খুলনা
খুলনায় বাটা-ডমিনোস-কেএফসিতে হামলা, ২৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনায় বাটা, ডমিনোস ও কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। পৃথক এ তিনটি মামলায় অন্তত দুই হাজার ৯০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮এপ্রিল) রাতে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা তিনটি দায়ের করেন ওই তিন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজাররা।
বুধবার (৯এপ্রিল) ভোরে সোনাডাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর আবু হাসান বিষয়টি ইউএনবি কে নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় তিনি জানান, ‘হামলা ভাঙচুরও লুটপাটের অভিযোগ এনে শিববাড়ি মোড়ের বাটা শোরুমে ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ১২/১৩ শ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া কেএফসির ম্যানেজার সুজন মন্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ৭/৮ শ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। অনুরূপভাবেডমিনোস পিজ্জাতে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শামসুল আলম আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৭/৮ শ জনকে আসামি করা হয়েছে ‘
উল্লেখ্য, গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কেডিএ এভিনিউ সড়কের কেএফসি ও ডমিনোস এবং শিববাড়ি সংলগ্ন টাইগার গার্ডেন হোটেলের পাশের বাটার শো রুমে হামলা ও লুটপাট করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ
বিক্ষুব্ধ জনতা ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, ডমিনোস, বাটার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের শো-রুমে হামলা চালায়। এ সময় কেএফসি ভবনের গ্লাসগুলো ভাঙচুর করা হয়।
পাশাপাশি কেএফসির আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী টিভি, ফ্রিজ, ওভেন বাইরে বের করে ভাঙচুর করা হয়। অনুরূপভাবে বাটার শো রুম থেকে জুতা লুটপাট করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভিডিও ফুটেজ এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য কাজ চলছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৮ দিন আগে
খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ
খুলনার ফুলতলা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ আবুল বাশারকে লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে বোমাটি তার গায়ে লাগেনি।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফুলতলার খুলনা-যশোর মহাসড়কের সুপার ব্রিকসের সামনে এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আবুল বাশার মোটরসাইকেল করে বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে।’
‘বোমাটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে রাস্তার ওপর পড়ে বিস্ফোরিত হলে তিনি অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান।’
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে প্রবর্তনার ভবনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনায় স্থানীয়রা অল্প সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। পরে সাড়ে ১০টার দিকে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
এ ঘটনার পরপরই খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন।
১৩ দিন আগে
মধ্যরাতে খুলনায় যৌথবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, আটক ১১, অস্ত্র উদ্ধার
খুলনার সোনাডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা গোলাগুলির পর ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও গুলি।
শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার পর সোনাডাঙ্গা থানার আরামবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজম খান।
গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্য, নৌবাহিনীর একজন সদস্য এবং চার সন্ত্রাসী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এসি আজম খান জানান, আরামবাগ মসজিদের অপর পাশে একটি বিল্ডিংয়ে কালা লাভলু সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা গোপন বৈঠক করছে—গোপন সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের সদস্যরা সেখানে অভিযান চালান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক পুলিশ সদস্য আহতও হন।
আরও পড়ুন: ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের গোলাগুলি, আহত ৮
পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। যৌথবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি চলার একপর্যায়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান শেষ হয়। এ সময় ১১ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, একটি একনলা শটগান, একটি কাটা বন্দুক, একটি চাইনিজ কুড়াল, কয়েক রাউন্ড গুলি ও সাতটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আটক সন্ত্রাসীদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ ছিল। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ৩ জন পুলিশ সদস্য ও নৌবাহিনীর একজন সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের পুলিশ হাসপাতালে এবং নৌবাহিনীর সদস্যকে নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক সন্ত্রাসীরা হলেন— শেখ পলাশ, কালা লাভলু, আরিফুল, ফজলে রাব্বি, শরীফ, ইমরানুজজান, রিপন, ইমরান, সৈকত রহমান, সহিদুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানী।
১৮ দিন আগে
খুলনায় হাজতির প্রহারে এসআই আহত
খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সামনে অবস্থিত গারদখানায় দুটি ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনায় কারা পুলিশ ও হাজতির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাজতির প্রহারে ওই হাজতখানার এটিএসআই শুভংকর সাহা ওরফে শুভ (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত কারা পুলিশ সদস্যকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে রেখে চিকিৎসসাধীন দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পরপরই আদালতে চত্বরের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ সময় হাজতখানা থেকে আসামিরা এডিসি হুমায়ুনের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এডিসি কোর্ট (প্রসিকিউশন) মো. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘আজ (রবিবার) বেলা ১১টার দিকে ওই হাজতখানার মধ্যে তিনজন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। স্ত্রী করা মামলায় তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়।’
‘অপরজন সোনাডাঙ্গা থানার ডাকাতি মামলার আসামি। ৪১ শিপইয়ার্ড মেইন রোড মতিয়াখালী লবণচরা এলাকার বাসিন্দা ইউনুস শেখের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম রাজ ওরফে রাজউজ্জামান রাজু ওরফে গলাকাটা রাজু। তিনি মূলত এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটান।’
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জাহিদুলের নেতৃত্বে তিন আসামি প্রথমে হাজতখানার দুটি ক্যামেরার ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং পরে তা ভাঙচুর করেন। জানতে পেরে এটিএসআই শুভংকর ওই তিন আসামির কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই তিনজন তাকে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাদের আঘাতে এটিএসআইয়ের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে গভীর রাতে আগুনে পুড়ল ১৭ দোকান, আহত ১৫
তিনি আরও বলেন, ‘ওই তিন আসামি শোরগোল সৃষ্টি করে হাজতখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশের তৎপরতার কারণে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারেননি।’
তিনি জানান, আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি হুমায়ুন কবির উজ্জল বলেন, ‘হাজতখানার আসামিরা এডিসি প্রসিকিউশনকে উদ্দেশ করে অকথ্য ভাষায় গলিগালাজ করতে থাকেন। তাদের চিৎকারে আদালত চত্বরে অনেক লোক জড়ো হয়ে যায়। এর মধ্যে দেখা যায়, আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য শুভংকরকে হাসপাতালের উদ্দেশে নিয়ে যায় কিছু পুলিশ সদস্য।’
২৪ দিন আগে
খুলনায় মার্কেটে আগুন, অর্ধশত দোকান ছাই
খুলনার প্রাণকেন্দ্র পিকচার প্যালেস সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে মার্কেটের অন্তত ৫০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বুধবার (১৯মার্চ) ভোর ৫টা ৪০মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্টায় সকাল ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর মধ্যেই আগুনে অস্থায়ী ওই মার্কেটের সব দোকান পুড়ে গেছে। এ মার্কেটে অন্তত ৫০টি দোকান ছিল বলে জানা গেছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া এসব দোকানে কসমেটিকস, জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগসহ ঈদ উপলক্ষ্যে নানা সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসে ছিলেন দোকানিরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের টেরিবাজারের গোডাউনে আগুন
ব্যবসায়ীরা জানান, ভেঙে ফেলা পিকচার প্যালেস হলের জমিতে ‘পিকচার প্যালেস সুপার মার্কেট’ নাম দিয়ে একবছর ধরে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছিলেন তারা।
ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ঈদের আগে ব্যবসায়ীদের সব স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে জানিয়ে আর্তনাদ করতে দেখা গেছে অনেককে। তবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুম ইউএনবিকে জানান, নগরীর পিকচার প্যালেস সুপার মার্কেটে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মার্কেটের প্রায় ৫০টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
২৯ দিন আগে
খুলনায় দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন নিহত
খুলনা, ১৬ মার্চ (ইউএনবি)— খুলনায় দুর্বৃত্তের গুলিতে শেখ শাহিনুল হক শাহীন (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাত সোয় ১১টার দিকে নগরীর বাগমার মারকাজুল উলুম মাদরাসার পেছনে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শাহীন (৫০) দৌলতপুর কাত্তিককুল এলাকার জনৈক আ. রশিদের ছেলে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহত শাহীন নগরীর দৌলতপুরের হুজি শহিদ হত্যা মামলার আসামি। তিনি বিভিন্নস্থানে আত্মগোপনে থাকতেন।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল ভারত
ওসি আরও বলেন, শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বাগমারা মারকাজুল উলুম মাদরাসার পেছনে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেখানে গিয়ে আমরা শাহীনের লাশ শনাক্ত করি। দুর্বৃত্তরা শাহীনের কান বরাবর একটি গুলি করে। গুলিটি তার মাথা ভেদ করে বের হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। লাশটির সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে রাতে বাগমারা ও তার আশপাশের এলাকায় পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
৩২ দিন আগে
খুলনায় স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি করছেন শিক্ষার্থীরা
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি ও প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের প্রভাবে কমতে শুরু করেছে পণ্যের দাম। পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানায় খুলনার জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা নিজস্ব আয়োজনে স্বল্পমুল্যে পণ্য বিক্রি চালু করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সরেজমিনে খুলনা নগরীর বাজারে দেখা যায়, রোজা শুরুর ২-৩ দিন আগে থেকে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে জানানো হয়, তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছেন। এদিকে খুলনা নগরীতে পবিত্র মাহে রমজানে জনমনে স্বস্তি ও বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে বিনা লাভের দোকান খুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও টাস্কফোর্স টিম। এই আয়োজন জনগণের মধ্যে বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
আরও পড়ুন: রোজার দ্বিতীয় দিনেও বাজারে নেই সয়াবিন তেল, বিপাকে ক্রেতারা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত খুলনার বাজার নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের বিক্রেতারা জানান, তারা সবাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী। কোনো লাভ ছাড়াই মোট ১৬ ধরনের পণ্য বিক্রি করছেন। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ দোকান চালু থাকবে বলে জানান তারা।টাস্কফোর্সের সদস্য হৃদয় ঘরামী জানান, গত অক্টোবরে বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে তারা নগরীর শিববাড়ী মোড়, বয়রা বাজার, নতুন বাজার, গল্লামারী, দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড ও খালিশপুর চিত্রালী মার্কেটে ‘বিনা লাভের দোকান’ চালু করেছিলেন।
সময় ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলেন বলে জানান তিনি। রোজার সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী আবারও সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে তারা এ দোকান চালু করেছেন বলে জানান হৃদয়।
আরও পড়ুন: রোজার শুরুতেই খুলনার বাজারে আকাশছোঁয়া দাম
তিনি আরও জানান, প্রথমে শিববাড়ী মোড়ে এ দোকান চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি পয়েন্টে চালু করা হবে। রমজানজুড়ে তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
হৃদয় বলেন, ‘পণ্য কেনার পর পরিবহন খরচসহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে এগুলো বিক্রি করছেন।’
