রোহিঙ্গা
সম্প্রতি ৪০ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ ঢাকার
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে সংঘাতের কারণে ৪০ হাজারের বেশি মিয়ানমারের নাগরিকের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও সোয়ে মোয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'উভয় দেশের জন্যই আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দেন। একই সঙ্গে মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
হোসেন জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হওয়ায় দেশ দুটির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা দরকার।
অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলোর কথা স্বীকার করেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আরাকান আর্মির যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কারণে বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবাসনে দেরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
মিয়ানমার সরকার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনরা এ সংকট সমাধানে শিগগিরই গঠনমূলক সংলাপে বসবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
মানব পাচার বৃদ্ধিসহ সীমান্ত পরিস্থিতির অস্থিরতা থেকে সৃষ্ট নিরাপত্তাবিষয়ক ঝুঁকিগুলো তুলে ধরেন তিনি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা হোসেন। মিয়ানমারকে এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে মিয়ানমারের সমর্থনও চান তিনি।
তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ঢাকা ও ইয়াঙ্গুনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে আলোচনাধীন উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি চূড়ান্তকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের মধ্যে সম্প্রতি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর তাদের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের প্রত্যাবাসন ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি তার সরকারের কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রদূত কিয়াও সোয়ে মো।আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী এক্সিলারেট এনার্জি
১ মাস আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছে কারণ ঢাকা মনে করে মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে। এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।’
রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকায় এক সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা জানি একটিই সমাধান আছে- আর তা হলো তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে- মিয়ানমার।’আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করে হোসেন বলেন, অনেক সময় অন্য সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়, কিন্তু সেসব সমাধানের কোনোটিই কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এবং তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা দিয়ে তাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও চীন সবসময় একে অপরের সঙ্গে সমতার সঙ্গে আচরণ করে এবং একে অপরকে সমর্থন দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান ও লাভজনক সহযোগিতার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে।
চীনা দূতাবাস সেন্টার ফর চাইনিজ স্টাডিজ (এসআইআইএস-ডিইউ) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) -এর সহযোগিতায় 'বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: একটি ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি' শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: জরুরি সংস্কারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারে বাংলাদেশ: বিশ্ব ব্যাংক
এসআইআইএসের একাডেমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াং জিমিয়ান, বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কিত শ্বেতপত্র কমিটির সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিআইআইএসএস’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতেও রয়েছে।
ঢাকার একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি উত্থাপন অব্যাহত রাখব। মালয়েশিয়া আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন একটি বিষয় যযা আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এবং আমরা আসিয়ানের মাধ্যমে, মালয়েশিয়ার সরকারের মাধ্যমে এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করি।’
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের সম্প্রদায়ের বাংলাদেশিসহ ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করে।
ইউএনএইচসিআর’র মতে, এই আবেদনটির পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সহযোগিতার গভীর সম্পর্কের 'ঐতিহাসিক সুযোগের' সম্মুখে ঢাকা-বেইজিং: রাষ্ট্রদূত
১ মাস আগে
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক: ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন শুরু থেকেই সহযোগিতা করে আসছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান। তারা যাতে তাদের অধিকার ও নিরাপত্তাসহ নিজ দেশে ফিরতে পারে, সেজন্য চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করি। যাতে রোহিঙ্গা সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: সুসম্পর্ক স্থাপনে সম্মত ঢাকা-দিল্লি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, ঢাকাস্থ চীন দূতাবাস এবং সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের চেয়ারম্যান এ এফ এম গওসোল আযম সরকার, মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস ছিলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে সামরিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বিদ্যমান রয়েছে। চীন