বর্তমান টিকার মজুদ দিয়ে শনিবার থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। এভাবে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে সম্পূর্ণভাবে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে।
যাদের বয়স ২৫ বছরের বেশি তাদের টিকা দেওয়া হবে, এছাড়া বয়স্ক ব্যক্তি, নারী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে এবং দুর্গম অঞ্চলে বসবাসকারীদেরও এই অভিযানের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুনঃ আগামী সপ্তাহে সিনোফার্মের ৩৪ লাখ ডোজ টিকা আসছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার বিসিপিএস মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) ডা এবিএম খুরশিদ আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৩২ হাজার ৭০৬ ভ্যাকসিনেটর এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত থাকায় সরকার ৪ হাজার ৬০০ ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা এলাকা এবং সিটি করপোরেশনের ৪৩৩ টি ওয়ার্ডে একযোগে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
৭ আগস্ট সকল ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকা অভিযান শুরু হবে। ৮-৯ আগস্ট ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকার ওয়ার্ডগুলিতে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে, যেখানে ইতোমধ্যে প্রচারণা চলছে। ১০-১২ আগস্ট ৫৫ বছরের বেশি বয়সী রোহিঙ্গা নাগরিকদের মধ্যে করোনা টিকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ অবৈধভাবে ২৬০০ জনকে টিকাদান: সেই রবিউল বরখাস্ত
এর আগে এপ্রিল মাসে ভারত সরকার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের চালান স্থগিত করার পরে সরকার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রদান স্থগিত করেছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার বলেন, বাংলাদেশে ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ মজুদ আছে এবং দ্বিতীয় মাত্রার জন্য কিছু ডোজ (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) রাখা হবে।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনায় মৃত্যু আরও ২৪৮, শনাক্ত ১২,৬০৬
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগামী সপ্তাহে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ৩৪ লাখ ডোজের আরেকটি চালান পাবে এবং আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ৬০ লাখ ডোজ ফাইজার ভ্যাকসিন পাবে।