টিকা
উগান্ডায় ইবোলা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু
উগান্ডায় ইবোলা ভাইরাস শনাক্তের পরে রোগীদের পরীক্ষামূলক টিকা দিতে শুরু করেছে দেশটি। উগান্ডায় ভাইরাসটির সুদান প্রজাতির বিস্তারে ১ জনের মৃত্যু ও দুইজন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে এক প্রতিবেদনে বলেছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
প্রথম পর্যায়ে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মী ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী কাম্পালাতে একজন নার্সের মৃত্যু ও পরিবারের আরও দুজন সদস্য আক্রান্ত হওয়ায় দেশটিতে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা হয়।
ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের উৎস জানতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, ইবোলা সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরের যেকোনো তরল কিংবা মলমূত্রের সংস্পর্শে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারেন। ভাইরাসটির উপসর্গ হিসেবে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে দেখা দিতে পারে জ্বর। হতে পারে বমি, ডায়রিয়া, শরীর ব্যথা। এছাড়াও কিছুক্ষেত্রে শরীরের অভ্যন্তরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
কাম্পালার বিশাল ও ভ্রাম্যমাণ ৪০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে সংক্রমণ মোকাবিলা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
উগান্ডার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, ভাইরাসে প্রাণ হারানো সেই নার্স একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি আক্রান্ত হওয়ার আগে দেশের পূর্বঞ্চলের এমবেলাতে গিয়েছিলেন। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আগে তিনি কবিরাজের চিকিৎসাও নিয়েছিলেন।
তিনি আনুমানিক ২৩৫ জন মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন বলে ধারণা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। উগান্ডা একটি ঘনবসতিপূর্ন দেশ হওয়ায় ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে হিমশিম খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আন্তজার্তিক এইডস ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের দেওয়া ২০০০ টিকা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক মাতশিদিসো মোয়েতি ইবোলা ভাইরাসের প্রতিরোধমূলক টিকা পরীক্ষাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার গুরুত্বকেও তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন:দেশে প্রথমবারের মতো ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ট্রাম্প প্রশাসন সরে আসার পর এবং বিদেশি সহায়তা বন্ধের পর ইবোলায় এটিই প্রথম আক্রান্তের ঘটনা। উগান্ডায় ইতোপূর্বে ইবোলার বেশ কয়েকটি ধরণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০০০ সালে দেশটিতে ইবোলায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ভাইরাসটির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাসটি একটি ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর হিসেবে মানব শরীরে দেখা দেয়।
২০১৮ থেকে ২০২০ সালে পূর্ব কঙ্গোর জায়ার প্রজাতির ভাইরাসটি প্রতিরোধে কার্যকর হয়েছিল আরভিএসএফ-জেইবিওভি ভ্যাকসিন। এর মাধ্যমে দেশটির প্রায় ৩ হাজার ব্যক্তির প্রাণ রক্ষা পেয়েছিল। উগান্ডায় ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে পূর্ব আফ্রিকায় ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বরের প্রাদুর্ভাবের ধারাবাহিকতা বৃদ্ধি করেছে। গত মাসে তানজানিয়ায় মারবার্গ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করে। এর আগে দেশে মারবার্গ প্রাদুর্ভাব শেষ হওয়ার ঘোষণা দেয় রুয়ান্ডা।
ছড়িয়ে পড়া ইবোলা ভাইরাসটি ঠিক কিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তা নিশ্চিত করতে না পারলেও বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন সংক্রমিত কোনো পশুর কাঁচা মাংস খাওয়ার কারণে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন প্রথম সংক্রমিত ব্যক্তি।
ইবোলা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। দক্ষিণ সুদান ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ইবোলা নদীর তীরে ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল ভাইরাসটি। ইবোলা নদীর নামানুসারে ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:কোভিড ল্যাবসৃষ্ট ভাইরাস: আস্থা কম সিআইএ’র সিদ্ধান্তে
৬৯ দিন আগে
করোনা টিকা নিয়ে ৩২ মাস ধরে অসুস্থ সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ
করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করার পর থেকে নানা উপসর্গ নিয়ে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী এখনো অসুস্থ।
শরীরে নানা ধরনের উপসর্গের সঙ্গে লড়াই করছেন ওই সাংবাদিক। ভ্যাকসিনের কারণে ৩২ মাস ধরে বিষ্ণু প্রসাদ অসুস্থ। সেই থেকে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও তিনি এখনো সুস্থ হতে পারেননি।
বিষ্ণু জানান, ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা নেন। এর এক ঘণ্টার মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। একের পর এক উপসর্গ দেখা দেয় তার শরীরে। জ্বর, বুকে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, মাথায় যন্ত্রণা, গলায় ব্যাথা, মুখ ও গলা শুকিয়ে আসা, কথা বলতে কষ্ট হওয়া, মেমোরি লস, শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পারা, চোখে ঝাপসা দেখাসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বসুন্ধরায় কীটনাশক বিষ প্রয়োগের পর অসুস্থ হয়ে ৯ ও ১৫ বছর বয়সী দুই ভাইয়ের মৃত্যু
প্রথমে বাগেরহাটের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। এরপর খুলনা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিউতে তাকে দুই দফা ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাকে ২০২১ সালের ১৬ মার্চ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়।
এক টানা ২১ দিন বিএসএমএমইউতে ভর্তি ছিলেন ওই তিনি। বিএসএমএমইউর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ আরাফাতের নেতৃত্বে তার চিকিৎসায় দুই দফায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
সেখানে চিকিৎসকরা তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও রোগ নির্ণয় করতে পারেনি। তবে ওই সব হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে নানা চিকিৎসা সেবা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উদ্বোধনের প্রথম দিন প্রথম যে ৫ জন টিকা নিয়েছিলেন তার মধ্যে আমি একজন। টিকা দেওয়ার সময় আমার শরীর জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছিল। তখনি বিষয়টি আমি চিকিৎসকদের জানাই। এর এক ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা বেড়ে যায়। দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করাতে বেশ কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করেছি।
বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বকসী জানান, সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নেন। এর এক ঘণ্টার মধ্যে নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে আমি তার বাসায় গিয়ে চিকিৎসা শুরু করি। সেই থেকে বিভিন্ন সময় আমি তাকে নানা ধরনের চিকিৎসা দিয়ে আসছি।
তিনি আরও জানান, তার অসুস্থতা নিয়ে গবেষণা করা গেলে করোনার অজানা আরও নানা বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে। আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে বিষ্ণু প্রসাদ নানা অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন।
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমদ্দার জানান, যেকোনো টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। তবে তারা রোগ নির্ণয় করতে পারেনি। তার রোগ নির্ণয় করতে আরও উন্নত চিকিৎসা করা দরকার।
তিনি জানান, বিষ্ণু প্রসাদের যেসব উপসর্গ দেখা দিয়েছে তা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের গবেষণা করা প্রয়োজন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার অসুস্থতার কেস ফাইন্ডিংস পাঠানো উচিত। সেই সঙ্গে তার আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর অথবা আমেরিকায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অসুস্থ বানরটি চিকিৎসা নিতে নিজেই হাসপাতালে হাজির
গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
৫১২ দিন আগে
ডেঙ্গুর টিকা প্রয়োগে নাইট্যাগের পরামর্শ চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দেশে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের প্রয়োগ নিয়ে জাতীয় টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির (নাইট্যাগ) পরামর্শ চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কমিটির সুপারিশ পেলেই ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকালে এডিস সার্ভের ফলাফল নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আহমেদুল কবির বলেন, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিউডেঙ্গা টিকা প্রয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে একটি বয়সসীমার শর্তও দিয়েছে তারা। এই কিউডেঙ্গা ভ্যাকসিন নতুন কিছু নয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফের অভিযান