বাংলাদেশে সামরিক সরঞ্জামের বড় সরবরাহকারী। সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে ও প্রশিক্ষণে চীনের আরও সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সামরিক খাতে দুদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যমান সহযোগিতা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কার্যকর অংশগ্রহণে বাংলাদেশের সামর্থ্য বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, গ্রিন এনার্জি, আইসিটিসহ অন্যান্য খাতে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও সহযোগিতামূলক সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশ নিরলসভাবে একে অপরকে সমান মর্যাদাসম্পন্ন হিসেবে মূল্যায়ন করেছে এবং পারস্পরিক সুবিধা অনুসরণ করেছে। উভয় দেশ প্রথম থেকেই অভিন্ন মৌলিক স্বার্থের বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন করেছে এবং নিজ নিজ উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করেছে। এর ফলে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও সহযোগিতামূলক সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে আরও ‘শক্তিশালী’ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
রোহিঙ্গাদের ওপর ২০১৭ সালের নৃশংসতার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের
মিয়ানমার পরিস্থিতির তীব্র অবনতি এবং রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে পালানোর সময় কয়েকশ’ বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন তুর্ক।
তিনি বলেন, ‘এই নৃশংসতা একটি দ্ব্যর্থহীন প্রতিক্রিয়া দাবি করে- দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে এবং ন্যায়বিচার অবশ্যই নিরলসভাবে নিশ্চিত করতে হবে।’
জেনেভা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নৈতিক দায়িত্ব এবং আইনগত বাধ্যবাধকতা হিসেবে অতীতের অপরাধ ও ভয়াবহতার পুনরাবৃত্তিকে অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, 'রোহিঙ্গা ও এই নিষ্ঠুর সংঘাতের শিকার অন্যান্য বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় এগিয়ে এসে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা আসিয়ান ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।’
গত চার মাসে বুথিডং ও মংডু শহর সেনাবাহিনীর কাছ থেকে দখল নিতে আরাকান আর্মির বড় ধরনের অভিযানে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে, যাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে সবচেয়ে মারাত্মক সশস্ত্র ড্রোন হামলায় অনেক লোক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কারা এই হামলার জন্য দায়ী তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তুর্ক বলেন, ‘হাজার হাজার রোহিঙ্গা পায়ে হেঁটে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আরাকান আর্মি তাদের বারবার এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে তাদের আশ্রয় গ্রহণ খুবই কম নিরাপদ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকায় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্যরা সামরিক বাহিনী ও তাদের মিত্র এবং আরাকান আর্মির মাঝে আটকা পড়ছে, তাদের নিরাপদ কোনো পথ নেই।’
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান বলেন, বারবার সতর্ক করা এবং ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান সত্ত্বেও চলমান সহিংসতা বিদ্যমান দায়মুক্তির বোধ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অব্যাহত চ্যালেঞ্জকে তুলে ধরে।
তুর্ক বলেন, 'চলতি মাসে মিয়ানমারে সামরিক অভিযানের সাত বছর পূর্ণ হলো। ওই অভিযানে সীমান্ত পেরিয়ে ৭ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বিশ্ব বলছে 'আর পুনরাবৃত্তি নয়' বলা সত্ত্বেও আমরা আবারও রাখাইনে হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও বাস্তুচ্যুতি প্রত্যক্ষ করছি। সশস্ত্র সংঘাতের পক্ষগুলো রোহিঙ্গা ও অন্যদের বিরুদ্ধে হামলার দায় অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তারা এমন আচরণ করছে যেন তাদের রক্ষা করার ক্ষমতা নেই। এটি বিশ্বাসযোগ্যতার সীমা ছাড়িয়েছে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের নথিভুক্ত তথ্য অনুসারে, সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মি এখন রাখাইনের বেশিরভাগ জনপদ নিয়ন্ত্রণ করে। উভয়ই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড- কিছু শিরশ্ছেদ, অপহরণ, জোরপূর্বক নিয়োগ, ড্রোন এবং আর্টিলারি ব্যবহার করে শহর ও গ্রামে নির্বিচারে বোমা হামলা এবং অগ্নিসংযোগসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন করছে।
এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আলোকে সব পক্ষের বাধ্যবাধকতা এবং রোহিঙ্গাদের আরও ক্ষতির ঝুঁকি থেকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশের অস্থায়ী ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত।
বিশ্বাসযোগ্য সূত্রগুলোর মতে, সংঘাত-সম্পর্কিত আঘাতের জন্য সহায়তা চাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়ছে- যাদের প্রায় অর্ধেকই শিশু।
এছাড়া ডায়রিয়ায়, বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং জীবনযাত্রার অপ্রতুলতার কারণেও মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বেসামরিক নাগরিকদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় রসদ রাখা খাদ্যগুদামগুলোতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সহিংসতার কারণে বুথিডং এবং মংডু হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপক টেলিযোগাযোগ বন্ধের কারণে ইতোমধ্যে বিপর্যয়কর মানবিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
তুর্ক বলেন, ‘রাখাইনে যে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে তার জন্য সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি উভয়ই সরাসরি দায়ী।’
