মালদ্বীপ
ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে ঢাকায় মালদ্বীপ ফুটবল দল
স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টিয়ার-১ ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে ঢাকায় পৌঁছেছে মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল দল।
সোমবার (১১ নভেম্বর) ফুটবল দলটি ঢাকায় পৌঁছায়।
আগামী ১৩ ও ১৬ নভেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপ জাতীয় দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ দলের চূড়ান্ত অনুশীলন এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একই ভেন্যুতে অনুশীলন করবে সফরকারী মালদ্বীপ দল।
বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ ১৯৮৪ সাল থেকে ১৮টি ম্যাচ খেলেছে, যেখানে উভয় দল ছয়টি জিতেছে, ছয়টি ড্র করেছে এবং বাকি ছয়টি ম্যাচ হেরেছে।
আরও পড়ুন: সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪: শিরোপাজয়ী বাংলাদেশি তারকাদের কথা
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে ১৮৬তম স্থানে থাকা বাংলাদেশ খেলবে ১৬৩তম স্থানে থাকা মালদ্বীপের বিপক্ষে।
ফুটবল ফেডারেশনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের পরে এই বছর মালদ্বীপের দলটির জন্য এটি প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে।
আগেরবার খেলার মাঠে মুখোমুখি হয়ে ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ এবং অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
এরই মধ্যে বুধবারের (১৩ নভেম্বর) ম্যাচের টিকিটের দাম ঘোষণা করেছে বাফুফে।
টিকিটের হার: ভিআইপি প্রতিটি টিকিটের মূল্য ৮০০ টাকা, ক্যাটাগরি-১ ও ২ এর টিকিট ৩০০টাকা করে।
এর আগে ২৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ।
২৭ সদস্যের বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড হলো।
গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান জিকো, মেহেদী হাসান শ্রাবণ, মিতুল মারমা ও সুজন হোসেন।
ডিফেন্ডার: সাদ উদ্দিন, তপু বর্মন, রাব্বি হোসেন রাহুল, মুরাদ হাসান, মেহেদী হাসান, শাকিল আহাদ তপু, রহমত মিয়া, শাকিল হোসেন, ঈসা ফয়সাল ও তাজ উদ্দিন।
মিডফিল্ডার: চন্দন রায়, মজিবুর রহমান জনি, সোহেল রানা, মোহাম্মদ হৃদয়, সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি, পাপন সিং ও দিদারুল আলম।
ফরোয়ার্ড: রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, শাহরিয়ার ইমন, পিয়াস আহমেদ নোভা ও মিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী দলকে বিসিবিও দেবে আর্থিক পুরস্কার
সাফজয়ী নারী দলকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোটি টাকা পুরস্কার
১ সপ্তাহ আগে
মালদ্বীপে বিমান পরিষেবায় পুরস্কার পেলেন ইউএস-বাংলার জাহিদুল ইসলাম
আন্তর্জাতিক রুটে পরিচালিত হওয়া বিমান পরিষেবার মধ্যে বেস্ট স্মাইল ক্যাম্পেইনে সেরা পুরস্কারে ভূষিত হলেন বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমানসংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মালদ্বীপ এয়ারপোর্ট ম্যানেজার মো. জাহিদুল ইসলাম।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) মালদ্বীপের ভেলেনা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে বেস্ট স্মাইল ক্যাম্পেইনে সেরা হওয়ার পুরস্কারটি মো. জাহিদুল ইসলামের হাতে তুলে দেন মালদ্বীপ এয়ারপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মিস্টার ডোনা।
আরও পড়ুন: বোমা আতঙ্কে নিউইয়র্কগামী বিমানের জরুরি অবতরণ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩৪টিরও বেশি এয়ারলাইন্স কোম্পানি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল।
