পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কোন কল্পকাহিনী নয়, ভিশন ২০৪১ হলো সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবার একটি পরিকল্পনা।
বৃহস্পতিবার রিয়াদ দূতাবাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কোন কল্পকাহিনী নয়, ভিশন ২০৪১ হলো সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবার একটি পরিকল্পনা। যে দেশের অর্থনীতিকে এক সময় ‘’তলাবিহীন ঝুড়ি’’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল আজ সে দেশের অর্থনীতি বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকারের ভিশন ২০২১ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মূল মন্ত্র হিসেবে গত এক দশকে দেশের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ভিশন ২০৪১ হাতে নেয়া হয়েছে যা আগামী দুই দশকে উন্নত বাংলাদেশ তথা সোনার বাংলা গড়ায় অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: টিকার যৌথ উৎপাদন নিয়ে শিগগরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সৌদি আরব বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার। সৌদি আরবের সাথে শ্রমবাজার কেন্দ্রিক সহযোগিতার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে যা সম্পর্কের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। সোনার বাংলাকে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে আমরা আমাদের সহযোগিতার ভিত্তিকে সহজেই শ্রমবাজার থেকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে রুপান্তর করতে সক্ষম হব।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ৫ মিলিয়ন টিকা কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সৌদি আরব ব্যবসা, অর্থনীতি ও বিনিয়োগের সুযোগ সংস্কার করেছে যা কাজে লাগিয়ে আমাদের অনেক অভিবাসীরা সেখানে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ নিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ১৭০টি দেশে বসবাসরত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স করোনা মহামারি কালীন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। অভিবাসীদের সুবিধার্থে সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিবের বন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব কর্তৃপক্ষ (পিপিপিএ) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ ও সৌদি ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ এন হিজ্জি। ওয়েবিনার পরিচালনা করেন দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান এস এম আনিসুল হক।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতরা ও কর্মকর্তারা যোগ দেন। এছাড়া রিয়াদে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
৩ বছর আগে
টিকা ইস্যুতে চীনের সাথে কোনো জটিলতা নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টিকা ইস্যু নিয়ে চীনের সাথে কোনো জটিলতা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
রবিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি যে বাংলাদেশ চীন থেকে টিকার ডোজ কিনতে চায় এবং তারা সরবরাহ করতে চায়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিকার ডোজগুলো চীনের সংস্থা থেকে সংগ্রহ করা হবে এবং এর মধ্যে চীনের সরকার সুবিধার্থীর ভূমিকা পালন করবে। বেসরকারি সংস্থা কী করবে তা সিদ্ধান্ত নেবে। এটা তাদের ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: চীনের উপহার ছয় লাখ টিকা আসবে ১৩ জুন
তিনি বলেন, এ জাতীয় কোনও পরিবর্তন নেই বলে সেখানে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়।
শনিবার, ঢাকার চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান বলেছেন, সিনোফার্ম এবং বাংলাদেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনও চুক্তি হয়নি।
তিনি বলেন, এটি চীন সরকারের সাথে না হয়ে বাংলাদেশ সরকার ও সিনোফার্মের মধ্যে বাণিজ্যিক ক্রয় সমঝোতা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন
এর আগে ২৭ মে চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনার টিকার সরাসরি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অনুমোদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আগামী তিন মাসের মধ্যে- জুন, জুলাই এবং আগস্টে মোট ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) টিকা সংগ্রহ করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘১৩ জুনের মধ্যে উপহার হিসেবে ৬ লাখ টিকা দিতে প্রস্তুত চীন সরকার।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনে আগ্রহী চীন
তিনি বলেন, 'আশা করছি আমাদের বাংলাদেশি ভাই ও বোনেরা ওই তারিখের আগেই প্রয়োজনীয় টিকা পেয়ে যাবে।’
এর আগে গত ১২ মে চীন বাংলাদেশকে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয়।
৩ বছর আগে
ঈদের আগেই চীন থেকে ভ্যাকসিন পেতে আশাবাদী ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন মঙ্গলবার বলেছেন, ঈদুল ফিতরের আগেই ভ্যাকসিন ডেলিভারি দিতে চীনা সরকার কাজ শুরু করেছে।
৩ বছর আগে
বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার তিনটি বিকল্প উত্স- রাশিয়া, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোভিড টিকার অনুসন্ধান করছে এবং এই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন।
তিনি তার বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি একটি উপযুক্ত সময়। বাংলাদেশের তাত্ক্ষণিক প্রয়োজনের জন্য কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ভারতের সাথে আলোচনাও চলছে।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সহযোগিতা: চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ স্টক বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করা শুরু করবে।
হোয়াইট হাউস সোমবার জানায়, আগামী কয়েক মাসে রপ্তানির জন্য ৬০ মিলিয়ন ডোজ পর্যাপ্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়া ও চীন থেকে জরুরিভাবে ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। 'যেখানে পাব সেখান থেকেই আমরা ভ্যাকসিন নিব।'
