খুলনা
বাংলাদেশে সিএমএ পেশার গুরুত্ব বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার
বাংলাদেশে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস (সিএমএ) পেশার গুরুত্ব বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটির আয়োজন করে আইসিএমএবির খুলনা ব্রাঞ্চ কাউন্সিল ও ব্যবসা প্রশাসন ডিসিপ্লিন।
আরও পড়ুন: সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারে ‘এসএমই উন্নয়ন বিভাগ’ চালু
সিএমএ পেশাজীবীদের যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির ধারাবাহিক প্রচেষ্টা হিসেবে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এ সময় সেমিনারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন প্রধান অতিথি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুর রহমান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) মো. আক্তারুজ্জামান অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা ব্যাখ্যা করেন, কেন সারা বিশ্বে সিএমএ পেশার এত চাহিদা এবং তারা কীভাবে প্রতিষ্ঠানের টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে সহায়তা করে।
আইসিএমএবির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া মাসুদ সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সভাপতিত্ব করেন খুলনা ব্রাঞ্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমে স্বচ্ছতা আনতে আর্থিক ও ব্যয় নিরীক্ষা বাস্তবায়নের দাবি আইসিএমএবির
দেশের ব্যবসা উদ্যোগের ৯৯.৮৪ শতাংশই সিএমএসএমই
মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, অক্টোবরে চলবে ট্রেন
আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবন্দর মোংলার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ। ইতোমধ্যে এই রেলপথের কাজ ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে খুঁটিনাটি কাজ; যা চলতি মাসেই শেষ হওয়ার আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারা জানিয়েছেন- মোংলা-খুলনা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। কারণ শুধু সারাদেশের সঙ্গে নয়, রেলপথটি আন্তর্জাতিক রেল রুট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে।
আরও পড়ুন: দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ঢাকা-ভাঙা রেলপথের কাজ
মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘চলতি মাসে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সেইসঙ্গে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এই পথ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে আশা করছি। সেভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমরা।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারত, নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহন সহজ করতে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে রয়েছে রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণ, মূল রেললাইন স্থাপন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং স্থাপন।
২০১১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, তা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দফায় সংশোধনের পর ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
সেইসঙ্গে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর উপর রেলসেতুর নির্মাণকাজ করেছে। বাকি কাজ করেছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক আরিফুজ্জামান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও নানা কারণে কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে। দুই দফায় প্রকল্প সংশোধনের কারণে ব্যয় বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। তবে তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। আশা করছি, এবার নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে।’
মোংলা-খুলনা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে জানিয়ে মোংলা বন্দরের ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ মিঠু বলেন, ‘বর্তমান সরকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগের জন্য যেমন পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, তেমনি নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এতে গার্মেন্টস পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য কম খরচে মোংলা বন্দর থেকে পরিবহন করা যাবে, তেমনি রপ্তানিও করা যাবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বেড়ে যাবে।’
একই কথা বলেছেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
তিনি বলেন, ‘রেললাইনটি ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে চিংড়ি ও গার্মেন্টস পণ্য পরিবহন সহজ হবে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে চলল পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল
খুলনায় আইভি স্যালাইন স্বল্পতায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত
খুলনায় তীব্র হয়েছে আইভি বা ইন্ট্রাভেনাস (শিরায় দেওয়া) স্যালাইনের সংকট। বাড়তি টাকা দিয়েও ফার্মেসিতে মিলছে না স্যালাইন। দুই-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও রাখা হচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ দাম।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বাড়তি দাম রাখার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে সংকট আরও তীব্র হয়েছে।
এদিকে, জেলায় ডেঙ্গু রোগীদের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালেও রয়েছে স্যালাইন সংকট। গত সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগীদের কোনো স্যালাইন দেওয়া হয়নি।
অবশ্য বৃহস্পতিবার হাসপাতালটিতে ৩ হাজার লিটার স্যালাইন এসেছে। কিন্তু চিকিৎসাধীন থাকা বিপুল সংখ্যক রোগীর তুলনায় এটি খুবই সামান্য।
চিকিৎসকেরা বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন বেশির ভাগ রোগীর চিকিৎসার জন্য স্যালাইন প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য স্যালাইন খুবই জরুরি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা
তারা আরও বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের জলীয় অংশ কমে যায়। এতে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপ কমে যায়। রক্তের তারল্য ঠিক রাখতে ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে রোগীকে স্যালাইন দিতে হয়।
একজন রোগীকে দিনে এক থেকে দুই লিটার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর বেশি স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় সাধারণত দশমিক ৯ শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরাইড স্যালাইন রোগীর শরীরে পুশ করতে হয়। চিকিৎসকেরা এটাকে ‘নরমাল স্যালাইন’ বলে থাকেন।