সদা হাস্যমুখ, ভালো আচরণ ও যাত্রীবান্ধব ম্যানেজার হিসেবে সুপরিচিত মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বেস্ট স্মাইল ক্যাম্পেইনে সেরার পুরস্কারটি অর্জন করায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনন্দিত।
মো. জাহিদুল ইসলাম যশোরের শার্শা উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের হর্নমুক্ত ঘোষিত এলাকায় বেজেই চলেছে হর্ন
১ মাস আগে
মালদ্বীপের মাফুশি দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বিধ্বস্ত জলরাশির ঐকতানের সঙ্গে রোদের আলোয় সোনালি বালির মৃদু আলিঙ্গন, এর সঙ্গে সাগরতলের জীববৈচিত্র্যের মাঝে নিজেকে পরখ করার নেশা কিছুতেই উপেক্ষা করার নয়। গভীর রাতে শীতল সৈকতে আকাশ ভরা তারার সমীপে নিজেকে সপে দেওয়ার মাঝেই যেন চির প্রশান্তি। এই প্রাকৃতিক উপাচারগুলো নিয়ে ভারত মহাসাগরের বুকে মালদ্বীপের প্রতিটি দ্বীপ সরবে জানান দেয় নিজেদের উপস্থিতির কথা। কিন্তু মাফুশি নামের দ্বীপটি যেন আদ্যোপান্ত শব্দহীন এক নৈসর্গ। খুব কম সময়ের মধ্যে মালদ্বীপের জনপ্রিয় পর্যটন স্থানে পরিণত হওয়া এই দ্বীপটি নিয়েই আজকের ভ্রমণ কড়চা। চলুন, মালদ্বীপের মাফুশি দ্বীপ ভ্রমণ নিয়ে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
মাফুশি দ্বীপের ভৌগলিক অবস্থান
দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের রাজধানী মালে থেকে ২৬ দশমিক ০৮ কিলোমিটার দক্ষিণে মাফুশি দ্বীপের অবস্থান। মাফুশি দ্বীপপুঞ্জের এই মধ্যমণির ১ হাজার ২৭০ মিটার দীর্ঘ এবং ২৬৫ মিটার প্রশস্ত। অ্যাটলে অবস্থিত বাকি দ্বীপগুলোর তুলনায় এটি সব থেকে বড়।
মাফুশি দ্বীপ ৩টি এলাকায় বিভক্ত। স্থানীয় অধিবাসীদের এলাকা, পর্যটন এলাকা এবং দ্বীপের এক-তৃতীয়াংশ নিয়ে কারাগার এলাকা। পর্যটন এলাকাটি আবার বিকিনি সৈকত, পাবলিক সৈকত এবং ওয়াটার-স্পোর্টস সৈকতে বিভক্ত।
মাফুশি দ্বীপের ইতিহাস ও নামকরণ
এই দ্বীপবাসীরা মাছ ধরা সম্প্রদায় হিসেবে সুপরিচিত ছিল। দু-একজন পর্যটকের আনাগোণা হওয়া শুরু করতেই এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। কম খরচে গেস্টহাউস পাওয়ার জন্য মাফুশি দ্বীপের বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। প্রথম দিকে এই কারণেই স্থানীয় দ্বীপগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি পরিচিত হয়ে উঠেছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতের ডাবল এন্ট্রি ভিসা পাওয়ার উপায়
২০০৪ সালের বিধ্বংসী সুনামি দর্শনীয় জায়গাটির অনেক স্থাপনাই নষ্ট করে দেয়। পরবর্তীতে অবশ্য অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যটনকে আবার পুনরুজ্জীবিত করা হয়।
‘মাফুশি’ নামটির উৎপত্তি মালদ্বীপের শব্দ ‘মা’ (maa) এবং ‘ফুশি’ (Fushi) থেকে। ‘মা’-এর অর্থ ‘বড়’ এবং ‘ফুশি’-এর অর্থ ‘দ্বীপ’। সমগ্র দেশের অন্যান্য অধ্যুষিত দ্বীপের তুলনায় এই দ্বীপটি বড় বলে এরকম নামকরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপের মাফুশি দ্বীপ ভ্রমণের উপায়
মালদ্বীপের পর্যটন ভিসা
মাফুশি দ্বীপে ঘুরতে যেতে হলে প্রথমেই মালদ্বীপের ভিসা নিশ্চিত করতে হবে। মালদ্বীপ সরকার বাংলাদেশিদের মালদ্বীপ ভ্রমণের জন্য আগমনী ভিসা দেয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি পর্যটকদের দেশ ছাড়ার পূর্বে পর্যটন ভিসার জন্য কোনো রকম আবেদনের প্রয়োজন হয় না। তবে মালদ্বীপের বিমান বন্দরে অভিবাসন ছাড়পত্র পেতে কিছু প্রাথমিক শর্ত রয়েছে যেগুলো আগে থেকেই নিশ্চিত করতে হয়। শর্তগুলো হলো:
- কমপক্ষে ১ মাস মেয়াদী একটি বৈধ পাসপোর্ট। এমনকি শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রযোজ্য।