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেশ হলো এই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়পত্র দিয়েছে বলেই যে এটা আইডিয়াল ভ্যাকসিন, তা কিন্তু বলা যাবে না।
তিনি বলেন, কিউডেঙ্গা ছাড়াও ডেনভেক্সিয়া নামক আরেকটা ডেঙ্গু ভ্যাকসিন আছে। তবে সেটা স্ক্রিনিং ছাড়া প্রয়োগ সম্ভব নয়। এই টিকা ডেঙ্গুর মাত্র একটি ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর। যারা আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়নি, তাদের জন্য এই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ নয়। এ ছাড়াও ৯ বছরের কম বয়সী শিশুরা এই ভ্যাকসিনের উপযুক্তও নয়।
আহমেদুল কবির বলেন, ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমরা জাতীয় টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটিকে (নাইট্যাগ) বলেছি। আমরা ডেঙ্গুর ভ্যাকসিনের বিষয়ে পরামর্শ/সুপারিশ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না।
নাইট্যাগ বলেছে, তারা দ্রুত একটা মিটিং করে সিদ্ধান্ত জানাবে। তারা যদি পরামর্শ দেয়, তাহলে আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।
ডেঙ্গু সংক্রমণ কবে কমবে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, তাপমাত্রা না কমলে হয়তো ডেঙ্গু সংক্রমণটা কমবে না। ডেঙ্গুটা এখন তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল। বৃষ্টি না থামলে কমার সম্ভাবনা দেখছি না। ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল না হলেও এডিস মশার বংশ বৃদ্ধিটা ঠিকই প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে।
ডেঙ্গুতে নারীদের বেশি মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু কারণে নারীদের মৃত্যুর হার বেশি পাচ্ছি। প্রথমত আমাদের নারীরা যেকোনো কারণেই হাসপাতালে দেরি করে এসেছে। আরেকটি বিষয় হলো এবছর গর্ভবতী মায়েরা অনেক বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের ইতিহাস পাওয়া গেছে, আপনারা জানেন গর্ভবতী মায়েরা ডেঙ্গুতে একটু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, যেকারণে এবার অনেক বেশি তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
আগামী মাসের শুরুতে কমতে পারে ডেঙ্গুর সংক্রমণ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
৫৫৭ দিন আগে
বাংলাদেশে ডেঙ্গুর টিকা নিয়ে গবেষণার আশাব্যঞ্জক ফল লাভ
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু রোগের টিকার সফল পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষায় ভাইরাল এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকেরা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের টিকার সফল পরীক্ষা করেছেন।
টিকার এই সফল পরীক্ষা নিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘ল্যানসেটে’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, তাদের প্রচেষ্টায় এক ডোজের টেট্রাভ্যালেন্ট বা টিভি ০০৫ ডেঙ্গু ভ্যা
কসিন প্রয়োগে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের ক্ষেত্রেই এই টিকার নিরাপত্তা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে।
এই টিকার গবেষকদের একজন আইসিডিডিআর,বি-এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী রাশিদুল হক গুরুতর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে জর্জরিত বাংলাদেশের জন্য এই কাজের সমালোচনামূলক গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) ডা. কার্কপ্যাট্রিক টিভি০০৫ এর অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ধারণা: জেনে নিন সঠিক তথ্য
তিনি বরেন, একক-ডোজের এই টিকা ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা উদ্দীপিত করার ক্ষমতা রাখে। যা এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার মতো অঞ্চলের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল টিকায় পরিণত করেছে।
২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান প্রাদুর্ভাবের ফলে সারা বাংলাদেশে ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং ৯২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আইসিডিডিআর,বি এবং ইউভিএম গবেষণা দল ২০১৫ সালে ‘ডেঙ্গু ইন ঢাকা ইনিশিয়েটিভ (ডিআইডিআই)’ শুরু করে। যা বাংলাদেশে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের উপর প্রথম গবেষণা প্রচেষ্টা।
তাদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার লক্ষ্য সারা দেশে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া। দ্য