তিনি বলেন, 'উভয় পক্ষকে অবিলম্বে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধ করতে হবে। সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে হবে। তাদের জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা পাওয়ার অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।’
২ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে ইতিবাচক মিয়ানমার
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিটে যোগদানের পাশাপাশি ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এ মনোভাব ব্যক্ত করেন।
রিট্রিটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ড. হাছান মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের পূর্বের আলোচনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, তারা তাদের দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফেরত নিতে সম্মত আছে। কিন্তু এটি কার্যকরের কোনো চিহ্ন এখনো দেখা যাচ্ছে না।
'প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেবল মিয়ানমার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নজির রাখতে পারে' উল্লেখ করে বিষয়টির ওপর গভীর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং তার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর অভিপ্রায় পুণর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে রিট্রিটের শেষ দিন শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এ দিন সকালে নয়া দিল্লির কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পঞ্চবটিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ রিট্রিটে যোগদানকারী ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও নেপালের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭টি দেশের আঞ্চলিক জোট 'বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)' সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই রিট্রিটে বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কার্যকর অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও সংক্ষিপ্ত পার্শ্ববৈঠকে নিত্যপণ্য আমদানি সুবিধা অব্যাহত রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল পাঠানোর বিষয়সহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে বিমসটেক রিট্রিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান
৪ মাস আগে
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনকে সহায়তা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা কামনা করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চীনে সফরকালে দেশটির নেতার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান ওয়াং হানিংয়ের নেতৃত্বাধীন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা ন্যাশনাল কমিটি অব দ্য পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে বলেন 'রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আমাদের সহায়তা করুন।’
গত জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর চীনে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমানো, আগামী বছর দু'দেশের মধ্যে অর্থবহ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা প্রতিনিধিদলকে বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গারা সাড়ে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছে এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য এখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, 'এই বিষয়টি বৈঠকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
সিপিপিসিসি চেয়ারম্যান বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং এ বিষয়ে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি বলেন, 'আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব।’
মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা চীন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান এবং বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদের হার কমাতে এআইআইবির প্রতি শেখ হাসিনার আহ্বান
৪ মাস আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আহ্বান জানিয়েছে দাতা সংস্থাগুলো
বিশ্ব শরণার্থী দিবসে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অন্যান্য দেশসহ দাতা সংস্থাগুলো।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘আমরা সংঘাত, সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১২ কোটি মানুষ, অর্থাৎ বিশ্বের প্রতি ৬৯ জনের মধ্যে ১ জনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। এদের মধ্যে রয়েছে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা, যারা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনের সময় সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায় দাতাসংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: শরণার্থীদের পুনর্বাসনে পৃষ্ঠপোষক দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন: জাতিসংঘ মহাসচিব
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা জনগণের অবিশ্বাস্য স্থিতিশীলতা ও আত্মবিশ্বাস সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করে দাতা সংস্থাগুলো।
দাতাসংস্থাগুলোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। উদীয়মান নতুন সংকট এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মানবিক চাহিদার মাঝে এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের জন্য বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
শরণার্থী শিবিরগুলোতে শিক্ষা ও জীবিকার সুযোগ বাড়ানো, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দারিদ্র্য এবং সেই চক্র কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মনির্ভরশীলতা তৈরি করতে পারে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে তারা।