- আসা-যাওয়ার টিকিট, অগ্রীম হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণপত্রসহ মালদ্বীপে থাকার জন্য পর্যাপ্ত তহবিলের জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রমাণ অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন কর্তৃক অনুমোদিত ভিসা স্পনসরশিপ।
- পূরণকৃত ট্রাভেলার ডিক্লারেশন ফর্ম, যা ফ্লাইটের সময় ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হয়। https://imuga.immigration.gov.mv/ethd লিঙ্কের মাধ্যমে ফর্মটি অনলাইনে পূরণ করে জমা দিতে হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায়, জনপ্রিয় স্থান ও খরচ
এই শর্তগুলো পূরণ সাপেক্ষে মালদ্বীপের অন-অ্যারাইভাল ভিসা বিনামূল্যেই বাংলাদেশিরা পেতে পারেন। এই পর্যটন ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন।
ঢাকা থেকে মাফুশি দ্বীপ যাতায়াত
ঢাকা - মালে রাউন্ড ট্রিপ বিমান ভাড়া নির্ভর করবে কিছু বিষয়ের উপর যেমন এয়ারলাইন্স কোম্পানি, বুকিংয়ের সময়, বিভিন্ন অফার, ইত্যাদি।
মালে থেকে মাফুশি দ্বীপ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য স্পিডবোট বা ফেরিতে যেতে হবে। স্পিডবোটের ভাড়া লাগবে ২৫ মার্কিন ডলার বা ২ হাজার ৭৫০ টাকা। এভাবে দ্বীপে পৌছতে প্রায় ৪৫-মিনিট সময় লাগবে। মালে শহরের ব্যাঙ্ক অফ সিলনের সামনে থেকে ৬ নম্বর জেটি থেকে পাওয়া যাবে এই স্পিডবোটগুলো।
আর সরকারি ফেরিগুলো শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন চলে এবং ভ্রমণপথে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় নেয়। ফেরিতে টিকেট খরচ নিতে পারে জনপ্রতি ২ মার্কিন ডলার বা ২২০ টাকা।
আরও পড়ুন: ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
মাফুশি দ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার সেরা সময়
মালদ্বীপের অন্যান্য পর্যটন স্থানগুলোর মতো এখানেও সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চ মাসে বেশি ভিড় থাকে। এই শুষ্ক মৌসুমে আবহাওয়া পরিষ্কার থাকে এবং সামগ্রিকভাবে কম আর্দ্রতা থাকায় ভ্রমণের পরিবেশ বেশ মনোরম হয়। আর এরপর থেকে; অর্থাৎ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘলা থাকে।
কখনো কখনো ঝড়ে কবলে পড়তে হয় বলে এই সময়টি অনেকেই এড়িয়ে চলেন। তবে এই সময়গুলোর সবচেয়ে সেরা সুবিধা হচ্ছে- দ্বীপে ভ্রমণ খরচ অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক কম থাকে।
৬ মাস আগে
ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
ঈদের ছুটি মানেই বিরামহীন কর্মব্যস্ততা থেকে বড় সময়ের জন্য অব্যাহতি। কর্মচাঞ্চল্যে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা ভ্রমণপিপাসু মানুষগুলো মুখিয়ে থাকে এই মৌসুমের জন্য। ছুটির পরিসরটা পর্যাপ্ত হওয়ায় অনেকেই চিন্তা করেন দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু যখন ভিসা জটিলতার ব্যাপার আসে, তখনই ছুটিকে ঘিরে যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাছাড়া ট্যুর শেষ করে অফিস শুরুর আগেই তাড়া থাকে দেশে ফেরার। এই দুটো শর্ত পূরণেই অনেকটা সহায়ক ভূমিকা পালন করে এশিয়ার ভিসামুক্ত দেশগুলো। হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স অনুসারে ২০২৪ সালে এশিয়ার ৪টি দেশের ভিসা নিয়মনীতি শিথিল রয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য। চলুন, সেই দেশগুলোর দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এই ঈদে ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসতে পারেন এশিয়ার যে দেশগুলোতে
ভুটান