বাজার মনিটরিং কন্ট্রোল টিম সদস্য ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূলত বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য না কমা পর্যন্ত তাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, কোনো অনুদান না নিয়ে নিজেদের টাকায় পণ্য কিনে এনে বিক্রি করছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের এই দোকান থেকে পণ্য কেনার পর ইজিবাইক চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বাজারের তুলনায় এখানে দাম অনেক কম। নগরীর আরও কিছু পয়েন্টে এ ধরনের দোকান চালু করলে লোকজন রোজায় কম দামে জিনিসপত্র কিনতে পারতো।’
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আলম শেখ বলেন, ‘বাড়ি যাওয়ার সময় লোকের ভিড় দেখে এলাম। আমি ছয় আইটেম কিনেছি। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খুবই ভালো উদ্যোগ।’
শিক্ষার্থীরা অসাধারণ একটি উদ্যোগ নিয়েছে বলে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আরও কিছু পণ্য এবং বিক্রির পয়েন্ট বৃদ্ধি করলে ভালো হবে। তাহলে আরও অনেকে উপকৃত হবেন বলে অভিমত দেন তিনি।
৪১ দিন আগে
খুলনায় পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে মাংস ব্যবসায়ী নিহত
খুলনার রূপসায় মাংস বিক্রির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাত পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফ নামের এক মাংস ব্যবসায়ী। তিনি খুলনা সদর থানাধীন মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সদর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর পুত্র মাংস ব্যবসায়ী আরিফের সাথে রূপসা উপজেলার সেনের বাজার এলাকার কসাই রুবেলের আর্থিক লেনদেন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারী সন্দেহে গাজীপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মাংস বিক্রির পাওনা আড়াই লাখ টাকা চাইতে সেনের বাজারে রুবেলের দোকানে আসেন। টাকা চাওয়া নিয়ে রুবেল এবং আরিফের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে রুবেল দোকানে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে আরিফের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এতে তিনি মারাত্মকভাবে জখম হয়ে যান।
এ সময় স্থানীয়রা আরিফকে উদ্ধার করে দ্রুত খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১১টার দিকে আরিফ মারা যান বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র উভয়পক্ষের সংঘর্ষে শাহীনসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। রূপসার আইচগাতি ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই শরিফুল ইসলাম হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪৭ দিন আগে
থমকে আছে খুলনার গল্লামারী সেতুর নির্মাণ কাজ, জনদুর্ভোগ চরমে
শুরু থেকেই ধীর গতিতে চলছিল কাজ। নানা কারণে এক পর্যায়ে থমকেও যায় নির্মাণকাজ। এর মধ্যে অন্যতম কারণগুলো হলো- ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রযুক্তিগত মতানৈক্য, প্রকল্পের বাজেটের তারতম্য, অবস্থার প্রেক্ষাপটে(ভেরিয়েশন) বাড়তি কাজের ২০ শতাংশ অর্থ ১৩ থেকে ১৪ কোটি টাকার সুরাহা না হওয়া। খুলনাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এবং প্রত্যাশিত গল্লামারী স্টিল নেটওয়ার্ক আর্চ ব্রিজের নির্মাণকাজ থমকে যাওয়ায় জনভোগান্তি উঠেছে চরমে।
প্রকল্পের বিভিন্ন জটিলতায় নির্মাণ কাজের ধীর গতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত সড়কের এক পাশ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অন্য পাশে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। এতে প্রতিনিয়ত সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ হচ্ছে। তথ্যানুযায়ী ১৬ মাসে কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ১৯ শতাংশ। বাড়তি ২০ শতাংশ অর্থাৎ ভেরিয়েশনের ১৩ থেকে ১৪ কোটির টাকার সুরাহা না হলে সেতুর নির্মাণ কাজের সমাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)'র প্রকল্প ব্যবস্থাপক।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা-চুকনগর- সাতক্ষীরা জাতীয় মহাসড়কের ময়ূর নদীর উপর ২ লেন বিশিষ্ট স্টিল আর্চ গল্লামারী সেতু নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর। এরপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই) ৮ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজ শুরু করে। কার্যাদেশ অনুযায়ী সেতুটির নির্মাণ কাজ ১৮ মাসে অর্থাৎ চলতি বছরের ৩০ মার্চ শেষ হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় এরই মধ্যে কাজের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির আবেদন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, সড়ক বিভাগের সেতু নকশা বিভাগের এ জাতীয় স্টিল নেটওয়ার্ক আর্চ ব্রিজ নির্মাণের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে ব্রিজের নকশার ত্রুটিগত সমস্যা সমাধানে নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়। ব্রিজটির ডিজাইনার ভারতীয় পরামর্শক সন্দ্বীপ গুহানিয়োগী। সেতুর নকশার কাঠামোগত সঠিকতা নিরূপণের জন্য বাধ্য হয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এখন সেতুর নকশাকারী ভারতীয় ওই পরামর্শকের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে।
