স্বেচ্ছাসেবক
বাস ডিপোর দখল নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকার নীলাচল বাস ডিপোর দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুপক্ষের অন্তত সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে মৌচাক মুক্তাঝিল আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমানের অনুসারীরা এ সময়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
স্থানীয়রা জানান, নীলাচল পরিবহনের বাসের ধাক্কায় মুক্তাঝিল এলাকার একটি মসজিদের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হলে লোকজন নিয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মমিনুর রহমান নীলাচল বাস কর্তৃপক্ষকে বাস ডিপো সরিয়ে নিতে বলেন।
এ সময় তাদের মধ্যে এই মর্মে সমঝোতা হয় যে, দুই মাসের মধ্যে ডিপোটি সরিয়ে নেওয়া হবে। এরপর রাতেই বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব পাপ্পু বলেন, ‘মসজিদের কার্নিশ বাসের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে আমরা ডিপো সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ইকবাল বাহিনীর ক্যাডারদের হামলার শিকার হয়েছি।’
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নাসিক ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ফিরোজ নামে যুবদলের এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয় এবং ইসমাইল নামের একজনকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
আরও পড়ুন: মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, সিরাজগঞ্জে নিহত ১
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকার কারণে এ ঘটনার কিছুই জানি না। তবে শুনেছি, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা নীলাচল বাস কর্তৃপক্ষের কাছে মসজিদের ক্ষতিপূরণের জন্য টাকা চেয়েছে।’
নীলাচল পরিবহনের কর্মকর্তা আবুল হাশেম বলেন, ‘নীলাচল পরিবহনের গাড়ি চলাচলের সময় মসজিদের লাইট ও কার্নিশ ভেঙে যায়। এরপর মিস্ত্রি এনে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করতে গেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান পাটোয়ারীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মমিনুর রহমান বাবুর লোকজন হামলা চালায়। এতে আবুল হাশেম, হাসান মাহমুদ, আবু সিদ্দিক ও বিল্লাল হোসেন আহত হন।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় এক পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে।’
৯ দিন আগে
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটে ফেরদৌস আহমেদ (৪০) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার(১১ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফেরদৌস সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এবং আনন্দবাজার এলাকার নুরুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঢাবির টিএসসি এলাকা থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফেরদৌস গতকাল রবিবার সকালে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। বিকালের পর থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে তার কোন খোঁজ পায়নি স্বজনরা।
আজ সকাল ৭টার দিকে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সদর থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে একজন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর নবম শ্রেণির ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
৩৭৯ দিন আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মাঝিকে গুলি করে হত্যা
সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে তার মাথায় ও পিঠে গুলি করে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
নিহত স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ রশিদ (৩৫) বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. আলী জানান, এনজিও অফিসে রাতে ডিউটি করে তার নিজ শেডে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ রশিদকে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। পরে তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
পাবনায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে রিকশা চালককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
৭৪১ দিন আগে
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫০ নেতাকর্মীর নামে মামলা
চট্টগ্রামে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং: চট্টগ্রামে ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনজুর আলম তালুকদারসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউড়ির স্টেডিয়াম এলাকায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ঘটে।
এ সময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্য সহ ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এ ঘটনার সময় ১০জন সহ মোট ১৪জনকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দর চালু
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৪, আটক ১০
৮৮০ দিন আগে
জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৫
সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুই স্বেচ্ছাসেবকসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, গোয়াইঘাটের পন্নগ্রামের মৃত রাখা চন্দ্রের পুত্র লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস, ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সেলিম আহমেদ, নয়াবস্তি এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে নাজিম উদ্দিন, ইসলামপুর রাধানগর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তাহমিলুর রহমান জানান, মূল হামলাকারী দুই স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের ওপর স্বেচ্ছাসেবীদের হামলা, আহত ৬
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে টিকেট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় উপজেলা প্রশাসনের টোল কাউন্টারে নিযুক্ত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং টোল কাউন্টারে নিযুক্ত থাকা দুই স্বেচ্ছাসেবককে সাথে সাথে বরখাস্ত করা হয়। একইসাথে তাদের আটক করে থানায় নেয়া হয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, 'পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।'
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতোমধ্যেই তিন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
১০৫৪ দিন আগে
চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ২০
চাঁদপুর জেলা শহরের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানো গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মী ও পথচারীসহ কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে।
বুধবার বিকাল ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় একটি খোলা ট্রাকের ওপরে অস্থায়ী প্যান্ডেল করে বিক্ষোভ সভা করছিল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী ও সম্পাদক কাজি ইব্রাহীম জুয়েলসহ কয়েকশত নেতা কর্মীরা।
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া খাওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা এলাকা ত্যাগ করে। পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। বর্তমানে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, আহত ৫
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। শহরের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ করে জেলা কার্যালয়ের সামনে আসলে পুলিশ কর্মসূচিতে বাধা দেয়। তখন দু’পক্ষের পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ মহিউদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, রাস্তাঘাট অবরোধ করে সমাবেশ করায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা প্রদান করে। তখন আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ধাওয়া ও পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, যাদের কারণে এই ঘটনা তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বিএনপির মিছিল-পথসভা, পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
হরতাল: সুনামগঞ্জে হেফাজত ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
১১১২ দিন আগে
ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান
আগামী এক বছরের জন্য জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে।
বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণের কারণে জয়া আহসান ইতোমধ্যেই প্রশংসিত। ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তিনি মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে সবার সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন।
জয়া আহসান বলেন, ‘আমি ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে একদিকে যেমন আনন্দিত আরেকদিকে ইউএনডিপির সাথে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারব ভেবে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী রক্ষার জন্য যেই লক্ষ্যমাত্রা যা এসডিজি নামে পরিচিত, নির্ধারণ করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি অর্জন করতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আর আমি আমার কাজের মধ্যে দিয়ে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করব, যেন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশ সহ বিশ্বকে আরো সুন্দর, সহনশীল করে গড়ে তুলতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘এ পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে তোলা আমাদের সবার অঙ্গীকার, আর এই অঙ্গীকার রক্ষা করতে হলে আমাদের সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই কেবল এসডিজি অর্জন করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: ২৬ হলে মুক্তি পেল ‘রাত জাগা ফুল’
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, ‘জয়া আহসানের মতো একজন, যিনি শুধু জনপ্রিয় শিল্পী নন, পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, এমন একজন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হওয়াতে আমরা সৌভাগ্যবান। তার মাধ্যমে আমাদের কথা এখন দেশ ও দেশের বাইরে মানুষকে আরও বেশি করে পৌঁছানো যাবে, যেন আমরা সবাই মিলে সুন্দর, সুখী এবং সবার জন্য সমান একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে পারি, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।’
জয়া আহসান ইউএনডিপির সাথে এসডিজি ছাড়াও, আরও অন্যান্য বিষয় যেমন, দারিদ্র, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন, সহনশীলতা, পরিবেশ, জ্বালানি এবং লিঙ্গ সমতা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: সোহেল রানার শারীরিক অবস্থার উন্নতি