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজেস-এ প্রকাশিত গবেষণাটিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিকাল ট্রায়ালের কথা বলা হয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে শুরু করে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চারটি বয়স সীমার (১-৪৯ বছর) প্রায় ২০০জন স্বেচ্ছাসেবক টিভি০০৫ ভ্যাকসিন বা একটি প্ল্যাসিবো পেয়েছে।
টিভি০০৫ ভালভাবে সহনশীল প্রমাণিত হয়েছে, এবং বেশিরভাগ স্বেচ্ছাসেবককের শরীরে চারটি ডেঙ্গুর সেরোটাইপের জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি গয়েছে। বিশেষ করে যারা পূর্বে ডেঙ্গুর সংস্পর্শে এসেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, নির্ণয়ের প্রক্রিয়া, চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
যদিও গবেষণাটি কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার জন্য ডিজাইন করা হয়নি, টিকা দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কোনও ডেঙ্গুর ঘটনা রিপোর্ট করা হয়নি।
এতে আরও বলা হয়েছে, গবেষণালব্ধ এসব ফলাফল ডেঙ্গুপ্রবণ জনগোষ্ঠীতে ব্যাপক হারে টিভি-০০৫ ডেঙ্গু টিকা ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে তোলার পাশাপাশি, তৃতীয় ধাপের কার্যকারিতা ট্রায়াল পরিচালনার জন্য সমর্থন জোগাড় করতে সহায়তা করবে।
ইউভিএম-এর ভ্যাকসিন টেস্টিং সেন্টার (ভিটিসি) ২০০৯ সাল থেকে ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) দ্বারা তৈরি ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের মূল্যায়ন করছে।
ডা. কার্কপ্যাট্রিকের নেতৃত্বে ইউভিএম দল ডা. স্টিফেন হোয়াইটহেডের মতো বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করেছে, যারা টিভি০০৫ ভ্যাকসিন ডিজাইন করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই সহযোগিতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বাইরেও ডেঙ্গু ভ্যাকসিন গবেষণায় উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
সানোফি ও তাকেদা সহ বেশ কিছু ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিও টেট্রাভ্যালেন্ট ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নিয়ে অগ্রগতি করেছে। তারা তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পূর্ণ করেছে।
আরও পড়ুন: মশা কেন আপনাকেই কামড়ায়?
৫৬৩ দিন আগে
সারাদেশে করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দেয়া শুরু
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে টিকার দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ (চতুর্থ ডোজ) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।এসময় আহমেদুল কবীর বলেন, টিকার অ্যান্টিবডি বেশিদিন থাকে না। এজন্য সরকার চতুর্থ ডোজ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।তিনি বলেন, চার কোটি মানুষ ৪র্থ ডোজ নেবার উপযোগী। তবে আপাতত আমরা ৫টি ক্যাটাগরিতে এই টিকা দিব। এক্ষেত্রে আমাদের উদ্দিষ্ট মানুষ আছে ৮০ লাখ মানুষ।তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই পরিক্ষামূলকভাবে ৪৬০ জনকে চতুর্থ ডোজ দেয়া হয়েছে। আর আজ থেকে সারাদেশে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আমাদের প্রায়োরিটি থাকবে সম্মুখসারীর যোদ্ধা, গর্ভবতী মায়েরা আছে।
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিনব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি
তিনি বলেন, আজ অনেকেই টিকা নিয়েছেন, ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে চাই। বাংলাদেশ টিকায় মাইলফলক অর্জন করেছেন, দেশের মানুষ টিকায় আগ্রহী। হাসপাতালে ভর্তি কম, মৃত্যু কম।টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ১৫ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ সাড়ে ১২ কোটি এবং তৃতীয় ডোজ দিয়েছি সাড়ে ছয় কোটি মানুষকে। এখনও আমাদের কাছে এক কোটি ৩৩ লাখ টিকা আছে। মন্ত্রী মহোদয় টিকা ব্যাপারে কনসার্ন আছেন।তিনি বলেন, যেই টিকা আছে, এগুলো শেষ হলে আবারও টিকা আসবে। টিকা নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই। ১৮ বছরের উর্ধে সাড়ে ১১ কোটি মানুষ আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সবাইকেই সেকেন্ড বুস্টার ডোজ (চতুর্থ ডোজ) দিব।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে আবারও ৭ দিনের টিকা ক্যাম্পেইন
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার ক্যাম্পেইন বাড়ল আরও ৩ দিন
৮৪৬ দিন আগে
