খুলনা
খুলনায় আগুনে পুড়ল ৩ পোশাকের দোকান
নগরীর খালিশপুরে আগুনে পুড়ে গেছে তিনটি পোশাকের দোকান। এতে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার কাপড় পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে খালিশপুর বিআইডিসি সড়ক পাওয়ার হাউজ মোড়ের বিপরিতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গোডাউনের আগুনে পুড়ল কোটি টাকার মালামাল
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মনিরুল ইসলাম জানান, তার দোকানের নাম জ্যোতি ফ্যাশন। তিনি প্রতিদিনের মতো ওই দিন রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। রাত ২টার দিকে নিরাপত্তা প্রহরী মোবাইলে জানান তার দোকানে আগুন লেগেছে। তিনি ছুটে এসে দেখেন এলাকাবাসী আগুন নিভাতে চেষ্টা করছে। এ সময় তারা ৯৯৯ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।
ফায়ার সার্ভিসের তিনটি গাড়ি এসে আধা ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি খালিশপুর থানায় জিডি করেছেন বলে জানান।
খালিশপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, ‘আগুনে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে কম্বলে আগুন লেগে নারীর মৃত্যু
৪ দিন আগে
খুলনায় ভারতীয় দূতাবাসে কঠোর নিরাপত্তা
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনার পর খুলনার সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত থেকে খুলনায় ভারতীয় দূতাবাস এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগ।
ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত থেকে ভারতীয় দূতাবাসগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের সামনে ও এর আশপাশে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে দেখা গেছে, খুলনার শামসুর রহমান সড়কে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সামনে সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
২ সপ্তাহ আগে
খুলনায় ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
খুলনার তেরোখাদা উপজেলার আজগড়া ইউনিয়নের খড়বাড়িয়া গ্রামের খাদিজাতুল কোবরা (রা) মহিলা দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন শিকদারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে মাদরাসার শিক্ষক আলাউদ্দিন শিকদার ক্লাস নেওয়ার সময় বিভিন্ন অযুহাতে ছাত্রীর শরীরে স্পর্শ করে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ব্যবসায়ী সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে বাড়িতে ফিরে কান্নাকাটি করলে তার মা কারণ জিজ্ঞেস করলে সে ওই ঘটনার কথা খুলে বলে।
প্রতিবেশীরা আলাউদ্দিন শিকদার সম্পর্কে জানান, পূর্বেও ওই শিক্ষক একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছেন। মাদরাসার এক ছাত্রীকে বিয়ে করে তিন বছর পর তালাক দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহু ও হামাসের নিহত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
৪ সপ্তাহ আগে
খুলনার দুঃখ বিল ডাকাতিয়া, জীবন-জীবিকার ঝুঁকিতে এলাকাবাসী
খুলনার ফুলতলা, ডুমুরিয়া ও আড়ংঘাটার বিল ডাকাতিয়ায় জলাবদ্ধতায় প্রায় দুই মাস ধরে পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ।
আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টির পানিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দেয় বিল ডাকাতিয়ায়। এতে পানিবন্দি হয়ে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছেন এলাকাবাসী। উপরন্তু বিভিন্ন চর্ম ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
স্থানীয়রা জনান, একজন মানুষ মারা গেলে তাকে যে মাটি দেবে, তার কোনো জায়গা নেই এ অঞ্চলের মানুষের।
খুলনার ফুলতলা, ডুমুরিয়া, আড়ংঘাটা এবং যশোর জেলার অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলা এলাকায় বিল ডাকাতিয়ার বিস্তৃতি। ৩০ হাজার একর চাষযোগ্য জমি রয়েছে এই এলাকায়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ৫ কৃষি-ইকোলজিক্যাল এলাকায় কাজ করবে ইউএনডিপি
প্রবল বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে প্রায় দুই মাস ধরে তলিয়ে আছে বিলের জমি। মাছ চাষিদেরও বিপাকে পড়তে হয়েছে। নদীতে পলি জমাট এবং অতিবৃষ্টিই এর মূল কারণ। এজন্য ফসল নষ্ট, আয়ের পথ বন্ধের পাশাপাশি চরম খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে এ এলাকায়। পরিস্থিতি এমন যে, বিল ডাকাতিয়া এখন এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে স্থায়ী সমাধানের দাবি এখানকার পানিবন্দি প্রায় ১৫ লাখ মানুষের।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, এ বছর বিল ডাকাতিয়ার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা একটি প্রস্তাব তৈরি করেছি। আমরা তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহের জন্য সম্ভবত ১-২ সপ্তাহ সময় নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।