হাজংদের জীবন সংগ্রাম নিয়ে ডকুফিল্ম
১১৮০ দিন আগে
সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০ নেতার পদত্যাগ
সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক পদ থেকে এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান পদত্যাগ করেছেন। তারই ধারবাহিকতায় যুগ্ম আহ্বায়কসহ উভয় কমিটির ১০ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর মতামত ও পরামর্শ উপেক্ষা করে নিজের জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করায় আগেই অভিমানে পদত্যাগ করেছেন এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান। তার সাথে নবগঠিত সিলেট জেলা ও মহানগরের কমিটিকে ভারসাম্যহীন, নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, পকেট কমিটি উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন উভয় কমিটির ১০ জন সদস্য।
এর মধ্যে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদ বক্স, সদস্য পদ থেকে মওদুদুল হক, শহীদুল ইসলাম কাদির, আলতাফ হোসেন বিলাল, আমিনুল হক বেলাল, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী লাহিন। মহানগর কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আব্দুর রকিব তুহিন, রুজেল আহমদ চৌধুরী, আব্দুল হান্নান, আক্তার আহমদ।
পদত্যাগকারী নেতাকর্মীরা শনিবার (২১ আগস্ট) পদত্যাগপত্র কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
পদত্যাগপত্রে নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মওদুদুল হক মওদুদ সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন, কিন্তু বর্তমান কমিটিতে তাকে ৩১নং সদস্য করা হয়েছে। দুই বারের সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুর রকিব তুহিনকেও ৩৮নং সদস্য পদ দেয়া হয়। জেলা বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক বেলালকে ৪৯নং সদস্য করা হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম কাদিরকে সদস্য, জৈন্তাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন বিলালকে কমিটির সর্বশেষ ৬১ নম্বর সদস্য করা হয়। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি রুজেল আহমদ চৌধুরীকে সদস্য করা হয়। উক্ত কমিটিতে ওইসব নেতাকর্মীদের সদস্য দিয়ে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। তাই নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগকারী নেতাকর্মীরা বলেন, কমিটি দেখে আমরা বিস্মিত ও হতবাক। যারা বিগত আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখে জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তাদেরকে বাদ দিয়ে নিষ্ক্রিয় ও অযোগ্যদের দিয়ে কমিটি ঘোষণা করে একটি হাস্যকর কমিটি উপহার দিয়েছে। আমাদেরকে কমিটিতে এমন এক জায়গায় স্থান দিয়েছেন, যা উপহাসের পাত্র হিসেবে পরিণত করেছে।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট বুধবার সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনে মতামতকে উপেক্ষা করায় ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দেয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক, এক সময় সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির চার নেতা কারাগারে
নবগঠিত ঢাকা মহানগরের ২ কমিটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে: ফখরুল
১৩১২ দিন আগে
গোয়ালন্দে টিকা কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়
দেশব্যাপী করোনার গণ টিকাদান কার্যক্রম শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়েও এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলার সবকটি (চারটি) ইউনিয়নে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে টিকাদান।
আরও পড়ুনঃ সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু
সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় মানুষের ভিড়। প্রথম দিকে শৃঙ্খলা ছাড়াই নারী-পুরুষের জটলা তৈরি হয়। পরে স্থানীয়দের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তদারকিতে নারী, পুরুষ পৃথকভাবে লাইন ধরে দাঁড়ান। একটি লাইনে শুধু নারীরা ছিলেন। পুরুষ সংখ্যা বেশি হওয়ায় দুটি লাইন করা হয়। তবে নিবন্ধন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। সার্ভার জটিলতার কারণে অনেকেই নিবন্ধন করতে পারছিলেন না। তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়। তবে টিকা নেয়ার পর বিশ্রামের জন্য ছিল না কোন বিশেষ ব্যবস্থা।
টিকার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সহযোগিতা করছেন গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় গণ টিকাদান শুরু
বকারটিলা থেকে আসা প্রবীন নাগরিক আলমাছ সরদার বলেন, প্রায় দুই ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন পর্যন্ত টিকার কার্ড সংগ্রহ করতে পারিনি। কিন্তু কতক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকা যায়। আমার মতো এরকম অনেকে লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছেন।
টিকা নিতে সাহেব আলী এসেছেন স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনকে নিয়ে। কিন্তু নিবন্ধন করতে না পারায় টিকা নিতে পারছিলেন না। সাহেব আলী বলেন, তিন দিন ধরে এস ঘুরে যাচ্ছি। বার বার বলছে সার্ভার জটিলতার কারণে নিবন্ধন করা যাচ্ছে না।
ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা সুলতান উদ্দিন বলেন, সার্ভার সমস্যার কারণে আমরা অনেকের নিবন্ধন করতে পারছি না। আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাত্র ৫-৬ জনের মতো নিবন্ধন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে ৭ আগস্ট থেকে গণটিকাদান শুরু
উজানচরের নলিয়া পাড়া থেকে টিকা নিতে আসা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থী মো. সৌরভ বলেন, বর্তমানে ছুটিতে বাড়ি আছি। যেহেতু বয়স ২৫ বছর পার হয়ে গেছে, তাই বাবাকে সাথে করে টিকা নিতে এসেছি। অহেতুক টিকা না নিয়ে এক ধরনের ঝুঁকির মধ্যে থাকা।
টিকা প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারী মো. রুবেল শেখ জানান, আমরা ৩০০ ভায়াল ডোজ হাতে পেয়েছি। আমরা ৬০০ জনকে টিকা প্রদান করতে পারব। এক্ষেত্রে বেলা ৩টা পর্যন্ত টিকা দেয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টার পর থেকে শুরু করে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩২০ জনের মতো টিকা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। তবে ৬০০ জনকে দিকে যতক্ষণ পর্যন্ত সময় লাগে ততক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন বলে তিনি জানান।
গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের পাঁচ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করছেন। দলের সমন্বয়কারী এনামুল হক রাহাত বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে যারা নিবন্ধন করতে পারেননি তাদের জাতীয় ভোটার আইডি কার্ডের ভিত্তিতে হাতে কলমে নিবন্ধ করে টিকা গ্রহণে সহযোগিতা করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ বলেন, উপজেলার সবকটি (চারটি) ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে ৩০০ ভায়ালের মাধ্যমে ৬০০ জনকে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সার্ভার জটিলতার কারনে নিবন্ধন কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা ভোটার আইডি কার্ডের ভিত্তিতে হাতে লিখেই নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করে টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
১৩২৬ দিন আগে
টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
করোনাভাইরাসের বিস্তার থামাতে বাংলাদেশ সরকারের চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়নে শুরু থেকেই বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও দেশব্যাপি গণ টিকাদান কর্মসূচিতে সরকারের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ শুরু করেছে সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবকরা।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপি কোভিড-১৯ এর গণ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে। ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া সরকারের টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম থেকেই সরকারকে সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
আরও পড়ুনঃ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
গণ টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে নতুন করে আরও ১ হাজার জন স্বেচ্ছাসেবককে কাজে লাগাচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। টিকা গ্রহণকারীদের সাহায্য ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডে ৩৮৭ জন স্বেচ্ছাসেবককে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
দেশব্যাপি এই বৃহৎ কার্যক্রমকে সফল করতে সোসাইটির পক্ষ থেকে সকল ইউনিটগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণ এর বিস্তার রোধে সরকারের নানা কর্মসূচির পাশাপাশি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি তাদের সমন্বিত কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকরা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এর সহযোগিতায় সরকার প্রদত্ত স্বেচ্ছাসেবক গাইডলাইন অনুযায়ী সারাদেশে কাজ করছে। এছড়াও সকল জেলার সিভিল সার্জন ও সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্ত করতে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অফিসিয়াল চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সক্রিয় ভূমিকা ও সহযোগিতার জন্য রেড ক্রিসেন্ট কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে।
আরও পড়ুনঃ সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু
দেশের ৬৪ টি জেলায় সোসাইটির বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা ও ১৮ টি জেলায় ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবা সারাদেশে ব্যপক প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার বলেন, ‘রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সরকারের কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক পর্যায়ক্রমে কাজ করছে। নতুন করে শুরু হওয়া গণ টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে আরও ২৮০০০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয়তা ও সরকারের চাহিদার প্রেক্ষিতে আগামীতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সরকারের কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবধরণের সহযোগিতা প্রদান করে আসছে এবং সহযোগিতা প্রদানে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা প্রশিক্ষণ শেষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিয়োজিত আছে।
১৩২৬ দিন আগে