পূর্ব হিমালয়ে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার স্থলবেষ্টিত এই দেশটির উত্তরে চীন এবং দক্ষিণে ভারত। একদিকে স্থাপত্যশিল্পের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ, অন্যদিকে রাফটিংয়ের জন্য এশিয়ার সেরা গন্তব্যগুলোর একটি এই ভুটান। দেশটির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গাংখার পুয়েনসাম বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া, যেটি এখন পর্যন্ত আরোহণ করা সম্ভব হয়নি। ভুটানের বিশেষত্বের মাঝে আরও রয়েছে এর বৈচিত্র্যপূর্ণ বন্যপ্রাণী, যার মধ্যে রয়েছে হিমালয় টাকিন এবং সোনালি ল্যাঙ্গুর।
ভুটানের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা
পারো
বিমান বন্দর থেকে নেমেই সোজা চলে যেতে হবে ভুটানের সর্বোচ্চ রাস্তা লা পাসে’তে। কেননা এখান থেকে দেখা মিলবে জলমহরি পর্বতের মোহনীয় দর্শন। অন্যান্য দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে টাইগারস নেস্ট, কিচু মনস্ট্রি, পারো চু, রিনপুং জং, পারো মনস্ট্রি এবং তাং সাং।
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
থিম্পু
সমদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ হাজার ৩৭৫ থেকে ৮ হাজার ৬৮৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত রাজধানী শহর থিম্পুর সর্পিলাকার রাস্তা উন্মাদকতা তৈরি করে পর্যটকদের মনে। রংবেরঙ্গের বাড়িগুলো যেন রঙের ফেরিওয়ালা।
শহরেই ঘোরার মাঝেই চোখে পড়ে মেমোরিয়াল চর্টেন, সিটি ভিউ পয়েন্ট, ক্লক টাওয়ার, থিম্পু জং, থিম্পু নদী, পার্লামেন্ট হাউস ও থিম্পু ডিজং।
পুনাখা
যাওয়াটা বেশ সময় সাপেক্ষ হলেও বিস্ময়কর সুন্দর দোচুলা পাস থেকে ফেরার পথে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে পুনাখার অন্যান্য সৌন্দর্য্যগুলোও। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পুনাখা জং, ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম, আর্ট স্কুল ও ন্যাশনাল লাইব্রেরি। রাফটিংয়ের জন্য ভুটানের খ্যাতিটি মূলত এই পুনাখার কারণেই।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ভুটানের ভিসামুক্ত ভ্রমণ রীতি
ভুটানে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না। তবে তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ বাংলাদেশ প্রস্থানের তারিখ থেকে অন্তত ৬ মাস বেশি থাকতে হয়। সেই সঙ্গে কমপক্ষে দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকা আবশ্যক। ভুটানে প্রবেশের আগ মুহূর্তে কাস্টমস কর্মকর্তা এগুলোর একটিতে ভিসা স্ট্যাম্প যুক্ত করে দেন।
এ সময় এসডিএফ (সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি) হিসেবে প্রতি দিনের জন্য ২০০ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয়। বাংলাদেশি টাকায় এটি ২১ হাজার ৮৫২ টাকার (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ২৬ বাংলাদেশি টাকা) সমান। ৪ দিনের এসডিএফ দিয়ে অতিরিক্ত আরও ৪ তথা মোট ৮ দিন থাকা যায়।
ভুটান ভ্রমণ খরচ
ভিসা ছাড়া ঢাকা থেকে ভুটান গমনের আকাশপথই একমাত্র উপায়। রাউন্ড ট্রিপের টিকিট কেটে রাখলে খরচ হবে ৬৭৩ থেকে ৮৪২ মার্কিন ডলার, যা ৭৩ হাজার ৫৩৫ থেকে ৯২ হাজার টাকার সমান। বিমানে মাত্র ১ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ভুটানের পারোতে পৌঁছা যায়।
৫ দিনের ভ্রমণের জন্য এখানে খরচ হতে পারে জনপ্রতি কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ থেকে থেকে ৩৭ হাজার ৮৮০ গুলট্রাম। বাংলাদেশি টাকায় যেটি ২১ হাজার ৮৫৪ থেকে ৪৯ হাজার ৭১৮ টাকার (১ ভুটানি গুলট্রাম = ১ দশমিক ৩২ টাকা) সমতূল্য। এর মধ্যেই থাকা-খাওয়াসহ অভ্যন্তরীণ যাতায়াত খরচ অন্তর্ভূক্ত।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