প্রয়োজনে আমরা ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞদের এনে আমাদের সঙ্গে কাজ করব এবং তারপর জেলা প্রশাসনের কাছে পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করব।’
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি ও খুলনা-৫ আসনের (ফুলহাটলা ও ডুমুরিয়া) সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পানিসম্পদ সচিব নাজমুল আহসান বলেন, বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সমাধান খুঁজতে আগ্রহী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আমরা স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন পরিকল্পনা করছি।
আরও পড়ুন: অসম্পূর্ণ কোর্স বা অতিরিক্ত সেবনে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকি
১ মাস আগে
খুলনায় মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ২
খুলনায় মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে আরও দুইজন খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর লবণচরা থানার হরিণটানা গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোটরসাইকেল চালক মোংলা উপজেলার সানবান্দা গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে মিরাজ মোয়াজ্জেম ও ইজিবাইক চালক বটিয়াঘাটা উপজেলার দারোগারভিটা এলাকার হানিফ হাওলাদারের ছেলে মোহাম্মদ রাব্বি হাওলাদার।
লবণচরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসেন জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ রাব্বি হাওলাদার বাগমারা পার হয়ে হরিণটানা গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কে উঠার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল চালক মিরাজ মোয়াজ্জেমের মৃত্যু হয়। ইজিবাইক চালক মোহাম্মদ রাব্বি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ মাস আগে
খুলনার বাজারে শীতকালীন সবজি আসলেও দামে নাগাল পাচ্ছে না ক্রেতারা
শীত আসি আসি করছে। এরইমধ্যে খুলনা মহানগরীসহ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন নানা সবজি। শীতের সবজি বাজারে এলেও দাম এখনও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসেনি।
মাঝে মধ্যে শীতের সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আর অতিরিক্ত মূল্য নিম্নআয়ের মানুষকে ফেলেছে বেকায়দায়। তাই চড়া বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: যশোরে ৪৩২৩ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ
এদিকে পাইকগাছা উপজেলা সদর চাঁদখালী বাঁকা কপিলমুনিসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে দোকানির ওপরে ক্ষোভ ঝাড়ছেন ক্রেতারা। এছাড়া শীতের শুরুতেই বাজারে সকল ধরনের সবজির দাম আকাশ ছোয়া। যা নাগালের বাইরে।
বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ছোট ফুলকপি প্রতি পিস ১২০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৯০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাটেঙ্গা বাজারে বাজার করতে আসা শাহিন মোল্লা বলেন, ‘সবজির দাম নাগালের বাইরে। কেনার সাধ্য নেই। আগে যে টাকায় সকল কিছু হয়ে যেত এখন আর সেই টাকা দিয়ে খাওয়াটাই হচ্ছে না। তাহলে কেমনে বাঁচব।’
এছাড়া সকল জায়গায় ভোগান্তি, তবুও বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ কখনোই দেখলাম না বলে জানান বাজার করতে আসা শাহিন মোল্লা।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান উন্নত করতে পারেনি শীতকালীন বৃষ্টি
দামের বিষয়ে চাঁদখালী বাজারের সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদুল বলেন, ‘গেল কয়েকদিন ধরে সবজির দামটা অনেক বেশি। কারণ উৎপাদন কম হওয়ায় আমরা শীতকালীন শাকসবজি বাজারে পাচ্ছি না। যা পাচ্ছি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
বাজারের ৭ থেকে ৮ ধরনের সবজির দাম ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই এবং বাকি সকল সবজির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকার ঘরে হবে বলে জানান তিনি।
সচেতন মহলের লোকজন বলছেন, বাজারে সবজির দাম বেড়ে চলেছে। এই সময় বেশিরভাগ নতুন সবজি বাজারে আসে। কিন্তু বাজারের দাম চড়া।
তবে আমরা মনে করি বাজার যদি ঠিক মতো তদারকি করা হয় তবে দামটা অনেকটাই কমবে। তবে পুরোপুরি শীত চলে আসলে নতুন সব সবজি বাজারে উঠবে, তখন সবজির দাম অনেক কমে যাবে। বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম, সে কারণেই দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজগঞ্জে শীতকালীন পেঁয়াজের চাষে ব্যস্ত কৃষক
১ মাস আগে
খুলনায় বিষাক্ত খাবার খেয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু
খুলনায় বিষাক্ত খাবার খেয়ে আপন দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত শিশুরা হলো- রুপসা উপজেলার শ্রীফলতলা চন্দন শ্রী এলাকার বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী মাসুদ রানার মেয়ে ইরানী (৫) ও ছেলে মো. আব্দুল গনি (৪)। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতদের বাবা মাসুদ রানার স্থানীয় বাজারে মুদি দোকান রয়েছে ও মা নার্গিস বেগম মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। ওই দম্পতির মাছুরা নামে ৮ বছর বয়সি আরেকটি মেয়ে আছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিবি সদস্যদের উপর হামলা, আহত ৩
