাতে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত ১৩ মার্চ ঢাকা থেকে খুলনার বাড়িতে চলে আসেন পপি। তারপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। প্রথম দিকে পরিবারের সহযোগিতায় পপি শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্বল্প আয়ের মানুষদের সহায়তা দিয়েছেন। পরে করোনোর প্রকোপ বেড়ে গেলে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেন তিনি।