মালদ্বীপ
ভারত মহাসাগরে মাঝে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্রটি এশিয়ার সবচেয়ে ছোট দেশ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর স্থলভাগের উচ্চতা ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি এবং সর্বোচ্চ প্রাকৃতিক বিন্দু মাত্র ৭ ফুট ১০ ইঞ্চি। যে কারণে মালদ্বীপ বিশ্বের সর্বনিম্ন দেশ হিসেবে পরিচিত।
মালদ্বীপে কোথায় ঘুরবেন
মালে
মালদ্বীপের সবচেয়ে বড় এই শহরের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে দেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলোর সঙ্গে। এখানকার আকর্ষণ প্রবাল পাথরে বানানো হুকুরু মস্ক বা ওল্ড ফ্রাইডে, ভারুনুলা রালহুগান্ধু, মালে মাছ বাজার, সুনামি স্মৃতিস্তম্ভ, মালে জাতীয় জাদুঘর এবং মুলি আজ প্যালেস। স্নোর্কেলিং ও সার্ফিংয়ের স্বর্গরাজ্য এই মালে দ্বীপ।
হুলহুমালে দ্বীপ
মালদ্বীপের বৃহত্তম এই দ্বীপটি মূলত বাজেট হোটেল বা রেস্তোঁরার জন্য বিখ্যাত। রাজধানী মালে থেকে কাছাকাছি হওয়াতে নিমেষেই চলে আসা যায় হুলহুমলে সেন্ট্রাল পার্ক, হুলহুমলে বিচ, হুকুরু মিসকি এবং এইচডিসি বিল্ডিং দেখতে।
আরও পড়ুন: দিল্লি ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ভবিনফারু দ্বীপ
এখানে ভিড়ের প্রধান কারণ হলো সৈকতের বন্যান ট্রি ভবিনফারুর ঘরগুলো। ঘুরে দেখার সময় পর্যটকগণ জেট স্কিইং, প্যারাসেইলিং এবং স্নোর্কেলিং করতে কখনই ভোলেন না।
৭ মাস আগে
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ-নেপালের উচিত পারস্পরিক পর্যটনকে উৎসাহিত করা: প্রধানমন্ত্রী
পারস্পরিক সুবিধার জন্য পর্যটনের উন্নয়নে বাংলাদেশ, নেপাল ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের বিদায়ী হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামীরের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ, নেপাল ও মালদ্বীপ পারস্পরিক স্বার্থে পর্যটন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, 'তিন দেশের মধ্যে পর্যটনের বিকাশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মানে ভারতেরও প্রবৃদ্ধি: শ্রিংলা
প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পর্যটনে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজারের বালুকাময় সমুদ্র সৈকতকে কেন্দ্র করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালদ্বীপে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।‘তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।’
রাষ্ট্রদূত তার মেয়াদকালে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, তার শাসনামলে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন:কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত ইমরানের পরিচয়পত্র পেশ, পোশাক ও ওষুধ শিল্পে সহযোগিতায় দেশটির আগ্রহ প্রকাশ
১ বছর আগে
স্পিকারের সঙ্গে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মালদ্বীপের হাইকমিশনার সিরুজিমাথ সামীর।
বুধবার সংসদ ভবনের তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, পর্যটন খাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনওপিএসের নির্বাহী পরিচালক রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-মালদ্বীপ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ৫০ বছর পূর্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দেশের সরকার কাজ করে চলেছে।