ষাটোর্ধ্বদের করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের করোনার টিকার চার নাম্বার ডোজ অথবা ২য় বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে বুস্টার ডোজে অগ্রাধিকার পাবেন ষাটোর্ধ্ব নাগরিকরা।
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে আছেন, তারা যেকোন কেন্দ্রে গিয়েও চার নাম্বার ডোজ অথবা ২য় বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিনব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি
তিনি বলেন, ৯৮ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্কদের দেয়া হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদেরও দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১৪ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ ও প্রায় ১৩ কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ছয় কোটি মানুষকে তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার টিকা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সারাদেশে সাত দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু করেছি । চলতি এই ক্যাম্পেনে চাইলে নিতে পারবেন এই বুস্টার ডোজ।
মন্ত্রী বলেন, ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এ উপলক্ষ্যে টিকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ লাখ ডোজ। ক্যাম্পেইনে মোট ১৭ হাজার ১১৬টি টিম কাজ করবে।
আরও পড়ুন: প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার ক্যাম্পেইন বাড়ল আরও ৩ দিন
দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৮৬১ দিন আগে
ডেঙ্গু: তাকেদার টিকার অনুমোদনের সুপারিশ ইএমএ’র
ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) শুক্রবার জাপানি ফার্মাসিউটিক্যাল তাকেদা’র তৈরি ডেঙ্গু টিকার অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। যা ভয়াবহ এ রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কয়েক লাখ মানুষের জন্য লড়াইয়ে নতুন কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে।
শুক্রবার ইইউ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইএমএ এক বিবৃতিতে বলেছে, চার ধরনের ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে চার বছর বা তার বেশি বয়সের যে কেউ এই টিকা নিতে পারে। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৩৯০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ভাইরাল এই রোগে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যার বেশিরভাগই শিশু।
ইএমএ জানায়, ‘বর্তমান টিকার সুবিধা ও নিরাপত্তা ১৯টি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে মূল্যায়ন করা হয়েছে, যা ১৫ মাস থেকে ৬০ বছর বয়সী ২৭ হাজারেরও বেশি লোককে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে বিরত রাখতে তাকেদা’র টিকা প্রায় ৮৪ শতাংশ কার্যকরী এবং টিকা দেয়ার চার বছর পর পর্যন্ত সংক্রমণ রোধে প্রায় ৬১ শতাংশ কার্যকর থাকে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ৩১০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ল্যাটিন আমেরিকার ১২০টি এবং এশিয়ার অনেক দেশে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ ডেঙ্গু। এ রোগের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। যদিও প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর সংক্রমণ মৃদু। অধিকাংশ রোগীর জানানো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা ও পেশী ব্যথা।
মশার মাধ্যমে ছড়ানো এ রোগ গুরুতর হলে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত, অঙ্গহানি এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
২০১৭ সালে সানোফি পাস্তুরের ডেঙ্গু ভ্যাকসিন ‘ডেঙ্গুভ্যাক্সিয়া’ ফিলিপাইনে জনস্বাস্থ্য সঙ্কট শুরু করার পরে তাকেদা ভ্যাকসিনের সুপারিশ করা হয়। ডেঙ্গুভ্যাক্সিয়া টিকা এমন লোকেদের দেহে গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, যারা আগে ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হয়নি। এমনকি এর ফলে ১০০টিরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়।
সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, সানোফি ভ্যাকসিনটি ফিলিপাইনজুড়ে প্রায় আট লাখ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছিল। অনেক বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাকে ‘অযথা তাড়াহুড়ো করে’ ভ্যাকসিনটি সুপারিশ করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
প্রসিকিউটররা বলেছিলেন যে এর ফলেই এই মৃত্যু ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগে একবার সানোফি পাস্তুর ভ্যাকসিনটি নিরাপদ বলে উপসংহারে পৌঁছেছিল। কিন্তু পরে বলেছে যে পরীক্ষা করে শুধুমাত্র আগে যে শিশুদের ডেঙ্গু হয়েছিল, শুধুমাত্র সেসব শিশুকেই এই টিকা দেয়া উচিত।
