তিনি বলেন, সরকার বুঝেশুনে বাস্তবতার নিরিখে পদক্ষেপ নেবে।
ড. মোমেন বলেন, খুব বেশি দেশ প্রবাসীদের ফেরত পাঠাতে আবেদন করেনি। করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া এ সঙ্কটের মধ্যে সরকার এতে চাপে পড়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কিছুটা চাপে পড়েছি। এসময় সব দেশই চাপের মধ্যে রয়েছে।’
সেসব দেশের সাথে যে ধরনের সম্পর্ক বজায় রয়েছে তা বিবেচনায় বাংলাদেশ খুব বড় সমস্যায় পড়বে না এবং তাদের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে আশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে টেলিফোনে কথা হয়েছে। তার সাথে সেখানে থাকা অবৈধ (আনডকুমেন্টেড) বাংলাদেশিদের বিষয়ে কথা হয়েছে।
‘মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানের পর্যটন ব্যবসায়ের ধ্বস এবং রেস্তোরাঁ ব্যবসা বন্ধ থাকার কথা তুলে ধরেন। তাই তারা সে দেশে থাকা বৈধদের সাহায্যে করছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন,’ বলেন মন্ত্রী।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মালদ্বীপ প্রথমে অবৈধ অভিবাসীদের নিবন্ধিত হওয়ার কথা বলেছে। ‘আমরা মনে করি না তারা সবাই ফেরত আসবে।’
অন্য দেশগুলোর নাম উল্লেখ না করতে চাইলেও ড. মোমেন বলেন, এ মুহূর্তে চার থেকে পাঁচটি দেশ তাদের দেশে থাকা বাংলাদেশের অনিবন্ধিত অভিবাসীদের কথা জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ মোকবিলায় নেয়া পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশ মিশন ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের সহায়তার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয় নিয়েও বিভিন্ন দেশের সাথে আলোচনা হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা একসাথে মিলে এ চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করব। আমাকে যে বিষয়টি অবশ্যই বলতে হবে তা হলো প্রতিটি দেশই আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।’
এর আগে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সাথে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।