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে চীন নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোভিড-পরবর্তী দারিদ্র্য ও ই-কমার্স ফোরামের জন্য চীন একটি উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনসহ তিনটি পরামর্শ শেয়ার করেছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের বহুপাক্ষিকতায় বিশ্বাস করা উচিত। আমরা সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের উপর জোর দিয়েছি।'
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দক্ষিণ এশিয়ার আরও চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে অংশ নেন।
ডা. মোমেন বলেন, চীন এই প্রক্রিয়াটিতে ভারতকেও স্বাগত জানিয়েছে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব ভারতেরই।
তিনি বলেন, চীন উপহার হিসেবে ৬ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ দেবে এবং আশা করি শিগগিরই বাণিজ্যিক ক্রয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে।
আরও পড়ুন: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২১ লাখ টিকা আসছে
বাংলাদেশ চুক্তির মাধ্যমে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) দ্বারা উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকার ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের উপহার হিসেবেও বাংলাদেশ টিকার ৩৩ লাখ ডোজ পেয়েছে।
এটি ভারত থেকে যেকোনো দেশে পাঠানো বৃহত্তম পরিমাণ।
৩ বছর আগে
দেশের উন্নয়নের জন্য আরও জ্বালানি প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
সরকার দেশের উন্নয়ন করতে চায় এবং সেজন্য আরও বেশি জ্বালানি প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন।
শুক্রবার তার সরকারি বাসভবনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরির সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব বলেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি; বাংলাদেশের অসাধারণ উদারতার প্রশংসা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা আমাদের দেশের উন্নয়ন চাই। তাই আমাদের জ্বালানি প্রয়োজন।'
পরে, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উৎস হিসেবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আরও বেশি জ্বালানি উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের কেবল একটি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। এখন আমরা নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাথে আঞ্চলিক ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপাক্ষিক উদ্যোগের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আলোচনা করছি।'
আরও পড়ুন: তরুণদের শক্তি ও সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর জোর
তিনি জানান, দেশে প্রায় ৫৮ লাখ সৌর সংযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, 'কৃষিক্ষেত্রেও সেচের জন্য সৌরশক্তি প্রয়োজন।'
শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যারিস চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্তের আন্তরিক প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন কূটনীতিতে এটি নতুন মাত্রা সৃষ্টি করবে।'
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদ দিয়ে তহবিল তৈরির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মসূচি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে জন কেরি ঢাকায়
তিনি ২২ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণটি গ্রহণ করার জন্য জন কেরি প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে জন কেরি ঢাকায়
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি শুক্রবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতিকে এগিয়ে নিতে তিনি ঢাকা এসেছেন।
বেলা সাড়ে ১১ টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন কেরিকে গ্রহণ করেন। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২২-২৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাইমেট ইস্যুতে একটি সম্মেলনের দাওয়াত দিতে ঢাকায় এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি জো বাইডেনের পক্ষ থেকে এই সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়ন করেছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
ভারত সফর শেষে কেরি টুইট করে বলেন, ‘প্যারিস চুক্তি জলবায়ু সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের আরও ক্ষমতায়নের বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘তাই ভারতবর্ষে জলবায়ু পদক্ষেপ এবং শক্তি পরিবর্তনের জন্য চালিত নারী নেত্রীদের সাথে সাক্ষাতে আমি আনন্দিত।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ইউএনবিকে জানান, ঢাকায় কেরি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি এবং মূল উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বৈঠকের আগে কেরি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এবং অন্যদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুর কারণে বিশ্বে ২ কোটি মানুষ অভিবাসী হওয়ার আশঙ্কা
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশের মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মার্সিয়া বার্নিকাট বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বকে একটি দুর্দান্ত অংশীদার হিসেবে প্রস্তাব করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ জন বিশ্বনেতাকে জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ করেছেন।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই শীর্ষ সম্মেলন সর্বজনীন দেখার জন্য লাইভ স্ট্রিম হবে।
জলবায়ু শীর্ষক সম্মেলনটি শক্তিশালী জলবায়ুর তাৎপর্য এবং অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো নির্দেশ করবে। এই নভেম্বরে গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (সিওপি২৬) হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি মূল মাইলফলক হবে।