খুমেক হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১০ দিন আগেই শিরায় দেওয়া সব স্যালাইন শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগীদের আর স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে না। রোগীরা বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনছেন। অবশ্য বৃহস্পতিবার থেকে সংকট কিছুটা কমেছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন নাজমুল হক বলেন, ৬ দিন ধরে ভর্তি থাকলেও হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। সবই বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। বাইরের দোকানগুলোতে স্যালাইন না পাওয়ায় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে স্যালাইন কিনতে হয়েছে, দামও পড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
আরও পড়ুন: স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নগরীর ময়লাপোতা মোড়, সোনাডাঙ্গা, খুমেক হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকানগুলো ঘুরে ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি দেখতে পান, অধিকাংশ দোকানেই ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত আইভি স্যালাইন পাওয়া যায়নি।
দোকানদারেরা বলেছেন, ওই স্যালাইনের সরবরাহ নেই। তবে দুই-একটি দোকানে স্যালাইন পাওয়া গেছে, দাম তিনগুণ বেশি চাওয়া হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, খুলনায় কিছুদিন ধরে সংকট চরম আকার ধারণ করছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও কোম্পানিগুলো স্যালাইন দিতে পারছে না। যার কারণে দাম বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হাসপাতাল-দোকান কোথাও মিলছে না ডিএনএস স্যালাইন
খুলনায় ১৯ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
১৯ বছর পর স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহিদ হাসানকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ফুলতলা থানাধীন বুড়িয়ারডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মাটির নিচ থেকে কোটি টাকার হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ১
গ্রেপ্তার জাহিদ খানজাহান আলী থানার আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের পাড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের কাওসার মোল্লার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খানজাহানআলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ কুমার দাসের নেতৃত্বে পথেরবাজার পুলিশ ক্যাম্পের এসআই কামরুল হুদা নাঈম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে ১৯ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর সাজা হওয়ার পর থেকে জাহিদ ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় পলাতক ছিলেন।
অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ পরিদর্শক পলাশ কুমার দাস জানান, জাহিদ ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি পান এবং ২০০৪ সালে যশোরের অভয়নগর থানায় বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে জাহিদ হাসান তার স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেন।
এক পর্যায়ে জাহিদ হাসানের স্ত্রীর লাশ নদী থেকে উদ্ধার হয় এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে জাহিদ হাসানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
জাহিদ হাসান ভারতে চার বছর পলাতক থাকেন। বাংলাদেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকেন। সর্বশেষ তিনি পুনরায় খুলনা জেলায় ফিরে এসে ফুলতলা এলাকায় ভিন্ন একটি গ্রামে আত্মগোপন করে থাকেন এবং তার নিজের নামসহ পিতা মাতার নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র হোসেন নাম ধারণ করেন।
একইসঙ্গে বেশভূষার কিছুটা পরিবর্তন এনে নিজেকে আড়াল করতে দাড়ি রেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন ধরে চাকরি করছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
ভারতে ‘পাচারকালে’ সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে নাটোরের এক গৃহবধূ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলের মায়ের হত্যার খুনি গ্রেপ্তার
খুলনা মহানগরী থেকে সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল শুভেন্দ্র দাসের মা অনিমা দাসকে (৬১) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত মো. মোস্তফা শেখকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. মোস্তফা শেখ (৪৮) জেলার বাগেরহাট উপজেলার মোড়েলগঞ্জের সাংনকিডাঙ্গা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলের মায়ের লাশ উদ্ধার
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল-মামুন জানান, অনিমা দাস গত ৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ১১টা ১৯ মিনিট থেকে ০৬ সেপ্টেম্বর (বুধবার) পৌনে ১০টার মধ্যে হত্যার শিকার হন। তিনি খুলনার সদর থানার পশ্চিম টুটপাড়া ফরিদ মোল্যার মোড় (খান মঞ্জিল), কামরুল ইসলাম খানের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় মেয়ে লাভলী দাশের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন।
বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে মোস্তফা শেখ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়ে লাভলী দাস (৩৯) বাদী হয়ে খুলনা থানার মামলা দায়ের করেন।
সদর পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিমাই চন্দ্র কুন্ডু মোস্তফা শেখকে গ্রেপ্তার করেন।
পরে শুক্রবার আসামি আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গুতে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু
খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলের মায়ের লাশ উদ্ধার
খুলনা মহানগরী থেকে পুলিশ কনস্টেবলের মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে পশ্চিম টুটপাড়া ফরিদ মোল্লার মোড় এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল সুভেন্দু নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ওসি’র বডিগার্ড।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন জানান, সুভেন্দু’র মা অনিমা দাস তার ৮ বছরের নাতি তীর্থকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ফরিদ মোল্লার মোড়ের খান মঞ্জিলে। সকালে সুভেন্দুকে তার বোন ফোন করে জানায় যে তার মা ফোন রিসিভ করছে না। এরপর তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে মায়ের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে খুলনা সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
তিনি জানান, বিছানার উপর পড়ে থাকা লাশের নাক-মুখ রক্তাক্ত ছিল। এ ছাড়া তার গলা ও কানের স্বর্ণালংকার এবং আলমারিতে থাকা গহনাগুলো নিয়ে গেছে ঘাতক।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরের চৌগাছায় কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে মসজিদের পুকুর থেকে ইমামের লাশ উদ্ধার
খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুলনায় তিন দফা দাবিতে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে জ্বালানি তেল বিক্রির উপর কমিশন বাড়ানোসহ ৩ দফা দাবিতে রবিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবি হচ্ছে— জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংক-লরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির উপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।
আরও পড়ুন: ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে সোমবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: বিপিসি
বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এই কর্মসূচি আহ্বান করে। ফলে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৪ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ ছিল।
অপরদিকে সকালে খালিশপুর, দৌলতপুর, বয়রা, ফুলবাড়ী গেটের কয়েকটি পেট্রোল পাম্প ঘুরে দেখা যায় সেখানে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। খালিশপুরের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা যমুনা থেকে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। সেখানে কয়েক’শ ট্যাংক-লরি দাঁড়িয়ে ছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট খুলনার নিউমার্কেট এলাকায় আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় জ্বালানি তেল বিক্রির উপর কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
জ্বালানি বিক্রয়ের ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবিতে তেল ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। এর ফলে খুলনায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও এ অঞ্চলে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এ ধর্মঘট পালন করছে।
৩ দফা দাবি হচ্ছে- জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।
আরও পড়ুন: হিলিতে চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, পণ্য আমদানি শুরু
এদিকে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের খবরে শনিবার রাতে তেল পাম্পগুলোতে জ্বালানির জন্য মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট গাড়িগুলোকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতা মো. মুরাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। দাবিগুলো অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত।
তিনি আরও বলেন, দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সরকার দাবি পূরণ না করায় রবিবার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ৩ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করছে তেল ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্টরা কয়েকবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, প্রতিবারই সময় নিয়েছেন, কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, ২৩ আগস্ট (বুধবার) খুলনার নিউমার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
দাবি পূরণের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ায় ৩১ আগস্ট বিকালে খুলনার খালিশপুরে ট্যাংকলরি ভবনে সভা করে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের কয়েকটি সংগঠন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালনের চূড়ান্ত ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্মঘট ও মানববন্ধন স্থগিত বিএসবিআরএ’র
খুলনায় চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার
খুলনা মহানগরী থেকে ওয়াং সিয়াও খুই (৪৪) নামে এক চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে মহানগরীর খালিশপুর চরের হাটের ভৈরব নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিহত ওয়াং সিয়াও খুই খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের নির্মাণাধীন ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রকৌশলী ছিলেন।
খালিশপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) নিমাই মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চীনা প্রতিষ্ঠান সানডং সানলং সান হুই ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানির দোভাষী তুহিন মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় চীনা প্রকৌশলী ওয়াং সিয়াও খুই চুল কাটার উদ্দেশ্যে বাইরে বের হন। সকালে আমাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় তিনি রাতে ফিরে আসেননি। এ বিষয়ে খালিশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। কিন্তু শুক্রবার (২৫ আগস্ট) পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি। শনিবার সকালে কয়েকজন মিলে খোঁজাখুজি শুরু করলে ভৈরব নদে তার লাশটি ভাসমান অবস্থায় দেখা যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
খুলনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, খুলনার পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে এ মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবি হল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে বাস চাপায় অটোরিকশাচালক নিহত
খুলনায় পুকুরে ধরা পড়ল ২০ ইলিশ
খুলনার ডুমুরিয়ায় পুকুরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ২০টি ইলিশ মাছ। প্রতিটি ইলিশের গড় ওজন ৫০০ গ্রাম।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই ইলিশ দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমায়। উপজেলার সাহস ইউনিয়নের লতাবুনিয়া গ্রামের স্থানীয় অনিমেষ মণ্ডলের পুকুর পাড়ে।
স্থানীয়রা জানান, লতাবুনিয়া গ্রামের অনিমেষ মণ্ডল বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকালে মাছ ধরতে পুকুরে নামেন। এরপর জালে একে একে ২০টি তাজা ইলিশ মাছ ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ২ দিন নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা
খুলনা জেলা মৎস্য অফিসার জয়দেব পাল জানান, বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে ইলিশ চাষ করা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে সুখবর পাওয়ার আশা করতে পারি।
অনিমেষ মণ্ডল বলেন, পুকুরে ইলিশ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। তবে বিষয়টি অবাক করার মতো। এর আগে আমরা কখনো পুকুরে ইলিশ মাছ দেখিনি। পুকুরে কীভাবে ইলিশ এল তা আমাদের জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা কেউ ইলিশ মাছ পুকুরে চাষ করিনি।
স্থানীয় প্রবীণ জেলে সুকুমার বলেন, নদীর সঙ্গে ওই পুকুরের কোনো সংযোগ নেই। তারপরও ইলিশ পাওয়া গেল। হয়ত বৃষ্টির সঙ্গে নদীর পানিতে থাকা ইলিশের রেণু কোনো না কোনোভাবে পুকুরে প্রবেশ করেছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পুকুরে ইলিশ হয়– বিষয়টি এমন নয়। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে। তবে এখন দেশে পুকুরে ইলিশ চাষ নিয়ে গবেষণা চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সরবরাহ বাড়লেও ইলিশ এখনও সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে
চাঁদপুরে মাছ ঘাটে ইলিশের আমদানি বেড়েছে, দাম কিছুটা নিম্নমুখী