ইএমএ বলেছে, তাকেদা ভ্যাকসিনের অনুমোদনের অর্থ হল ‘বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের ওপর সৃষ্ট হুমকি মোকাবিলার করা’।
সংস্থাটি আরও জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর আস্থা থাকা উচিত যে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও কার্যকর।
ম্যালেরিয়ার পরে, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে ফিরে আসা ইউরোপীয় ভ্রমণকারীদের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
ইন্দোনেশিয়া তাকেদা ভ্যাকসিনের লাইসেন্স দেয়া প্রথম দেশ। সেপ্টেম্বর মাসে দেশটি তাকেদা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু সবচেয়ে বেশি কক্সবাজারে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
৯১২ দিন আগে
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার ক্যাম্পেইন বাড়ল আরও ৩ দিন
কোভিড ১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনের সময়সীমা আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনেশন বিশেষ ক্যাম্পেইন বিষয়ক এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি বলেন, বিশেষ এই টিকা ক্যাম্পেইন আজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি ছুটি ও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় আরও তিনদিন এই কর্মসূচি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ৪, ৬, ৮ তারিখ পর্যন্ত বাদ পড়া ব্যক্তিরা নির্ধারিত টিকা কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। ইতোমধ্যে গত ছয়দিনে এক কোটিরও বেশি মানুষ প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এরমধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ছয় লাখ দুই হাজার ৪৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ১৫ লাখ চার হাজার ৬৩৮ জনকে। আর বাকিগুলো দেয়া হয়েছে বুস্টার ডোজ।
আরও পড়ুন: করোনার বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে মঙ্গলবার
আহমেদুল কবির বলেন, টিকাদানের কারণেই বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে এসেছে। তবে, গত কয়েকদিনে সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তির হার খুবই কম। এসব চিন্তা করেই বাদ পড়াদের টিকার আওতায় আনতে নতুন করে আবারও সময় বাড়ানো হয়েছে।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেন, গত ছয়দিনে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। টিকা কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর মানুষ টিকা নিতে আসছে। মানুষের মধ্যে স্পৃহা তৈরি হয়েছে। এসব বিবেচনায় আরও তিনদিন এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। সিটি করপোরেশনগুলোকে আজকের মধ্যেই এ বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ১১ অক্টোবর থেকে জেলা-উপজেলায় শিশুদের টিকাদান শুরু: স্বাস্থ্য সচিব
পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে সবার কাছে আমরা টিকা পৌঁছে দিয়েছি, যাদের প্রয়োজন হবে আরও পৌঁছে দিবো।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পূর্বের জাতীয় সার্ভে অনুযায়ী টার্গেট করা মানুষের মধ্যে ৯৮ শতাংশ প্রথম ডোজ টিকা কভার হয়েছে। নতুন সার্ভে অনুসারে এখন জনসংখ্যা কম হওয়ায় টার্গেটও কমেছে সে হিসেবে আমরা প্রায় আমরা কভার করেছি। এরপর আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ আরও তিন চালিয়ে যাবো।
৮ অক্টোবরের পর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, যৌক্তিক কারণে কেউ টিকা থেকে বাদ পড়ে থাকলে তাদের জন্যও টিকার ব্যবস্থা থাকবে। আমরা হয়তো আর এভাবে কোন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করবো না, তবে তারা হাসপাতালের নির্দিষ্ট টিকা কেন্দ্র থেকে নিতে পারবে। এমনকি এখন যারা প্রথম ডোজ নিচ্ছে, তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষিত থাকবে।
আরও পড়ুন: ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন কানাডার
৯২৩ দিন আগে
দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নানা চেষ্টা করে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভ্যাকসিন কিনে আমাদের নাগরিকদের সরবরাহ করেছি। কিন্তু এখন আমরা একটি ভ্যাকসিন-সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য কিছু জমি কিনেছি এবং আমেরিকার কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কিছু সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।’
রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে শুক্রবার ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশেনে (ইউএনজিএ) যোগ দেয়ার জন্য তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: ৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, সরকার ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কিছু আমেরিকান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার থেকে সরকার (জিটুজি’র) ভিত্তিতে এই সহায়তা পাবে।
তিনি বলেন ‘এই বছরের ইউএনজিএ অধিবেশনের সময় স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। কারণ জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো কোভিড-১৯ মহামারি এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর ধরে বৈঠক করতে পারেনি। মহামারি চলাকালীন অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতার মতো বিষয়গুলো জাতিসংঘের অধিবেশনে ব্যাপকভাবে আলোচনায় ছিল।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, মহামারি চলাকালীন সময়ে ভ্যাকসিন বিতরণ ছিল অসম। গরিব দেশের মানুষের চেয়ে ধনী দেশের মানুষ বেশি টিকা পান। এছাড়া, সমাজের একটি অংশ যদি টিকাপ্রাপ্ত না থাকে, তাহলে যারা টিকা নিয়েছেন তারা আবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হবেন। ফলস্বরূপ, এ বছরের জাতিসংঘ অধিবেশনে ভ্যাকসিন ইস্যুটি বিশেষ মনোযোগ পেয়েছে।
সাক্ষাতকারে মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানকারী সমস্ত দেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীকার করে যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবশ্যই ভ্যাকসিন উৎপাদনের জ্ঞান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়েছিল। অনেক দেশ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি টেস্টিং সিস্টেমের অভাবের কারণে তাদের জনগণের জন্য পর্যাপ্ত পরীক্ষার খরচ বহন করতে পারেনি। জাতিসংঘের অধিবেশনে ধনী দেশগুলো অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পরীক্ষার সুবিধা তৈরিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ বাংলাদেশকে কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মোট ৯০০ টি কোভিড-১৯ পরীক্ষাগার আছে। যেখানে মানুষ বিনামূল্যে নিজেদের পরীক্ষা করতে পারে। আমরা প্রায় প্রতিটি বয়সের কোটি কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছি। ফলে আমাদের মৃত্যুর হার কম ছিল, এবং মহামারির সময় অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হইনি। এসব কারণে জাতিসংঘের অধিবেশনে উপস্থিত অন্যান্য দেশগুলোর প্রশংসা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৯৩১ দিন আগে
৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী ৩ অক্টোবর থেকে দেশে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে। এরমধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে বাদ পরা মানুষদের টিকা নিতে হবে।শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, দেশে এখনও প্রথম ডোজের টিকা নেয়নি প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়নি প্রায় ৯৪ লাখের মতো মানুষ।
তাদেরকে দ্রুতই টিকা নিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, অক্টোবরের পর হয়তো আমাদের কাছে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য টিকা থাকবে না। যেগুলো থাকবে, সেগুলোরও মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। যারা এখনও প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার নেননি, তারা দ্রুত নিয়ে নিন। অক্টোবরের পরে থেকে টিকা নাও পেতে পারেন।তিনি বলেন, টিকা কার্যক্রমে আমাদের আড়াই লাখ লোক কাজ করছে, এরমধ্যে ভ্যাকসিনেটরই রয়েছেন ৬০ হাজার জন। সবাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা নিয়ে নিন। আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি।শিশুদের টিকাদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ১০ লাখ শিশুকে টিকাদান হয়ে গিয়েছে। আমাদের এখনো শোয়া দুই কোটি শিশুকে টিকা দিতে হবে। তার মানে চার কোটির বেশি ভ্যাকসিন এখনও দেয়া প্রয়োজন। আমরা মাত্র শুরু করেছি। শিশুদের টিকা কার্যক্রম আরও অনেক বাকি আছে।জাহিদ মালেক বলেন, করোনা বেড়ে গেলে আবারও অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে, স্বাস্থ্য সেবায় প্রভাব পড়বে। সংক্রমণ কিন্তু আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যেন মাস্ক পরা ভুলে গেছি, মাস্কই হলো বড় হাতিয়ার। ভালো দিক হলো মৃত্যু হার কম আছে, আমরা সন্তুষ্ট নই, করোনাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:ভুটান থেকে দেশে ফিরেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৯৪০ দিন আগে