ড. মোমেন ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো জানাতে পেরে খুশি হব। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাও আমরা তাদেরকে জানাব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে অভিযোজন যথেষ্ট নয় এবং এটিকে প্রশমন করতে হবে এবং তাদের প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাংলাদেশের সমর্থন প্রয়োজন। এটি কেরির বিশেষ লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: মন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সমস্যা সৃষ্টি করেনি এবং নদীভাঙ্গন থেকে মানুষকে পুনর্বাসিত ও রক্ষার জন্য দায়িত্বশীল দেশগুলোর উচিত দায়িত্ব ভাগ করে নেয়া।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে জোর দিয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব গভীর জলবায়ু সংকটের মুখোমুখি এবং আমাদের বৈদেশিক নীতি, কূটনীতি এবং জাতীয় সুরক্ষার কেন্দ্রবিন্দু জলবায়ু পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে হওয়া উচিৎ।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য অফিসের প্রথম দিনেই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
পরের দিন ২৭ জানুয়ারি, তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রধান অর্থনীতিবিদদের প্রচেষ্টার উদ্যোগের জন্য তিনি শিগগরই নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবেন।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আঞ্চলিক, বহুপাক্ষিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখনও একটি বাধ্যতামূলক অগ্রাধিকার হিসেবে থাকায় এ বিষয়ে আঞ্চলিক বা বহুপাক্ষিক উদ্যোগকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'মানবাধিকার ইস্যুতে কাজের মাধ্যমে কানাডা এই ধরনের উদ্যোগে নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। বাংলাদেশ সর্বদা এই দিক থেকে কানাডা এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।'
আরও পড়ুন: উখিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ রোহিঙ্গা দোকান কর্মচারী নিহত
ড. মোমেন মঙ্গলবার রাতে `রোহিঙ্গা সংকট ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: প্রত্যাবাসন ও জবাবদিহিতা উদ্যোগে কানাডার ভবিষ্যত ভূমিকা' শীর্ষক ওয়েবিনারে এই মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারাও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুরক্ষা ও মর্যাদার সাথে দেশে ফিরতে উদগ্রীব হয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘এই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। কেবল আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই স্থগিত প্রত্যাবাসন বাস্তবে রূপ নিতে পারে।'
আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ দফায় ভাসানচরের পথে ২৪৯৫ রোহিঙ্গা
কনফ্লিক্ট অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট কানাডার সহযোগিতায় কানাডায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিসিবিএস) রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে প্রথম ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ডা. খলিলুর রহমান, সিনেটর মেরিলো ম্যাকফেডরান সিএম, হিদার ম্যাকফারসন, ব্র্যাড রেডেকপ, অধ্যাপক জন প্যাকার এবং ইন্টারন্যাশনাল কনফ্লিক্ট রেজোলিউশনের অধ্যাপক নিউবার্গার-জেসিন প্রমুখ এই ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন।
অধিবেশনটির মডারেটর ছিলেন সিআরআরসি’র নির্বাহী পরিচালক ড. কাওসার আহমেদ।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন
শিগগরই সমাধান না হলে রোহিঙ্গা সংকট বিস্তৃত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে পরিণত হতে পারে বলে বক্তারা জানান।
তারা বলেন, কানাডাকে অবশ্যই মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে, কার্যকর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং মিয়ানমারে বিনিয়োগ বন্ধ এবং আইসিজে মামলা সমর্থন করার বিষয়ে বাস্তব 'পদক্ষেপ' এবং প্রকৃত 'আগ্রহ' সহ পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বহুপাক্ষিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নে হস্তক্ষেপ করতে সমমনাদের সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শ্রীলঙ্কার সক্রিয় সহযোগিতা কামনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তারা জানান, তাদের পার্লামেন্টে কানাডার সরকারকে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (এআরএফ), যেখানে বাংলাদেশ ও কানাডা উভয়ই সদস্য, এর মাধ্যমে সমঝোতামূলক কূটনৈতিক সমাধানসহ সংকট নিরসনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ করে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারা বলেন, 'আচেহ মডেলটির সম্ভাবনা খোঁজার প্রয়োজন রয়েছে যা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি কার্যকর সম্মেলনের অধীনে মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে।'
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না সৌদি আরব: শাহরিয়ার
বক্তারা বলেন, ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা হাজার হাজার রোহিঙ্গা শিশুদের 'হারানো প্রজন্ম' হিসেবে শিক্ষার চাহিদাও হারাতে হতে পারে।
৩ বছর আগে
মোদির সফরের বিরোধিতা নিয়ে চিন্তিত নই: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন শনিবার বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে একটি গ্রুপের বিরোধিতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শ্রীলঙ্কার সক্রিয় সহযোগিতা কামনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে বৈদেশিক মিশনকে সজাগ থাকতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে দেশের সকল বৈদেশিক মিশনকে সজাগ থাকতে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
৩ বছর আগে