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে মাসুদ রানা কিছু ফল কিনে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে দুই শিশু খাবার খাওয়ার পর ফলগুলো খায়। কিছুক্ষণ পর দুই শিশুই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রথমে তাদের খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি। যদি কেউ অভিযোগ দায়ের করেন, তবে তা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানিয়েছেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্বর্ণের বারসহ যুবক গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
খুলনায় ডিবি সদস্যদের উপর হামলা, আহত ৩
মাদক উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে তেরখাদা উপজেলার কোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় জেলা ডিবির এএসআই মইনুদ্দীনকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় কনস্টেবল তবিবুর ও শামীমকে।
খুলনা জেলা ডিবির ওসি নুরুল ইসলাম বাদল জানান, হামলায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এএসআই মইনুদ্দিনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১ মাস আগে
খুলনায় ১০ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার
খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর গ্রাম থেকে ১০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। উদ্ধার করা সাপটি সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১০ নভেম্বর) উপজেলার মহেশ্বীপুর গ্রামের সামাদ গাজীর বাড়ির পেছন থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতির চিকিৎসা চলছে
স্থানীয়রা জানান, মহেশ্বরীপুর গ্রামের সামাদ গাজীর বাড়ির পেছনে অজগরটি দেখা যায়। পরে তারা সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের কয়রা টহল ফাঁড়ির স্টাফদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে সাপটি উদ্ধার করেন।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ খুলনা রেঞ্জের অধীনস্থ বানিয়াখালি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের স্টাফরা গিয়ে সাপটি উদ্ধার করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিপিজি সদস্য, ভিটিআরটি সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বন বিভাগের ৫০ কর্মী ও ড্রোন মোতায়েন
১ মাস আগে
১০ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ চালু, লাইনচ্যুতির ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি
১০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর সারাদেশের সঙ্গে খুলনার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আনসারবাড়িয়া স্টেশনের অদূরে খুলনাগামী মালবাহী ট্রেনের ৮টি তেলের ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়। সেসময়ই সারা দেশের সঙ্গে খুলনার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার পর ট্যাংকারগুলো রেললাইন থেকে সরানো হলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
রাত পৌনে ১টায় লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটলেও তাৎক্ষণিক উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়নি। পাবনা ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন এনে সকাল ৭টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। খুলনা থেকে আরেকটি রিলিফ ট্রেন উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
উথলী রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মিন্টু রায় জানান, লাইনচ্যুত ট্যাংকার উদ্ধারে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আসা এবং খুলনা থেকে আসা উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ভোর থেকেই কাজ শুরু করে, যা বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ উদ্ধারকাজ শেষ হয়।
এদিকে, ১০ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় দেখা যায় শিডিউল বিপর্যয়। বিভিন্ন স্টেশনে ও ট্রেনে আটকে পড়েন যাত্রীরা। খুলনা থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যেসব ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সেগুলোর ট্রিপ বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ৮ ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়ে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
স্টেশন মাস্টার মিন্টু রায় বলেন, ১০ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আটকে পড়া ট্রেনগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে।
এদিকে রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, চার ঘণ্টা ধরে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। ট্রেন চলাচল এখন স্বাভাবিক। লাইনচ্যুতির কারণ তদন্তে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি হয়েছে।
১ মাস আগে