তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ইতিহাসের মধ্য দিয়ে গেলে আমরা বাংলাদেশের উত্থানের ইতিহাস, স্বাধীনতা এবং বাঙালি জাতির স্বকিয়তা জানার সুযোগ পেতে পারি।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের ব্রেইল সংস্করণের মোড়ক উন্মোচনকালে এ কথা বলেন তিনি।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পাঠকদের কথা বিবেচনা করে ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটিকে প্রথম ধাপে ১০০ সেট (প্রতিটি ৬ খণ্ড) ব্রেইল সংস্করণ মুদ্রণ সম্পন্ন করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বইটিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনের একটি প্রতিচ্ছবি বর্ণিত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বইটিতে ভাষা আন্দোলন থেকে দেশের স্বাধীনতা পর্যন্ত সমস্ত সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। যে কেউ এই বই থেকে অনেক তথ্য পেতে পারেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা জনান, বঙ্গবন্ধুর এই বইটি ইতিমধ্যে ১৪টি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে এবং আরও কয়েকটি ভাষায় এটি প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ‘যারাই এই বইটি পড়ে, তারা এটিকে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার সংগ্রামের সমস্ত ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল।
‘এই বইটি (অসমাপ্ত আত্মজীবনী) প্রকাশের পরে আমরা ইতিহাস বিকৃতি থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা শাখার উপর ভিত্তি করে বইটি প্রকাশিত হতে শুরু হলে দেশের সংগ্রামের ইতিহাস বিশেষ করে জাতির পিতার সংগ্রাম এবং স্বাধীনতার পদক্ষেপগুলো সামনে আসতে শুরু করে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা শাখার রিপোর্ট ভিত্তিক আরও বই ভবিষ্যতে প্রকাশিত হবে এবং কিছু ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
ব্রেইল সংস্করণে বইটি প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের এই বইটি লাইব্রেরিগুলোতে সংরক্ষণের পরামর্শ দেন, যাতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধু ও দেশের সত্যিকারের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যান বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদও বক্তব্য রাখেন।