দেখতে হাতিরঝিলের মতো হলেও গল্লামারী স্টিল নেটওয়ার্ক আর্চ ব্রিজের ডিজাইনে অনেক পরিবর্তন আছে এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক উন্নতমানের হবে। এটিই হবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে নির্মিত দেশের প্রথম স্টিল নেটওয়ার্ক আর্চ ব্রিজ।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, কার্যদেশ অনুযায়ী ৬৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা চুক্তি মূল্য হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হিসাব অনুযায়ী সংযোগ সড়কসহ ২ টা সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে মোট ব্যয় হবে ৮২ কোটি টাকা।
এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গল্লামারী বাজারের কারণে নির্মাণ কাজের শুরু থেকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ব্যস্ততম সড়কটি বন্ধ করে বিকল্প সড়কে যান চলাচলের ব্যবস্থা না করে কাজ করতে গিয়েও বেশ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রকল্পের কাজে ধীরগতি এবং নির্মাণ কাজ থমকে থাকা সম্পর্কে প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ইউএনবিকে বলেন, প্রকল্পের কাজে ৪০ মিটার পাইলিং ডিজাইনে ধরা ছিল যেটা পর্যাপ্ত ছিল না। এ কারণে প্রথম অবস্থায় লোড টেস্ট ফেল করে। পাইলের লেনথ ওভাবে কাজ করে গেলে প্রকল্পটি হুমকির সম্মুখীন থাকবে। এরপর ৪০ মিটার পাইলিংয়ের জায়গা ৮ মিটার বৃদ্ধি করে ৪৮ মিটার করে পাইলগুলো কাস্টিং করা হয়েছে। শুরুতে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ক্ষেত্রে বা নকশাটি পুনরায় করার ফলে সময় ক্ষেপণ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে যথাসময়ে আমাদের বলতে পারেনি এটা করতে হবে কিনা? এভাবে ৩ থেকে ৪ মাস সময় ব্যয় হয়েছে। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী সেতু পরিদর্শনে আসবেন। তিনি আসার পূর্বে অগোছালো প্রকল্পের সাইট পরিষ্কার রাখতে হবে। এ কারণে ২ থেকে ৩ মাস কাজ বন্ধ ছিল। এরপর পাইলিংয়ের কাজ শেষ করে যখন পাইল ক্যাপের কাজ করতে যাব, তখন আমরা দেখি গ্রাউন্ড লেভেল থেকে ৪ মিটার নিচে নামতে হবে। এরকম একটা ব্যস্ত এলাকায় এরিয়ায় কোনো প্রত্যাশিত পরিস্থিতি যাতে তৈরি হতে না পারে, সেজন্য আমরা ১২ মিটার সিট পাইল ড্রাইভ করেছি। এর জন্য বাড়তি আমাদের ২ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। পাইল করার জন্য যে বাড়তি খরচ ধরা নেই সেটা আমাদের ধরে কাজ করে উঠে আসতে হয়েছে। বাড়তি এই টাকাগুলো আদৌ পাবো কিনা— সেটার সিদ্ধান্ত এখনও সুরাহা হয়নি। সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ তারা আমাদেরকে বলেছে বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: খুলনা এখন মাদক চোরাচালানের বড় রুট, যাচ্ছে ঢাকা ও সীমান্তের ওপারে
৬০ দিন আগে
শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাঙচুর ও লুটপাট
খুলনার দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে৷
এ সময় তারা ‘আমার সোনার বাংলায় মুজিববাদের ঠাঁই নাই, জ্বালো-জ্বালো আগুন জ্বালো, আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, মুজিববাদের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগানও দেয় উত্তেজিত জনতা।
জানা যায়, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমান তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে খুলনার দিঘলিয়ার ভৈরব নদের পাশে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গুদাম ও এক কক্ষের ঘরসহ জমি কেনেন। ওই জমিতে নির্মাণ করা হয় পাট গোডাউন, যা বর্তমানে ‘শেখ হাসিনার গোডাউন’ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সাবেক এমপিদের বাড়ি ও আ.লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
এই জমির কথা শেখ হাসিনা নিজেও জানতেন না। ২০০৭ সালে তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে ওই জমির কথা জানতে পারেন তিনি।
এই পাট গুদাম দেখাশোনা করতেন শেখ মুজিবের ছোটভাই শেখ আবু নাসের। এছাড়া শেখ মুজিব তার জীবদ্দশায় পাটের গুদাম ও এক কক্ষের আধাপাকা ঘর ছিল সেই জমিতে।
৬৯ দিন আগে