স্পিকার বলেন, মালদ্বীপের মতো বাংলাদেশের পর্যটন খাতও অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এ ছাড়া দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পর্যটন খাতে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-মালদ্বীপ সরাসরি বিমান যোগাযোগ এই দুই দেশের আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ সময় তিনি মালদ্বীপের পর্যটন খাতের প্রশংসা করেন।
মালদ্বীপের হাইকমিশনার সিরুজিমাথ সামীর বলেন, মালদ্বীপে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।
এসময় তিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় স্পিকারের বলিষ্ঠ ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এসময় মালদ্বীপ হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি মাইশান আহমেদ এবং থার্ড সেক্রেটারি নাসির মারিয়ামসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কপ২৮: দুবাইয়ে পিটার হাসের সঙ্গে সাবের হোসেনের সাক্ষাৎ
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
১ বছর আগে
সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
শুধু নব দম্পতিদেরই নয়; পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এমনকি সলো ট্রাভেলারদেরও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পছন্দের তালিকায় শীর্ষে মালদ্বীপ। আদিম প্রবাল প্রাচীরের সঙ্গে সখ্যতা গড়তে কাঁচ রঙের পানিকে দৃষ্টি সীমানায় বন্দি করাটাই যথেষ্ট নয়। পরম মমতায় ডুব দিয়ে জলজ অধিবাসীদের সঙ্গে চড়ুই ভাতিতে না মজলে, পুরো আনন্দটাই বাকি থেকে যাবে এই দ্বীপদেশ ভ্রমণের।
গোটা এশিয়া জুড়ে গাল্ফ বা উপসাগরীয় শহরগুলোর দেখা মিললেও মালে বা হুলহুমালের বিকল্প খুঁজে পাওয়া সত্যি দুষ্কর। কিন্তু এই দুষ্প্রাপ্যতার ছোঁয়া পেতে পকেটটাও যারপরনাই ভারি হওয়া জরুরি। আর একটু খরচ বাঁচিয়ে যারা মালদ্বীপের বিকল্প খুঁজছেন আজকের নিবন্ধটি তাদের জন্য। চলুন, এশিয়ার অন্য কিছু উপকূলবর্তী ট্যুরিস্ট স্পটে মালদ্বীপকে খুঁজে দেখা যাক।
স্বল্প খরচে এশিয়ার যে দর্শনীয় স্থানগুলোতে পাবেন মালদ্বীপ ভ্রমণের স্বাদ
ফি ফি দ্বীপপুঞ্জ, থাইল্যান্ড
আন্দামান সাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি শ্বেত-শুভ্র পাথর ও বালির এক মনোমুগ্ধকর সংমিশ্রণ। ছয়টি স্বতন্ত্র দ্বীপের মধ্যে ফি ফি ডন মাঙ্কি সৈকত ও মায়া বে-এর জন্য ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।
এখানকার কাছাকাছি বিমানবন্দরটি হল ফিৎসানুলক। আকাশপথে বাংলাদেশ থেকে এখানে আসার ভাড়া শুরু হয় জনপ্রতি ২৩০ মার্কিন ডলার বা ২৫ হাজার ২৬৪ দশমিক ৬৫ টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা) থেকে।
খাবারের জন্য প্রতিদিন আনুমানিক ৪১৭ থাই বাত বা ১ হাজার ২৮৯ দশমিক ৪৫ টাকা (১ থাই বাত = ৩ দশমিক ০৯ বাংলাদেশি টাকা) খরচ হয়। স্থানীয় পরিবহন খরচ দৈনিক ২৫৩ থাই বাত বা ৭৮২ দশমিক ৩৩ টাকা।
কোহ ফি ফিতে দম্পতিদের জন্য হোটেল খরচ গড়পড়তায় ২ হাজার ৯৫৬ থাই বাত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ হাজার ১৪০ দশমিক ৫৮ টাকার সমান।
থাইল্যান্ডের ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদী ও কমপক্ষে ২টি খালি পৃষ্ঠা সম্বলিত পাসপোর্ট দিয়ে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা ১০ মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত
কোহ লিপে, থাইল্যান্ড
আন্দামান সাগরে বুকে আরও একটি নৈসর্গিক সৌন্দর্য কোহ লিপে, যেটি রোমাঞ্চপ্রেমিদের হাতছানি দিয়ে ডাকে এর পাহাড়গুলো আরোহনের জন্য। দ্বীপের অভিজাত খোলা-জায়গার রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলো প্রতিদিন-ই দ্বীপকে লোকারণ্য করে রাখে।
১ বছর আগে
দ্বীপপুঞ্জ থেকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে সরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু
দ্বীপপুঞ্জে নিযুক্ত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অপসারণের বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের অটল থাকবেন এবং প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে নির্বাচনী বিজয় উদযাপনে জড়ো হওয়া তার সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
মুইজ্জু বলেন, তিনি তার নাগরিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মালদ্বীপে থাকা বিদেশি সামরিক বাহিনীর পক্ষে দাঁড়াবেন না।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাদের বলেছে যে তারা এখানে বিদেশি সেনার উপস্থিতি চায় না।’
আরও পড়ুন: দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দী হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতের জন্য এটি একটি গুরুতর আঘাত। যেখানে শনিবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনকে ভার্চুয়াল গণভোট হিসাবে দেখা হয়েছিল এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে দ্বীপপুঞ্জে কোনটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে তাও নির্ধারণের বিষয় ভাবা হয়েছিল।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। দেশের অভ্যন্তরে ভারতকে একটি অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছেন মোহাম্মদ মুইজ্জুর এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন তিনি। মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসকে অধিকহারে চীনপন্থী হিসেবে মনে করা হয়।
মালদ্বীপের একটি দ্বীপে সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কথিত হুমকি ছিল মুইজ্জুর প্রচারণায় প্রধান বিষয়বস্তু , যা দলটির পক্ষ থেকে বছরের পর বছর ধরে ‘ভারত তাড়ানোর’ কৌশলের অংশ।
অপরদিকে সোলিহ জোর দিয়েছিলেন যে মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি শুধুমাত্র দুই সরকারের মধ্যে একটি চুক্তির অধীনে একটি ডকইয়ার্ড তৈরি করার জন্য এবং তার দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা নয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু: স্থানীয় গণমাধ্যম
পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাঁর প্রেসিডেন্টের মেয়াদকালে মালদ্বীপকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভের একটি অংশ করে তোলেন। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপ জুড়ে বাণিজ্য এবং চীনের প্রভাব সম্প্রসারণের জন্য রেলপথ, বন্দর এবং মহাসড়ক নির্মাণের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইয়ামিনকে রবিবার কারাগার থেকে গৃহবন্দীতে স্থানান্তরিত করা হয়েচে। যা আগামী ১৭ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ইতোমধ্যেই মুইজ্জের প্রচারাভিযানের একটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।
মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরে এক হাজার ২০০টি প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যা পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে প্রধান শিপিং রুটে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু: স্থানীয় গণমাধ্যম
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু ৫৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
এই নির্বাচন একটি ভার্চুয়াল গণভোটে পরিণত হয়েছে, কারণ এর ফলাফলের ওপর আঞ্চলিক শক্তি ভারত বা চীন ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে।