দাতা দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং মানবিক অবস্থার অবনতির অর্থ হলো, এটি নিকট ভবিষ্যতে অসম্ভব। আমরা রাখাইন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এবং সীমান্তের ক্রসবর্ডারে এর প্রভাব নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সব নাগরিকের সুরক্ষার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করছি।’
এর আগে ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির জটিলতা মোকাবিলার জন্য বৈশ্বিক দায়িত্ব এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে একটি যৌথ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের
দাতাসংস্থাগুলো জানায়, বাংলাদেশে অবস্থানকালে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি উন্নত এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য টেকসই সমাধানের দিকে আঞ্চলিক সমন্বয় এবং যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চান তারা।
এই গণমাধ্যম বিবৃতিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করেছে। অন্যান্য দাতা দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, স্পেন, সুইডেন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে ও ইতালি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের সহায়তা অব্যাহত রাখতে অংশীদার ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: রাষ্ট্রদূত প্রেসকট
৫ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসে ৯ জনের মৃত্যু, উদ্ধার চলছে
কক্সবাজারের উখিয়ায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় স্থানীয় একজন ও আট রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টার দিকে উখিয়ার ১০ ও ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন জানান, সকালে খবর আসে উখিয়ার ৯ ও ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধস হয়েছে। এ ঘটনায় এক বাংলাদেশি ও আট রোহিঙ্গা মাটির নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে টিলা ধস, এক পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানান, বুধবার ভোরের দিকে ক্যাম্প-৯ ও ১০ এর পানবাজার এবং হাকিমপাড়ায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৯ জনের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন প্রাথমিকভাবে মারা যাওয়াদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি। তবে ৯ জনের মধ্যে আনুমানিক চার বছরের এক শিশু, ১২ বছরের এক কিশোর ও কয়েকজন নারী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
৫ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ৩
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
সোমবার (১০ জুন) উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
আহতদের মধ্যে দুইজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর নিহত তিনজনই ওই ক্যাম্পের বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ক্যাম্পে।
আহত রোহিঙ্গারা জানান, সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রাতে যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদেরকে জিম্মি করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেটি ঠেকানোর জন্য সিআইসির পরামর্শে তারা প্রতিরাতে ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে পাহারা বসায়। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতেও বিভিন্ন গ্রুপে পাহারা দিচ্ছিলেন তারা। ওই সময় একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী এসে তাদেরকে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এসময় গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে সাতজনকে জখম করে। এরমধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. আশিকুর রহমান বলেন, সকালে গুলিবিদ্ধ সাতজন রোহিঙ্গাকে নিয়ে আসা হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন মৃত। গুলি ও ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, আধিপত্য বিস্তারের জেরে এই ঘটনা ঘটে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সোমবারের ঘটনার পর ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় ধরণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিকআপের চাপায় পথচারী নিহত
যশোরে ট্রাকের ধাক্কায় পথচারীসহ নিহত ২
৫ মাস আগে
সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে গেছে রোহিঙ্গাদের খাদ্য বোঝাই ট্রলার
চট্টগ্রাম থেকে রোহিঙ্গাদের শুকনো খাদ্যপণ্য নিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে যাবার পথে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে গেছে একটি ট্রলার।
তবে ট্রলারে থাকা মাঝি মাল্লাদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়ল ২ শতাধিক ঘর
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ট্রলারটি চট্টগ্রামের ফিশারীঘাট এলাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর এটি সন্দ্বীপ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছালে ডুবে যায়।
ট্রলারটিতে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ৪০ লাখ টাকার খাদ্যপণ্য ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ট্রলারটি ৪০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে চট্টগ্রাম ফিশারীঘাট এলাকা থেকে হাতিয়ার উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়। এটি কর্ণফুলী নদী থেকে বের হয়ে সন্দ্বীপ চ্যানেলে প্রবেশ করলে বৈরী আবহাওয়া ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরামুল হক ট্রলারডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য শুকনো খাদ্যপণ্য নিয়ে যাওয়ার পথে ট্রলারটি সন্দ্বীপ চ্যানেলে হঠাৎ ডুবে যায়। এতে মাঝিমাল্লাদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারটি উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে বিজিবি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
৫ মাস আগে