মিহারু নিউজ উল্লেখ করেছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং মুইজ্জু ১৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন। রবিবার আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জয়ের পর এক বিবৃতিতে মুইজ্জু বলেন, ‘আজকের ফলাফলে আমরা দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ পেয়েছি। যা মালদ্বীপের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার শক্তি।’
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা
মুইজ্জু সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে কারাগার থেকে গৃহবন্দী করার জন্য সলিহকে অনুরোধ করেন।
মুইজ্জু’র জন্য এটি এক বিস্ময়কর জয়। অর্থ পাচার ও দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড ভোগ করায় সুপ্রিম কোর্ট ইয়ামিনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়ার পর মনোনয়নের সময়সীমার কাছাকাছি তাকে ‘ফলব্যাক’ প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়। ইয়ামিনের সমর্থকরা বলছেন, রাজনৈতিক কারণে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আহ্বান ডিএনসিসি’র
মুইজ্জু’র দলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘আজকের ফলাফল আমাদের জনগণের দেশপ্রেমের প্রতিফলন। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমাদের সকল প্রতিবেশি ও দ্বিপক্ষীয় অংশীদারদের প্রতি আহ্বান রইলো।’
তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করা এবং ইয়ামিনের মুক্তি ছিল মুইজ্জু’র একটি ম্যান্ডেট।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রথম দফার ভোটে মুইজ্জু বা সলিহ কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি।
২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া সলিহ মুইজ্জু’র অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। অভিযোগ করা হয়- তিনি দেশটিতে ভারতকে অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছিলেন। মুইজ্জু’র দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসকে ব্যাপকভাবে চীনপন্থী হিসেবে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ ছেড়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
১ বছর আগে
মালদ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ১১ জনের মৃত্যু, ২ বাংলাদেশি থাকার আশঙ্কা
মালদ্বীপের রাজধানীতে বিদেশি শ্রমিকদের আবাসন ভবনে আগুন লেগে ১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে অগ্নিকাণ্ডে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৪
মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, আরও একজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কারণ তাদের নথিপত্র আগুনে পুড়ে গেছে।
তিনি তৈয়ব নামে আহত একজনের পরিচয় নিশ্চিত করেন।
কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আশা করি আহত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে পারলে আমরা বিস্তারিত জানতে সক্ষম হব। তিনি এই মুহূর্তে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।’
মালদ্বীপ পুলিশের মুখপাত্র ইউনুস সোবাহ’র বরাতে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যরাতের পর ভবনটিতে আগুন লাগে।
মালদ্বীপের ভারতীয় দূতাবাস টুইটারে জানিয়েছে যে নিহতদের মধ্যে ভারতীয় নাগরিকও রয়েছে।
সোবাহ বলেন, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মালদ্বীপে বিপুল সংখ্যক বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ ও ভারতের। বিশেষ করে রাজধানী মালেতে তাদের থাকার কোয়ার্টারে প্রচন্ড ভিড় থাকে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাংক ও ১০টি দোকান পুড়ে ছাই
নারায়ণগঞ্জে পাটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড, ফায়ার সার্ভিস কর্মী আহত
২ বছর আগে